১১/১/১১
ঢাকা সফররত যুদ্ধাপরাধবিষয়ক মার্কিন বিশেষ রাষ্ট্রদূত স্টিফেন জে. র্যাপকে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এবং যাকে তাকে ধরে শায়েস্তা করার জন্য সরকার ১৯৭৩ সালের যুদ্ধাপরাধ আইন সংশোধন করেছে । ২০০৯ সালের এ সংশোধনী বাংলাদেশের সংবিধানেরও পরিপন্থী।
স্টিফেন জে. র্যাপ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছেন। বার এসোসিয়েশনের কনফারেন্স রুমে বৈঠক শেষে বার সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন অপেক্ষমান সাংবাদিকদের বৃফিং দেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন, আমরা বারের পক্ষ থেকে তাকে বলেছি যুদ্ধাপরাধের বিচার বিষয়ে আমাদের কোন দ্বিমত নাই। আমরাও যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই। তবে সে বিচার হতে হবে নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ। বিচারের প্রতি মানুষের আস্থা থাকতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মানদণ্ড আছে সে অনুযায়ী বিচার হতে হবে। বিচারের জন্য যেসব বিচারক নিয়োগ করা হয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।
ঢাকা সফররত স্টিফেন জে. র্যাপ আজ ব্যস্ততম দিন অতিবাহিত করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তিনি বিভিন্ন মহলের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। আইনমন্ত্রী, সুপ্রীমকোর্ট বার এসোসিয়েশন, ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইবিউনালের চেয়ারম্যান, আইন কমিশন, ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইবিউনিলালের প্রসিকিউটর এবং অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীদের সাথে বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন মহলের সাথে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আদালত পরিদর্শন করে স্টিফেন।
বিকালে সুপ্রীম কোর্ট বার নেতৃবৃন্দের সাথে স্টিফেন জে. র্যাপের বৈঠকে রুয়ান্ডা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবিউনালের বিচারপতি এবং খ্যাতিমান আইনজীবী টিএইচখান, বার এসোসিয়েশন সভাপতি ব্যারিস্টার খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা, এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, এ্যাডভোটেক নিতায় রায় চৌধুরী, বার সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে খন্দকার মাহবুব বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ ধারায় সকলের ন্যয়বিচার পাবার কথা বলা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য যে আইনটি করা হয়েছে তার নাম ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইবিউনাল) এ্যাক্ট ১৯৭৩। আমরা স্টিফেনকে বলেছি ট্রাইবিউনালের নাম যেমন আন্তর্জাতিক তেমনি বিচারও হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের। ১৯৭৩ সালের আইনটি করা হয়েছিল পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য। বাংলাদেশের কারো বিচারের জন্য নয়। কিন্তু পরে এ আইনে সংশোধন করে ইন্ডভিজুয়ালস এবং গ্রুপ অব ইন্ডিভিজুয়ালস শব্দগুলো যোগ করা হয়েছে। এই সংশোধনী সংবিধানের পরিপন্থী। এটি করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য। রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার জন্য। তিনি বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থায় স্বীকৃত এবং অপরিহার্য এভিডেন্স এ্যাক্ট বাতিল করা হয়েছে যা গ্রহণযোগ্য নয়।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, স্টিফেন আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং এসব বিষয় তারা বিবেচনা করবেন।
সকালে স্টিফেন জে র্যাপ পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে আসেন যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইবিউনাল পরিদর্শনের জন্য। এসময় তিনি ট্রাইবিউনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর ও বিচারপতি একেএম জহির আহমেদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেণ।
এছাড়াও এসময় তিনি আইন কমিশনের সাথে সাক্ষাৎ করেন । সাক্ষাতে স্টিফেন যুদ্ধাপরাধী বিচারের জন্য পৃথক এপিলেট ট্রাইবিউনাল গঠনের প্রস্তাব করেছেন । এ প্রস্তাবের জবাবে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহআলম বলেন, বাংলাদেশ সুৃপ্রীম কোর্টে আপিল বিভাগে ১১ জন বিচারপতি রয়েছে। সুতরাং আলাদা আপিল আদালত গঠনের দরকার নাই। এছাড়া স্টিফেন আসামীদের অধিকার রক্ষার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবি জানিয়েছেন।
এরপর স্টিফেন সচিবালয়ে যান আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সাথে বৈঠকের জন্য। আইনমন্ত্রীর সাথে বৈঠক শেষে স্টিফেন আবার ফিরে আসেন বার এসোসিয়েশন ভবনে। বার নেতৃবৃন্দদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি আবার যান পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে এবং ট্রাইবিউনালের চিফ প্রসিকিউটর ও অন্যান্য প্রসিকিউটরদের সাথে বৈঠক করেন।
সকাল সাড়ে আটটায় সর্বপ্রথম স্টিফেন জে. র্যাপ বৈঠক করেণ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের আইনজীবীদের সাথে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের উপপ্রধান রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিক, ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আলামিন এবং ব্যারিস্টার দানিয়া খন্দকার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অপেক্ষমান সাংবাদিকদের বলেন, এই বিচার নিয়ে আমাদের যে উদ্বেগের কথা, ন্যায় বিচার পাবার ক্ষেত্রে আশঙ্কা এবং সমস্যার কথা তার কাছে তুলে ধরা হয়েছে। যে আইনের মাধ্যমে বিচার হতে যাচ্ছে সে আইনের আপত্তিকর দিক এবং অসঙ্গতি এবং দুর্বলাতা তুলে ধরা হয়েছে।
ঢাকা সফররত যুদ্ধাপরাধবিষয়ক মার্কিন বিশেষ রাষ্ট্রদূত স্টিফেন জে. র্যাপকে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এবং যাকে তাকে ধরে শায়েস্তা করার জন্য সরকার ১৯৭৩ সালের যুদ্ধাপরাধ আইন সংশোধন করেছে । ২০০৯ সালের এ সংশোধনী বাংলাদেশের সংবিধানেরও পরিপন্থী।
স্টিফেন জে. র্যাপ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছেন। বার এসোসিয়েশনের কনফারেন্স রুমে বৈঠক শেষে বার সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন অপেক্ষমান সাংবাদিকদের বৃফিং দেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন, আমরা বারের পক্ষ থেকে তাকে বলেছি যুদ্ধাপরাধের বিচার বিষয়ে আমাদের কোন দ্বিমত নাই। আমরাও যুদ্ধাপরাধের বিচার চাই। তবে সে বিচার হতে হবে নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ। বিচারের প্রতি মানুষের আস্থা থাকতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মানদণ্ড আছে সে অনুযায়ী বিচার হতে হবে। বিচারের জন্য যেসব বিচারক নিয়োগ করা হয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।
ঢাকা সফররত স্টিফেন জে. র্যাপ আজ ব্যস্ততম দিন অতিবাহিত করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তিনি বিভিন্ন মহলের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। আইনমন্ত্রী, সুপ্রীমকোর্ট বার এসোসিয়েশন, ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইবিউনালের চেয়ারম্যান, আইন কমিশন, ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইবিউনিলালের প্রসিকিউটর এবং অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীদের সাথে বৈঠক করেছেন। বিভিন্ন মহলের সাথে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আদালত পরিদর্শন করে স্টিফেন।
বিকালে সুপ্রীম কোর্ট বার নেতৃবৃন্দের সাথে স্টিফেন জে. র্যাপের বৈঠকে রুয়ান্ডা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবিউনালের বিচারপতি এবং খ্যাতিমান আইনজীবী টিএইচখান, বার এসোসিয়েশন সভাপতি ব্যারিস্টার খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা, এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, এ্যাডভোটেক নিতায় রায় চৌধুরী, বার সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে খন্দকার মাহবুব বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ ধারায় সকলের ন্যয়বিচার পাবার কথা বলা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য যে আইনটি করা হয়েছে তার নাম ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইবিউনাল) এ্যাক্ট ১৯৭৩। আমরা স্টিফেনকে বলেছি ট্রাইবিউনালের নাম যেমন আন্তর্জাতিক তেমনি বিচারও হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের। ১৯৭৩ সালের আইনটি করা হয়েছিল পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য। বাংলাদেশের কারো বিচারের জন্য নয়। কিন্তু পরে এ আইনে সংশোধন করে ইন্ডভিজুয়ালস এবং গ্রুপ অব ইন্ডিভিজুয়ালস শব্দগুলো যোগ করা হয়েছে। এই সংশোধনী সংবিধানের পরিপন্থী। এটি করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য। রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার জন্য। তিনি বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থায় স্বীকৃত এবং অপরিহার্য এভিডেন্স এ্যাক্ট বাতিল করা হয়েছে যা গ্রহণযোগ্য নয়।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, স্টিফেন আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং এসব বিষয় তারা বিবেচনা করবেন।
সকালে স্টিফেন জে র্যাপ পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে আসেন যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইবিউনাল পরিদর্শনের জন্য। এসময় তিনি ট্রাইবিউনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর ও বিচারপতি একেএম জহির আহমেদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেণ।
এছাড়াও এসময় তিনি আইন কমিশনের সাথে সাক্ষাৎ করেন । সাক্ষাতে স্টিফেন যুদ্ধাপরাধী বিচারের জন্য পৃথক এপিলেট ট্রাইবিউনাল গঠনের প্রস্তাব করেছেন । এ প্রস্তাবের জবাবে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহআলম বলেন, বাংলাদেশ সুৃপ্রীম কোর্টে আপিল বিভাগে ১১ জন বিচারপতি রয়েছে। সুতরাং আলাদা আপিল আদালত গঠনের দরকার নাই। এছাড়া স্টিফেন আসামীদের অধিকার রক্ষার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবি জানিয়েছেন।
এরপর স্টিফেন সচিবালয়ে যান আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সাথে বৈঠকের জন্য। আইনমন্ত্রীর সাথে বৈঠক শেষে স্টিফেন আবার ফিরে আসেন বার এসোসিয়েশন ভবনে। বার নেতৃবৃন্দদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি আবার যান পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে এবং ট্রাইবিউনালের চিফ প্রসিকিউটর ও অন্যান্য প্রসিকিউটরদের সাথে বৈঠক করেন।
সকাল সাড়ে আটটায় সর্বপ্রথম স্টিফেন জে. র্যাপ বৈঠক করেণ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের আইনজীবীদের সাথে। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের উপপ্রধান রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিক, ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আলামিন এবং ব্যারিস্টার দানিয়া খন্দকার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অপেক্ষমান সাংবাদিকদের বলেন, এই বিচার নিয়ে আমাদের যে উদ্বেগের কথা, ন্যায় বিচার পাবার ক্ষেত্রে আশঙ্কা এবং সমস্যার কথা তার কাছে তুলে ধরা হয়েছে। যে আইনের মাধ্যমে বিচার হতে যাচ্ছে সে আইনের আপত্তিকর দিক এবং অসঙ্গতি এবং দুর্বলাতা তুলে ধরা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন