শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০১৩

মাওলানা সাঈদীর পক্ষে কোন আইনজীবী যাননি ট্রাইব্যুনালে//আসামীপক্ষের আর্গুমেন্ট বন্ধ ঘোষনা

৪/১২/২০১২ মঙ্গলবার
আজ হরতাল।  আসামী পক্ষের কোন আইনজীবী যাননি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ । তবে আসামী পক্ষের উপস্থিতি ছাড়াই সারাদিন মাওলানা সাঈদীর বিচার কার্যক্রম চলছে।

ট্রাইব্যুনাল-১এ মাওলানা সাঈদীর মামলায় আসামী পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন চলছিল। আসামী পক্ষের কোন আইনজীবী উপস্থিত না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল তাদের যুক্তি উপস্থাপন বন্ধ ঘোষনা করেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপক্ষকে আসামী পক্ষের যুক্তির জবাব প্রদানের জন্য। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী   আসামী পক্ষের যুক্তির পাল্টা জবাব দেয়া শুরু করেন।

তবে আসামী পক্ষের  যুক্তি উপস্থাপন বন্ধ করা বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন আসামী পক্ষ যদি তাদের অসমাপ্ত যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আবেদন করে তাহলে তখন তা বিবেচনা করা হবে।

আর্গুমেন্ট শেষ হলে রায়ের তারিখ : রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী  আজ  তার যুক্তি উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনালের কাছে  নিবেদন করেন মামলার রায়ের তারিখ  ঘোষনার জন্য। ট্রাইব্যুনাল বলেন আপনার কাছে আমাদের আরো কিছু বিষয়ে ব্যাখ্যা জানার আছে। আগামীকাল আপনি সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেবেন। চারটার দিকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শেষ হলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, আগামীকাল (আজ বুধবার) পাঁচ থেকে দশ মিনিটের মধ্যে আমাদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়ে যাবে। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন আগামীকাল আপনাদের আর্গুমেন্ট শেষ হয়ে যাবে। আসামী পক্ষের আর্গুমেন্টও বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এ অবস্থায় কালও যদি তারা না আসে তাহলে আগামীকাল মামলার রায়ের তারিখ ঘোষনা হতে পারে কি-না।  জবাবে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আর্গুমেন্ট শেষ হলে মামলার জাজমেন্টের তারিখ ঘোষনা করা হয়। এটাই আইনের নিয়ম। এদিকে ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হতে হতে অপর প্রসিকিউটর আব্দুর রহমান বলেন, আমরাতো আজই জাজমেন্টের তারিখ ঘোষনার জন্য দাবি করেছিলাম।

আসামী পক্ষের অনুপস্থিতিতে চলছে বিচার কার্যক্রম :  আজ  ১০টা ৫০ মিনিটে কোর্ট বসেন। প্রথমে রুস্তম আলী শিকদার নামে একটি মিসকেসের  বিষয়ে নতুন রারিখ  প্রদান করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর  ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ অফিসারকে পরবর্তী মামলার নাম ঘোষনা করার নির্দেশ দিলে বেঞ্চ অফিসার মাওলানা সাঈদীর মামলার নাম ঘোষনা করেন।  ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক  পুলিশকে নির্দেশ দেন মাওলানা সাঈদীকে হাজতখানা থেকে কোর্ট রুমে নিয়ে আসার জন্য। আসামী পক্ষের আইনজীবীদের বেঞ্চ সম্পূর্ণ শূণ্য তখন। মাওলানা সাঈদীকে কোর্টরুমে নিয়ে আসা হলে বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, সাঈদী সাহেব, আপনার কোন আইনজীবীতো নেই। এখন আমরা কি করতে পারি?
মাওলানা সাঈদী বলেন, মাননীয় আদালত আমিতো আপনাদের পরামর্শ দিতে পারিনা। তবে   একটা অনুরোধ করতে পারি। আজ হরতাল চলছে। আমাকে এখানে নিরাপত্তা দিয়ে আনা হয়েছে। আপনাদেরও নিরাপত্তা দিয়ে আনা হয়েছে। আমার আইনজীবীরা আসতে পারেননি। তাই আমার অনুরোধ আজকে বিচার  মুলতবি রাখেন।

বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আমরা তো বসে থাকতে পারিনা।  আপনার আইনজীবীদের আপনার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন চলছিল। তারা যথেষ্ঠ যুক্তি উপস্থাপন করেছে। আমাদের মনে হয় তাদের আরো কিছু  সময় লাগবে। আমরা এখন যেটা করতে পারি তাহল রাষ্ট্রপক্ষ এখন তাদের অংশ পেশ করবে।  এরপর আপনার আইনজীবী যদি আরো বলতে চায় তা পরে শুনব।

এরপর বিচারপতি নিজামুল হক মৌখিক আদেশে বলেন ডিফেন্স আর্গুমেন্ট ইজ কোজড। আসামী পক্ষের যুক্তি উপস্থান    বন্ধ। তারা  যদি পরে আবেদন করে তখন তা বিবেচনা করা হবে।
এরপর তিনি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে বলেন আপনরা জবাব প্রদান শুরু করেন।
মাওলানা সাঈদী তখন বলেন, যেহেতু আমার কোন আইনজীবী নেই । তাই আমাকেও জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়া হোক। কারণ আমিতো এসব শুনিনা এর  জবাবও আমি দিতে পারবনা।  আপনি জানেন আমি এখানে  বসে বসে কোরআন পড়ি। ট্রাইব্যুনাল  বলেন আপনি কোরআন পড়–ন। আমাদেরও উপকার হতে পারে। কিন্তু আপনাকে এখন পাঠানো যাচ্ছেনা। আপনাকে থাকতে হবে।
এরপর সৈয়দ হায়দার আলী জবাব প্রদান শুরু করেন।

শিকদার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের  দাবি: প্রসিকিউটর  সৈয়দ হায়দার আলী যুক্তি উপস্থাপনের সময়  বলেন, সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদে  সাঈদী সাহেব বলেছেন, “আমার আসল নাম  আবু নঈম মো: দেলাওয়ার হোসাইন । সাঈদী নামটি আমার ওস্তাদ আমাকে দিয়েছেন।”
 এসময় বিচারপতি নিজামুল হক সৈয়দ হায়দার আলীকে প্রশ্ন করেন সাঈদী নাম যেই  দিক না কেন। এখানেতো শিকদার বিষয়ে কিছু  নেই। তার নাম  শিকদার ছিল  কি ছিলনা সে বিষয়ে  তো এখানে কিছু নেই।
জবাবে সৈয়দ হায়দার  আলী বলেন,  আছে। শিকদার তাদের পারিবারিক নাম।  আমরা সাউথখালীতে তাদের একটি জমির পরচা পেয়েছি। সে জমির পরচায়  সাঈদী সাহেবের দাদা, পিতার নামের শেষে  শিকদার লেখা আছে। সাঈদী সাহেবের ছেলে সাক্ষ্য দেয়ার সময় বলেছিলেন সাউথখালিতে তাদের  সম্পত্তি থাকতে পারে। আমরা তার জেরার পর এ কাগজ পেয়েছি।

এরপর ট্রাইব্যুনাল জানতে চান গণেশ চন্দ্র সাহা এখানে এসে সাঈদী সাহেবের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার পর তিনি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে জবানবন্দী দিয়েছেন তার কি কোন মূল্য আছে? তার  জবানবন্দীরতো এখন  কণ্ট্রাডিকশন এবং কোলাবোরেশন ছাড়া আর কোন ব্যবহার নেই। আমরা তার  যে জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছি তা ব্যবহার করতে পারব কি-না সে বিষয়ে আপনাদের কোন সাপোটির্ং বক্তব্য আছে কি-না।
জবাবে সৈয়দ হায়দার আলী বলেন,  তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রদত্ত গনেশের যে জবানবন্দী আমরা দিয়েছি তা আপনারা একটি ডকুমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সেটি সেভাবেই বিবেচনা করবেন।

আসামী পক্ষের বিরুদ্ধে    অভিযোগ : ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন  সৈয়দ হায়দার  আলীকে  উদ্দেশ্য করে বলেন, বেশ কয়েকজন সাক্ষীর জবানবন্দী বিষয়ে  আসামী পক্ষের দাবি    এগুলো সাক্ষী রেকর্ড করেননি। তদন্ত কর্মকর্তা নিজে তাদের নামে লিখে এনেছেন। আসামী পক্ষ সয়ং তদন্ত কর্মকর্তার ক্যারেকটার (চরিত্র) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এক মহিলার ভিডিও দেখিয়েছেন এখানে তারা। তিনি  আপনাদের সাক্ষী ছিলেন।  ওই মহিলা টিভিতে সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, সাঈদী সাহেব মার্ডার করেননি। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি।
সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, গনেশ এখানে এসে বলে গেছেন তদন্ত কর্মকর্তা তার কাছে গিয়েছিল। তাছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা যে তাদের  জবানবন্দী রেকর্ড করেননি এ মর্মে জেরায় কিছু বের  হয়ে আসেনি।

এরপর সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, আমার সাক্ষীর কাছে তারা (আসামীপক্ষ) গেছে। সাক্ষীদের মেনিপুলেট করেছে তারা। আমার সাক্ষীদের জবানবন্দী তাদেরকে আমরা দিয়েছি। তারপরও তারা কি করে আমার সাক্ষীর কাছে তারা যেতে পারে? কেন  কিভাবে তারা গেল?
এসময় ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক  ক্ষোভের সাথে বলেন, সাংবাদিক সাক্ষীদের (রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী)  কাছে গেছেন। এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের পর আমরা  পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলাম তাদের বিরুদ্ধে।  ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মত আইনজীবী মাফ চেয়েছেন  ওই সাংবাদিক এবং পত্রিকার পক্ষে যে, এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবেনা।  কিন্তু তারপরও তারা একটি রিভিউ আবেদনের সাথে ওই  রিপোর্ট যে বিষয়ে তিনি মাফ চাইলেন তা জমা দিলেন এনেক্সার হিসেবে। এখানে যে ভিডিও দেখানো হল তাও জমা দিলেন।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, সাঈদী সাহেবের মামলায় তদ্বিকার এখানে সাক্ষ্য দেয়ার সময় স্বীকার করেছেন তারা লোক পাঠিয়েছিল  সাক্ষীর কাছে (রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী) । তারা গেছে সাক্ষীদের কাছে। এটা এলাউড কি-না?
এরপর তিনি বলেন এ বিষয়ে জাজমেন্টে একটা নোট থাকতেই হবে তা যে পক্ষেই যাকনা কেন।
এরপর বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, গণেশ চন্দ্র সাহা এবং সুখরঞ্জন বালী বিষয়ে একটি দরখাস্ত  করা হয়েছিল এবং আমরা আদেশে বলেছিলাম আপনারা যাকে খুসী সাক্ষী হিসেবে আনতে পারেন। আমরা সমন দেবনা। তারপর তারা  গণেশকে আনল। পরেরদিন  বালীকে আনলনা। এরপরদিনও তারা বালীকে আনলনা। এরপর আমরা তাদের সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ বন্ধ করে আদেশ দিলাম। পাঁচ নভেম্বর  আর্গুমেন্টের জন্য নির্ধারন করা হল। সেদিন তারা বালীকে নিয়ে আসছিল বলে দাবি করল।  কোন  কোন পত্রিকায়, টুইটারে আইনজীবীর বরাত দিয়ে লিখল  চার নভেম্বরও নাকি তারা বালিকে নিয়ে এসেছিল। নিরাপত্তা কর্মীর কাছে ভিন্ন নাম  পরিচয় দিয়ে তারা তাকে নিয়ে এসেছিল। দে আর প্লেয়িং  ফ্রড  আপন দি কোর্ট। (তারা কোর্টের সাথে প্রতারনা/জুয়াচুরি করতেছে।

সাদা জামায় যেন কালো দাগ না পরে :
বিচার চলাকালে   দুপুরের বিরতির পূর্বে  মাওলানা সাঈদী ট্রাইব্যুনালের  প্রতি নিবেদন করে বলেন,  আমার নামাজ এবং খাওয়ার জন্য জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়া হোক। বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, না এখানেই আপনার নামাজ খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। মাওলানা সাঈদী বলেন, আমার কোন লোক তো খাবার নিয়ে আসেনি। বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটররা ব্যবস্থা করবে। কিন্তু আপনাকে এখন পাঠানো যাবেনা। যখন পাঠানোর  সময় হবে তখন যাবেন।
মাওলানা সাঈদী বলেন,  গতকাল এবং গত পরশুও আমাকে দুপুরের বিরতির পর জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে। আমি অনেক্ষন একস্থানে বসে থাকতে পারিনা। আমার সমস্যা হচ্ছে।  আমার থেরাপী নেয়া বন্ধ আছে।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, কোর্টের কিছু নিয়ম আছে। আজ আসামী পক্ষের কোন আইনজীবী নেই।  আপনাকে আজ ছুটি দেবনা।

মাওলানা সাঈদী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা তাড়াহুড়া করছেন। সেই ত্রস্ততা যেন আপনাদের মধ্যে না আসে। আমি আড়াই বছর ধরে এখানে বসে প্রসিকিউশনের মিথ্যাচার শুনছি। আমার মধ্যে কোন ত্রস্ততা, ভয়ভীতি নেই। আপনাদের ওই কালোকোর্টের নিচে একটা সাদা জামা আছে। আমার গায়েও সাদা জামা আছে। আপনাদের ওই সাদা জামায় যেন কাল দাগ না পড়ে।
এর আগে বিচারপতি নিজামুল হক অন্য এক প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের জানামতে কোন অন্যায় আদেশ আমরা দেইনি। কোন ভুল আদেশ দেইনি। আমরা বিবেক অনুযায়ী এখন পর্যন্ত আদেশ দিয়েছি এবং দেব ইনশাআল্লাহ।
সৈয়দ হায়দার আলী বলেন আপনি প্রসিকিউশনের বিরুদ্ধে যে মিথ্যাচারের অভিযোগ করলেন  তা সঠিক নয়।


আসামী পক্ষের ব্যর্থতার কোন বিনিফিট পাবেনা রাষ্ট্রপক্ষ : বিচারপতি নিজামুল হক আজ স্পষ্ট করে  রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেছেন  আসামী পক্ষের ব্যর্থতার  কোন বেনিফিট রাষ্ট্রপক্ষ পাবেনা।  অর্থাৎ   মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের যেসব অভিযোগ তা যদি আসামী পক্ষ মিথ্যা প্রমান করতে নাও পারে তার বেনিফিট রাষ্ট্রপক্ষ পাবেনা। রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষকেই প্রমান করতে হবে।
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আসামী পক্ষের দাবি সাঈদী সাহেব ঘটনার সময়  পিরোজপুর, পাড়েরহাট ছিলেননা। এটা যদি তারা প্রমান নাও করতে পারে তাতে মামলায়  তাদের কোন সমস্যা নেই।  আর  তারা যদি প্রমান করতে পারে যে, সাঈদী সাহেব পিরোজপুরে  ঘটনার সময় ছিলনা তাহলে আপনাদের  (রাষ্ট্রপক্ষের ) কেস  গেল।
তিনি বলেন,  রাষ্ট্রপক্ষের দাবি সাঈদী সাহেব  ১৯৭১ সালে ঘটনার সময়  পাড়েরহাট ছিলেন। তাই এটি রাষ্ট্রপক্ষকে  প্রমান করতে হবে যে তিনি ওখানে ছিলেন।  আসামী পক্ষ প্রমান করতে না পারলে তার কোন বেনিফিট আপনারা পাবেননা।
রাষ্ট্রপক্ষে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু,  প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, জেয়াদ আল মালুম, আব্দুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন