শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৩

বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ-জন কামেহ

বিশিষ্ট বৃটিশ  আইন বিশেষজ্ঞ জন কামেহ বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গঠন এবং কিছু সংখ্যক বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদকে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য অভিযুক্ত করে তাদের বিচারের নামে বড় ধরনের প্রহসনের আয়োজন করেছে। এ বিচার সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত।  ট্রাইব্যুনালে যাদের বিচারক ও প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের অনেকেই এর আগে গণ আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে  রায় প্রদানের সাথে জড়িত ছিলেন।

গত ১৯ মে  ২০১১ ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত আমেরিকান সোসাইটি অব ইন্টারন্যাশনাল ল’ সদর দফতরে বাংলাদেশে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল  বিষয়ে আয়োজিত  আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। তিনি  বলেন, সাধারণ ক্ষমার ঘোষনা উপেক্ষা করে ৪০ বছর পর তাদের বিচারের সম্মুখীন করা হচ্ছে শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য। বাংলাদেশ সরকার ট্রাইব্যুনালকে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত করেছে। তিনি বলেন ১০ মাস ধরে ৫ জন নেতাকে আটক করে রাখা হয়েছে এবং তাদের আটক করা হয়েছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন কারনে। বর্তমানে যে কারণ দেখিয়ে  তাদের আটক রাখা হয়েছে সেই কারনের সাথে গ্রেফতারের কোন সম্পর্ক ছিলনা। ১০ মাস পরও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । তদন্ত কর্মকর্তারা জেরার মাঝখানে এসে সাংবাদিকদের ব্রিফিং দিচ্ছে অপরাধীরা দোষ স্বীকার করেছে বলে। কিন্তু তার কোন রেকর্ড নেই।

জন কামেহ প্রশ্ন করে বলেন, কিভাবে তদন্ত কর্মকর্তারা মাঝখানে সাংবাদিকদের ব্রিফিং দিতে পারেণ।  বিচার কাজে কি এর কোন প্রভাব পড়বেনা? এমন পরিস্থিতিতে অন্য দেশে বিচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে  এবং  এ ধরনের আচরনের জন্য আদালত অবমাননার  অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনাল কি স্বাধীন। বিচারক, প্রসিকিউটর, তদন্ত কর্মকর্তা সবাই সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত। কিন্তু এসব বিষয় নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ রাখা হয়নি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন