সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা চলছে

৩০/৯/২০১৩
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ তদন্ত কর্মকর্তার জেরা চলছে। আজকের জেরায় অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা যেসব উত্তর দেন তা নিম্নরূপ।

পুনরায় জেরাঃ
তারিখ- ৩০-০৯-২০১৩
কেরানীগঞ্জ থানার মামলায় মতিউর রহমান নিজামী সাহেবকে ৩০-০৬-২০১০ ইং তারিখে গ্রেফতার দেখানো হয়। তদন্ত সংস্থায় নিজামী সাহেবের বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি লিখিত বা মৌখিকভাবে কোন নালিশ দায়ের করেন নাই। আমি নিজেও নিজামী সাহেবের বিরুদ্ধে কোন নালিশ দায়ের করি নাই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর রেজিষ্ট্রার মহোদয় কর্তৃক প্রেরিত পল্লবী থানার মামলা নং ৬০(১)০৮ কে আমি কমপ্লেইন্ট ১ তারিখ ২১-০৭-২০১০ হিসাবে গণ্য করেছি। এই কমপ্লেইন্টে আমি মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ, মোঃ কামারুজ্জামান ও মোঃ আব্দুল কাদের মোল্লাকে আমি আসামী শ্রেণীভূক্ত করেছি। পল্লবী থানার মামলা নং ৬০(১)০৮ মামলার এজাহারে ঐ চারজন ব্যতীত অন্য যাদের নাম আছে তাদেরকে কমপ্লেইন্ট ১-এ আসামীভূক্ত করি নাই। কেরানীগঞ্জ ও পল্লবী থানার মামলা দুটির জুডিসিয়াল নথি এখনো তদন্ত সংস্থার হেফাজতে আছে। উক্ত মামলা দুটির দায় থেকে মতিউর রহমান নিজামী সাহেবকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য মাননীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বা সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আদালতে কোন আবেদন দাখিল করি নাই। ইহা সত্য নহে যে, পল্লবী ও কেরানীগঞ্জের উল্লেখিত মামলা দুটির জুডিসিয়াল নথি বেআইনীভাবে তদন্ত সংস্থায় প্রেরণ করা হয়েছে এবং আমি তা বেআইনীভাবে তদন্ত সংস্থার হেফাজতে নিয়েছি। ইহা সত্য নহে যে, জামায়াতে ইসলামী এবং উহার নেতাদের বিরুদ্ধে সরকারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে আমি এই মামলায় নালিশ রেকর্ড করেছি। এই মামলার নালিশ রেকর্ড করার পর থেকে মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেফতার করার আবেদন দাখিল করার মধ্যবর্তি সময়ে আমি এই মামলায় কোন সাক্ষীর জবানবন্দী রেকর্ড করি নাই বা এই মামলা সংক্রান্ত কোন দালিল পত্রাদিও জব্দ করি নাই, যদিও আমি গ্রেফতারী পরোয়ানার আবেদনে বলেছি মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, কারণ নালিশ রেকর্ড করার  পরে এবং গ্রেফতারী পরোয়ানার আবেদন দাখিলের মধ্যবর্তী সময়ে আমি কিছু পত্রিকা ও বই পুস্তক পর্যালোচনায় মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পেয়েছিলাম। ঐ সময় যে সমস্ত পত্রিকা এবং পুস্তক পর্যালোচনা করেছিলাম তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দৈনিক সংগ্রামের ১৫-০৯-১৯৭১ এবং ১৪-১১-১৯৭১ তারিখের সংখ্যা এবং একাত্তরের ঘাতক ও দালালেরা কে কোথায়। তদন্ত সংস্থায় নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পর আমি বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং বই পর্যালোচনা পূর্বক তা সংগ্রহ করি। তদন্ত সংস্থায় যোগদানের পর থেকে নালিশ রেকর্ড করা পর্যন্ত আমাকে সুনির্দিষ্ট কোন মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয় নাই এবং আমি নিজেও সুনির্দিষ্ট কোন মামলার তদন্তের জন্য মনোস্থির করি নাই।
পল্লবী থানার মামলার এজাহারকারী ছিলেন আমির হোসেন মোল্লা। তাকে আমি তদন্তকালে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি কিন্তু নিজামী সাহেবের বিরুদ্ধে তাকে সাক্ষী মান্য করিনি। বর্তমান পল্লবী থানা এলাকাটি ১৯৭১ সালে মিরপুর থানা এলাকার অধীনে ছিল কিনা তাহা আমার জানা নাই। রায়ের বাজার ১৯৭১ সালে কোন থানার অন্তর্ভূক্ত ছিল তাহা আমার জানা নাই। রায়ের বাজার বধ্যভূমি ১৯৭১ সালের ঢাকা বাজারের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিল কিনা তাহা আমার জানা নাই। পল্লবী থানার মামলার এজাহারে ১৯৭১ সালে সংঘটিত দুইটি ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছিল। তন্মধ্যে প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল ২৪-০৪-১৯৭১ তারিখে ফজরের নামাজের পর আলব্দি গ্রামে। অন্য ঘটনাটি ১৮-১২-১৯৭১ তারিখে মিরপুরের কাদের মোল্লার আস্তানায় ঘটার কথা বলা হয়েছে, ঘটনাস্থল মিরপুরের বোটানিকেল গার্ডেনের পশ্চিম পাশে। এই মামলার নালিশ রেকর্ড করার পূর্বে পল্লবী থানার মামলায় কয়জন তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন তাহা আমি বলতে পারব না। আমার তদন্তকালীন সময়ে ঐ সব তদন্তকারী কর্মকর্তা কয়জন সাক্ষীর জবানবন্দী রেকর্ড করেছিলেন বা কোন আলামত উদ্ধার করেছিলেন কিনা সেই বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করি নাই। পল্লবী থানার মামলার এজারে ১৪ ব্যক্তিকে নাম ঠিকানা সহ সাক্ষী মান্য করা আছে। মানিত সাক্ষী গইজুদ্দিন মোল্লা, আব্দুস ছাত্তার মোল্লা, ফজলুল হক, আলামত হোসেন ব্যাপারী, মোহাম্মদ আলী মতবর, মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন, কদম আলী বেপারী, আনার উদ্দিন বেপারী, হাজী আম্বর আলী মোল্লা, মতিউর রহমান মোল্লা, রিয়াজ উদ্দিন ফকির, জুমন মোল্লা এবং হাজী আব্দুর রশিদ মোল্লাদের মধ্যে আমি অত্র মামলায় কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করি নাই। এই মামলার কেস ডাইরী অক্ষত অবস্থায় আমার নিকট সংরক্ষিত আছে। পল্লবী থানার মামলায় যে দুইটি ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে সেই দুইটি ঘটনাস্থল আমি মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের মামলা তদন্তকালে পরিদর্শন করি নাই।
কেরানীগঞ্জ থানার মামলা নং- ৩৪(১২)২০০৭ এর এজাহারে নিজামী সাহেব দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ পর্যন্ত আটক থাকার যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে আমি তদন্ত করেছি তবে তিনি কোন মামলায় আটক ছিলেন তাহা পাই নাই। ঐ মামলার এজাহারকারী বা মানিত কোন সাক্ষীকে অত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করি নাই বা সাক্ষী মান্য করি নাই। কেরানীগঞ্জ থানার মামলায় উল্লেখিত ঘটনাস্থল অত্র মামলার তদন্তকালে পরিদর্শন করি নাই বা তদন্ত সংক্রান্তে কেরানীগঞ্জ থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করি নাই। লারকানা ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় অপারেশন সার্চ লাইট প্রণয়ন করা হয়। অপারেশন সার্চ লাইটের প্রণেতা রাও ফরমান আলী কিনা, তা আমার সঠিক জানা নাই। জেনারেল টিক্কা খান এই অপারেশন সার্চলাইটের সাথে জড়িত ছিলেন তবে জেনারেল হামিদ যুক্ত ছিল কিনা তাহা আমার জানা নাই। অপারেশন সার্চ লাইট সফলভাবে কার্যকর হয়েছে মর্মে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ কোন রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছিল কিনা তাহা আমার জানা নাই। অপারেশন সার্চ লাইট প্রণয়নের সাথে কোন বাঙ্গালীর সংশ্লিষ্টতা আমি তদন্তকালে পাই নাই।
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ থেকে টিক্কা খানের গভর্ণর হিসাবে শপথ গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন ডা. আব্দুল মালেক। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে কে ছিলেন তাহা আমি বলতে পারব না। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা জেলার মার্শাল ল’ এডমিনিষ্ট্রেটর এর দায়িত্বে কে কে ছিলেন বিষয়টি তদন্ত না করায় এই বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে পারছি না। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ তারিখে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের জিওসি কে ছিলেন তাহা আমি বলতে পারব না। ১৯৭১ সালের ১৪ই নভেম্বর থেকে ১৪ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের জিওসি কে ছিলেন তাহাও আমি বলতে পারব না। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম, সিলেট ও যশোর জেলার সামরিক আইন প্রশাসক এর দায়িত্বে কারা ছিলেন তাহা আমি তদন্ত না করায় বলতে পারব না। পাবনা জেলার সামরিক আইন প্রশাসক হিসাবে এপ্রিল ১৯৭১ থেকে জুন ১৯৭১ পর্যন্ত ছিলেন মেজর হামিদ, জুলাই ১৯৭১ থেকে আগস্ট ১৯৭১ পর্যন্ত ছিলেন মেজর নেওয়াজ এবং সেপ্টেম্বর ১৯৭১ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন মেজর আসলাম মাহমুদ খান। ১৯৭১ সালে পাবনায় কোন ক্যান্টনমেন্ট ছিল না। ১৯৭১ সালে পাবনায় যে আর্মি ক্যাম্প ছিল সেটি নিয়ন্ত্রিত হতো বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাবনা নূরপুর ওয়াপদা আর্মি ক্যাম্পের দায়িত্বে কে ছিলেন তাহা আমি বলতে পারব না। কারণ তদন্তকালে এ বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে কোন আর্মি অফিসারের নেতৃত্বে আর্মিরা আরিচা থেকে গিয়ে নগরবাড়ী ঘাট দখল করে তাহা আমার জানা নাই, কারণ তদন্তকালে এ বিষয়ে আমি কোন তথ্য পাই নাই। ১৯৭১ সালে পাবনার পাবনা সদর, সাঁথিয়া, ঈশ্বরদী ও বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে কে ছিলেন তাহা আমার জানা নাই, কারণ তদন্তকালে এ বিষয়ে আমি কোন তথ্য সংগ্রহ করতে পারিনি।
মতিউর রহমান নিজামী সাহেব ১৯৭১ সালের পুরো সময়েই একজন বেসামরিক ব্যক্তি ছিলেন।
১৯৭১ সালে আর্মি এ্যাক্ট, ১৯৫২ অনুযায়ী রাজাকার ছাড়া অন্য কোন সংগঠনকে সরকারীভাবে সহায়ক বাহিনী হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় নাই, তবে আলবদর, আল শামস ও মুজাহিদ বাহিনীকে বেসরকারীভাবে সহায়ক বাহিনী হিসাবে ব্যবহার করা হতো। ইস্ট পাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্সেস কোন সময়ে তৈরী করা হয় তাহা আমার জানা নাই। ১৯৭১ সালে ২রা আগস্ট আনসার বাহিনী বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান আর্মির সহায়ক বাহিনী হিসাবে কাজ করেছে। মুজাহিদ বাহিনীর সদস্যরা সাধারণভাবে বিহারী সম্প্রদায়ের লোক ছিল। মিরপুর, মোহাম্মদপুরসহ বিহারী অধ্যূষিত সকল এলাকায় মুজাহিদ বাহিনীর কার্যক্রম চালু ছিল। এয়ার ফোর্স এ্যাক্ট ১৯৫৩ এবং নেভী অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১ এর অধীনে কোন সহায়ক বাহিনী গঠন করা হয়েছিল কিনা তাহা আমি বলতে পারব না। পাঞ্জাব রেজিমেন্ট পাকিস্তান আর্মির সহায়ক বাহিনী হিসাবে কর্মরত ছিল। বিধি মোতাবেক রাজাকার বাহিনীর দুইটি উইং হিসাবে আলবদর এবং আলশামস উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে রাজাকার, আলবদর ও আল শামস পৃথক পৃথক বাহিনী হিসাবে কর্মরত ছিল। ১৯৭১ সালের ২রা আগস্ট সরকারীভাবে রাজাকার বাহিনী গঠিত হওয়ার পর উহার প্রধান কে ছিলেন এবং পদবী কি ছিল তদন্তকালে তা সংগ্রহ করলেও এই মুহূর্তে তা বলতে পারছি না। মুজাহিদ এবং আল শামস বাহিনীর প্রধান কে ছিলেন এবং তাদের পদবী কি ছিল তাহাও আমি তদন্তাকালে সংগ্রহ করেছিলাম তবে এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।
কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি এবং ঢাকা জেলা ও শহর কমিটি গঠেেনর মিটিংয়ে মতিউর রহমান নিজামী উপস্থিত ছিলেন মর্মে কোন তথ্য আমি তদন্তকালে পাই নাই। কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি এবং ঢাকা জেলা ও শহর কমিটির কোন মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে মতিউর রহমান নিজামী সাহেব বক্তব্য দিয়েছিলেন এই ধরনের কোন তথ্য প্রমাণ আমি তদন্তকালে পাই নাই। যশোর জেলা ও মহাকুমা এবং চট্টগ্রাম জেলা, শহর ও মহকুমার শান্তি কমিটির কোন মিটিংএ মতিউর রহমান নিজামী সাহেব কোন বক্তব্য দিয়েছিলেন এই ধরনের কোন তথ্য আমি তদন্তকালে পাইনাই। মিরপুর এবং মোহাম্মদপুর এলাকার শান্তি কমিটির ও মিরপুর এলাকায় রাজাকার, আল শামস এবং মুজাহিদ বাহিনীর দায়িত্বে কে ছিলেন তাহা আমি তদন্তকালে সংগ্রহ করতে পারি নাই।
প্রদর্শনী-১ এ সিরাজুল ইসলাম মতলিব সভাপতি, ইসলামী ছাত্রসংঘ, কোন এলাকার বা কোথাকার সভাপতি এই চিঠিতে তাহা উল্লেখ নাই। সিরাজুল ইসলাম মতলিব সাহেবের সাথে তদন্তকালে আমার দেখা হয়েছিল। তদন্তকালে তাকে নোটিশ দিয়ে ডেকে নিয়ে এসে তার জবানবন্দী আমি রেকর্ড করেছিলাম। তার হাতের লেখা সংগ্রহ করে বিশেষজ্ঞের মতামত সংগ্রহের জন্য তা প্রেরণ করি নাই। আমি হস্তলিপি বিশারদ নই। আমার নিকট প্রদত্ত জবানবন্দীতে সিরাজুল ইসলাম সাহেব প্রদর্শনী- ১ চিঠিটি লেখার কথা অস্বীকার করেছেন। মেজর ফখরুল ইসলাম তৎকালীন মৌলভীবাজার মহকুমার সেনাবাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। এই তথ্যটি আমি মৌলভী বাজার মহকুমা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট মিসির উল্লাহর জবানবন্দী থেকে পেয়েছি। তবে তাকে আমি এই মামলায় সাক্ষী মান্য করি নাই। মিসির উল্লাহ মুসলিম লীগ করতেন। পিডব্লিউ-১ মিসবাহুর রহমান চৌধুরীর পিতা মরহুম আব্দুর রহমান চৌধুরী মুসলিম লীগ করতেন কিনা তাহা আমার জানা নাই। মৌলভীবাজার জেলার ইতিহাস নামক বইটি আমি পর্যালোচনা করি নাই। মিসবাহুর রহমান চৌধুরী রাজাকার ছিলেন কিনা তাহা আমি জানিনা। তবে তিনি ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্য ছিলেন। প্রদর্শনী-১ এর মূল চিঠিটি যে এ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম খান সাহেবের নিকট আছে বলা হয়েছে তার ঠিকানা সংগ্রহের জন্য মিসবাহুর রহমান সাহেবেকে ৬বার অনুরোধ করেছি, কিন্তু তিনি পরে দিবেন বলে ঠিকানা দেননি। এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান সাহেবের এই চিঠিটি আছে মর্মে মিসবাহুর রহমান চৌধুরী কোন থানায় জিডি করেছিলেন মর্মে আমাকে কোন তথ্য দেন নাই। (চলবে)


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন