বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৩

এবার রাজাকারের একাত্তরনামা সিরিজ রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালে

মেহেদী হাসান, ১১/৪/২০১২
তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন আজ  ট্রাইব্যুনালে ২০০৭ সালে দৈনিক ভোরের কাগজে প্রকাশিত  রাজাকারের একাত্তর নামা সিরিজ রিপোর্টের ৩৭টি প্রতিবেদন প্রদর্শন করেন। এছাড়া ১৯৭০, ১৯৭১ এবং ১৯৭২ সালে দৈনিক আজাদ, পূর্বদেশ,  ইত্তেফাক, দৈনিক পাকিস্তান, সংগ্রম পত্রিকায় প্রকাশিত শতাধিক রিপোর্ট  প্রদর্শন করেন যা তিনি পিআইবি, বাংলা একাডেমী হতে  জব্দ করেন বলে জানান।

এছাড়া জাতীয় সংসদে নির্বাচনের জন্য মাওলানা সাঈদীর প্রার্থী  মনোয়নপত্র এবং মনোয়নপত্রে প্রদত্ত তথ্যাবলী, আয়করনামার কাগজপত্র আদালতে  প্রদর্শন করে  তদন্ত কর্মকর্তা বলেন আয়কর কাগজপত্রে তার নাম মওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী লেখা আছে। নির্বাচনী কাগজে পেশার ক্ষেত্রে লেখক উল্লেখ আছে। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে আলিম পাশ লেখা হয়েছে বলে আদালতকে জানান তিনি।
এসব রিপোর্ট  প্রদর্শনের সময় মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বেশ কয়েকবার অভিযোগ করে বলেন, এসব কপি তাদের পূর্বে দেয়া হয়নি। তখন  ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক   প্রদর্শনী বন্ধ রেখে তা আসামী পক্ষের আইনজীবীদের প্রথমে সরবরাহের নির্দেশ দেন।

আজ  মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে শাহরিয়ার কবিরের  লেখা নাটকের  স্ক্রিপ্টের অংশ বিশেষ প্রদর্শন করতে চাইলে তার প্রাসঙ্গিকতা কি জানতে চান বিচারপতি নিজামুল হক। তিনি বলেন রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালা খুব ভাল নাটক। নাটকে কাবুলিওয়ালাদের সম্পর্কে কিছু ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু তাতে কি আফগানিস্তানের কাবুলিওয়ালাদের বাস্তব কোন চিত্র ধরা পড়ে? তেমনি এই নাটকের স্ক্রিপ্টের মাধ্যমে কি ১৯৭১ সালের কোন ঘটনার বাস্তব অবস্থা বোঝা যাবে। যদি না যায় তাহলে এটি কেন আনলেন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন