রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

চিফ জাস্টিসের প্রশ্ন // কি মিস্টার এডিশনাল এটর্নি জেনারেল প্রাইভেট প্রাকটিস কি শেষ হয়েছে?



মেহেদী হাসান, 29/9/2013
আপিল বিভাগের আজকের কার্যতালিকায় মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল আবেদন শুনানী বিষয়ক মামলাটি ছিল ৩৩ নম্বর ক্রমিকে। ৩৩ নং ক্রমিক পর্যন্ত আসার আগেই সকালের সেশন ১১টায় শেষ হয়ে যায় । এক ঘন্টা বিরতির পর ১২টায় আবার আপিল বিভাগ বসে। ১২টায় কোর্ট বসার দুয়েক মিনিটের মাথায় মাওলানা সাঈদীর মামলার নাম ঘোষনা কর হয়। কিন্তু তখন ডান পাশের বেঞ্চে যেখানে এ মামলার শুনানীর সময় এটর্নি জেনারেল এবং তার অফিসের অন্যান্য সিনিয়র সরকারি আইনকর্মকর্তারা বসেন তারা কেউ উপস্থিত ছিলেননা।  কোর্টে উপস্থিত জুনিয়র দুজন আইনজীবী সামনের বেঞ্চে বসা ছিলেন। বিষয়টির প্রতি তখন প্রধান বিচারপতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পেছনের বেঞ্চ থেকে আরেকজন সাদা শশ্রুমন্ডিত আইনজীবী সামনের বেঞ্চে গিয়ে বসেন। এরপর মাওলানা সাঈদীর পক্ষে অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ট্রাইব্যুনালের রায় পড়ে শোনাতে শুরু করেন। ১২টা ১৫ মিনিটের মাথায় হন্তদন্ত হয়ে আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এমকে রহমান। তখন প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন বলেন, কি মিস্টার এডিশনাল এটর্নি জেনারেল প্রাইভেট প্রাকটিস কি শেষ হয়েছে আপনার? এখানে আসা তো আপনার পার্ট টাইম। ওইটা হল আসল তাইনা? এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, কোর্টের দিকে একটু খেয়াল রাখবেন। মামলা কার্য তালিকায় পেছনে তাতে কি হয়েছে। মিস্টার রাজ্জাক সাহেব তো সকাল থেকে এখানে বসে আছেন।
এরপর আবার রায় পড়ে শোনাতে শুরু করেন এস এম শাহজাহান। ১২টি ২০ মিনিটের মাথায় আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তখন প্রধান বিচারপতি তার উদ্দেশে বলেন, মিস্টার এটর্নি জেনারেল, এখানে ম্যাটেরিয়াল এক্সিবিট হয়ে লাভ নেই। ম্যাটেরিয়াল এক্সিবিট একম পছন্দ করিনা আমরা। মামলা যখন ধরেছেন একটু সিনসিয়ার হোন। কোর্ট শুরু হয়ে গেছে কিন্তু আপনাদের কেউ নেই । প্রক্সি দেয়ার জন্যও তো অন্তত কাউকে রাখতে পারেন।
এরপর এটর্নি জেনারেল চুপ করে বসে পড়েন।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে আজ ১৯ নম্বর অভিযোগ পর্যন্ত রায় পড়ে শোনানো হয়েছে। একটা বাজলে আদালত আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি ঘোষনা করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন