বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৩

ছবি রায় ভানু সাহার বোন?

মেহেদী হাসান, ৭.৮.২০১২, মঙ্গলবার
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সাক্ষী রুহুল আমিন নবিন গত ৮ ডিসেম্বর জবানবন্দী প্রদানের সময় বলেছিলেন শান্তি কমিটি ও রাজাকার সদস্যরা পাকিস্তান  আর্মিদের নিয়ে পারেরহাট বাজারের ছবি রায় ও   ভানু সাহাকে  ধর্ষণ করে।

আজ তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনকে জেরার সময় মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম  ছবি রায় বিষয়ে প্রশ্ন করেন। অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম প্রশ্ন করেন “ছবি রায়  নামে কাউকে কি তদন্তের সময় আপনি খুঁজে পেয়েছিলেন?”
জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, “ছবি রায় বিপদ  বিপদ সাহার মেয়ে। বর্তমানে সে ভারতে আছে।”
এরপর মিজানুল ইসলাম তাকে প্রশ্ন করেন, “ছবি রায় কি ভানু সাহার বড় না ছোট?”
জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন  এ বিষয়ে তার নোটে তথ্য নেই।
মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম  দৈনিক নয়া দিগন্তের সাংবাদিক হিসেবে আমাকে   জানান, বাস্তবে ছবি রায়  বিপদ সাহার মেয়ে নয়  এবং  ভানু সাহারও বোন নয়। ছবি রায় নামে তারা তদন্তের সময় কোন ভুক্তভোগীর  অস্তিত্ব খুঁজে পাননি। ছবি রায় পিবদ সাহার মেয়ে  বলে তদন্ত কর্মকর্তা যে উত্তর দিয়েছেন তা একদম সঠিক নয়। সম্পূর্ণ ফলস কথা। ছবি রায় যে ভানু সাহার বোন নয়  তা তাদের নাম থেকেও স্পষ্ট। ভানুর নামের শেষে যুক্ত আছে ‘সাহা’। আর ছবির নামের শেষে যুক্ত আছে ‘রায়’।  মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী জানান, তাদের প্রাপ্ত তথ্য মতে  ভানু সাহারা পাঁচ ভাই এবং পাঁচ বোন।    ভানু সাহার পাঁচ ভাই হলেন, ননী সাহা, দুলাল সাহা, দিলীপ সাহা, রাম সাহা এবং নিতাই সাহা। পাঁচ বোনদের  নাম হল আঙ্গুরা সাহা, গৌরী সাহা, ভানু সাহা, গীতা সাহা এবং বেলা সাহা।  ছবি রায় নামে তারা ভানু সাহার কোন বোনের অস্তিত্ব পাননি।  অথচ তদন্ত কর্মকর্তা বললেন  ছবি রায় বিপদ সাহার মেয়ে।

(মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে বর্তমানে যে বিচার চলছে তাতে ভানু সাহা একটি আলোচিত  নাম।  সে পারেরহাট বাজারে বিপদ সাহার মেয়ে। ১৯৭১ সালে সে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং রাজাকার কর্তৃক নিয়মিত ধর্ষনের স্বীকার হয় বলে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিয়েছেন।  ভানু সাহা বর্তমানে ভারতে রয়েছেন।)

আজ তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরায় অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলামকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমদ আনসারী,  ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন, আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

জেরা  (সংক্ষিপ্ত) :
প্রশ্ন : মাসিমপুর সবচেয়ে পুরনো বাস মালিক কে তার খোঁজ নিয়েছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে পিরোজপুরে কোন বাস স্ট্যান্ড ছিলনা।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে পিরোজপুরে বাস ট্রাক পরিবহনের জন্য কোন ফেরি সার্ভিস ছিল কি-না সে বিষয়ে জেলা প্রশাসন বা বিআইডব্লিউটিএ’র কাছে খোঁজ নিয়েছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আমি বলছি এরশাদের আমলে এবং সাঈদী সাহেবের দ্বিতীয়বার এমপি থাকা অবস্থায় পিরোজপুরে বাস স্ট্যান্ড স্থাপন করা হয়।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : এসডিপিও ফয়জুর রহমানকে ডেকে নিয়ে যাবার পর সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে কোথায় বৈঠক হয়?
উত্তর : তাকে সরকারি কাজে যোগদানের জন্য বলা হলে তিনি অফিসে আসেন। সেখান থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায় এবং বলেশ্বর নদীর তীরে হত্যা করা হয়।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে এসপিও অফিসে যারা কর্মরত ছিলেন তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন?
উত্তর : নিয়েছি।
প্রশ্ন : এসডিও আব্দুর রাজ্জাককে হত্যার পর তার পদে কাকে বসানো হয়?
উত্তর : নোটে নেই।
প্রশ্ন : এসডিপিও অফিস, ইন্দুরকানী এবং পিরোজপুর সদর থানার কেউ বেঁচে আছে কি-না খোঁজ নিয়েছেন?
উত্তর : পিরোজপুর থানার ওসির বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। শুনেছি সে মারা গেছে। অন্য কারো বিষয়ে খোঁজ নেইনি।
প্রশ্ন : ছবি রায় নামে কাউকে খুঁজে পেয়েছেন?
উত্তর : সে বিপদ সাহার মেয়ে।  ভারতে আছে।
প্রশ্ন : ছবি রায় ভানু সাহার বড় না ছোট?
উত্তর : নোটে নেই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন