রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

বিচার চলাকালে মাওলানা একেএম ইউসুফের ইন্তেকাল

মেহেদী হাসান ও হাবিবুর রহমান, ৯/২/২০১৪
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির বিশিষ্ট হাদিশ বিশারদ মাওলানা একেএম ইউসুফ (৮৮) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বন্দী প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ আজ সকাল সোয়া এগারটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি কাশিমপুর কারাগার-১ এ বন্দী ছিলেন।

মরহুমের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে কাশিমপুর (গাজিপুর) কারাগারে  আজ  সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ সকাল পৌনে ১১টার দিকে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোয়া ১১টা তার  মৃত্যু হয়।

মাওলানা একেএম ইসুফের ছেলে একেএম মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন সকাল সাড়ে আটটার দিকে কারা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে পিতার অসুস্থতার কথা জানায় । তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার কথা জানানো হয় এবং তারা হাসপাতালে অপেক্ষা করেন। তবে তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন তিনি অচেতন ছিলেন এবং তারা কেউ কোন কথা বলতে পারেননি। হাসপাতালের ডাক্তাররা তাদের জানিয়েছেন তার পিতা স্ট্রোক করেছিলেন।

মাহবুবুর রহমান জানান, তাকে প্রথমে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে সেখান থেকে আইসিইউ (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) এ নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু আইসিইউতে কোন রুম খালি না থাকায় তাকে বারডেম অথবা ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি বন্দী থাকায় এ বিষয়ে প্রকৃয়া সম্পন্ন না করে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে বারডেম বা ঢাকা মেড্যিকালে  পাঠানো সম্ভব ছিলনা। সবশেষে  তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের  জরুরি বিভাগে রেখেই চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়া হয় এবং এ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচার চলছিল মাওলানা একেএম ইউসুফের। উভয় পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এ মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ধার্য্য ছিল। গত বছর ১২ মে মাওলানা ইউসুফকে তার ধানমন্ডি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর নির্দেশে। পরে তার মামলাটি ট্রাইব্যুনাল -২ এ হস্তান্তর করা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধ তথা  মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন এবং বন্দী অবস্থায় এই প্রথম কোন জামায়াত নেতার মৃত্যু হল। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে  মাওলানা ইউসুফ হোসপাতালে মৃত্যুর পর তার লাশ ময়না তদন্ত ছাড়া তারা ফেরত নিতে চায়। তখন কারা কর্তৃপক্ষ জানায় ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ ফেরত নিতে হলে  ট্রাইব্যুনালের অনুমতি লাগবে। আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট গাজী এমএইচ তামিম এরপর দরখাস্ত নিয়ে যান ট্রাইব্যুনালে। ট্রাইব্যুনাল কারা কর্তৃপক্ষের নিয়ম মেনেই লাশ হস্তান্তর করার জন্য আদেশ দেন দুপুরের পর।

গাজী তামিম জানান, বৃদ্ধ বয়সে মাওলানা ইউসুফের স্বাভাবিক মৃত্যুহয়েছে উল্লেখ করে লাশের ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য আমরা ট্রাইব্যুনালে একটি আবেদন করি। এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আবেদনের বিরোধিতা করেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। 
 সোয়া ছয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে এখনো তারা লাশ বুঝে পাননি। জানজার সময় এবং স্থানও এখনো ঠিক করা হয়নি।


বিচার চলাকালে মৃত্যু :
মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মদ (একেএম) ইউসুফের মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বুধ ও বৃহস্পতিবার মামলার শেষ ধাপে রাষ্ট্রপক্ষের (আর্গুমেন্ট) যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য রয়েছে। মাওলানা ইউসুফের মৃত্যুর পর মামলার কার্যক্রম কি হবে সে বিষয়ে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনাল আইনে মরোনত্ত্বর বিচার করার সুযোগ নেই। অন্যদিকে গাজী তামিম জানান, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য রয়েছে। আশাকরি ওই দিন ট্রাইব্যুনাল প্রয়োজনীয় আদেশ দেবেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি আসামীপক্ষের একমাত্র ডিফেন্স সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন মাওলানা ইউসুফের বড় ছেলে একেএম মাহবুবুর রহমান। এর আগে মাওলানা ইউসুফের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষের ২৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
গত ৩০ জানুয়ারি মাওলানা ইউসুফের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: হেলাল উদ্দিনকে আসামীপক্ষের জেরা শেষে তিনজন ডিফেন্স সাক্ষী দেয়ার অনুমতি দেন ট্রাইব্যুনালঅ। গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনদিন ডিফেন্স সাক্ষীদের সাক্ষ্য দেয়ার দিন ধার্য করা হয়। মাওলানা একেএম ইউসুফকেও ওই তিনদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির থাকতে হবে বলে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেন ট্রাইব্যুনাল। 
৩০ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান মাওলানা ইউসুফের সাথে কথা বলেন এবং শারীরিক অবস্থা জানতে চান। জবাবে মাওলানা ইউসুফ বলেন, শরীর ভালো না। এরপর বিচারপতি বলেন, ঠান্ডা কমেছে। ঠান্ডা ও অসুস্থতার কারণে আপনাকে সাতদিন ট্রাইব্যুনালে না আসার অনুমতি দিয়েছি। সামনে তিনদিন আসতে হবে। আপনার পক্ষে ডিফেন্স সাক্ষী সাক্ষ্য দেবে। আপনার শোনা জরুরী। জবাবে মাওলানা ইউসুফ বলেন, তারিখ একটু দেরিতে দেয়া যায় কি না।
এরপর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান মাওলানা ইউসুফের কাছে জানতে চান মালেক মন্ত্রী সভায় আপনারা কতজন ছিলেন? জবাবে মাওলানা ইউসুফ বলেন, কতজন ছিলাম মনে নেই।
এরপর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আপনি কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন? জবাবে মাওলানা ইউসুফ বলেন, রাজস্বতে ছিলাম। এরপর ট্রাইব্যুনাল প্রশ্ন করেন, কত তারিখে ও কোথায় আপনারা আত্মসমার্পণ করেন? জবাবে মাওলানা ইউসুফ বলেন, ঠিক মনে করতে পারছি না। তবে ১৪ ডিসেম্বর হতে পারে। হোটেল ইন্টারকন্টিডেন্টলে।
এরপর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, পদত্যাগের জন্য ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কেন অপেক্ষা করলেন না? জবাবে মাওলানা ইউসুফ বলেন, তখনকার পরিস্থিতির কারণে। ট্রাইব্যুনাল আরো জানতে চান, মালেক সাহেব দাতের ডাক্তার ছিলেন কি না? জবাবে মাওলানা ইউসুফ বলেন, মনে নেই। এরপর ট্রাইব্যুনাল বলেন, একটু কষ্ট হলেও আপনাকে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে ট্রাইব্যুনালে আসতে হবে।
গত ১৫ জানুয়ারি মাওলানা একেএম ইউসুফকে প্রয়োজন ছাড়া মামলা চলাকালীন সময় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন শারীরিক অসুস্থতার কারণে আদালতে অনুপস্থিত থাকার জন্য মাওলানা ইউসুফের পক্ষে একটি আবেদন দায়ের করা হয়। আবেদনে বলা হয়, ইউসুফ সাহেব কাশিমপুর কারাগারে থাকেন। তার ওষুধপত্রও সেখানে থাকে। ঠান্ডার মধ্যে দীর্ঘ পথ যাতায়াত করতে যেয়ে তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ। অসুস্থ ব্যক্তির থেকে মামলা চলাকালীন সময় অনুপস্থিত থাকা ট্রাইব্যুনাল রুলস পারমিট করে।
গত ১ আগস্ট মাওলানা একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে একাত্তর সালে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠন করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১৩টি অপরাধের ঘটনা আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ১২ মে ট্রইব্যুনালের আদেশে ধানমন্ডির বাসা থেকে মাওলানা একেএম ইউসুফকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৮ মে মাওলানা একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ২২ এপ্রিল মাওলানা একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে তদন্ত চূড়ান্ত করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।


জীবনী :
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী মাওলানা একেএম ইউসুফ  ১৯২৬ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে বাগেরহাট জেলার শরনখোলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে তিনি মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ফাজিল পরীক্ষায় পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৫২ সালে তিনি কামিল পাশ করেন। এরপর তিনি হাদিশ বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মোমতাজুল মোহদ্দেসিন খেতাব লাভ করেন। খুলনা আলিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় তিনি শিক্ষকতা শুরু করেন শিক্ষা জীবন শেষে। ৩৫ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে  মাওলানা একেএম ইউসুফ খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চল থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পূর্বে তিনি প্রথমে ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত খুলনা জামায়াতের আমির,  পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি তিনবার জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল এর দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জামায়াতের নায়েবে আমির হিসেবে বহাল ছিলেন।
রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ চাষী কল্যাণ সমিতি।
মহাগ্রন্থ আল কোরআন কি ও কেন, দারসুল কোরআন, হাদিসের আলোকে প্রভৃতি গ্রন্থের লেখক। মাওলানা একেএম ইউসুফ একাধারে আরবি, ইংরেজি, উর্দু এবং ফার্সি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন।
মাওলানা ইউসুফ পাঁচ কন্যা ও তিন পুত্রের জনক ছিলেন।

মাওলানা ইউসুফ সম্পর্কে বড় ছেলের জবানবন্দী:
মাওলানা ইউসুফের বড় ছেলে একেএম মাহবুবুর রহমান গত ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে দেয়া জবানবন্দীতে বলেছিলেন, ’৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমার পিতা মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হলে আমরা পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মিন্টু রোডে একই সঙ্গে বসবাস করতাম। ’৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর মালেক মন্ত্রী সভার পদত্যাগের পর রেডক্রস ঘোষিত নিরপেক্ষ এলাকা হোটেল ইন্টারকন্টিডেন্টালে আমার পিতাসহ আমরা পরিবারের সবাই আশ্রয়গ্রহণ করি। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের চার বা পাঁচ দিন পরে রেডক্রস কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। এরপর আমরা এক থেকে দেড়মাস ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে আমার পিতাসহ স্বপরিবারে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ছিলাম। একপর্যায়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী মালেক মন্ত্রী সভার আটককৃত সদস্যদের বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করে এবং বাংলাদেশ সরকার তাদের কারাগারে প্রেরণ করে।
১৯৭২ সালে আমার পিতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সে মামলায় তার যাবজ্জিবন কারাদণ্ড হয়। কিন্তু যেহেতু আমার পিতার বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের অভিযোগ ছিল না সেজন্য ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার আওতায় আমার পিতাকে ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বরের পূর্বে মুক্তি দেয়া হয়। আমার পিতা অখন্ড পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন সত্য কিন্তু কোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। স্বাধীনতার ৪০ বছর পর সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণদিত হয়ে ২০০৯ সাল থেকে আমার পিতার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। তার একটি হল এই মামলার সাক্ষী লিয়াকত আলী খান কর্তৃক দায়েরকৃত মোড়লগঞ্জ থানার মামলা নং ২২ (৫) ২০০৯। আমার পিতার বিরুদ্ধে দালাল আইন ১৯৭২ এর অধীনে একটি মামলা হয়। এই মামলায় স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ তাকে যাবজ্জিবন কারাদণ্ড দেয়। উক্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আমার পিতা হাইকোর্টে আফিল দায়ের করেছিলেন। এই মামলায় কয়েকটি ঘটনা সংক্রান্ত যথাক্রমে বাগেরহাট, মোড়লগঞ্জ ও কচুয়া থানায় দায়ের করা হয়েছিল। সেখানে আসামী হিসেবে আমার পিতার নাম ছিল না।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন