রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

মাওলানা সাঈদীর আপিল আবেদন বিষয়ে আজকে উপস্থিত যুক্তি


মেহেদী হাসান
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাাইন সাঈদীর মামলায় আজ আবার আপিল বিভাগে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ শুনানী গ্রহণ করেন।
মাওলানা সাঈদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ১৪ নং অভিযোগ যথা শেফালী ঘরামীকে ধর্ষনের অভিযোগ বিষয়ে  আগের দিনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ যুক্তি পেশ শুরু করেন।
তিনি বলেন, ১৪ নং অভিযোগে মাওলানা সাঈদীকে দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে  ট্রাইব্যুনাল তার রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের ১, ২, ৪ এবং ২৩ নং সাক্ষীর ওপর নির্ভর করেছে। কিন্তু ১, ৩ এবং ৪ নং সাক্ষী এ বিষয়ে একটি কথাও বলেনি।
উপরন্তু ১ নং সাক্ষী মাহবুবুল আলম হাওলাদার তদন্ত সংস্থায় পূর্বে যে রিপোর্ট দাখিল করেছেন তাতে তিনি দাবি করেছেন জিয়ানগরে কোন বীরাঙ্গনা নেই। এটি রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছে।

তাহলে ১৪ নং অভিযোগ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের শুধুমাত্র একজন সাক্ষী থাকে এবং তিনি হলেন মধুসূদন ঘরামী। একমাত্র এ একজন সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এ অভিযোগে। কিন্তু মধুসূদন ঘরামী বলেছেন তিনি তার স্ত্রীকে ধর্ষনের ঘটনা দেখেননি। তার স্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘তোমাকে যে মুসলমান বানিয়েছে সে এসেছিল তুমি পালাও।’
কে তাকে মুসলমান বানিয়েছিল তা কি শেফালী ঘরামীর পক্ষে জানা সম্ভব?
সম্ভব যদি মধুসূদন ঘরামী তাকে বলে থাকে। কিন্তু তাকে কে মুসলমান বানিয়েছিল সে কথা তিনি তার স্ত্রীকে বলেছেন মর্মে এভিডেন্সে কিছু নেই। বরং মধুসূদন ঘরামী বলেছেন, তার স্ত্রীর পাড়েরহাট বাজারে যাতায়াত ছিলনা। তার স্ত্রী কোন রাজাকার এবং পিস কমিটির কোন সদস্য চেয়ারম্যান মেম্বারকে সে চিনতনা।
মধুসূদন ঘরামী মাওলানা সাঈদীকে ডকে আইডেনটিফাই করেননি বরং তিনি  বলেছেন দেলোয়ার শিকদার নামে এক রাজাকার ছিল এবং তাকে স্বাধীনতার পর মেরে ফেলা হয়েছে।

‘তোমাকে যে মুসলমান বানিয়েছে সে এসেছিল তুমি পালাও’ কথাগুলো মধুসূদন তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেছিল কি-না জেরায় প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার স্মরন নেই।
তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরায় এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমাকে মধূসূদন ঘরামী এ কথা বলেননি।

১৯৭১ সালে মধুসূদন ঘরামীর কোন ঘরই ছিলনা। তিনি জেরায় বলেছেন, যুদ্ধের ২ বছর আগে তিনি তার অংশের জমি বিক্রি করেন এবং পরে তিনি তার মৃতভাই নিকুঞ্জ ওরফে সাধু ঘরামীর ঘরে ওঠেন।

মধুঘরামীর শশুর বাড়ি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে। শেফালী ঘরামীর অবস্থান জানার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাট যাননি এবং তার শশুরবাড়ি কোন খোঁজ খবর নেননি শেফলাী ঘরামী বিষয়ে। ভারতে যেখানে শেফালী ঘরামী থাকে সেখানেও কোন চিঠিপত্র পাঠাননি।
শেফালী ঘরামীর পিতা শ্রীনাথ এবং ভাই কার্তিক জীবিত আছে কিন্তু তাদের কাউকে এ মামলায় সাক্ষী করা হয়নি। তাদের কোন জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি।
তাছাড়া সাধু ঘরামীর স্ত্রী তথা মধুসূদনের বৌদি তখন ওই ঘরে থাকত এবং তিনি এখনো জীবিত । কিন্তু তাকেও তদন্ত কর্মকর্তা এ ঘটনা বিষয়ে কোন জিজ্ঞাসাবাদ করেননি এবং সাক্ষীও করেননি।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায়ে ফোর্সড প্রেগনেন্সির কথা লেখা আছে। ধর্ষনের ফলেই শেফালী ঘরামীর একটি মেয়ে হয়েছে এ কথা রায়ে কি করে লিখল।  মধুসূদন ঘরামী বলেছেন ঘটনার চার/পাঁচ মাস পরে  অগ্রহায়ন মাসে তার স্ত্রীর একটি কন্যা সন্তান হয় এবং তার নাম রাখা হয় সন্ধ্যা। ১৯৭১ সালের অগ্রহায়ন মাস  ইংরেজি নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাস হয়। নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে সন্তান জন্ম হলে ১৯৭১ সালে ফ্রেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে গর্ভধারন করা লাগে। আর পাড়েরহাট আর্মি আসার ঘটনা ঘটে মে মাসে। কাজেই মধুসূদনের বাড়ি লুট এবং তার স্ত্রীর ধর্ষনের ঘটনার সাথে আসামী এবং অভিযোগের কোন সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু রায়ে মন্তব্য করা হল ধর্ষনের ফলেই তার স্ত্রীর সন্তান হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা মধুসূদন ঘরামী ছাড়া আর কাউকে এ ঘটনায় সাক্ষী করেনি। জেরায় তিনি বলেছেন অন্য কারোর জবানবন্দীও রেকর্ড করেননি।

১২টার পর
তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, মামলার তদন্তকাজে  তিনি ভারতে গেছেন। কিন্তু অন্যান্য অভিযোগ বিষয়ে খোঁজ খবর নিলেও তিনি শেফালী ঘরামী বিষয়ে কোন খোঁজ নেননি। তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, ধর্ষনের ঘটনার তারিখ ও মাস সম্পর্কে কোন তথ্য তাকে সাক্ষী দেয়নি। তবে যুদ্ধের শেষ দিকে ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের ১ নং সাক্ষী মাহবুবুল আলম পিরোজপুর এবং তদন্ত সংস্থায় যে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাতে তিনি শেফালী ঘরামীর ধর্ষণ বিষয়ে কোন কিছু উল্লেখ করেননি।
তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেছেন, ৩/১১/২০১০ তারিখে মধুসূদন ঘরামীর জবানবন্দী রেকর্ডের পূর্বে কেউ তাকে শেফালী ঘরামীকে ধর্ষনের বিষয়ে কোন তথ্য দেয়নি।
মধুসূদন ঘরামী বলেছেন, ২০১০ সাল থেকে তিনি এবং তার বৌদী বয়স্কভাতা পান। তিনি আসলে রাষ্ট্রীয় সুবিধার বিনিময়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন।  মধুসূদন ঘরামী তার বৌদীর সাথে একান্নে খান।
আমাদের একটি ছবি ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন করা হয়েছে যেটা হল মধুসূদনের ভিটা। এ ভিটা ১৯৭১ সালেও এভাবেই পরিত্যাক্ত ছিল বলে তদন্ত কর্মকর্তা জেরায়  স্বীকার করেছেন।

এরপর অ্যাডভোকেট শাহজাহান ১৬ নং অভিযোগ তথা গৌরাঙ্গ সাহার  তিন বোনকে ধর্ষনের বিষয়ে যুক্তি পেশ করেন। তিনি বলেন, রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের ৩, ৪ ৫, ১৩ নং সাক্ষী এবং ১৯ (২) ধারায় গৃহীত অজিত কুমার শীলের জবানবন্দীর ওপর নির্ভর করা হয়েছে এ অভিযোগে আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করা বিষয়ে। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের ৩, ৪ এবং ৫ নং সাক্ষী এ অভিযোগ বিষয়ে একটি কথাও উচ্চারন করেননি। বাকী থাকল ১৩ নং সাক্ষী গৌরাঙ্গ সাহা। গৌরাঙ্গ বলেছেন, ১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল ২৭ বছর। কিন্তু আমরা একটি ডকুমেন্ট দিয়ে দেখিয়েছি যে, গৌরাঙ্গর জন্ম তারিখ ৮/৭/১৯৬৩। তিনি জেরায় বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জন্মতারিখ ৮/৭/১৯৬৩ লেখা। কিন্তু পরিচয়পত্র করার সময় তিনি নিজে ভুল বলেছেন না তারা ভুল লিখেছে তা তিনি জানেননা। তিনি এ ভুল সংশোধনের জন্য কোন দরখাস্তও দেননি। তাহলে সনদ অনুযায়ী তার বয়স ১৯৭১ সালে দাড়ায় ৭/৮ বছর। আর গৌরাঙ্গ সাহা বলেছেন, তার তিন বোনই তার ছোট। এক বছর পরপর জন্ম হলেও তার বোনদের বয়স দাড়ায় ৭, ৬ এবং ৫ বছর করে।
গৌরাঙ্গ সাহা বলেছেন, মুসলমান হবার পর তার পিতামাতা এবং তিন বোন ভারতে চলে যায়। ভারতে তারা কে কোথায় কিভাবে আছে তার কিছুই তিনি জানেননা। তার পিতা পাতার মৃত্যুর সংবাদ ছাড়া আর কোন তথ্যই তিনি ভারত থেকে পাননি।
এসময় একজন বিচারপতি বলেন, ৪২ বছর তার বোনরা কোথায় কিভাবে আছে তা না জানা একজন ভাই হিসেবে অস্বাভাবিক।
অ্যাডভোটেক শাহজাহান বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের জমা দেয়া সরকারি ডকুমেন্টে বলা আছে জিয়া নগরে কোন বীরাঙ্গনা নেই।
তখন একজন বিচারপতি বলেন, এ রিপোর্ট কখন তৈরি করা হয়েছে?
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, ২০১১ সালে।
তখন বিচারপতি বলেন, ঠিকই আছেতো। ২০১১ তারা ভারতে । দেশে নাই। তাই নাই লেখা হয়েছে।
তখন অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, আপনার যুক্তি ঠিক। কিন্তু আপনার এ দাবি আসামীর পক্ষেও যায়। নাই মানে যদি দেশে না থাকা বোঝায় তাহলে এর আরো একটি মানে করা যায় আর তাহল ১৯৭১ সালে সেখানে কোন ধর্ষনের ঘটনা ঘটেনি এবং কোন বীরাঙ্গনা জিয়া নগরে ছিলনা। সে কারনেই নাই লেখা হয়েছে।
এরপর তিনি সাক্ষীর অনুপস্থিতিতে ১৯ (২) ধারায় গৃহীত অজিত কুমার শীল কর্তৃক তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রদত্ত জবানবন্দী পড়ে শোনান। অজিত কুমার শীল গৌরাঙ্গের তিন বোনকে ধর্ষনের অভিযোগ করে বলেছেন, যুদ্ধের সময় তারা ভারতে চলে যায়। এরপর আজো তার ফেরত আসেনি।
জেরায় তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করা হয়-  অজিত কুমার যে একজন ক্ষতিগ্রস্ত তা আপনি কবে জানলেন। তিনি বলেন, ডায়েরিতে লেখা না থাকায় তিনি বলতে পারছেননা। পাড়েরহাট কোন স্থানে অজিতের জবানবন্দী রেকর্ড করা হয় তাও তিনি তার ডায়েরিতে লেখা না থাকায় বলতে পারছেননা। তিনি বলেছেন তদন্তকালে তিনি কখনো অজিতের বাড়ি যাননি।
সমন নিয়ে যাবার তারিখও তিনি বলতে পারেননি।

অ্যাডভোকেট শাহজাহান ১৯ (২) ধারা পড়ে বলেন, কোন সাক্ষী বিচারচলাকালে মারা গেলে এবং তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা যদি সময়সাপেক্ষ ও অতিরিক্ত ব্যায়বহুল হয় তবে তার অনুপস্থিতিতে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তার প্রদত্ত জবানবন্দী সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।
কিন্তু এ সাক্ষী মারা যায়নি। তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, অজিতকে হাজিরের জন্য তিনি ২/৩ বার অজিতের বাড়ি গিয়েছেন সমন নিয়ে। কিন্তু প্রথমবার যাওয়াসহ কোন তারিখই তিনি বলতে পারেননি। বাড়িতে গিয়ে তিনি তাকে প্রথমবার পাননি। তার স্ত্রী তখন বাড়িতে ছিল। দ্বিতীয়বার যাবার সময় তার স্ত্রী এবং ছেলে বাড়িতে ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।
অজিতকে না পেয়ে থানায় কোন জিডি করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি তিনি। পরিবার কোন জিডি করেছেন কিনা তাও তিনি জানেননা। তার স্ত্রী ও ছেলে তাকে জানিয়েছে তার পিতা কোথায় তা তারা জানেনা। তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, অজানা কারনে সে পালিয়ে থাকতে পারে। পরে বলেছেন, তার ছেলে তাকে জানিয়েছে তার বাবা  সাক্ষ্য দিতে গেলে  তাকে মেরে ফেলা হতে পারে ।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, একজন মানুষ সাধারনত নিঁখোজ হলেও থানায় ডায়েরি হয়। কিন্তু তিনি রাষ্ট্রপক্ষের একজন সাক্ষী এবং তার নিঁখোজের পর তদন্ত কর্মকর্তা কোন জিডি করেননি।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, আমরা একটি ডকুমেন্ট জমা দিয়েছিলাম যেখানে উল্লেখ আছে অজিত কুমার শিলকে ঢাকায় সাক্ষ্য দিতে আনা হয়েছিল এবং তাকে তিনদিন সেফ হোমে রাখা হয়। কিন্তু তিনি শেখানো মতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে রাজী না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ তাকে বাড়িতে ফেরত পাঠায়। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ‘ট্রাইব্যুনালকে প্রসিকিউশনের ধোকা শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে অন্যান্য আরো অনেক সাক্ষীর সাথে অজিত কুমার শিলকে ২০১২  সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় আনা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষীদের এনে যেখানে রাখে সেই উইটনেস হোম বা সেফহোমে  ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে রাখার পর বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়।
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, এ ধরনের সাক্ষীর ভেগ জবানবন্দী ১৯.২ ধারায় গ্রহণ  করা হয়েছে এবং আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

সাক্ষী অজিতের নামে তদন্ত কর্মকর্তা যে জবনাবন্দী জমা দিয়েছেন তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হলে সে আসলে এ কথা বলতনা। সে কারনেই তাকে হাজির না করে ১৯/২ ধারায় দরখাস্ত দেয়া হয় ট্রাইব্যুনালে।
এসময় একজন বিচারপতি বলেন, গৌরাঙ্গ সাহার বয়স বিষয়ে রায়ে কি কিছু বলা হয়েছে বা আপনারা যে ডকুমেন্ট জমা দিয়েছেন সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ আছে?
অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, একটি কথাও উল্লেখ নেই।
এরপর শুনানী আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
শুনানীতে অ্যাডভোকেট শাহজাহানকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন। রাষ্ট্রপক্ষে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন