২৭/১/২০১৩
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলায় আসামী পক্ষের পুনরায় যুক্তি উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে। আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আজ দিনব্যাপী যুক্তি উপস্থাপন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ।
এসময় তিনি ট্রাইব্যুনালে বলেন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী তিনবার অবিচারের শীকার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ১৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দী তাদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহন করা হয় আইনের ১৯.২ ধারায়। এর মাধ্যমে তিনি প্রথমবার অবিচারের শীকার হয়েছেন । এরপর আমরা ১৫ সাক্ষী বিষয়ে সেফ হাউজের সমস্ত ডকুমেন্ট হাজির করে দেখিয়েছি যে, এসব সাক্ষীদের অনেকে রাষ্ট্রপক্ষের হেফাজতে ঢাকায় ছিল। তারা তাদের শেখানো মতে সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় তাদেরকে ইচ্ছা করে রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালে হাজির করেনি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ৪৩ দিন পর্যন্ত কয়েক দফায় সেফ হাউজে ছিল। তার সমস্ত ডকুমেন্ট আমরা হাজির করেছি এবং তাদের সাক্ষ্য বাতিলের জন্য দরখাস্ত করেছিলাম। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হল আমরা নিজেরা ওইসব ডকুমেন্ট তৈরি করেছি এবং তা জাল। আমাদের আনিত ডকুমেন্টকে অস্বীকার করে বহাল রাখা হল তাদের সাক্ষ্য। এর মাধ্যমে মাওলানা সাঈদী দ্বিতীয়বার অবিচারের শীকার হয়েছেন।
এরপর বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশের পর আমরা তা ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুনরায় বিচার দাবি করেছি। কিন্তু পুনরায় বিচারের আবেদন গ্রহণ না করে তার প্রতি তৃতীয়বারের মত ঐতিহাসিক অবিচার করা হল তার ওপর। আশা করছি চতুর্থ বার তিনি ন্যায় বিচার পাবেন।
ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপ কেলেঙ্কারির জের ধরে ট্রাইব্যুনাল-১ এ নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের প্রেক্ষাপটে মাওলানা সাঈদীর মামলায় পুনরায় পাঁচদিন শুনানীর জন্য ধার্য্য করেন ট্রাইব্যুনাল। আসামী পক্ষের জন্য বরাদ্দ করা নির্ধারিত তিনদিন পার হয়ে গেলেও তাদের যুক্তি পেশ শেষ না হওয়ায় তা অব্যাহত রয়েছে।
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণসহ যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরোধীতা করে আইনী যুক্তি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন এ অভিযোগের ধারে কাছেও নেই মাওলানা সাঈদী। রাষ্ট্রপক্ষ খুব হালকাভাবে নিয়েছেন গনহত্যার মত মারাত্মক একটি অভিযোগকে। ইচ্ছা হল আর তাই বসিয়ে দেয়া হয়েছে গণহত্যার অভিযোগ। গণহত্যার যেসব উপাদান এবং সংজ্ঞা রয়েছে তার কোন কিছুরই ধার ধারেননি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা বিষয়ে।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ খন্ডন করে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বের অনেকগুলো মামলার নজির তুলে ধরেন ট্রাইব্যুনালে।
ট্রাইব্যুনাল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাককে অনুরোধ করেছিলেন গতকালের মধ্যে তার যুক্তি উপস্থান শেষ করার জন্য। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন আগামীকাল (আজ) দুপুরের মধ্যে তিনি শেষ করতে পারবেন। ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী এরপর রাষ্ট্রপক্ষ এক ঘন্টা সময় পাবে জবাব দেয়ার জন্য। মামলায় যুক্তি উপস্থান শেষ করার মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শেষ হয়ে যায় এবং নিয়ম অনুযায়ী এরপর মামলার রায়ের তারিখ ঘোষনা করা হয়।
যুক্তি উপস্থাপনে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাককে গতকাল সহায়তা করেন ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলায় আসামী পক্ষের পুনরায় যুক্তি উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে। আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আজ দিনব্যাপী যুক্তি উপস্থাপন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ।
এসময় তিনি ট্রাইব্যুনালে বলেন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী তিনবার অবিচারের শীকার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ১৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দী তাদের অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহন করা হয় আইনের ১৯.২ ধারায়। এর মাধ্যমে তিনি প্রথমবার অবিচারের শীকার হয়েছেন । এরপর আমরা ১৫ সাক্ষী বিষয়ে সেফ হাউজের সমস্ত ডকুমেন্ট হাজির করে দেখিয়েছি যে, এসব সাক্ষীদের অনেকে রাষ্ট্রপক্ষের হেফাজতে ঢাকায় ছিল। তারা তাদের শেখানো মতে সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় তাদেরকে ইচ্ছা করে রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালে হাজির করেনি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ৪৩ দিন পর্যন্ত কয়েক দফায় সেফ হাউজে ছিল। তার সমস্ত ডকুমেন্ট আমরা হাজির করেছি এবং তাদের সাক্ষ্য বাতিলের জন্য দরখাস্ত করেছিলাম। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হল আমরা নিজেরা ওইসব ডকুমেন্ট তৈরি করেছি এবং তা জাল। আমাদের আনিত ডকুমেন্টকে অস্বীকার করে বহাল রাখা হল তাদের সাক্ষ্য। এর মাধ্যমে মাওলানা সাঈদী দ্বিতীয়বার অবিচারের শীকার হয়েছেন।
এরপর বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশের পর আমরা তা ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুনরায় বিচার দাবি করেছি। কিন্তু পুনরায় বিচারের আবেদন গ্রহণ না করে তার প্রতি তৃতীয়বারের মত ঐতিহাসিক অবিচার করা হল তার ওপর। আশা করছি চতুর্থ বার তিনি ন্যায় বিচার পাবেন।
ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপ কেলেঙ্কারির জের ধরে ট্রাইব্যুনাল-১ এ নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের প্রেক্ষাপটে মাওলানা সাঈদীর মামলায় পুনরায় পাঁচদিন শুনানীর জন্য ধার্য্য করেন ট্রাইব্যুনাল। আসামী পক্ষের জন্য বরাদ্দ করা নির্ধারিত তিনদিন পার হয়ে গেলেও তাদের যুক্তি পেশ শেষ না হওয়ায় তা অব্যাহত রয়েছে।
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণসহ যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরোধীতা করে আইনী যুক্তি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন এ অভিযোগের ধারে কাছেও নেই মাওলানা সাঈদী। রাষ্ট্রপক্ষ খুব হালকাভাবে নিয়েছেন গনহত্যার মত মারাত্মক একটি অভিযোগকে। ইচ্ছা হল আর তাই বসিয়ে দেয়া হয়েছে গণহত্যার অভিযোগ। গণহত্যার যেসব উপাদান এবং সংজ্ঞা রয়েছে তার কোন কিছুরই ধার ধারেননি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা বিষয়ে।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ খন্ডন করে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বের অনেকগুলো মামলার নজির তুলে ধরেন ট্রাইব্যুনালে।
ট্রাইব্যুনাল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাককে অনুরোধ করেছিলেন গতকালের মধ্যে তার যুক্তি উপস্থান শেষ করার জন্য। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন আগামীকাল (আজ) দুপুরের মধ্যে তিনি শেষ করতে পারবেন। ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী এরপর রাষ্ট্রপক্ষ এক ঘন্টা সময় পাবে জবাব দেয়ার জন্য। মামলায় যুক্তি উপস্থান শেষ করার মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শেষ হয়ে যায় এবং নিয়ম অনুযায়ী এরপর মামলার রায়ের তারিখ ঘোষনা করা হয়।
যুক্তি উপস্থাপনে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাককে গতকাল সহায়তা করেন ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন