৩/১২/২০১২, সোমবার
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের আইনী যুক্তি উপস্থাপন আজ শেষ হয়েছে। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ হল তৎকালীন পিরোজপুর মহকুমার পুলিশ প্রধান শহীদ ফয়জুর রহমানকে হত্যায় সহযোগিতা করা।
আজ যুক্তি উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনালের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক এ বিষয়ে বলেন, শহীদ ফয়জুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা ফয়েজ জীবিত আছেন। তার ছেলে মেয়েরা জীবিত আছেন। কিন্তু তারা কেউ এ মামলায় সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আসেননি। তিনি বলেন, আয়েশা ফয়েজ কোথায়? তার যেসব ছেলে মেয়ে জীবিত আছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন ড. জাফর ইকবাল। তিবি কোথায়? জাফর ইকবালের তো এ মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ছুটে আসার কথা ছিল। শহীদ ফয়জুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা ফয়েজ স্বামী হত্যা বিষয়ে বই লিখেছেন। তিনি এ মামলায় সবচেয়ে ভাল সাক্ষী হতে পারতেন। কিন্তু তিনি কেন আসলেনননা? আয়েশা ফয়েজের মেয়ের জামাই অ্যাডভোকেট আলী হায়দার খান এই ট্রাইব্যুনাল থেকে মাত্র দুশ গজ দূরে হাইকোর্টে প্রাকটিস করেন। তিনিও আসেনি তার শশুরের হত্যাকান্ড বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে (অ্যাডভোকেট আলী হায়দার খানের বাড়ি পিরোজপুর এবং ১৯৭১ সালে শহীদ ফয়জুর রহমানের পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ ছিল)।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বসনিয়াসহ পৃথিবীর যেখানেই এ ধরনের যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়েছে সেখানেই ভুক্তভোগীর পরিবারের সমদস্যরা, আত্মীয়স্বজনরা কোর্টের সামনে লাইন দিয়ে ভিড় করেছে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য। কিন্তু আমরা শহীদ ফয়জুর রহমানের স্ত্রী, ছেলে মেয়েদের কাউকে এখানে সাক্ষী হিসেবে দেখলামনা। এ থেকে প্রমানিত যে, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা, সাজানো ষড়যন্ত্র। এটা এমনই এক ষড়যন্ত্র যে পাহাড় হেলে যায়।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে একমাত্র অভিযোগ তিনি একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ, তিনি কোরআনের তফসির করেন, তিনি জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার একটিতেও তার একদিনও শাস্তি হওয়া উচিত নয়।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ১৯টি অভিযোগের সবগুলোই বাতিল হওয়া উচিত, সবগুলো অভিযোগেই তাকে নির্দোষ ঘোষনা দেয়া উচিত। তিনি যে নির্দোষ সে মর্মে আমরা প্রমান দিতে সম্পূর্ণ সক্ষম হয়েছি। আশা করছি তিনি নির্দোষ প্রমানিত হবেন এবং খালাস পাবেন।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়। পৃথিবীর প্রথম রাজনৈতিক হত্যার শিকার হয়েছেন জুলিয়াস সিজার। খৃস্টপূর্ব ৪৪ সালে সেটি হয়েছে। তার ১৬০০ বছর পর এ নিয়ে নাটক লিখেছেন সেক্সপিয়ার। আজ এখানে যা হচ্ছে তা নিয়েও একদিন হয়ত কেউ নাটক লিখবে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে।
ট্রাইব্যুনালে যুক্তি উপস্থানের শেষ পর্যায়ে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার একটির সাথেও তার কোন সম্পর্ক নেই। এতবড় একটি মামলা এত বড় অভিযোগ তার বিরুদ্ধে কিন্তু আয়েশা ফয়েজ, ড. জাফর ইকবাল, এ মামলায় সাক্ষ্য দিতে আসলেননা।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পর অপর অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছেন। পারিবারিক সমস্যার কারনে তার যুক্তি উপস্থাপন বন্ধ ছিল কয়েকদিন।
গতকাল সকালে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাককে যুক্তি উপস্থাপনে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমেদ আনসারী।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের আইনী যুক্তি উপস্থাপন আজ শেষ হয়েছে। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ হল তৎকালীন পিরোজপুর মহকুমার পুলিশ প্রধান শহীদ ফয়জুর রহমানকে হত্যায় সহযোগিতা করা।
আজ যুক্তি উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনালের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক এ বিষয়ে বলেন, শহীদ ফয়জুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা ফয়েজ জীবিত আছেন। তার ছেলে মেয়েরা জীবিত আছেন। কিন্তু তারা কেউ এ মামলায় সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আসেননি। তিনি বলেন, আয়েশা ফয়েজ কোথায়? তার যেসব ছেলে মেয়ে জীবিত আছেন তাদের মধ্যে একজন হলেন ড. জাফর ইকবাল। তিবি কোথায়? জাফর ইকবালের তো এ মামলায় সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ছুটে আসার কথা ছিল। শহীদ ফয়জুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা ফয়েজ স্বামী হত্যা বিষয়ে বই লিখেছেন। তিনি এ মামলায় সবচেয়ে ভাল সাক্ষী হতে পারতেন। কিন্তু তিনি কেন আসলেনননা? আয়েশা ফয়েজের মেয়ের জামাই অ্যাডভোকেট আলী হায়দার খান এই ট্রাইব্যুনাল থেকে মাত্র দুশ গজ দূরে হাইকোর্টে প্রাকটিস করেন। তিনিও আসেনি তার শশুরের হত্যাকান্ড বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে (অ্যাডভোকেট আলী হায়দার খানের বাড়ি পিরোজপুর এবং ১৯৭১ সালে শহীদ ফয়জুর রহমানের পরিবারের সাথে তার যোগাযোগ ছিল)।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বসনিয়াসহ পৃথিবীর যেখানেই এ ধরনের যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়েছে সেখানেই ভুক্তভোগীর পরিবারের সমদস্যরা, আত্মীয়স্বজনরা কোর্টের সামনে লাইন দিয়ে ভিড় করেছে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য। কিন্তু আমরা শহীদ ফয়জুর রহমানের স্ত্রী, ছেলে মেয়েদের কাউকে এখানে সাক্ষী হিসেবে দেখলামনা। এ থেকে প্রমানিত যে, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা, সাজানো ষড়যন্ত্র। এটা এমনই এক ষড়যন্ত্র যে পাহাড় হেলে যায়।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে একমাত্র অভিযোগ তিনি একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ, তিনি কোরআনের তফসির করেন, তিনি জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার একটিতেও তার একদিনও শাস্তি হওয়া উচিত নয়।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ১৯টি অভিযোগের সবগুলোই বাতিল হওয়া উচিত, সবগুলো অভিযোগেই তাকে নির্দোষ ঘোষনা দেয়া উচিত। তিনি যে নির্দোষ সে মর্মে আমরা প্রমান দিতে সম্পূর্ণ সক্ষম হয়েছি। আশা করছি তিনি নির্দোষ প্রমানিত হবেন এবং খালাস পাবেন।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়। পৃথিবীর প্রথম রাজনৈতিক হত্যার শিকার হয়েছেন জুলিয়াস সিজার। খৃস্টপূর্ব ৪৪ সালে সেটি হয়েছে। তার ১৬০০ বছর পর এ নিয়ে নাটক লিখেছেন সেক্সপিয়ার। আজ এখানে যা হচ্ছে তা নিয়েও একদিন হয়ত কেউ নাটক লিখবে। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে।
ট্রাইব্যুনালে যুক্তি উপস্থানের শেষ পর্যায়ে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার একটির সাথেও তার কোন সম্পর্ক নেই। এতবড় একটি মামলা এত বড় অভিযোগ তার বিরুদ্ধে কিন্তু আয়েশা ফয়েজ, ড. জাফর ইকবাল, এ মামলায় সাক্ষ্য দিতে আসলেননা।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পর অপর অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছেন। পারিবারিক সমস্যার কারনে তার যুক্তি উপস্থাপন বন্ধ ছিল কয়েকদিন।
গতকাল সকালে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাককে যুক্তি উপস্থাপনে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমেদ আনসারী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন