শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০১৩

জন্মের পরেই তার নাম রাখা হয় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী


১৮/৫/১২

মেহেদী হাসান
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যে বিচার  চলছে তাতে একটি আলোচিত বিষয় হল ‘সাঈদী’ এবং ‘শিকদার’  নামের প্রসঙ্গ।  মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ স্বাধীনতার পূর্বে তার নাম ছিল দেলোয়ার   শিকদার বা দেলোয়ার হোসেন।  স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থেকে পরবর্তীতে তিনি নামের শেষে  শিকদার শব্দ বাদ দিয়ে ‘সাঈদী’ যোগ করেছেন। এরপর থেকে তিনি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নামে পরিচিতি লাভ করেন।

এ বিষয়ে বেশ কয়েকজন  সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং চার্জশিটেও  বিষয়টি উল্লেখ  আছে।

সাঈদী  শব্দটি নামের সাথে  পূর্বে ছিল না পরবর্তীতে যোগ করা হয়েছে এ বিষয়ে অনুসন্ধানে  জানা গেছে  ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী’ এটি তার জন্মগত নাম। জন্মের পর এ নাম রাখা হয়  এবং  ডকুমেন্টারি যেসব স্থানে তার নাম লিখতে হয়েছে তার সকল স্থানে  নামের শেষে সাঈদী শব্দটি পাওয়া গেছে। তার পিতার নামের শেষেও সাঈদী শব্দ যুক্ত রয়েছে। মাওলানা সাঈদীর ১৯৫৭ সালের দাখিল সনদ, ১৯৬০ সালের  আলিম সনদ, ১৯৬৪ সালের ওয়াজ মাহফিলের লিফলেট এবং   পাসপোর্টে তার নামের   শেষে সাঈদী পাওয়া গেছে। স্বাধীনতার পূর্ব এবং পরে  বিভিন্ন সময় ওয়াজ মাহফিল নিয়ে পত্রপত্রিকায় যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তাতেও ‘মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী’ লেখা  হয়েছে।

সাঈদী প্রসঙ্গে  সাক্ষ্য এবং চার্জশিটে যা আছে
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে যে চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে তাতে  উল্লেখ আছে স্বাধীনতার পর সাঈদী আত্মগোপনে চলে যায় । দীর্ঘদিন যশোরে পালিয়ে থাকেন। এরপর জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বপরিবারে শহীদ হবার পর সাঈদী আত্মগোপন  অবস্থা হতে  বের হয় এবং ১৯৮৬ সালে ভুয়া মাওলানা হিসেবে আত্ম প্রকাশ করে।

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে  তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন সাক্ষ্য দেয়ার সময় ইটিভির আধাঘন্টাব্যাপী একটি প্রতিবেদন দেখানো হয় গত ১৮/৪/২০১২ তারিখ।   একুশের চোখ নামে ঐ সচিত্র   প্রতিবেদনে  হমায়ুন আহমেদের ভগ্নিপতি অ্যাডভোকেট আলী হায়দারের একটি সাক্ষাতকার রয়েছে। সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর সাড়ে তিন বছর মাওলানা সাঈদী পলাতক ছিলেন। তার কথা অনুযায়ী ১৯৭৫ সালের মে মাস পর্যন্ত পলাতক ছিলেন মাওলানা সাঈদী।

মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার সময় কয়েকজন সাক্ষী বলেছেন স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন তিনি পালিয়ে থাকেন। কোন কোন সাক্ষী বলেছিলেন, ১২ অথবা ১৫ বছর পূর্বে দেলোয়ার শিকদার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নাম ধারন করেছেন। কেউ বলেছিলেন  স্বাধীনতার পর দেলোয়ার শিকদার  মাওলানা সাঈদী নাম ধারন করেছেন। কেউ বা বলেছিলেন আশির দশকে দেলোয়ার হোসেন  সাঈদী নামে আত্মপ্রকাশ করেন।

মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সাক্ষী রুহুল আমিন নবীন গত বছর ৮ ডিসেম্বর সাক্ষ্য দেন। তখন তিনি বলেন ১৯৮৬ সালে পাড়েরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে সাঈদী সাহেব একটি মাহফিল বা জনসভা করার প্রস্তুতি নেন তাদের কর্মী বাহিনীর মাধ্যমে। আমরা বাঁধা দেব চিন্তা করে স্থানীয় জামায়াত নেতা


মোকাররম হোসেন কবিরসহ  আরো তিন জন জামায়াত  কর্মী আমার বাসায় আসেন  এবং আমাকে বলেন যে, সাঈদী সাহেব কাল পাড়েরহাট  উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাহফিলে বক্তব্য দেবেন। আমি তাদের বলি মাহফিলে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে মাহফিল করতে দেয়া হবেনা।

পূর্বের সাক্ষীরা   বলেছেন,  দেলোয়ার শিকদার নামে তারা যে কুখ্যাত রাজাকারকে চেনেন তিনি জীবিত আছেন এবং বর্তমানে  তিনিই দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নামে পরিচিতি। তার পিতার নাম ইউসুফ সাঈদী। এজন্য তারা  আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার সময় ‘দেলোয়ার হোসেন  বর্তমানে সাঈদী’ এভাবে উচ্চারন করেছেন নামটি।
মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদারও দেলাওয়ার হোসাইন বর্তমানে সাঈদী এভাবে উচ্চারন করেছেন তার নাম।

মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা আদালতে  জেরার সময় যে তথ্য উপস্থান করতে চেয়েছেন তা হল  পিরোজপুরে দেলোয়ার শিকদার নামে একজন কুখ্যাত রাজাকার ছিল এ ঘটনা সত্য। তার পিতার নাম রসুল শিকদার। ঐ দেলোয়ার শিকদার স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধা  এবং সাধারন মানুষের গণরোষের শিকার হয়ে মারা গেছে। যে মুক্তিযোদ্ধা তাকে হত্যা করেছে তার নামও তারা আদালতে বলেছেন।
অধিকাংশ সাক্ষীকে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা  দেলোয়ার শিকদার, পিতা রসুল শিকদার এবং তাদের বাড়ির ঠিকান সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে প্রশ্ন   করেন। সাক্ষীদের প্রশ্ন করা হয়  রাজাকার দেলোয়ার শিকদার মারা গেছে এ তথ্য তাদের জানা আছে কি-না। কিন্তু এ জাতীয় প্রশ্নের জবাবে  সাক্ষীরা  জানিয়েছেন এই নামে  পিরোজপুরে  আলাদা কোন রাজাকার ছিলনা। এই নামের কোন রাজাকারকে তারা চেনেননা। বর্তমানে সাঈদীই পূর্বে দেলোয়ার শিকদার নামে পরিচিত    ছিল। তাদের বর্নিত দেলোয়ার শিকদার বা দেলোয়ার হোসেনই হলেন বর্তমানে সাঈদী।

মিজানুর রহমান তালুকদার নামে একজন সাক্ষীকে এ  বিষয় নিয়ে  জেরার সময়  প্রশ্ন করা হলে তিনি আদালতে উত্তেজিত  হয়ে বলেছিলেন, সাঈদীর পিতার নামের শেষেও শিকদার আছে । এটাও কি তারা মিথ্যা প্রমান করতে চায়?

মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে  অনেক সাক্ষী  তাকে অতীতে শিকদার থাকা মর্মে অভিযোগ করলেও একজন সাক্ষী ভিন্ন তথ্য দিয়েছিলেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি ৮১ বছর বয়স্ক মধুসূদন ঘরামী মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার পর জেরার সময় স্বীকারে করেছিলেন দেলোয়ার শিকদার, পিতা রসুল শিকদার নামে পিরোজপুরে  কুখ্যাত একজন রাজাকার ছিল।  মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা রাজাকার দেলোয়ার শিকদারের  পিতৃ পরিচয় (রসুল শিকদার ) সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে প্রশ্ন  করলে  প্রবীণ সাক্ষী মধুসূদন ঘরামী বলেন,  এই নামে একজন  রাজাকার ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার অপকর্মের কারনে মুক্তিযোদ্ধা  এবং এলাকাবাসীর গণরোষের শিকার হয়ে পিরোজপুরে নিহত হয়ে থাকতে পারেন তিনি।

ডকুমেন্ট কি বলে?
দাখিল সনদ: মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১৯৫৭ সালে দাখিল পাশ করেন পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীতে অবস্থিত ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত আলীয়া মাদ্রাসা (শর্ষিণ  নামে পরিচিত) )  থেকে।  ১৯৫৭ সালের দাখিল সনদে তার নাম লেখা রয়েছে “দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী, পিতা মাওলানা ইউসুফ সাঈদী”।

১৯৬৪ সালের ওয়াজ মাহফিলের লিফলেট: ১৯৬৪ সালে (বাংলা ১৩৬৯, ১৪ ফালগুন) যশোরের কেশবপুর থানার ফতেহপুর গ্রামে ফতেহপুর মসজিদ প্রাঙ্গনে একটি আজিমুশ্ শান জলসার আয়োজন করা হয়। সে জলসা উপলক্ষে তখন লিফলেট প্রচার করা হয় এলাকায়। যশোর  আল আমিন আর্ট প্রেস কর্তৃক  ছাপাকৃত সেই লিফলেটের একটি কপি  পাওয়া গেছে।  লিফলেটে  ওয়াজ মাহফিলে দুজন বক্তার পরিচিতি তুলে ধরা হয়।  একজন হলেন মাওলানা মো: নুরুল ইসলাম ফারুকী এবং অপরজন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। লিফলেটে  “মাওলানা মো: দেলওয়ার হোসেন সাইদী” এভাবে নামটি  লেখা আছে। অর্থাৎ সেখানেও নামের সাথে সাঈদী শব্দটি ছিল।
ফতেহপুর মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে  প্রচার করা হয় এ লিফলেট।

আরামানিটোলায় ১৯৭৩ সালের ওয়াজ মাহফিল:
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে  তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন ১৮ এপ্রিল  সাক্ষ্য দেয়ার সময় ইটিভির আধাঘন্টাব্যাপী একটি প্রতিবেদন দেখানো হয় ট্রাইব্যুনালে।   একুশের চোখ নামে ঐ সচিত্র   প্রতিবেদনে বলা হয়  মাওলানা সাঈদীর ১৯৭৩ সালে  ঢাকার আরমানিটোলায় প্রথম ওয়াজ মাহফিল করেন।

মতিঝিল কলোনী মাঠে ওয়াজ মাহফিল: মতিঝিল পি এন্ড টি (বর্তমানে টিএন্ডটি) কলোনী মসজিদ মাঠে ১৯৭৪ সালের ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী একটি তাফসির মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ মাহফিলে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী প্রতিদিন তাফসির পেশ করেছেন। ১৯৭৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় এ তাফসির মাহফিলের ওপর একটি খবর প্রকাশিত হয়। সে খবরে মাওলানার নাম দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী লেখা হয়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সিরাত সম্মেলনে সাঈদী: ১৯৭৬ সালের মার্চ মাসে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনদিনব্যাপী একটি সিরাত মাহফিলের  আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে দৈনিক ইত্তেফাকে ৬ মার্চ একটি খবর প্রচারিত হয়। খবরে বলা হয় “বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ এ বি  মাহমুদ হোসেন গতকাল (শুক্রবার ) সিরাতুন্নবী মহা  সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষনে বিরাট মুসল্লী সমাবেশে ............।  উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আলীয় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. এ কে আইউব আলী। আলোচনা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আলী হোসাইন  আল গাদামসী, সম্মেলন অভ্যর্থনা কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার এস এ সিদ্দিকী, ঢাকা শহর সিরাতুন্নবী কমিটির সাধারন সম্পাদক আলহাজ আবদুল ওয়াহেদ, মাওলানা লুৎফর রহমান ও মাওলানা আব্দুল্লাহ ইবনে ফজল।
.......অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি সিরাত সম্মেলনে মাওলানা সাঈদী:  
১৯৭৬ সালে মার্চ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) একটি সীরাত  সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সে বিষয়ে ১৩ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকে একটি রিপোর্ট ছাপা হয়। রিপোর্টে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামে সাব হেড দিয়ে  তার বক্তব্য লেখা হয়। ঐ সম্মেলনে আরো যারা বক্তব্য রাখেন তারা হলেন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. এম এন হুদা, সভাপতিত্ব করেন ব্যারিস্টার এস এ সিদ্দিকী, আলোচনা করেন বিচারপতি এ কে এম বাকের, ব্যারিস্টার মোস্তফা কামাল (পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি), প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ, ড. হামিদুদ্দিন।

১৯৭৩ সালে আরমানিটোলায়, ১৯৭৪ সালে মতিঝিল কলোনী মাঠ, ১৯৭৫ সালে পিরোজপুরে নিজ বাড়ির ঠিকানায় পাসপোর্ট গ্রহণ, ১৯৭৬ সালে টিএসসি এবং সোহরাওয়াদী উদ্যানসহ বিভিন্ন স্থানে  তাফসির এবং সিরাত সম্মেলনে  মাওলানা সাঈদী কর্তৃক তাফসির পেশ এবং বক্তব্য প্রদানের ডকুমেন্ট


অনুযায়ী স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন তার পলিয়ে থাকার  অভিযোগটি প্রশ্নবোধক হয়ে দাড়াল । তেমনি ১৯৫৭ সালের দাখিল সনদ থেকে শুরু করে এসব   তাফসির  অনুষ্ঠান উপলক্ষে তার নামের শেষে সাঈদী লেখার ডকুমেন্ট থেকে  প্রশ্নবোধক হয়ে দাড়াল স্বাধীনতার পর তার সাঈদী নামে আত্ম প্রকাশের  অভিযোগটিও।

পাসপোর্টের নাম: মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ১৯৭৫  সালের পাসপোর্টের একটি কপি পাওয়া গেছে। সেখানে দেখা যায়  ইংরেজিতে লেখা রয়েছে মাওলানা ডিএইচ সাঈদী, পিতা মাওলানা ইউসুফ সাঈদী।

দেলাওয়ার নামকরন: পারিবারিক সূত্র জানায় মাওলানা সাঈদীর জন্মলাভের পরপরই ফুরফুরা শরীফের পীর মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক এ অঞ্চল সফরে আসেন। তখন মাওলানা ইউসুফ সাঈদীর আমন্ত্রনে তিনি তাদের বাড়িতে যান এবং সদ্যজন্ম নেয়া পুত্র সন্তানের নাম রাখেন ‘দেলাওয়ার’। এটি ফার্সি শব্দ যার অর্থ যুদ্ধে বিজয়ী বীর। সুবে বাংলায় সাধারনত যোদ্ধাদের উপাধি দেয়া হত দেলাওয়ারে জং। পারিবারিক সূত্র জানায় ফুরফুরা শরীফের পীরের দেয়া  নামের সাথে তখনই বংশ পরমপরায় তার নামের সাথে ‘সাঈদী’ শব্দ যুক্ত হয়।  যার প্রমান সমস্ত কাগজপত্রে আছে। পারিবারিক সূত্র আরো জানায় মাওলানা সাঈদীর পিতার নামের সাথেই শুধু সাঈদী যুক্ত আছে তা নয় বরং তার দাদার নামের সাথেও সাঈদী শব্দ  যুক্ত ছিল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন