বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৩

মাওলানা সাঈদীর বিচার পুনরায় শুরুর আবদেন খারিজ


৯/৯/২০১২, রোববার
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার পুনরায় শুরুর আবদেন খারিজ করে দেয়া হয়েছে। আজ ট্রাইব্যুনাল-১ আবেদনটি শুনানী শেষে খারিজ করে দেন।

ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শুরু হবার অনেক পরে  নতুন  দুজন সদস্য বিচারপতি  নিয়োগ দেয়ার প্রেক্ষাপটে এ আবেদন করা হয়।

গত ২৮ মার্চ  বিচারক এ কে এম জহির আহমেদ ট্রাইব্যুনাল  থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগে গত ২৫ মার্চ দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল শুরুর আগে অপর সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরকে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান করা হয়। এ দুজন সদস্য প্রথম ট্রাইব্যুনালের শুরু থেকে ছিলেন।  বিচারক এ কে এম জহির আহমেদ পদত্যাগ করার পর তার স্থলে  নতুন সদস বিচারপতি  জাহাঙ্গীর হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগে বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির চলে যাবার  পর  তার স্থলে বিচারপতি আনোয়ারুল হককে নিয়োগ দেয়া হয়।

মাওলানা সাঈদীর বিচার পুনররায় শুরুর আবেদনের পক্ষে শুনানীতে অংশগ্রহণ করেন ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন। তিনি বলেন, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনকে এমন সময় নিয়োগ দেয়া হল যখন মাওলানা সাঈদীর পক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহন শুরু হয়েছে। তিনি রাষ্ট্রপক্ষের কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনে অংশগ্রহণ করতে পারেনন্ ি। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্য  গ্রহনের শেষ পর্যায়ে নিয়োগ পান বিচারপতি আনোয়ারুল হক।   ফলে তারা এ মামলার সম্পর্কে পুরোপুরি অবহিত নন।  তাদের অনুপস্থিতিতে চলা  লম্বা বিচারপ্রক্রিয়া পড়ে সম্পূর্ণরুপে অবহিত হওয়াও দুরুহ কাজ। তাই  ন্যায় বিচারের স্বার্থে মাওলানা সাঈদীর বিচার পুনরায় শুরু হওয়া দরকার।

ট্রাইব্যুনাল শুনানী শেষে আবেদনটি খারিজ করে দেন।

মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী হাজির করা হয়নি
আজ মাওলানা সাঈদীর পক্ষে তৃতীয় সাক্ষী হাজিরে কথা ছিল আসামী পক্ষের। সকালে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম  শুরু হলে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে তাজুল ইসলাম জানান,  আজকের জন্য নির্ধারিত সাক্ষী  নুরুল হক হাওলাদার অসুস্থ। এর পরের সাক্ষী আব্দুল হক হাওলাদারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। তাজুল ইসলাম একদিনের জন্য মুলতবি প্রার্থনা করেন। বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, এরপর থেকে আসামী পক্ষ এবং রাষ্ট্রপক্ষ কোন পক্ষের সাক্ষী হাজির করতে না পারার কারনে বিচার মুলতবি করা হবেনা।

আজ   কোন সাক্ষী না থাকায় বিচারপতি নিজামুল হক  বিভিন্ন অনিস্পন্ন আবেদনের শুনানীর জন্য  বলেন আইনজীবীদের। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে  তাদের আবেদনের শুনানীর জন্য বলা হলে তিনি বলেন, আজ  সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কোর্টে নেই। আমরা চাই তার উপস্থিতিতে শুনানী হোক। তখন বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আপনারা কি আজ গ্রুপ করে এসেছেন যে, আমাদের  আজ কোন কাজ করতে দেবেনন? যদি কাজ করতে না দেন তাহলে শনিবার প্রয়োজনে কোর্ট বসাব তা মনে রাখবেন। আমাদের সে ক্ষমতা আছে।

এরপর  বিচারপতি নিজামুল হক মাওলানা সাঈদীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিনকে বলেন, আপনাদের দায়ের করা আবেদন শুনানী করেন (হুমায়ুন আহমেদের পিতাকে হত্যা বিষয়ে চ্যানেল আইয়ে শাহরিয়ার কবিরের একটি বক্তব্য প্রচারকে কেন্দ্র করে শাহরিয়ার কবির এবং চ্যানেল আইয়ের সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মাওলানা সাঈদীর পক্ষ থেকে।) তানভির আল আমিন বলেন, এ আবেনটি  আমাদের অপর আইনজীবী মিজানুল ইসলামের শুনানী করার কথা। তিনি আজ দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে রয়েছেন। তাই আজ এটি  শুনানী করতে চাচ্ছিনা আমরা। অন্য কোন দিন তারিখ নির্ধারন করা হোক।

বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য  গ্রহণ বন্ধ রেখে আমরা  আবেদন শুনবনা। সাক্ষ্য গ্রহন  থাকবেনা এমন  কোন একদিন বলবেন সেদিন শুনানী হবে।
এরপর  সোমবার পর্যন্ত আদালত মুলতবি করা হয়।
ট্রাইব্যুনালে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী   ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর  সৈয়দ হায়দার আলী এবং জেয়াদ আল মালুম উপস্থিত ছিলেন অন্যান্যের মধ্যে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন