শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০১৩

তাজুল ইসলাম ট্রাব্যুনালে নিষিদ্ধ



৬/১১/২০১২
আসামী পক্ষের অন্যতম প্রধান আইনজীবী তাজুল ইসলামকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া তিনিসহ আসামী পক্ষের অপর  গুরুত্পূর্ণ আইনজীবী মিজানুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমীনের বিরুদ্ধে  আদালত অবমাননা, বিচারকাজে বাঁধা সৃষ্টি এবং ট্রাইব্যুনালের সুনাম নস্যাতের অভিযোগে কারণ দর্শানো নোটিশ  জারি করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল আইনের ১১(৪) ধারার অধীনে কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবেনা সে মর্মে আগামী ২২ নভেম্বর  জবাব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ওই তারিখ পর্যন্ত তাজুল ইসলামের ওপর  ট্রাইব্যুনালে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

গত সোমবার মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষের সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীকে ট্রাব্যুনালের গেট থেকে  ডিবি পুলিশ কর্তৃক অপহরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনালে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতির জের ধরে আসামীপক্ষের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয়া হল। এছাড়া মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে  মাসুদ সাঈদীসহ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত আসামী পক্ষের অন্যান্য সকল আইনজীবীদেরও সতর্ক করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন  ট্রাইব্যুনালের সুনাম নস্যাতের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং  বিচারপতি আনোয়ারুল হক  সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল এ  নোটিশ জারির আদেশ দেন।

সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুম আসামী পক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম, মিজানুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন করেন। তিনি  তার আবেদনে বলেন, আজ  সারা দেশে জামায়াতের যে তান্ডব হয়েছে তারই অংশ ছিল সকালে ট্রাইব্যুনালের গেটের ঘটনা (সাক্ষী অপহরন )  ।  জেয়াদ আল মালুম  বলেন, উক্ত ঘটনার পর ট্রাইব্যুনালে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা যে ভাষায় কথা বলেছেন, যে আচরন করেছেন তা স্বাভাবিক বিচার কাজ পরিচালনার জন্য বাঁধাস্বরূপ। স্বাভাবিক বিচার কার্যক্রম সচল রাখা সম্ভব নয়। বিচার কাজ বাঁধাগ্রস্ত করার জন্য তারা সারা দেশে তান্ডব চালিয়েছে। তারা ট্রাইব্যুনালকে আক্রমন করেছে ট্রাইব্যুনালের কাজে বাঁধা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।
তাই এ অভিযোগে তাজুল ইসলাম এবং মিজানুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া  হোক।
জেয়াদ আল মালুম জামায়াতের কর্মসূচী বিষয়ে প্রকাশিত দশটি  পত্রিকার খবর জমা দেন  ট্রাইব্যুনালে। এরপর তিনি বলেন, এছাড়া তাজুল ইসলাম এবং মিজানুল ইসলাম গতকাল ট্রাইব্যুনালের বাইরে ট্রাইব্যুনালকে আক্রমন করে যে বক্তব্য দিয়েছেন মিডিয়ার সামনে তা সকল টিভি ক্যামেরায় ধারন করা আছে। সেসব ভিডিও ফুটেজ জমা দেয়ার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হোক। তাহলে তারা কি বলেছে তা আপনারা দেখতে পাবেন।

আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এখানে রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছেন। জামায়াত বাইরে কি করেছে বা না করেছে তার সাথে এখানকার  পরিস্থিতির কোন সম্পর্ক নেই। জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচীর সাথে আমাদের আইনী লড়াইয়ের কোন সম্পর্ক নেই। তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে হেয় করার মানসিকতা নিয়ে কিছু বলেননি বা করেননি।

চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন  ট্রাইব্যুনালকে দায়ী করে তাজুল ইসলাম বক্তব্য দিয়েছেন মর্মে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা যদি সত্য হয় তাহলে  তা আইনের আওতয়া আসে কি-না। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে একটি অভিযোগের (অসদাচরনের )  নোটিশ জারি করা হয়েছে এবং আজ (মঙ্গলবার) তার জবাব দেয়ার কথা রয়েছে। এ অবস্থায় যদি তিনি আবারো তার চেয়ে বড় ঘটনা ঘটান তাহলে লিগ্যাল পজিশন কি দাড়ায়? আমরা চিফ প্রসিকিউটর জনাব গোলাম আরিফ টিপুকে বলেছিলাম আপনি  বিষয়টি (অপহরন) সম্পর্কে জেনে আমাদের কাছে রিপোর্ট করেন। তাকে আমরা সাথে সাথে কোর্ট থেকে বের হয়ে চলে যেতে বললাম খবর নেয়ার জন্য। তিনি সাড়ে বারটার দিকে এসে  পুলিশের  বরাত দিয়ে বলেছেন গতকাল সকালে গেটের সামনে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। তার জবাবে তাকে বলা হল মিথ্যুক। এটা কি  আইনের আতওয়া পড়েনা?
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সেটা আপনারা বিবেচনা করবেন।

এরপর বিচারপতি নিজামুল হক বলেন,  দুইটায় আদেশ দেয়া হবে  এ বিষয়ে।
দুইটায় কোর্ট শুরু হলে ট্রাইব্যুনাল আদেশ দেন। আদেশে ট্রাইব্যুনাল অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে বলেন, আমরা পত্রিকার রিপোর্ট দেখেছি। সেই সাথে এখানে ট্রাইব্যুনাল কক্ষে যা হয়েছে তাও সিসি ক্যামেরায় ধারনকৃত ভিডিও সিডির মাধ্যমে দেখেছি। আমরা দেখেছি গতকাল এখানে অনেক কালকোর্টধারী বারবার দাড়িয়েছেন, কথা বলেছেন। তাজুল ইসলাম বারবার চিৎকার করছিলেন। প্রতি মিনিট অন্তর অন্তর তিনি দাড়িয়ে যাচ্ছিলেন। ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ চলা অবস্থায় অনেক আইনজীবী এখানে প্রবেশ করেন। তা আমরা লক্ষ্য করেছি। আমাদের নির্দেশের প্রেক্ষিতে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু রমনা পুলিশসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সাড়ে বারটায় কোর্টে আসেন। তিনি পুলিশের বরাত দিয়ে বলেন এখানে  এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। সাথে সাথে তাজুল ইসলাম চিৎকার শুরু করেন। তিনি  এ বিষয়ে সাথে সাথে  ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন ট্রাইব্যুনালের ওপর। আমরা বলেছিলাম  বিরতির সময় আমরাও বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে দুইটায় এ বিষয়টি দেখব। কিন্তু তিনি  চিৎকার অব্যাহত রাখেন। অন্যান্য সব  কালকোর্টধারীরা দাড়িয়ে যান। তাজুল  ইসলাম এবং মিজানুল ইসলাম চিৎকার অব্যাহত রাখেন। ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমীন দাড়িয়ে যান। মনজুর আহমেদ আনসারীও দাড়ান। তবে তার কণ্ঠস্বর আমরা শুনিনি। তাজুল ইসলাম এবং মিজানুল ইসলাম  চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুকে বলেছেন “মিথ্যুক”।  এসময় রাষ্ট্রপক্ষের একজন আইনজীবী জানতে চান কেন তারা এভাবে মিথ্যুক বলছেন। তখন তারা আবারো তাকে মিথ্যুক বলেন। বাইরে গিয়ে প্রেসের  সামনে এ ঘটনার সাথে ট্রাইব্যুনালকে অভিযুক্ত করে বক্তব্য দিয়েছেন তাজুল ইসলাম।  তিনি সরাসরি ট্রাইব্যুনালকে অভিযুক্ত করেছেন যা অতিশয় অবমাননাকর। তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। সে অবস্থায় তিনি আবার গতকাল ট্রাইব্যুনালে তার চেয়েও বড় ঘটনা ঘটিয়েছেন।  যা আমরা উপেক্ষা করতে পারিনা। দেশবাসীর সামনে তারা ট্রাইব্যুনালকে হেয় করেছে। ট্রাইব্যনালের সুনাম নস্যাতের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। 

ট্রাইব্যুনালের সুনাম ধ্বংস করার জন্য কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনের ১১ (৪) ধারায় ব্যবস্থা করা হবেনা সে মর্মে ২২  নভেম্বররের মধ্যে জবাব দিতে হবে। (আইনের ১১ ধারায় বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজে বাঁধা সৃষ্টি করা, আদেশ অমান্য করা, ঘৃনা বিদ্বেষ ছড়ানো, বা এজাতীয় কোন কাজ যা ট্রাইব্যুনালের প্রতি অবমাননাকর সেজন্য কাজের জন্য ট্রাইব্যুনাল সংশিষ্ট ব্যক্তির  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে)

ট্রাইব্যুনাল তার আদেশে বলেন, এখানে অন্য যেসব আইনজীবী চিৎকার চেচামেচি করেছে তাদের সবার নাম আমরা জানিনা কিন্তু সবার মুখ আমাদের পরিচিত। তাদের সবাইকে আমরা চিনি। তাদের সবাইকে সতর্ক করা  হল ভবিষ্যতের জন্য। তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরো কিছু ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তাকে আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ থেকে বিরত থাকতে  নির্দেশ দেয়া হল। ২২ নভেম্বর জবাব দেয়ার পর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের  বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

ট্রাইব্যুনাল বলেন, মাওলানা সাঈদী সাহেবের ছেলে মাসুদ সাঈদীকে দেখা গেছে তিনি বারবার সামনে আসছিলেন এবং পেছনে যাচ্ছিলেন। তিনি কোন আইনজীবী নন।  তার এ ধরনের  আচরন গ্রহণযোগ্য নয়।  তাকেও সতর্ক করা হল। অন্য সবাইকে সাধারনভাবে সতর্ক করা হল।
এছাড়া অ্যাডভোকেট শিশির মনির প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল বলেন, তিনি হঠাৎ করে একটি ছবি নিয়ে প্রবেশ করলেন ট্রাইব্যুনালে । আসামী পক্ষ সেটি আমাদের কাছে দিলেন সাথে সাথে। আমরাও  তখন পরিস্থিতির কারনে সেটি বুঝতে পারিনি । কিন্তু পরে আমরা দেখলাম সে ছবিতে অপহরন সংক্রান্ত কিছু নেই।  শুধু একটি পুলিশের গাড়ি এবং একজন লোক বাইরে দাড়ানো দেখা যাচ্ছে। এটি ট্রাইব্যুনালকে বিভ্রান্ত করার শামিল। ট্রাইব্যুনালকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় যায়। তবে তরুন আইনজীবী হিসেবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলনা।

অসদাচরনের অভিযোগের জবাবদানের সময় পেলেন তাজুল ইসলাম : তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অসদাচরনের অভিযোগে জারি করা নোটিশের জবাব দেয়ার  জন্য  আজ  তারিখ  ধার্য্য করা ছিল। এ বিষয়ে তার পক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আট সপ্তাহ সময় প্রার্থনা করেন। ট্রাইব্যুনাল ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন। এসময়  বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি জয়নুল আবেদনী, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকম অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম প্রমুখ  আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন তাজুল ইসলামের পক্ষে।

সুখরঞ্জন বালী ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী। রাষ্ট্রপক্ষ তাকে হাজির করতে পারেনি। গত সোমবার তিনি  এসেছিলেন মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য। ট্রাইব্যুনালের প্রবেশের সময় তাকে সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশ অপহরন করে নিয়ে যায়। এ  বিষয়টি ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করে   প্রতিকার প্রার্থনা করেন সকালে।  সকালে ট্রাইব্যুনাল চিফ প্রসিকিউটরকে নির্দেশ দেন এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানানোর জন্য।  এর মাঝে অন্য কিছু আবেদনের শুনানী শুরু হয় এবং চিফ প্রসিকিউটর খবর নিয়ে আসতে আসতে সাড়ে বারটা বেজে যায়। চিফ প্রসিকিউটরের জবাবের পর ট্রাইব্যুনাল বলেন দুইটার পর এ বিষয়ে তারা দেখবেন। এ সময় আসামী পক্ষ  চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্যের জবাব দিতে চাইলে এবং  এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক  পদক্ষেপ  গ্রহনের অনুরোধ করলে ট্রাইব্যুনাল তা গ্রহণ করেননি। ট্রাইব্যুনাল বিচারপতিগন এজলাশ ছেড়ে চলে যান বিরতিতে। তখন মিজানুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম এবং আসামী পক্ষের অন্যান্য আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালে উচ্চস্বরে ক্ষোভ প্রকাশ করে কথা বলতে থাকেন। চিফ প্রসিকিউটরকে মিথ্যুক বলেন। এরই প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে গতকাল  পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল।
এদিকে সোমবার ট্রাইব্যুনালে যে  কড়া নিরাপত্তা  ব্যবস্থা  ছিল গতকাল সেরকম কড়া পরিস্থিতি ছিলনা। গতকালের  নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল  আগের অন্যান্য দিনের মত স্বাভাবিক।


এদিকে আজ  মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন অব্যাহত রাখেন। আগামী বৃহষ্পতিবার পর্যন্ত তাদের সময় লাগবে বলে ট্রাইব্যুনালে জানিয়েছেন  প্রসিকিউটর সৈয়দ  হায়দার আলী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন