শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগ


মেহেদী হাসান, ১১/১২/২০১৩
স্কাইপ  কেলেঙ্কারির দায় মাথায় নিয়ে অবশেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম পদত্যাগ করেছেন। আজ  বিকালে সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তিনি পদত্যাগপত্র জমা  দেন। আইন সচিব শেখ মো: জহিরুল হক তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক  মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিচারপতি  নাসিমের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে  জানান, শিগগিরই ট্রাইব্যুনালে (১) নতুন  একজন চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হবে।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন কেলেঙ্কারির দায় নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যনালের চেয়ারম্যান  পদত্যাগ করলেও এর কার্যক্রম পরিচালনা  নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে। কারণ দুটি ট্রাইব্যুনালের  কার্যক্রমের সাথে জড়িত বিচারক ও প্রসিকিউশনের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে স্কাইপিতে এমন কিছু সংলাপ রয়েছে যা আইন ও সংবিধান বিরোধী ।

আজ সকালে ট্রাইব্যুনাল-১ বসার কথা থাকলেও বসেনি। সোয়া দুইটার দিকে  চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের  অনুপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনাল বসে।    এরপর বিকালে তার পদত্যাগের খবর আসে। 

এর আগে  গত ২৮ আগস্ট এই ট্রাইব্যুনালের একজন সদস্য বিচারক জহির আহমেদকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এখন তিন সদস্যের এই ট্রাইব্যুনালে দুইজন সদস্য থাকলেন যারা বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার অনেক পরে  ট্রাইব্যুনালে যোগদান করেন।

ট্রাইব্যুনালের বিচার বিষয়ে বিচারপতি নিজামুল হক বেলজিয়ামে অবস্থানরত ড. আহমেদ জিয়া উদ্দিনের সাথে   স্কাইপ সংলাপ  বা ভিডিও কথোপকথন করেছেন বিভিন্ন সময়ে। ইমেইলেও বিচারের  বিভিন্ন বিষয় আদান প্রদান করেছেন।  তার সকল ভিডিও কথোপকথনের রেকর্ড এবং ইমেইল ডকুমেন্ট বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ সাময়িকী দি ইকনোমিস্টের কাছে চলে যায়।  দৈনিক আমার দেশও একটি বিদেশী সূত্র থেকে এ  সংলাপ ও ডকুমেন্ট পাওয়ার কথা জানায়। এরপর   বিচারপতি নিজামুল হকের  দীর্ঘ স্কাইপ সংলাপ গত রোববার থেকে ধারাবাহিকভাবে  প্রকাশ করা শুরু করে   আমার দেশ।   এ নিয়ে দেশে বিদেশে তুমুল ঝড়  ওঠে।    বিচারপতি নিজামুল হকের কথোপোকথনের বিষয়বস্তু পড়ে স্তম্ভিত হয়ে পড়ে গোটা জাতি। বিশিষ্ট আইনজ্ঞরা একে  দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে আখ্যায়িত করেন। একজন বিচারপতির জন্য এর চেয়ে খারাপ কোন অসদাচরন আর  হতে পারেনা বলেও  মন্তব্য করেন তারা।

বিচারপতি নিজামুল হক ড. আহমেদ জিয়া উদ্দিনের সাথে যেসব কথাবর্তা বলেছেন তার মধ্যে  রয়েছে  অভিযুক্তদের  মামলার শুনানী কখন হবে, কোন মামলার রায় আগে হবে, কোনটার  রায় পরে  হবে, কোন ট্রাইব্যুনালে কোন মামলায় কতজন সাক্ষী আসামী পক্ষকে আনতে দেয়া হবে, রায়ের কাঠামো কি হবে,  অধ্যাপক গোলাম আযমের মামলায় সাক্ষী  সুলতানা কামাল, মুনতাসির মামুন এবং জেনারেল কে এম শফিউল্লাহকে দিয়ে কোন কোন বিষয় কিভাবে বলানো হবে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।  বিচারের রায়ের কাঠামো কি হবে সে বিষয়ে  বেলজিয়াম থেকে আহমেদ  জিয়া উদ্দিনের মাধ্যমে লিখিয়ে আনা বিষয়ে  তথ্য আদান প্রদান হয়।  পুরো বিচার প্রকৃয়া নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের সাথে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যানের  গোপন যোগসাজস, আইনমন্ত্রী, আইন প্রতিমন্ত্রীর সাথে যোগসাজসসহ বিচার  কার্যক্রমের সাথে যে  বাইরের আরো  বিভিন্ন মহলের প্রভাবে  এবং ইশারা ইঙ্গিতে চলেছে  তা জানা যায় এ সংলাপ ফাঁস হওয়ার  মাধ্যমে।  বিশেষ করে সুদুর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থানরত ড, আহমেদ জিয়াউদ্দিনই যে এ বিচারের বিভিন্ন গতি প্রকৃতি নির্ধারন  করে দিচ্ছিলেন তা স্পষ্ট হয়েছে। ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিন  এ বিচার প্রকৃয়ার গতি প্রকৃতি নির্ধারনের জন্য  কোন কোন ব্যক্তি এবং মহলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন তাও  স্পষ্ট হয়ে যায়।    এ কারনে দেশের আইনজ্ঞ মহল থেকে বলা হয়েছে এ বিচার যে একটি সাজানো নাটক এবং প্রহসন ছিল তা প্রমানিত হয়েছে।

বিচারপতি নিজামুল   হকের সাথে কথোপকথনের এক পর্যায়ে  ড. জিয়াউদ্দিন কোন ট্রাইব্যুনালের কোন মামলা  এগিয়ে আনতে হবে, কোনটি পিছিয়ে দিতে হবে সেজন্য দুই ট্রাইব্যুনালের সব বিচারপতিদের আইনমন্ত্রীর বাসায় তিনি বসার ব্যবস্থা করবেন  বলে স্কাইপির মাধ্যমে আলাপকালে জানান বিচারপতি নিজামুল হককে।

বিচারপতি নিজামুল হক আলোচনার এক পর্যায়ে বলেন, “গভর্নমেন্ট রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে। সাঈদীরটা হলে ডিসেম্বরের মধ্যে রায় দেতে পারবো। গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া। তারা একটা রায় চায়।  সাঈদীর রায়ডা হইয়া গেলে গভর্নমেন্ট ঠাণ্ডা হইত।..আমাদের তো স্টেট মিনিস্টার (কামরুল ইসলাম) যাচ্ছে হজে। আজকে আসছিল আমার লগে দেখা করতে সন্ধ্যায়। ওনি বললেন যে রায়টা তাড়াতাড়ি দেবেন। ”

৬ সেপ্টেম্বরের কথোপকথনে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেন, ‘সিনহা বাবু কইছে-ডিসম্বরের মধ্যে তিনডা দিয়া লন, তারপর আমরা আপনারে এহানে নিয়া আসি।’
চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনের কাছে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম জানতে চান, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চার্জের  কপিটা আছে কি না। তিনি এ-ও বলেন, ‘থাকতেই হবে, থাকতেই হবে। তো, এই জিনিসগুলোর রিপলাইডা আপনি যদি একটু ইয়ে করে দেন আমাকে। তাইলে আমি জাজমেন্টর জন্য একটু রেডি হইতে পারি।’
একই দিনের স্কাইপি কথোপকথনে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম  বলেন, ‘জাজমেন্টের কাজ তো শুরু করছি আমি, অন্য কাজ ফেলাইয়া টাইপ শুরু করছি আমি।’ তখন তাকে আহমদ জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘আপনি ওই জায়গাটাকে, আপনি করেন কি যে... এ জায়গাটিতে একটু গ্যাপ রাখেন। কারণ এখনও লিগ্যাল আরগুমেন্ট কিন্তু তারা প্লেস করে নাই।’  এ থেকে বোঝা যায়  আরগুমেন্ট শুরুর আগেই বিচারপতি নিজামুল হক  রায় লেখার কাজ শুরু করে দেন এবং রায়ের কিছু বিষয় লিখে পাঠানোর জন্য ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। 

নিজামুল হক নাসিম  নাসিম সংলাপের সময় বলেন, “এই গোলাম আযম হইলো টিম লিডার। সাঈদী সাইড ট্র্যাক। সাঈদীর লগে আপনার লিডার-টিডারশিপের কোনো প্রশ্ন আসতেছে না। গোলম আযমের রায়ের পরে আপনার নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান—সবগুলা রায় হইতে পারে, এর পরে। কিন্তু গোলাম আযম ফাস্টে। ওই গ্রুপের থেকে একমাত্র সাঈদী, সাকা এরা বায়রায় (বাইরে)। সাকারে তো আমি থামাইয়াই দিছি। সাঈদীরে থামাচ্ছি না। কারণ, সাঈদী প্রায় শেষ। এইটা যদি উনাদেরকে বইল্লা... এইডা ওনাদেরকে (ট্রাইব্যুনাল-২) হায়ার লেভেল থেইকা বইল্লা, থামায়া দিতে হবে যে, আপনি কাদের মোল্লারে ঢিল দেন। ঢিল দিয়া বাকিগুলারে সামনে আগান। কেননা, ওই যে অ্যাবসেন্ট যে আছে, ওর নাম জানি কী...? ও বাচ্চু, হ্যারে দিয়া শুরু করেন। আরেকজনরে নিয়া আগান সামনে। এরপর আপনার, পর পর ৩-৪টা রায় দিয়া দেন, অসুবিধা নাই কোনো। বাট আফটার গোলাম আযম। নট বিফোর দ্যাট।”


বিচারপতি জহির আহমেদকে পদত্যাগে বাধ্য করার পর নতুন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয় ট্রাইব্যুনালে। এ বিষয়ে বিচারপতি নিজামুল হক দীর্ঘ আলোচনা করেছেন ড. জিয়াউদ্দিনের সাথে।  বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের  বিষয়ে তিনি বলেন,  “তাকে বলে দেয়া হয়েছে চেয়ারম্যান যা বলবে তুমি তাতে শুধু ইয়স বলবা।  তুমি যা বলবা রুমে বলবা, কোর্টে চেয়ারম্যান যা বলবে তাতে ওকে বলবা”
এছাড়া বিচারপতি নিজামুল   হক ট্রাইব্যুনালের নতুন সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনকে সোনা জাহাঙ্গীর, দুর্নীতি পরায়ন বলেছেন। আইনপ্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে কামরুল টামরুল, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে খাতুন টাতুন সহ আরো  বিভিন্ন ব্যক্তিকে চোরসহ বিভিন্নভাবে ব্যাঙ্গ করে কথা বলেছেন। তাদেরকে আওয়ামী বলে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করেছেন। (বিচারপতি নিজামুল হক ছাত্র জীবনে জাসদ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিলেন)।

এছাড়া ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য বিচারপতি আনোয়ারুল হকের বিষয়ে বিচারপতি নিজামুল হক বলেন আমরা দুইজন শক্ত আছি।
এসব আলোচনা থেকে এটা পরিষ্কার যে  ট্রাইব্যুনালে তিনজন সদস্য থাকলেও মূলত বিচারপতি নিজামুল হকের একক সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন হত। এবং তার সিদ্ধান্ত গ্রহনের পেছনে বাইরের বিভিন্ন ব্যক্তি, মহলের প্রভাব ছিল।

বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম আলোচনার এক পর্যায়ে  বলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুমকে শুধু লাফায়। আমি তাকে বসিয়ে দিয়েছি। পরে তাকে রুমে ডাকাই। মালুম বলে এটাই ঠিক আছে। আমি শুধু দাড়িয়ে যাব আপনি আমাকে বসিয়ে দেবেন। লোকে দেখবে আমাদের মধ্যে কোন খাতির নেই।

ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি জহির আহমেদকে সচিবালয়ে ডেকে  আইনমন্ত্রলয় পদত্যাগে বাধ্য করেছিল সে বিষয়টিও উল্লেখ আছে বিচারপতি নিজামুল হকের সংলাপে।   এ সংলাপ থেকে জানা যায় বিচারক জহির আহমেদকে আইনমন্ত্রীর বাসায় ডেকে প্রথমে পদত্যাগ করতে বলা হয়।  এরপর সচিবালয়ে ডেকে পদত্যাগে স্বাক্ষর রাখা হয়।

স্কাইপি সংলাপের কথা স্বীকার করে বিচারপতি নিজামুল হক গত ৬ ডিসেম্বর ইকনোমিস্টের বিরুদ্ধে একটি রুল জারি করেন । ইকনোমিস্ট  যাতে তার গোপন সংলাপ ফাঁস না করে সেজন্য তাদের প্রতি নির্দেশ দেয়া  হয়। এ রিপোর্ট ফাঁস হওয়ার পর থেকে  গতকাল পর্যন্ত আসামী  পক্ষের আইনজীবীরা  ট্রাইব্যুনাল-১ এ যায়নি। 
গত রোববার থেকে দৈনিক আমার দেশ সে সংলাপ ফাঁস করতে থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয় ওই রিপোর্ট বন্ধ করে  দেয়ার জন্য।  গতকাল আমার দেশ বিষয়ে আদেশ দেয়ার কথা থাকলেও ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান আসেননি।
এরপর থেকেই ট্রাইব্যুনালে আসা সাংবাদিকরা বলাবলি করতে থাকেন তিনি হয়ত আর আসবেননা এবং সেটাই  সত্য  হল শেষ পর্যন্ত।
২০১০ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন হয়। এ ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে জামায়াতের সাবেক  আমীর অধ্যাপক গোলাম  আযম, আমীর মতিউর রহমান নিজামী, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধরীসহ আরো কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। একমাত্র মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার কার্যক্রম শেষ হয়েছে।


বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি  (ঘাদানিক)  গঠিত  জাতীয়  গণতদন্ত কমিশিনের সেক্রেটারিয়েট এর সদস্য ছিলেন। বর্তমানে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে   বন্দী  অধিকাংশ নেতাসহ  মোট ১৬ জন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে যুদ্ধাপরাধী আখ্যায়িত করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য  এ কমিশন গঠন করা হয়েছিল।

বিচারপতি নিজামুল হক  নাসিম  ১৯৯২ সালে জাহানারা    ইমামের নেতৃত্বে পরিচালিত  গনআদালতের মাধ্যমে  অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রদত্ত প্রতিকী  রায় বাস্তাবায়নের দাবিতে তখন সমাবেশে  অংশ নিয়েছিলেন।  এ বিষয়ে সকল প্রমান হাজির করে আসামী পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে পদত্যাগের দাবি করা হয়  ২০১১ সালের মাঝামাঝি থেকে।  এ নিয়ে দীর্ঘ আইনী লড়াই  চলে। দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরাও তার প্রতি  পদত্যাগের দাবি জানান। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বারের পক্ষ থেকেও  সম্মিলিতভাবে আইনজীবী মহল তার পদত্যাগ দাবি করেন ন্যায় বিচারের স্বার্থে।  তার পদত্যাগের দাবিদে  ট্রাইব্যুনাল বর্জনের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেননি।

ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন আইনী বিষয় নিয়ে আসামী পক্ষ থেকে একের পর এক বানের মত দরখাস্ত আসতে থাকে দীর্ঘ সময় ধরে। কিন্তু সমস্ত চাপ উপেক্ষা করে তিনি শক্ত হাতে পরিচালনা করতে থাকেন ট্রাইব্যুনাল। বাতিল করেন আসামী পক্ষের অসংখ্য আবেদন।  অবশেষে কেলেঙ্কারি মাথায় নিয়ে সরে যেতে হল বিচারপতি নিজামুল হককে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন