বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৩

জব্দ তালিকার চার সাক্ষী আনা হল মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে



২৯/১/২০১২
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জব্দ তালিকার চারজন সাক্ষী আদালতে হাজির করা হয় ।

মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন  খান  পিআইবি এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর থেকে কিছু পেপার জব্দ করেছেন। সেসব পেপার যে তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে সে মর্মে আদালতকে প্রত্যয়ন করেছেন  জব্দ তালিকার এ  চার সাক্ষী।

মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মোট ১৬৮ জন সাক্ষীর তালিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দী রয়েছে। বাকীরা জব্দ  তালিকার সাক্ষী।  জবানবন্দী রয়েছে এমন ৬৮ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৬ জন সাক্ষী হাজির করতে পেরেছেন রাষ্ট্রপক্ষের  আইনজীবীরা।  আগামীকাল  সাঈদীর বিরুদ্ধে  ঘটনার সাক্ষী  হাজির করার কথা রয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে।

আজ  জব্দ তালিকার যে চারজন সাক্ষী হাজির করা হয় তারা হলেন পিআইবি (প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ) এর ক্যাটালগার রবিউল আনাম খান (৪৪ বছর), পিআইবির চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী বুক সর্টার এস এম আমিরুল ইসলাম (৪১ বছর),  বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের গাইড কাম কম্পিউটার অপারেটর ফাতেমা বেগম (৩২) এবং গাইড মো: নেছার (৩৬)।

পিআইবি থেকে মাওলানা সাঈদী  এবং রাজাকার সম্পর্কিত কিছু খবর যা দৈনিক জনকণ্ঠ, সমকাল, ভোরেরর কাগজ পত্রিকায়  প্রকাশ করা হয়  তা জব্দ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।  এসব খবরা খবর ২০০১, ২০০৭, ২০১১ সালের বিভিন্ন সময়ে  প্রকাশিত হয়। পিআইবির ক্যাটালগার রবিউল আনাম খান আদালতকে সাক্ষ্য দিয়ে জানান, এসব পত্রিকার সংশ্লিষ্ট খবর  তার কাছ থেকে  তদন্ত কর্মকর্তা  জব্দ করেছেন যা আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের গাইড কাম কম্পিউটার অপারেটর ফাতেমা বেগম আদালতকে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার কাছ থেকে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  ৭ মার্চ ভাষনের  একটি ক্যাসেট, দুই পাতা কম্পিউটার  কম্পোজ কপি, বঙ্গবন্ধুর ফটো এ্যালবাম সংগ্রহ করেন   যা আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।
জব্দ তালিকার  চার জন সাক্ষীর মধ্যে পিআইবির রবিউল আনাম খানকে  অল্প কয়েকটি প্রশ্নের মাধ্যমে জেরা করেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী।

জেরা:
আইনজীবী: আপনি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সে প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদবি কি?
সাক্ষী: মহাপরিচালক।
আইনজীবী: আর্কাইভ প্রধানের পদবি কি?
সাক্ষী: পরিচালক। লাইব্রেরি এন্ড আর্কাইভ একসাথে। এটি গবেষনা ও তথ্য সংগ্রহ বিভাগের অধীন।
আইনজীবী: আর্কাইভ কোন সালে হয়?
সাক্ষী: ১৯৮৪ সাল থেকে সংগ্রহ শুরু হয়।
আইনজীবী: জব্দকৃত জিনিসগুলো কি  তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল সাহেব সংগ্রহ করেন না লাইব্রেরিয়ান দিয়েছিল?
সাক্ষী: তদন্ত কর্মকর্তার চাহিদামতে আমি তাকে এগুলো দেই।
আইনজীবী: সমকাল, ভোরের কাগজ, জনকণ্ঠ, নিউএজ এই পত্রিকাগুলো সবই ১৯৮০’র দশকের পরে প্রকাশিত হয়।
সাক্ষী: হ্যা।
আইনজীবী:  কোন পত্রিকা কবে প্রকাশিত হয় তা আপনার জানা নেই।
সাক্ষী: জানা নেই।
আইনজীবী: এই রিপোর্টগুলোর বস্তুনিষ্ঠতা বিষয়ে আপনার কোন ধারনা নেই।
সাক্ষী:   ধারণা নেই।
সাক্ষীকে জেরা করেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। তাকে সহায়তা করেন মনজুর আহমদ আনছারি, কফিল উদ্দিন চৌধুরী, ব্যারিস্টার তানভির আল আমিন,  এস এম শাহজাহান কবির প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন