রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

আলবদর হাইকমান্ড নেতা নিজামীর নির্দেশে সাক্ষীর স্বামীকে ধরে নিয়ে যাবার কথা শাহরিয়ার কবিরের বইতে নেই।


মেহেদী হাসান, ২২/৯/২০১৩
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে ২৩ তম সাক্ষী সৈয়দা সালমা মাহমুদ এর জবানবন্দী গ্রহণ করা হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর। আজ তার জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
সাক্ষী সৈয়দা সালমা মাহমুদ তার জবানবন্দীতে বলেছেন ১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর তার স্বামী ডা. আজহারুল হককে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়। আলবদর বাহিনীর হাইকমান্ড নেতা মতিউর রহমান নিজামীর নির্দেশে তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তিনি জানান। সাক্ষী  তার জবানবন্দীতে বলেন, তার স্বামীকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাবার সময় তিনি অস্ত্রধারীদের পরিচয়  জিজ্ঞাসা করেন। তখন তারা তাকে জানান যে,  তারা  আলবদর বাহিনীর সদস্য। তাদের  হাই কমান্ড নেতা মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের নির্দেশে তারা তার  স্বামীকে ধরে নিতে এসেছে।

আজ  জেরায় সাক্ষীকে প্রশ্ন করা হয় ১৯৯৮ সালে শাহরিয়ার কবির এর  ‘বাংলাদেশে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা’ বইটি প্রকাশের আগে শাহরিয়ার কবির আপনার স্বামী হত্যা বিষয়ে  আনপার সাক্ষাৎকার নিয়েছিল কি-না। সাক্ষী জানান তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন । এরপর সাক্ষীকে প্রশ্ন করা হয় আলবদর হাইকমান্ড নেতা মাওলানা নিজামীর নির্দেশে আপনার স্বামীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এ কথা শাহরিয়ার কবিরকে আপনি তখন বলেছিলেন কি-না । সাক্ষী জানান, বলেছেন।
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম  সাক্ষ্য গ্রহনের পর আমাকে জানান, আলবদর হাইকমান্ড নেতা মতিউর রহমান নিজামীর নির্দেশে তার স্বামীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে যে কথা সাক্ষী এখানে বলেছেন তা শাহরিয়ার কবিরের  বইতে নেই। সেখানে অন্য কথা আছে। তার স্বামী হত্যা বিষয়ে অপর একজনকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মর্মে উল্লেখ আছে।

জেরা :
প্রশ্ন : আপনি লেখাপড়া কতদূর করেছেন?
উত্তর : দশম শ্রেণী।
প্রশ্ন : আপনারা কয় ভাইবোন?
উত্তর : সাত ভাই  দুই বোন।
প্রশ্ন : আপনি জবানবন্দীতে যে মদিরা খালার কথা বলেছেন তিনি  হচ্ছেন বিএমএ-এর বর্তমান সেক্রেটারী ইকবাল আর্সালান এর ফুফু।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : ইকবাল আর্সালান এর পিতার নাম ডাঃ আসজাদ।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : ডাঃ আসজাদ ১৯৯১ সালে জামায়াতে ইসলামীর দলীয় টিকেটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন
উত্তর : আমার স্মরন নাই।
প্রশ্ন : তিনি আদৌ এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন কিনা সেটাই কি আপনার স্মরন নাই?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন :  মদিরা খালার সাথে আপনার পরিচয় কতদিনের?
উত্তর : তিনি  আমার মায়ের মামাতো বোন এবং তার সাথে আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই পরিচয় আছে।
প্রশ্ন : তিনি কি জীবিত?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের আগে থেকেই ডাঃ আসজাদ সাহেবকে চিনতেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : তিনি ঐ সময় কোন দল করতেন তা জানেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আপনি  বিয়ের পরেই স্থায়ীভাবে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : আপনার স্বামী ডাঃ আজহার সাহেব কোন রাজনৈতিক দল বা ছাত্র সংগঠনের সদস্য ছিলেন কিনা জানেন?
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : ১৯৭০ সালের ছাত্র রাজনীতি সম্পর্কে কোন ধারনা আছে?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র সংগঠন বাদে অন্য কোন সংগঠন স্বাধীনতার বিরোধী ভূমিকা পালন করেছিল কি-না তা আপনার জানা আছে?
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : আপনার স্বামী হাতিরপুলস্থ সাইদা ফার্মেসীতে কবে যোগ দেয়?
উত্তর : ১৯৭১ সালের মে/জুন মাসের দিকে
প্রশ্ন : আপনি  ঐ ফার্মেসীতে কোন দিন গিয়েছেন?
উত্তর : প্রয়োজন হয় নাই।
প্রশ্ন :  বিহারী আলীর বাড়ি কোথায় ছিল জানেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : বিহারীর যে ফার্মেসির কথা বলেছেন সেই ফার্মেসির বিহারী আলীকে ককনো দেখেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : আমার বাড়ির কর্মচারী শাহাদাতের বাড়ি কোথায়?
উত্তর : বরিশালের গৌর নদী।
প্রশ্ন : সে কি এখন জীবিত?
উত্তর : ১৯৭১ সালের পর থেকে আমার আর যোগাযোগ নাই তার সাথে।
প্রশ্ন : আপনারা খান বাহাদুর আব্দুল হাকিম সাহেবের যে বাড়িতে থাকদেন সে বাড়িটি বর্তমানে ঐ অবস্থাতেই আছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : সেই বাড়ির পাশে একটি তেতুল গাছ ছিল।
উত্তর : গেটের পাশে ছিল।
প্রশ্ন : আপনি যে ডাঃ কামরুজ্জামানের কথা বলেছি তিনি বর্তমানে জীবিত আছেন ?
উত্তর : বলতে পারছি না, কারণ তার সাথে আমার যোগাযোগ নাই।
প্রশ্ন : ডাঃ শামসুদ্দিন সাহেব কি জীবিত আছেন?
উত্তর : সম্ভবত জীবিত আছেন, তবে তার সাথে আমার যোগাযোগ নাই।
প্রশ্ন : সৈয়দ নসরুল্লাহকে চেনেন?
উত্তর : তিনি আমার আপন চাচাতো ভাই।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে তিনি কি করতেন?
উত্তর : ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন।
প্রশ্ন : তিনি জীবিত আছেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : সৈয়দ আশরাফুজ্জামান আফরোজ আপনার আরেকজন চাচাত ভাই।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : তিনি ১৯৭১ সালে কি করতেন?
উত্তর :  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
প্রশ্ন : আপনার যে ভাই  ভাই এস টি এস মাহমুদ এর কথা বলেছেন তিনি পুরো মুক্তিযুদ্ধকালে সরকারি চাকরি করেছেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : ডাঃ এহসানুল করিমের নাম শুনেছেন?
উত্তর : হ্যা, তিনি ইসলামী ছাত্র সংঘ করতো।
প্রশ্ন : তাকে কখনো দেখেচেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন :  আপনার  স্বামী ডাঃ আজহারুল হক আপনাকে  কখনও বলেছেন যে,  তার সাথে মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের কখনও সাক্ষাত হয়েছিল কিনা।
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ডা. এহসানুল হকের নাম কি  স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নাকি স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে শুনেছেন?
উত্তর : স্মরন নেই।
প্রশ্ন : আপনার  স্বামীকে হত্যার অভিযোগে কাউকে কলকাতা দমদম বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতার করে রমনা থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল কিনা মনে আছে?
উত্তর : স্মরন হচ্ছেনা।
প্রশ্ন : আমার স্বামীকে হত্যার অভিযোগে রমনা থানায় কোন মামলা হয়েছিল ?
উত্তর : আমার স্মরন নাই।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে অথবা ১৯৭২/১৯৭৩ সালে আপনার  স্বামীর হত্যাকান্ডের বিষয়ে রমনা থানার কোন পুলিশ আপনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল?
উত্তর : স্মরন নাই।
প্রশ্ন : দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আপনাদের পরিবারে পক্ষ থেকে আপনার স্বামীর হত্যাকান্ডের বিষয়ে কোন মামলা দায়ের করা হয়েছিল?
উত্তর : আমি স্মরন করতে পারছি না।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে আপনাদর বাসায় কোন পত্রিকা রাখা হত?
উত্তর : দৈনিক ইত্তেফাক এবং দৈনিক পাকিস্তান ।
প্রশ্ন : ঐ দুই পত্রিকায় মতিউর রহমান নিজামী সাহেবকে আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হিসাবে উল্লেখ করে পরিবেশিত কোন খবর আপনি পড়েছিলেন?
উত্তর : হ্যা পড়েছি।
প্রশ্ন : আপনার স্বামী আপনাদের এলাকার কোন আলবদরের নাম আপনাকে বলেছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন  দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বা আগে আপনাদের  হাতিরপুল এলাকার কোন আলবদরের নাম শুনেছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : হামিদুল হক চৌধুরী নামে কোন ব্যক্তির নাম শুনেছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন :  ক্যাপ্টেন তাহের এবং মেজর আসলাম এর নাম শুনেছেন?
উত্তর : আমার ভাই এসটিএস রমনা থানা থেকে ফেরত আসার পর তার মুখ থেকে শনেছি।
প্রশ্ন : জহির রায়হানের নাম আমি শুনেছেন?
উত্তর :  হাসান ইমাম সাহেবের নাম শুনেছেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন :  ব্যরিষ্টার আমিরুল ইসলামের নাম শুনেছেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন :  জহির রায়হান সাহেব, হাসান ইমাম সাহেব এবং আমিরুল ইসলাম সাহেব বিজয় অর্জনের পরে আপনার স্বামীর হত্যার বিষয়ে আপনার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন ?
উত্তর : আমার স্মরন নাই।
প্রশ্ন : দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে কোন সরকারী কর্মকর্তা আপনার  স্বামীর হত্যাকান্ডের বিষয়ে আপনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল?
উত্তর : আমার স্মরন নাই।
প্রশ্ন : ১৯৮৩ সালে বুদ্ধিজীবি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশের পূর্বে আপনার  স্বামীর হত্যাকান্ডের বিষয়ে আপনার  নিকট থেকে কোন সাক্ষাৎকার  নিয়েছিল?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : গনতদন্ত কমিশনের কাছে কোন সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন আপনার স্বামী হত্যা বিষয়ে ?
উত্তর :  গণ তদন্ত কমিশন আমার কাছে না যাওয়ায় আমার স্বামীর হত্যাকান্ডের বিষয়ে আমি তাদের নিকট কোন বক্তব্য দেই নাই।
প্রশ্ন :  শাহরিয়ার কবির সাহেব তার লিখিত বাংলাদেশে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বইটি১৯৯৮ সালে  প্রকাশের আগে আপনার  স্বামীর হত্যাকান্ডের বিষয়ে আপনার  সাক্ষাৎকার নিয়েছিল?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : আপনি আপনার জবানবন্দীতে বলেছেন আপনার  স্বামীকে আলবদরের হাইকমান্ড মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের নির্দেশে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপনার স্বামীকে ধরে নিতে আসা অন্যান্য আলবদররা একথা আপনাকে বলেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। এই কথাগুলো কি আপনা শাহরিয়ার কবির সাহেবকে বলেছিলেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : এই  ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ছাড়া আপনি কখনো মতিউর রহমান নিজামীকে সরাসরি দেখেননি।
উত্তর : সত্য।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের তদন্তের জন্য সরকারীভাবে কোন তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল বলে শুনেছিলেন?
উত্তর : হয়তো শুনেছিলাম।
প্রশ্ন : বেসরকারী তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছিল কিনা শুনেছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের নীল নকশা প্রনয়ন হয়েছিল  ডেইলি অবজারভার ভবনে শুনেছিলেন?
উত্তর: বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশার কথা শুনেছি তবে অবজারভার ভবনে হয়েছিল কিনা জানিনা।
প্রশ্ন : দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে খান এ সবুর খান এর বাসা থেকে  বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের নীল নকশার নথিপত্র উদ্ধার হয়েছিল মর্মে শুনেছেন?
উত্তর : নীলনকশার নথিপত্র উদ্ধারের কথা শুনেছি তবে  নীল নকশাটি খান এ সবুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল কিনা তাহা আমার স্মরন নাই।

কনট্রাডিকশন ও সাজেশন
“মাঝে মাঝে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে গিয়েও চিকিৎসা সেবা দিতেন।” বা “বেলা ২ টার পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও আমার স্বামী আহত মুক্তিযোদ্ধাদের গোপনে চিকিৎসা দিতেন।” বা “তখন আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করি “তোমরা কারা? আমার স্বামীকে কোথায় নিয়ে গেলে?”, তখন উত্তরে তারা বললো “আমরা আলবদর বাহিনীর সদস্য, আমাদের হাই কমান্ড মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের নির্দেশে আপনার স্বামী ডাঃ আজাহারুল হক ও ডাঃ হুমায়ুন কবিরকে নিতে এসেছি”।” বা “যেহেতু তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন সেহেতু তিনি ঐ মুহূর্ত্বে লুকিয়ে ছিলেন। আর্মিদের কর্ডন ঐ এলাকা থেকে উঠে যাওয়ার পর আমার সেই ভাই বাড়িওয়ালার বাসায় গিয়ে আমার আরেক ভাই ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ তুলুস শামস্ যিনি তখন ওয়াপদার নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন তাকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান।” একথাগুলি আমি তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট বলি নাই, ইহা সত্য নহে।
অন্যান্যদের সাথে “মতিউর রহমান নিজামী সাহেবের পরিকল্পনা ও নীল নকশা অনুযায়ী বাংলাদেশকে মেধা শূণ্য করা, পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল” একথাগুলো আমি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বলি নাই, ইহা সত্য নহে।
বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের নীল নকশা ডেইলী অবজারভার ভবনে হয়েছিল এটা জেনেও আমি গোপন করেছি, ইহা সত্য নহে। বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের নীল নকশা নথিপত্র খান এ সবুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তাহা জানা সত্ত্বেও আমি গোপন করেছি, ইহা সত্য নহে।
মতিউর রহমান নিজামী সাহেব একটি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা হওয়ায় এবং তার আদর্শের সাথে আমি এক মত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আমি অসত্য সাক্ষ্য দিলাম, ইহা সত্য নহে। (জেরা সমাপ্ত)

জেরায় মিজানুল ইসলমাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর  আহমেদ আনসারী, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, আসাদ উদ্দিন প্রমুখ। আগামীকাল  মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে দুজন সিজার লিস্টোর সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনের কথা রয়েছে। এছাড়া হাজী মোবারকের বিরুদ্ধেও আগামীকাল সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য ধার্য্য রয়েছে।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন