২১/৪/১১
মেহেদী হাসান
স্টিফেন জে র্যাপ তার চিঠিতে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে বিদেশী আইনজীবীরা যাতে অংশ নিতে পারে সেজন্য সরকারের উদ্যোগ নেয়া উচিত। যেহেতু বিদেশী আইনজীবী আনার ক্ষেত্রে বার কাউন্সিলের অনুমোদন লাগে তাই সরকারের উচিত বারের কাছে এ বিষয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করা।
র্যাপ বলেন, যদিও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিদেশী আইনজীবী উপস্থিতির অনুমতি রয়েছে কিন্তু প্রদত্ত এ অধিকার ফলপ্রসু করতে হলে সরকারের সদিচ্ছা থাকতে হবে এবং সরকারের নিজের পক্ষ থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু অনুমতি দিয়ে রাখলেই চলবেনা। কারণ বিদেশী আইনজীবীদের এদেশে আসা এবং অবস্থানের বিষয়টি সরকারের ভিসানীতির ওপর নির্ভর করে।
বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রনে গত জানুয়ারি মাসে যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রকৃয়া বিষয়ে জানার জন্য ঢাকা সফরে আসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র্যাপ। আইনমন্ত্রী, পরারাষ্ট্রমন্ত্রী, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ আইনজ্ঞ এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের সাথে আলোচনা শেষে ওয়াশিংটন ফিরে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেণ র্যাপ। বিভিন্ন সুপারিশ সংবলিত সে প্রতিবেদন পররাষ্ট্র এবং আইনমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে সম্প্রতি।
র্যাপের চিঠিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধের বিষয়টি একটি খুবই বিশেষায়িত ক্ষেত্র এবং এসব বিচারের ক্ষেত্রে বিশ্বের সকল দেশে একই মাপকাঠি, পদ্ধতি এবং মান বজায় রাখা উচিত। আর এজন্যই বিদেশী আইনজীবী উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৪২ ধারায় বিদেশী আইনজীবীদের উপস্থিতির অনুমতি দেয়া হয়েছে। যেকোন পক্ষ বিদেশী আইনজীবী আনতে পারবে। তবে এ অধিকারকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে সরকারের উচিত বার কাউন্সিলের কাছে বিদেশী আইনজীবী আনার ব্যাপারে প্রস্তাব করা যাতে বার কাউন্সিল বিদেশী আইনজীবী আনার বিষয়টি অনুমোদন করে। আদালতের পক্ষ থেকে প্রধান কৌশুলী বিদেশী আইনজীবী আনার প্রস্তাব করতে পারে বার কাউন্সিলের কাছে। রুয়ান্ডায় গণহত্যার দ্রত বিচারের ক্ষেত্রে তাদের অভ্যন্তরীণ আদালতে বিদেশী আইনজীবী ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেণ র্যাপ।
র্যাপ তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন কম্পোডিয়ায় বিশেষ আদালত গ্যালারীতে এ পর্যন্ত ৭৩ হাজার দর্শক প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে। মূল বিচার এখনো শেষ হয়নি। কম্পোডিয়া এবং সিয়েরালিওনে যে বিচার চলছে তার প্রতি অধিকাংশ জনগণের সমর্থন রয়েছে এবং তারা মনে করে এ বিচার তাদের দেশে সামাজিক শান্তি স্থিতি এবং ঐক্য গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশেরও উচিত বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে সবাই যাতে সহজে জানতে পারে সে ব্যবস্থা রাখা ।
র্যাপ বলেন, বাংলাদেশ ৪০ বছর আগে ১৯৭১ সালে সংঘটিত অপরাধের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধ বিচারের লক্ষ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনালকে অনেক কঠিন পথ পারি দিতে হবে। কিন্তু তারপরও
বাংলাদেশ এর একটি ইতিবাচক সমাপ্তি টানাতে পারে যদি এদশের সব মানুষ মনে করে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং ন্যায়ভিত্তিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ বিচার সম্পন্ন হয়েছে।
র্যাপ তার চিঠিতে সর্বশেষ মন্তব্য করেণ এই বলে, “সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মান এবং বিচার প্রক্রিয়া বজায় রেখে কিভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন এ ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে একটি মডেল হতে পারে সে বিষয়ে আমার এ চিঠি সংলাপের পথ প্রশস্ত করবে বলে আমি আশা করি। ”
সাক্ষীদের নিরাপত্তার অভাব: স্টিফেন জে র্যাপ বলেন, ১৯৭৩ সালের আইনে সাক্ষীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়টি অনুপস্থিত রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস্তবিক ক্ষেত্রে দেখা গেছে অনেক সময় সাক্ষীদের সাক্ষ্যদান এবং সত্য উৎঘাটনের ফলে সাক্ষীর জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়। তাদেরকে ভয়ভীতি দেখানো হয় সাক্ষ্যদান থেকে বিরত থাকার জন্য। অনেক সাক্ষীর জীবন বিপন্ন হয়। সেজন্য অনেকে সাহস করে সাক্ষ্য দিতে চায়না। এ কারনে সাক্ষীদের পুরোপুরি নিরাপত্তার বিধান রাখা হয় আন্তর্জাতিক এসব আদালতের ক্ষেত্রে যাতে সাক্ষী সাহসের সাথে প্রকৃত চিত্র উপস্থাপন করতে পারে। নিরাপত্তার কারনে সাক্ষীর পরিচয় গোপন রাখারও বিধান রাখার ব্যবস্থা আছে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে। আসামী পক্ষের সাক্ষীর জন্য তার পূর্ণ পরিচয় গোপন রাখার বিধান আছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি)’র ৮৭ এবং ৮৮ ধারায় সাক্ষীর নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
সাক্ষীদের নিরাপত্তার জন্য ট্রাইব্যুনাল যাতে পদক্ষেপ নেয় সেজন্য সংবিধানে ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করেছেন র্যাপ। আইসিসিরি ৮৭ এবং ৮৮ ধারা অনুযায়ী সংযোজনী করা উচিত।
র্যাপ বলেন, ১৯৭৩ সালের আইনের ৯ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, “আদালতের সামনে তথ্য প্রমান, সাক্ষীদের তালিকা, রেকর্ডকৃত বক্তব্য প্রভৃতি উপস্থাপনে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় পাবেন প্রধান প্রকৌশলী। বিচার কাজ শুরু হওয়ার আগে তিনি এ সময় পাবেন। ” কিন্তু আসামী পক্ষকেও এজাতীয় সময় দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু উল্লেখ নেই। ধরে নেয়া যায় তারাও এ জাতীয় সুযোগ পাবে।
ইন্টারন্যাশনাল কনভেন্ট অন সিভিল এন্ড পলিটিক্যাল রাইটস (আইসিসিপিআর) এর ১৪ (৩) (বি) ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে তার আইনজীবীকে আদালতে তার পক্ষে সমস্ত সাক্ষ্য প্রমান উপাস্থাপনের প্রয়োজনীয় সময় এবং সুযোগ বরাদ্দের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। এ জাতীয় বিচারের জন্য বিশ্বে যত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল এবং বিশেষ আদালত হয়েছে তার সকল ক্ষেত্রে এ বিধান রাখা হয়েছে।
স্টিফেন জে র্যাপ রুয়ান্ডাসহ বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক আদালতের উদাহরণ টেনে বলেছেন যে, ঐসকল আদালতে মধ্যস্থতার একটি সুযোগ ছিল। বাংলাদেশেরও ট্রাইব্যুনালেও মধ্যস্থতার আবেদনের সুযোগ রাখার নিশ্চয়তার জন্য সংবিধানে একটি ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করছেন।
মেহেদী হাসান
স্টিফেন জে র্যাপ তার চিঠিতে বলেছেন, যুদ্ধাপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে বিদেশী আইনজীবীরা যাতে অংশ নিতে পারে সেজন্য সরকারের উদ্যোগ নেয়া উচিত। যেহেতু বিদেশী আইনজীবী আনার ক্ষেত্রে বার কাউন্সিলের অনুমোদন লাগে তাই সরকারের উচিত বারের কাছে এ বিষয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করা।
র্যাপ বলেন, যদিও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিদেশী আইনজীবী উপস্থিতির অনুমতি রয়েছে কিন্তু প্রদত্ত এ অধিকার ফলপ্রসু করতে হলে সরকারের সদিচ্ছা থাকতে হবে এবং সরকারের নিজের পক্ষ থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু অনুমতি দিয়ে রাখলেই চলবেনা। কারণ বিদেশী আইনজীবীদের এদেশে আসা এবং অবস্থানের বিষয়টি সরকারের ভিসানীতির ওপর নির্ভর করে।
বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রনে গত জানুয়ারি মাসে যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রকৃয়া বিষয়ে জানার জন্য ঢাকা সফরে আসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র্যাপ। আইনমন্ত্রী, পরারাষ্ট্রমন্ত্রী, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ আইনজ্ঞ এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের সাথে আলোচনা শেষে ওয়াশিংটন ফিরে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেণ র্যাপ। বিভিন্ন সুপারিশ সংবলিত সে প্রতিবেদন পররাষ্ট্র এবং আইনমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছে সম্প্রতি।
র্যাপের চিঠিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধের বিষয়টি একটি খুবই বিশেষায়িত ক্ষেত্র এবং এসব বিচারের ক্ষেত্রে বিশ্বের সকল দেশে একই মাপকাঠি, পদ্ধতি এবং মান বজায় রাখা উচিত। আর এজন্যই বিদেশী আইনজীবী উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৪২ ধারায় বিদেশী আইনজীবীদের উপস্থিতির অনুমতি দেয়া হয়েছে। যেকোন পক্ষ বিদেশী আইনজীবী আনতে পারবে। তবে এ অধিকারকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে সরকারের উচিত বার কাউন্সিলের কাছে বিদেশী আইনজীবী আনার ব্যাপারে প্রস্তাব করা যাতে বার কাউন্সিল বিদেশী আইনজীবী আনার বিষয়টি অনুমোদন করে। আদালতের পক্ষ থেকে প্রধান কৌশুলী বিদেশী আইনজীবী আনার প্রস্তাব করতে পারে বার কাউন্সিলের কাছে। রুয়ান্ডায় গণহত্যার দ্রত বিচারের ক্ষেত্রে তাদের অভ্যন্তরীণ আদালতে বিদেশী আইনজীবী ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেণ র্যাপ।
র্যাপ তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন কম্পোডিয়ায় বিশেষ আদালত গ্যালারীতে এ পর্যন্ত ৭৩ হাজার দর্শক প্রবেশের সুযোগ পেয়েছে। মূল বিচার এখনো শেষ হয়নি। কম্পোডিয়া এবং সিয়েরালিওনে যে বিচার চলছে তার প্রতি অধিকাংশ জনগণের সমর্থন রয়েছে এবং তারা মনে করে এ বিচার তাদের দেশে সামাজিক শান্তি স্থিতি এবং ঐক্য গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশেরও উচিত বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে সবাই যাতে সহজে জানতে পারে সে ব্যবস্থা রাখা ।
র্যাপ বলেন, বাংলাদেশ ৪০ বছর আগে ১৯৭১ সালে সংঘটিত অপরাধের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে। যুদ্ধাপরাধ বিচারের লক্ষ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনালকে অনেক কঠিন পথ পারি দিতে হবে। কিন্তু তারপরও
বাংলাদেশ এর একটি ইতিবাচক সমাপ্তি টানাতে পারে যদি এদশের সব মানুষ মনে করে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং ন্যায়ভিত্তিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ বিচার সম্পন্ন হয়েছে।
র্যাপ তার চিঠিতে সর্বশেষ মন্তব্য করেণ এই বলে, “সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মান এবং বিচার প্রক্রিয়া বজায় রেখে কিভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন এ ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে একটি মডেল হতে পারে সে বিষয়ে আমার এ চিঠি সংলাপের পথ প্রশস্ত করবে বলে আমি আশা করি। ”
সাক্ষীদের নিরাপত্তার অভাব: স্টিফেন জে র্যাপ বলেন, ১৯৭৩ সালের আইনে সাক্ষীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়টি অনুপস্থিত রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস্তবিক ক্ষেত্রে দেখা গেছে অনেক সময় সাক্ষীদের সাক্ষ্যদান এবং সত্য উৎঘাটনের ফলে সাক্ষীর জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়। তাদেরকে ভয়ভীতি দেখানো হয় সাক্ষ্যদান থেকে বিরত থাকার জন্য। অনেক সাক্ষীর জীবন বিপন্ন হয়। সেজন্য অনেকে সাহস করে সাক্ষ্য দিতে চায়না। এ কারনে সাক্ষীদের পুরোপুরি নিরাপত্তার বিধান রাখা হয় আন্তর্জাতিক এসব আদালতের ক্ষেত্রে যাতে সাক্ষী সাহসের সাথে প্রকৃত চিত্র উপস্থাপন করতে পারে। নিরাপত্তার কারনে সাক্ষীর পরিচয় গোপন রাখারও বিধান রাখার ব্যবস্থা আছে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে। আসামী পক্ষের সাক্ষীর জন্য তার পূর্ণ পরিচয় গোপন রাখার বিধান আছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি)’র ৮৭ এবং ৮৮ ধারায় সাক্ষীর নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
সাক্ষীদের নিরাপত্তার জন্য ট্রাইব্যুনাল যাতে পদক্ষেপ নেয় সেজন্য সংবিধানে ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করেছেন র্যাপ। আইসিসিরি ৮৭ এবং ৮৮ ধারা অনুযায়ী সংযোজনী করা উচিত।
র্যাপ বলেন, ১৯৭৩ সালের আইনের ৯ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, “আদালতের সামনে তথ্য প্রমান, সাক্ষীদের তালিকা, রেকর্ডকৃত বক্তব্য প্রভৃতি উপস্থাপনে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় পাবেন প্রধান প্রকৌশলী। বিচার কাজ শুরু হওয়ার আগে তিনি এ সময় পাবেন। ” কিন্তু আসামী পক্ষকেও এজাতীয় সময় দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু উল্লেখ নেই। ধরে নেয়া যায় তারাও এ জাতীয় সুযোগ পাবে।
ইন্টারন্যাশনাল কনভেন্ট অন সিভিল এন্ড পলিটিক্যাল রাইটস (আইসিসিপিআর) এর ১৪ (৩) (বি) ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে তার আইনজীবীকে আদালতে তার পক্ষে সমস্ত সাক্ষ্য প্রমান উপাস্থাপনের প্রয়োজনীয় সময় এবং সুযোগ বরাদ্দের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। এ জাতীয় বিচারের জন্য বিশ্বে যত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল এবং বিশেষ আদালত হয়েছে তার সকল ক্ষেত্রে এ বিধান রাখা হয়েছে।
স্টিফেন জে র্যাপ রুয়ান্ডাসহ বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক আদালতের উদাহরণ টেনে বলেছেন যে, ঐসকল আদালতে মধ্যস্থতার একটি সুযোগ ছিল। বাংলাদেশেরও ট্রাইব্যুনালেও মধ্যস্থতার আবেদনের সুযোগ রাখার নিশ্চয়তার জন্য সংবিধানে একটি ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন