সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৩

১৯৭১ সালে পাকিস্তানে অবস্থান বিষয়ে সাক্ষী হিসেবে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিসহ জীবিত অনেকের নাম বললেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী


মেহেদী হাসান
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, গনহত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেসব অপরাধ সংঘটনের  সময়কাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে মূলত এপ্রিল এবং অক্টোবর মাসে। সাক্ষীরাও বলেছেন তারা রাউজান রাঙ্গুনিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এপ্রিল মাসে হত্যা এবং গনহত্যায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে অংশ নিতে দেখেছেন।

কিন্তু আজ  সোমবার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন ১৯৭১ সালে  তিনি পাকিস্তান ছিলেন। বাংলাদেশে ছিলেননা। পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। ১৯৭১ সালে তার পাকিস্তান অবস্থান বিষয়ে বাংলাদেশের এবং পাকিস্তানের জীবিত অনেক ভিআইপি ব্যক্তিবর্গের নাম  উল্লেখ করেছেন তিনি। বাংলাদেশে যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন সুপ্রীম কোর্টের বর্তমান বিচারপতি শামীম হাসনাইনের নাম। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেছেন শামীম হাসনাইন তার সাথে তখন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন এবং তিনি তার বন্ধু ছিলেন।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানে অবস্থান বিষয়ে পাকিস্তানে বর্তমানে জীবিত যেসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নাম উল্লেখ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এবং ২০০৮ সালে কেয়ারটেকার সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মিয়া সামরু, সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইসকাহ খান খাকওয়ানী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিদ্দিক খান কানজু প্রমুখ। এরা সকলেই তার কাসমেট ছিলেন। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ট্রাইব্যুনালে বলেন, আমি যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ছিলাম সে মর্মে তারাসহ আরো অনেকে এফিডেভিড পাঠিয়েছেন আমাকে। তারা আমার পক্ষে এসে সাক্ষ্য দিতে চান কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তাদের এদেশে আসার বিষয়ে ভিসা দিচ্চেনা।

১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান  সালাহউদ্দিন কাদের সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিচার চলছে। নিজের পক্ষে নিজে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তিনি আজ  ট্রাইব্যুনালে এসব তথ্য উত্থাপন করেন।

ইংরেজিতে প্রদান করা জবানবন্দীতে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ আমি করাচির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করি।  আমার বন্ধু এবং  কাজিন কাইউম রেজা চৌধুরী আমাকে তেজগাও বিমানবন্দরে পৌছে দেন। পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) ডিস্ট্রিক ম্যানেজার হামিদ জংয়ের সহায়তায় আমি একটি সিট পাই। ওইদিন সন্ধ্যায় আমি করাচি পৌছাই। সেখানে আমাকে আমার স্কুল জীবনের বন্ধু মুনিব আরজুমান্দ খান এবং মেহমুদ হারুনের প্রাইভেট সেক্রেটারি  রিসিভ   করে আমাকে। মেহমুদ হারুন পরে  হামিদ জংকে একটি ধন্যবাদ বার্তা পাঠিয়েছিলেন আমাকে সিট ম্যানেজ করে দেয়ার জন্য।
আমি মেহমুদ হারুনের বাড়ি- সিফিল্ড, ভিক্টোরিয়া রোড, করাচিতে উঠলাম। তিন হারুন ব্রাদার যথা ইউসুফ এ হারুন, মেহমুদ এ হারুন এবং সাইয়্যেদ এ হারুন ছিল স্যার আব্দুল্লাহ হারুনের ছেলে। বৃটিশ ইন্ডিয়ায় স্বাধীন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় আমার পিতার রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক  পৃষ্ঠপোষক  ছিলেন স্যার আব্দুল্লাহ হারুন। হারুন ভ্রাতৃত্রয় মধ্য পঞ্চাশের দশক থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করেছেন। তারা ছিল আলফা ইন্স্যুরেন্স এর মালিক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহামন  এর একজন উপদেষ্টা ছিলেন।  করাচির সিফিল্ডে আমি ১৯৭১ সালের এপ্রিলে তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত    থেকেছি। এসসময় সিফিল্ডে ইউসুফ এ হারুনের সাথে আমার  কয়েকবার দেখা হয় স্বাভাবিকভাবে। তখন তিনি ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। হারুন পরিবার ছিল ডন গ্রপ অব পাবলিকেশন্স এর মালিক এবং ডন পত্রিকা যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর দাবির প্রতি  সমর্থন জানিয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এর প্রতিদানে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর হিথ্রো এয়ারপোর্টে মেহমুদ এ হারুনের কথা স্মরন করেছিলেন।  দুই পরিবারের বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রীয় সফরে ইউসুফ এ হারুন ঢাকায় আসলে শেখ হাসিনা তার সাথে সাক্ষাত করেন।
ইউসুফ এ হারুন এক বছর আগে মারা গেছেন। মেহমুদ এ হারুন মারা যান  তিন বছর আগে । আম্বার হারুন সাইগল নামে বর্তমানে মেহমুদ এ হারুনের এক  কন্য রয়েছেন। ১৯৭১ সালে এপ্রিলের  প্রথম তিন সপ্তাহ যে আমি করাচি তাদের বাসায় ছিলাম  সে মর্মে আম্বার হারুন সাইগল একটি বিবরন এফিডেভিড করে পাঠিয়েছেন। করাচি থাকাকালে  মুনিব আরজুমান্দ খান এবং মোহাম্মদ মিয়া সামরুর সাথে আমার পরিচয় হয়। সাদিক পাবলিক স্কুলে পড়ার সময় সামরু ছিলেন আমার কাসমেট । সামরু পরবর্তীতে ২০০৮ সালে পাকিস্তানের কেয়ারটেকার সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন এবং ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেন। মুনিব আরজুমান্দ খান  এবং সামরু দুজনেই আমার ১৯৭১ সালের এপ্রিলে পাকিস্তান অবস্থান বিষয়ে বিবরন দিয়ে এফিডেভিড পাঠিয়েছেন। তারা আমার পক্ষে সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয়ার ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু ইসলামবাদে বাংলাদেশের দূতাবাস তাদেরকে ভিসা দিচ্ছেনা।
আমার ঢাকার বন্ধু সালমান এফ রহমান, নিজাম আহমেদ, কাইউম রেজা চৌধুরী, আরিফ জিওয়ানীম ওসমান সিদ্দিক, রেজাউর রহমান এরা সকলেই এপ্রিল মাসে ঢাকার ভয়াবহ পরিস্থিতির কারনে করাচিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
ওসমান সিদ্দিকির পিতা ছিলেন তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার বদলী কাগজপত্র পাঠানোর ব্যাপারে তিনিই আমাকে সব ধরনের সহায়তা করেন। ঢাকা থেকে কাগজপত্র পাবার পর আমার বন্ধু ইসহাক খান খাকওয়ানীর পরামর্শে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। এরপর তার সাথেই বসবাস শুরু করলাম। এপ্রিলের  তৃতীয় সপ্তায় আমি লাহোর পৌছলাম এবং  ইসহাক খান খাকওয়ানির আল-আজম বাড়িতে বাস করা শুরু করলাম। এটা ছিল ৭, ওয়াহদাত কলোনি রোড, লাহোর।
আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স শেষ বর্ষে ভর্তি  হলাম বদলী ছাত্র হিসেবে। এখানে আমার বন্ধু শামীম হাসনাইনের সাথে সাক্ষাৎ হল। তিনি ১৯৭১ সালে মে মাসে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তার সাথে  ১৯৬৬ সাল থেকে নটরডেম কলেজে থাকতে আমার পরিচয়। এরপর একসাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং খাকওয়ানীর বাড়িতেও শামীম হাসনাইনের সাথে আমার দেখা সাক্ষাৎ হত। লাহোরে থাকতে যাদের সাথে আমার দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন রিয়াজ নূন, নাঈম আখন্দ, মোহাম্মদ মিয়া সামরু। তারা প্রত্যেকেই লাহোর থাকা বিষয়ে এফিডেভিড পাঠিয়েছেন। আমি যে ১৯৭১ সালে তাদের সাথে লাহোর ছিলাম সে মর্মে তারা আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিতে চান  কিন্তু তাদেরকে বাংলাদেশে আসার বিষয়ে ভিসা দেয়া হচ্ছেনা। আম্বার হারুন সাইগল এখন হেরাল্ড গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স এর চেয়ারম্যান। তিনিও আমার পক্ষে সাক্ষ্য দিতে চান কিন্তু তাকেও ভিসা দেয়া হচ্ছেনা বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে।
১৯৭১ সালের মে মাসে আমি আমার পুরনো কাসমেট নাসির খান খাকওয়ানীর এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য  মুলতান গিয়েছিলাম। আমার সাথে সিদ্দিক খান কানজু, নাঈম আখন্দ, রিয়াজ নূন, ইসহাক খান খাকওয়ানী ছিল । জুন জুলাই এবং আগস্ট মাসে আমার অবস্থান  লাহোরে সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ আমি ফাইনাল পরীক্ষার পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সিলেবাসের কারনে আমি  বেশ চাপে ছিলাম এবং শামীম হাসনাইন এবং আমি দীর্ঘ সময় লাইব্রেরিতে কাটাতাম। এসময় লাহোরে আমার পরিচিত আর যেসব বাঙ্গালী ছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন আমার কাজিন ফারহানা রহমান, এবং হুসাইন রহমান। ফারহানা তখন লাহোরে  কিনিয়ার্ড কলেজে পড়ত। আর হুসাইন রহমান ছিল আমার নটরডেম কলেজের এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  বন্ধুৃ। ফারহানা এবং হুসাইন রহমান পরষ্পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। মুলতানে আমি আমার বন্ধুর বিবাহ অনুষ্ঠানে যাবার সময় তাদেরও দাওয়াত করেছিলাম কিন্তু তারা কেউ রাজি হয়নি।
লাহোর থাকার সময় সেখানে আমার কাছে যারা গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন সালমান এফ রহমান। তিনি তিন থেকে চারবার আমার কাছে গিয়েছিলেন। তিনি থাকতেন স্যার সিকান্দার হায়াত খানের ছেলে সরদার শওকত হায়াত খানের সাথে।
১৯৭১ সালের আগস্টে পরীক্ষা শেষে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে পাকিস্তানের উত্তারাঞ্চলের পার্বত্য অঞ্চল মারিতে যাই তিন সপ্তাহের জন্য।   ইসহাক খান খাকওয়ানী, রিয়াজ  নূন, নাঈম আখন্দ, সালমান এফ রহমান, সিদ্দিক খান  কানজু, মুনিব আরজুমান্দ খান এবং আমি  গিয়েছিলাম সেখানে। লাহোর ফিরে এসে আমরা আমাদের বন্ধু রিয়াজ নূনকে ১৯৭১ সালের ২৪ অথবা ২৫ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে বিদায় জানালাম। এর মধ্যে ইসহাক খান খাকওয়ানী, নাঈম আখন্দ এবং আমি লাহোর থেকে লন্ডন যাত্রার প্রস্ততি নিলাম সড়কপথে। আমার বাবা সম্ভবত ৮ অক্টোবর লাহোর আসলেন এবং অ্যাম্বাসেডর হোটেলে ছিলেন । সম্ভবত ১৯ অক্টোবর আমি তাকে সেখানে বিদায় জানালাম। সেটাই ছিল আব্বার সাথে আমার জীবনের শেষ দেখা (এসময় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কাঠগড়ায় আবেগ আপ্লূত হয়ে পড়েন এবং রুমাল দিয়ে চোখ মোছেন)।

আমরা লাহোর থেকে প্রথমে ইসলামাবাদে যাত্রাবিরতি করলাম। সেখানে আমার কাজিন জর্জিয়ার বাসায় উঠলাম দুপুরে। তার স্বামী হেদায়েত আহমেদ ছিলেন ক্যাবিনেট ডিভিশনের ডেপুটি সেক্রেটরি। ওইদিন রাতে আমরা পেশওয়ার গেলাম এবং আমার স্কুল জীবনের বন্ধু মুসা আখতার আফরিদির বাসায় থাকলাম। ১৯৭১ সালের ১২ অক্টোবার আমরা পাকিস্তানের তোখরাম সীমান্ত পাড়ি দিলাম। এরপর  আফগানিস্তান, ইরান, তুরস্ক, বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, হল্যান্ড এবং ফ্রান্স হয়ে লন্ডন পৌছলাম নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তায়।  ইসহাক খান এবং নাঈম দুই সপ্তাহ পর লন্ডন থেকে চলে গেল। আর আমি সেখানে রয়ে গেলাম এবং লিঙ্কন ইনে ভর্তি হলাম।

পাকিস্তানে অবস্থানকালে যাদের সাথে বসবাস করেছেন এবং দেখাসাক্ষাৎ হয়েছে তাদের পরিচয় দিয়ে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ইসকাহ খান খাকওয়ানী পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রী, সিদ্দিক খান কানজু পররাষ্ট্রমন্ত্রী, মোহাম্মদ মিয়া সামরু  পাকিস্তান কেয়ারটেকার সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। নিয়াজ নূর ছিলেন ভিকারুননিসা নূন এবং স্যার ফিরোজ রেজা নূনের নাতি। শামীম হাসনাইন বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টর বিচারপতি এখন। সালমান এফ রহমান এফবিসিসিআই;র সাবেক সভাপতি । অন্যান্যরাও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বদে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
১৯৭১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যে ছিলেন বলে জানান।
আগামীকাল মঙ্গলবার একঘন্টার মধ্যে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জবানবন্দী প্রদান শেষ হবার কথা রয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী এবং বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন