সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৩

বিচারপতি শামীম হাসনাইন এর চিঠি


২৮/৭/২০১৩
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক পাঁচজন সাক্ষীর সংখ্যা নির্ধারন  করে দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী আসামী পক্ষ থেকে পাঁচজন সাক্ষীর তালিকা জমা দেয়। সাক্ষীর তালিকায় হাইকোর্টের কর্মরত বিচারপতি শামীম হাসনাইন এর  নাম ছিল। বিচারপতি শামীম হাসনাইন ট্রাইব্যুনালে এসে সাক্ষ্য দিতে আগ্রহী ছিলেন। সে জন্য অনুমতি চেয়ে তিনি গত ২২ জুলাই প্রধান বিচারপতি বরাবর একটি চিঠি লিখেন তিনি। তবে সে চিঠির কোন জবাব তিনি পাননি। এদিকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুীর পক্ষে চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়ে যায় ২৪ জুলাই। এদিন পঞ্চম সাক্ষীও হাজিরের জন্য ধার্য্য ছিল। কিন্তু আসামী পক্ষ পঞ্চম সাক্ষী হিসেবে বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে এদিন হাজির করতে ব্যর্থ হয় । তখন ট্রাইব্যুনাল আসামী পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব বন্ধ ঘোষনা করে মামলার যুক্তি উপস্থাপনের তারিখ ধার্য্য করেন ২৮ জুলাই। আসামী পক্ষ থেকে আবেদন দাখিল করে বলা হয় পঞ্চম সাক্ষী হাজিরের জন্য তাদের আরো সময় দেয়া হোক এবং মামলার যুক্তি উপস্থানের যে তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে তা মুলতবি রাখা হোক। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল  এ আবেদন খারিজ করে দেয়।
এরপর আজ  রোববার ২৮ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষের  যুক্তি উপস্থানের দিন আসে। আসামী পক্ষ থেকে  ট্রাইব্যুনালে আবারো একটি আবেদন দিয়ে বলা হয় পঞ্চম সাক্ষী বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে হাজির না করা পর্যন্ত যুক্তি উপস্থাপন মুলতবি রাখা হোক। ট্রাইব্যুনাল এ আবেদন বিষয়ে আগামীকাল  সিদ্ধান্ত হবে মর্মে  উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষকে যুক্তি উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।


বিচারপতি শামীম হাসনাইনের চিঠি :
প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন বরাবর ইংরেজিতে পাঠানো চিঠিতে বিচারপতি শামীম হাসনাইন লিখেছেন, “আমি জানতে পেরেছি যে, সালাহউদ্দিন চৌধুরী মামলায় আমার নাম আসামী পক্ষের সাক্ষীর তালিকায় রাখা হয়েছে আসামী পক্ষ থেকে। আসামী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী লাহোরের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কাসমেট ছিলেন। আমার ধারণা সে কারনে হয়ত তিনি তার পক্ষে আমাকে সাক্ষী মেনেছেন। এটা সত্য ঘটনা যে, ১৯৭১ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করেছেন। আমার সহকর্মীরা আমাকে জানিয়েছেন যে, হাইকোর্টের একজন কর্মরত বিচারপতি হিসেবে যেকোন কোর্টে সাক্ষী হিসেবে হাজির হতে আমার বারন রয়েছে।
একদিকে আমার অফিসিয়াল বাধ্যবাধকতা/আচরনবিধি এবং অন্যদিকে আমার বিবেক-এ দুই অবস্থার মধ্যে আমি ঘুরপাক খাচ্ছি। কাজেই আমার সাক্ষ্যদান বিষয়ে যদি কোন বাঁধা থাকে তবে সে বিষযে বিবেচনার জন্য আপনার সহযোগিতা কামনা করছি। ”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন