১১/১১/২০১২ রোববার
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের সময় ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন শুনেছি ভাগিরথী হত্যা বিষয়ে নাটক নভেল হয়েছে। কোন নাটক নভেলে কি একথা আছে যে, তার হত্যার সাথে সাঈদী সাহেব জড়িত ছিলেন? এ বিষয়ে কোন ডকুমেন্ট আছে আপনাদের? তাহলে অন্তত বলতে পারতেন যে, জনশ্রুতি হিসেবে তার নাম আছে। কারণ জনশ্রুতির একটা মূল্য আছে। এরপর তিনি আবারো প্রশ্ন করেন কোন জনশ্রুতিও নেই এ বিষয়ে?
জবাবে সৈয়দ হায়দার আলী বলেন থাকলে আমরা দেব।
এসময় মাওলানা সাঈদীর পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ভাগিরথী বিষয়ে দুটি ডকুমেন্ট জমা দেয়া হয়েছে। একটি হল ১৯৭২ সালের আযাদ পত্রিকার খবর এবং আরেকটি হল ভাগিরথীর ছেলে গণেশ চন্দ্র সাহার জবানবন্দী। গণেশ তাদের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়নি। আমাদের পক্ষে দিয়েছেন। যেহেতু তিনি তাদের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়নি তাই তার জবানবন্দীর আর কি দাম রইল। তিনি আমাদের পক্ষে যা বলেছেন তাও যদি বাদ দেয়া হয় তাহলে থাকল শুধু আযাদের রিপোর্ট। আযাদের রিপোর্টে ভাগিরথী হত্যার সাথে সাঈদী সাহেবের কোন সম্পৃক্ততার কথা নেই।
আজ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনের সময় মাওলানা সাঈদীর পক্ষের সাক্ষীদের প্রদত্ত সাক্ষ্যের বৈপরিত্য তুলে ধরে তাদের বক্তব্য খন্ডন করেন সৈয়দ হায়দার আলী।
সৈয়দ হায়দার যুক্তি উপস্থাপন করেন সাঈদী সাহেব স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পিরোজপুরে ছিলেননা। তিনি পিরোজপুরের বাইরে পালিয়ে ছিলেন। সাঈদী সাহেবের পক্ষের সাক্ষী রওশন আলী বলেছেন ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত খুলনায় সাঈদী সাহেবের বাসায় তিনি কয়েকবার গেছেন। এ থেকে প্রমানিত যে, সাঈদী সাহেবে ১৯৭৩ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত খুলনায় ছিলেন। তাছাড়া সাঈদী সাহেবের ছেলে একটি ডকুমেন্ট জমা দিয়েছেন তার পিতার ওয়াজ মাহফিলের দাওয়াতনামা বিষয়ে। ১৯৭৪ সালের সে দাওয়াতনামায় সাঈদী সাহেবের নামের শেষে খুলনা লেখা আছে।
এসব থেকে একটা জিনিস প্রতিষ্ঠিত তাহল তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত পিরোজপুরে ছিলেননা, খুলনা ছিলেন। আমরা বলেছি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কারনে স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘদিন তিনি পিরোজপুরে ছিলেনা।
স্বাধীনতার পূর্ব থেকে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে মাওলানা সাঈদী যশোরে ছিলেন এ মর্মে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে পাঁচজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। রওশন আলী নামে এক সাক্ষী বলেছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধচলাকালে মে মাসের প্রথম থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সাঈদী সাহেব তাদের বাসায় ছিলেন সপরিবারে।
এ বিষয়ে সৈয়দ হায়দার আলী বলেন রওশন আলীর বাসায় সাঈদী সাহেব ছিলেন এটা সত্য । তবে তা স্বাধীনতার পরে, স্বাধীনতার আগে বা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নয়। তিনি বলেন, সাঈদী সাহেবের ছেলে মাসুদ সাঈদী বলেছেন তার পিতার পেশা ছিল লেখালেখি করা। ওয়াজ মাহফিল নয়। কিন্তু সাক্ষীরা বলেছেন, ওয়াজ মাহফিল করার কারনে তিনি যশোরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, যেটা তার পেশা নয় সে কারনে তিনি যশোরে গিয়ে বাসা ভাড়া করে কেন থাকবেন? লেখালেখির জন্য পিরোজপুর থেকে যশোরে গিয়ে থাকার কোন দরকার নেই। এটা হাস্যকর, অযৌক্তিক। আর সারা দেশে ওয়াজ করলে শুধু যশোরে গিয়ে বাসা ভাড়া করে কেন থাকবেন?
মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম তালুকদারের সাক্ষ্য খন্ডাতে গিয়ে সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা সেটা আমরা দ্বিমত করছিনা। কিন্তু তিনি কেন এসেছেন সেটা আমরা তুলে ধরতে চাই। সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, শামসুল আলম তালুকদার স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি ভাসানী ন্যাপ এর মশিউর রহমান জাদু মিয়ার গ্রুপের সাথে সম্পর্কিত ছিল। মশিউর রহমান জাদু মিয়ার গ্রুপটি স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল।
সৈয়দ হায়দার আলী বলেন এখনো শামসুল আলম তালুকদার একটি জোটের (১৮ দল) রাজনীতির সাথে জড়িত এবং তিনি জোটের একটি শরীক দলের নেতা। আগে থেকেই তিনি স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে যুক্ত থাকায় এবং বর্তমানেও একটি জোট রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততার কারনে তিনি সাঈদী সাহেবের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি এখানে এসে যা বলেছেন তা তার মতামত মাত্র।
ট্রাইব্যুনাল এসময় প্রশ্ন করেন একজন লোক কোন পক্ষের সাথে যুক্ত সেটা বড় বিষয় না তিনি যা বলেছেন তার সত্যাসত্য কি সেটা বড় বিষয়?
জবাবে সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, বলা হচ্ছে একজন মুক্তিযোদ্ধা এসে সাঈদী সাহেবের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সেজন্য আমরা বলেছি তিনি কি কারনে এখানে আসলেন। তার আসার কারণটা তুলে ধরেছি।
এভাবে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে অপর দুজন মুক্তিযোদ্ধা সাক্ষীর বক্তব্যও খন্ডন করার সময় তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং পরিচয় তুলে ধরেন তিনি।
মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা খসরুল আলম সম্পর্কে সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, সাক্ষী দাবি করেছেন তিনি ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। তিনি বলেছেন ছাত্রলীগে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে তখন ওয়াদাপত্র পূরন করতে হত। কিন্তু বাস্তবে তখন এ ধরনের কোন ব্যবস্থা ছিলনা। জবানবন্দীতে তিনি দাবি করেছেন পাড়েরহাটে ক্যাপ্টেন জিয়া উদ্দিনের কাছে রাজাকার এবং স্থানীয় লোকজন রাজাকারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। আবার জেরায় তিনি বলেছেন ক্যাপ্টেন জিয়া উদ্দিন তখন কারো কথা শোনেননি। তিনি শুধুমাত্র তার বক্তব্য দিয়ে পিরোজপুর চলে গেছেন।
সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, তার বক্তব্যে বৈপরিত্য রয়েছে।
আরেক সাক্ষী আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্য খন্ডন করে তিনি বলেন, সাক্ষী এক জায়গায় বলেছেন আমি দিনেও পালাইনি রাতেও পালাইনি। কারণ রাজাকারদের কোন চাপ ছিলনা তার ওপর। আবার আরেক স্থানে বলেছেন, তিনি তার দুলাভাইকে নিয়ে পালিয়ে পালিয়ে থেকেছেন। তার বক্তব্যও অসংলগ্ন।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের সময় ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন শুনেছি ভাগিরথী হত্যা বিষয়ে নাটক নভেল হয়েছে। কোন নাটক নভেলে কি একথা আছে যে, তার হত্যার সাথে সাঈদী সাহেব জড়িত ছিলেন? এ বিষয়ে কোন ডকুমেন্ট আছে আপনাদের? তাহলে অন্তত বলতে পারতেন যে, জনশ্রুতি হিসেবে তার নাম আছে। কারণ জনশ্রুতির একটা মূল্য আছে। এরপর তিনি আবারো প্রশ্ন করেন কোন জনশ্রুতিও নেই এ বিষয়ে?
জবাবে সৈয়দ হায়দার আলী বলেন থাকলে আমরা দেব।
এসময় মাওলানা সাঈদীর পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ভাগিরথী বিষয়ে দুটি ডকুমেন্ট জমা দেয়া হয়েছে। একটি হল ১৯৭২ সালের আযাদ পত্রিকার খবর এবং আরেকটি হল ভাগিরথীর ছেলে গণেশ চন্দ্র সাহার জবানবন্দী। গণেশ তাদের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়নি। আমাদের পক্ষে দিয়েছেন। যেহেতু তিনি তাদের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়নি তাই তার জবানবন্দীর আর কি দাম রইল। তিনি আমাদের পক্ষে যা বলেছেন তাও যদি বাদ দেয়া হয় তাহলে থাকল শুধু আযাদের রিপোর্ট। আযাদের রিপোর্টে ভাগিরথী হত্যার সাথে সাঈদী সাহেবের কোন সম্পৃক্ততার কথা নেই।
আজ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনের সময় মাওলানা সাঈদীর পক্ষের সাক্ষীদের প্রদত্ত সাক্ষ্যের বৈপরিত্য তুলে ধরে তাদের বক্তব্য খন্ডন করেন সৈয়দ হায়দার আলী।
সৈয়দ হায়দার যুক্তি উপস্থাপন করেন সাঈদী সাহেব স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পিরোজপুরে ছিলেননা। তিনি পিরোজপুরের বাইরে পালিয়ে ছিলেন। সাঈদী সাহেবের পক্ষের সাক্ষী রওশন আলী বলেছেন ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত খুলনায় সাঈদী সাহেবের বাসায় তিনি কয়েকবার গেছেন। এ থেকে প্রমানিত যে, সাঈদী সাহেবে ১৯৭৩ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত খুলনায় ছিলেন। তাছাড়া সাঈদী সাহেবের ছেলে একটি ডকুমেন্ট জমা দিয়েছেন তার পিতার ওয়াজ মাহফিলের দাওয়াতনামা বিষয়ে। ১৯৭৪ সালের সে দাওয়াতনামায় সাঈদী সাহেবের নামের শেষে খুলনা লেখা আছে।
এসব থেকে একটা জিনিস প্রতিষ্ঠিত তাহল তিনি ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত পিরোজপুরে ছিলেননা, খুলনা ছিলেন। আমরা বলেছি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কারনে স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘদিন তিনি পিরোজপুরে ছিলেনা।
স্বাধীনতার পূর্ব থেকে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে মাওলানা সাঈদী যশোরে ছিলেন এ মর্মে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে পাঁচজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। রওশন আলী নামে এক সাক্ষী বলেছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধচলাকালে মে মাসের প্রথম থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সাঈদী সাহেব তাদের বাসায় ছিলেন সপরিবারে।
এ বিষয়ে সৈয়দ হায়দার আলী বলেন রওশন আলীর বাসায় সাঈদী সাহেব ছিলেন এটা সত্য । তবে তা স্বাধীনতার পরে, স্বাধীনতার আগে বা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নয়। তিনি বলেন, সাঈদী সাহেবের ছেলে মাসুদ সাঈদী বলেছেন তার পিতার পেশা ছিল লেখালেখি করা। ওয়াজ মাহফিল নয়। কিন্তু সাক্ষীরা বলেছেন, ওয়াজ মাহফিল করার কারনে তিনি যশোরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, যেটা তার পেশা নয় সে কারনে তিনি যশোরে গিয়ে বাসা ভাড়া করে কেন থাকবেন? লেখালেখির জন্য পিরোজপুর থেকে যশোরে গিয়ে থাকার কোন দরকার নেই। এটা হাস্যকর, অযৌক্তিক। আর সারা দেশে ওয়াজ করলে শুধু যশোরে গিয়ে বাসা ভাড়া করে কেন থাকবেন?
মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম তালুকদারের সাক্ষ্য খন্ডাতে গিয়ে সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা সেটা আমরা দ্বিমত করছিনা। কিন্তু তিনি কেন এসেছেন সেটা আমরা তুলে ধরতে চাই। সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, শামসুল আলম তালুকদার স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি ভাসানী ন্যাপ এর মশিউর রহমান জাদু মিয়ার গ্রুপের সাথে সম্পর্কিত ছিল। মশিউর রহমান জাদু মিয়ার গ্রুপটি স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল।
সৈয়দ হায়দার আলী বলেন এখনো শামসুল আলম তালুকদার একটি জোটের (১৮ দল) রাজনীতির সাথে জড়িত এবং তিনি জোটের একটি শরীক দলের নেতা। আগে থেকেই তিনি স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে যুক্ত থাকায় এবং বর্তমানেও একটি জোট রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততার কারনে তিনি সাঈদী সাহেবের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি এখানে এসে যা বলেছেন তা তার মতামত মাত্র।
ট্রাইব্যুনাল এসময় প্রশ্ন করেন একজন লোক কোন পক্ষের সাথে যুক্ত সেটা বড় বিষয় না তিনি যা বলেছেন তার সত্যাসত্য কি সেটা বড় বিষয়?
জবাবে সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, বলা হচ্ছে একজন মুক্তিযোদ্ধা এসে সাঈদী সাহেবের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সেজন্য আমরা বলেছি তিনি কি কারনে এখানে আসলেন। তার আসার কারণটা তুলে ধরেছি।
এভাবে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে অপর দুজন মুক্তিযোদ্ধা সাক্ষীর বক্তব্যও খন্ডন করার সময় তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং পরিচয় তুলে ধরেন তিনি।
মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা খসরুল আলম সম্পর্কে সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, সাক্ষী দাবি করেছেন তিনি ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। তিনি বলেছেন ছাত্রলীগে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে তখন ওয়াদাপত্র পূরন করতে হত। কিন্তু বাস্তবে তখন এ ধরনের কোন ব্যবস্থা ছিলনা। জবানবন্দীতে তিনি দাবি করেছেন পাড়েরহাটে ক্যাপ্টেন জিয়া উদ্দিনের কাছে রাজাকার এবং স্থানীয় লোকজন রাজাকারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। আবার জেরায় তিনি বলেছেন ক্যাপ্টেন জিয়া উদ্দিন তখন কারো কথা শোনেননি। তিনি শুধুমাত্র তার বক্তব্য দিয়ে পিরোজপুর চলে গেছেন।
সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, তার বক্তব্যে বৈপরিত্য রয়েছে।
আরেক সাক্ষী আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্য খন্ডন করে তিনি বলেন, সাক্ষী এক জায়গায় বলেছেন আমি দিনেও পালাইনি রাতেও পালাইনি। কারণ রাজাকারদের কোন চাপ ছিলনা তার ওপর। আবার আরেক স্থানে বলেছেন, তিনি তার দুলাভাইকে নিয়ে পালিয়ে পালিয়ে থেকেছেন। তার বক্তব্যও অসংলগ্ন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন