মেহেদী হাসান, ১৮/৪/১১
স্টিফেন জে র্যাপের চিঠিতে বলা হয়েছে যুদ্ধাপরাধ বিচারের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে যে আইন প্রণয়ন করা হয় তাতে অপরাধের সঠিক কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষন নেই এবং অপরাধকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। অপরাধের সঠিক কোন সংজ্ঞা নেই। ১৯৭৩ সালের আইনে বর্ণিত অপরাধের ব্যাখ্যা বিশ্লেষনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সহায়তা নিতে পারে বাংলাদেশ। কারণ আইসিসি’র আইনে বিভিন্ন অপারাধকে সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং অপরাধের সঠিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষন রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রনে গত জানুয়ারি মাসে যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রকৃয়া বিষয়ে জানার জন্য ঢাকা সফরে আসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র্যাপ। আইনমন্ত্রী, পরারাষ্ট্রমন্ত্রী, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ আইনজ্ঞ এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের সাথে আলোচনা শেষে ওয়াশিংটন ফিরে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেণ র্যাপ। বিভিন্ন সুপারিশ সংবলিত সে প্রতিবেদন গত মার্চ মাসে পররাষ্ট্র এবং আইনমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন র্যাপ।
র্যাপের চিঠিতে ১৯৭৩ সালের আইনের রুলস অব প্রসিডিউর সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
চিঠিতে র্যাপ বলেন, যুদ্ধাপরাধ বিচারের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে প্রণীত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিটি) প্রধান সমস্যা হল এর সাংবিধানিক বা আইনী ভাষা । বাংলাদেশের এ আইন প্রণয়নের পরে আন্তর্জাতিক আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গঠন করা হয়েছে যেখানে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষন এবং সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে । বাংলাদেশ সফরকালে সরকারি কর্মকর্তা, ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও আইনজীবীদের সাথে আলাপের ফলে আমার কাছে এটা পরিষ্কার যে, বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের যে আইনের অধীনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠন করা হয়েছে সে আইনটি সংশোধন করা কঠিন। আইসিটি’র প্রথম নাম ছিল ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল ) এ্যাক্ট’ যা ১৯৭৩ সালে প্রণয়ন করা হয়। ১৯৭৩ সালে সংসদে এ আইন পাশের পর ১৯৭৩ সালের এ্যাক্ট নামে পরিচিত এ আইনটি সামান্য সংশোধন করা হয় ২০০৯ সালে। ১৯৭৩ সালের আইনটি প্রণয়নের সময় বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন করা হয় যাতে যুদ্ধাপরাধ বিচারের লক্ষ্যে গঠিত আদালতের সামনে সংবিধান কোন বাঁধা হয়ে দাড়াতে না পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ৪০ বছর আগে প্রণীত আইনের মাধ্যমে ২০১১ সালে যে আদালত গঠন এবং বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে তাতে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। ১৯৭৩ সালের আইনটি নুরেমবার্গ কোড অনুসারে তৈরি করা হয়। এর পর থেকে মানবিক আইনের আন্তর্জাতিক দর্শন পূর্ণরুপে বিকশিত হয়েছে। রুয়ান্ডা ট্রাইব্যুনাল, যুগোশ্লাভিয়া ট্রাইব্যুনাল, সিয়েরালিওনে বিশেষ আদালত গঠন এবং আইসিসি প্রভৃতি গঠনের ফলে মানবিক আইনের দর্শন বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
স্টিফেন যে র্যাপ তার চিঠিতে বলেছেন, বাংলাদেশের ১৯৭৩ সালের আইনে অপরাধের সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। ১৯৭৩ সালের সাংবিধানিক ভাষা যদি পরিবর্তন করা সম্ভব নাও হয় তবু বাংলাদেশের ১৯৭৩ সালের আইনে যেসব অপরাধের কথা উল্লেখ আছে সেগুলো ব্য্যাখ্যা করার জন্য আইসিসিতে অপরাধ চিহ্নিত করতে যেসব উপাদান উল্লেখ করা হয়েছে তার সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
র্যাপ বলেন, যেহেতু ১৯৭৩ সালের আইনের সংশোধন কঠিন তাই রুলস অব প্রসিডিউর বা কার্যপ্রণালী বিধি পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছি আমি যা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জারি হয়েছে। রুলস অব প্রসিডিউর সংক্রান্ত দশম অধ্যায়ে স্বীকার করা হয়েছে যে, যেসব বিধি বিধান আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা পূর্ণাঙ্গ নয় এবং ট্রাইব্যুনাল মনে করলে এগুলো সংশোধন, সংযোজন এবং বিকল্প প্রতিস্থাপন করতে পারবে। তাই আমি ১৯৭৩ সালের আইনের রুলস অব প্রসিডিউর সংশোধন করে কিভাবে বিচার প্রকৃয়াকে স্বচ্ছ করা যায় সে বিষয়ে কিছু উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি।
র্যাপ তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ১৯৭৩ সালের আইনে বর্ণিত অপরাধসমূহ আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে ব্যাখ্যা করতে পারলে এবং রুলস অব প্রসিডিউর সংশোধন করা হলে বাংলাদেশের ট্রাব্যুনাল আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হতে সক্ষম হবে বলে আশা করছি। কিন্তু তারপরও আপনারা যদি মনে করেণ এ পরিবর্তন যথেষ্ট নয় তাহলে আমি প্রস্তাব করব যথাযথ আইনী সংশোধনী আনুন যাতে প্রত্যেকটি প্রস্তাবিত বিধি এবং প্রকৃয়া আইসিটির কার্যপ্রণালীতে প্রয়োগ করা যায়।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চুক্তি, আইন এবং আদালতের সাথে বাংলাদেশের চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে র্যাপ বলেছেন, একটি স্বচ্ছ বিচার এবং অভিযুক্তদের অধিকার রক্ষায় ও অপরাধের সঠিক ব্যাখ্যা প্রদানের বিষয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তিনি আশা করছেন বাংলাদেশ তার নিজের দেয়া সেসব প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে। তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার যাতে স্বাধীন, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হয় সেটিই তাদের প্রত্যাশা।
স্টিফেন জে র্যাপের চিঠিতে বলা হয়েছে যুদ্ধাপরাধ বিচারের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে যে আইন প্রণয়ন করা হয় তাতে অপরাধের সঠিক কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষন নেই এবং অপরাধকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। অপরাধের সঠিক কোন সংজ্ঞা নেই। ১৯৭৩ সালের আইনে বর্ণিত অপরাধের ব্যাখ্যা বিশ্লেষনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সহায়তা নিতে পারে বাংলাদেশ। কারণ আইসিসি’র আইনে বিভিন্ন অপারাধকে সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং অপরাধের সঠিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষন রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রনে গত জানুয়ারি মাসে যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রকৃয়া বিষয়ে জানার জন্য ঢাকা সফরে আসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র্যাপ। আইনমন্ত্রী, পরারাষ্ট্রমন্ত্রী, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ আইনজ্ঞ এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের সাথে আলোচনা শেষে ওয়াশিংটন ফিরে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেণ র্যাপ। বিভিন্ন সুপারিশ সংবলিত সে প্রতিবেদন গত মার্চ মাসে পররাষ্ট্র এবং আইনমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন র্যাপ।
র্যাপের চিঠিতে ১৯৭৩ সালের আইনের রুলস অব প্রসিডিউর সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
চিঠিতে র্যাপ বলেন, যুদ্ধাপরাধ বিচারের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালে প্রণীত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিটি) প্রধান সমস্যা হল এর সাংবিধানিক বা আইনী ভাষা । বাংলাদেশের এ আইন প্রণয়নের পরে আন্তর্জাতিক আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গঠন করা হয়েছে যেখানে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষন এবং সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে । বাংলাদেশ সফরকালে সরকারি কর্মকর্তা, ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও আইনজীবীদের সাথে আলাপের ফলে আমার কাছে এটা পরিষ্কার যে, বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালের যে আইনের অধীনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠন করা হয়েছে সে আইনটি সংশোধন করা কঠিন। আইসিটি’র প্রথম নাম ছিল ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল ) এ্যাক্ট’ যা ১৯৭৩ সালে প্রণয়ন করা হয়। ১৯৭৩ সালে সংসদে এ আইন পাশের পর ১৯৭৩ সালের এ্যাক্ট নামে পরিচিত এ আইনটি সামান্য সংশোধন করা হয় ২০০৯ সালে। ১৯৭৩ সালের আইনটি প্রণয়নের সময় বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন করা হয় যাতে যুদ্ধাপরাধ বিচারের লক্ষ্যে গঠিত আদালতের সামনে সংবিধান কোন বাঁধা হয়ে দাড়াতে না পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ৪০ বছর আগে প্রণীত আইনের মাধ্যমে ২০১১ সালে যে আদালত গঠন এবং বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে তাতে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। ১৯৭৩ সালের আইনটি নুরেমবার্গ কোড অনুসারে তৈরি করা হয়। এর পর থেকে মানবিক আইনের আন্তর্জাতিক দর্শন পূর্ণরুপে বিকশিত হয়েছে। রুয়ান্ডা ট্রাইব্যুনাল, যুগোশ্লাভিয়া ট্রাইব্যুনাল, সিয়েরালিওনে বিশেষ আদালত গঠন এবং আইসিসি প্রভৃতি গঠনের ফলে মানবিক আইনের দর্শন বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
স্টিফেন যে র্যাপ তার চিঠিতে বলেছেন, বাংলাদেশের ১৯৭৩ সালের আইনে অপরাধের সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। ১৯৭৩ সালের সাংবিধানিক ভাষা যদি পরিবর্তন করা সম্ভব নাও হয় তবু বাংলাদেশের ১৯৭৩ সালের আইনে যেসব অপরাধের কথা উল্লেখ আছে সেগুলো ব্য্যাখ্যা করার জন্য আইসিসিতে অপরাধ চিহ্নিত করতে যেসব উপাদান উল্লেখ করা হয়েছে তার সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
র্যাপ বলেন, যেহেতু ১৯৭৩ সালের আইনের সংশোধন কঠিন তাই রুলস অব প্রসিডিউর বা কার্যপ্রণালী বিধি পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছি আমি যা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জারি হয়েছে। রুলস অব প্রসিডিউর সংক্রান্ত দশম অধ্যায়ে স্বীকার করা হয়েছে যে, যেসব বিধি বিধান আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা পূর্ণাঙ্গ নয় এবং ট্রাইব্যুনাল মনে করলে এগুলো সংশোধন, সংযোজন এবং বিকল্প প্রতিস্থাপন করতে পারবে। তাই আমি ১৯৭৩ সালের আইনের রুলস অব প্রসিডিউর সংশোধন করে কিভাবে বিচার প্রকৃয়াকে স্বচ্ছ করা যায় সে বিষয়ে কিছু উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি।
র্যাপ তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ১৯৭৩ সালের আইনে বর্ণিত অপরাধসমূহ আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে ব্যাখ্যা করতে পারলে এবং রুলস অব প্রসিডিউর সংশোধন করা হলে বাংলাদেশের ট্রাব্যুনাল আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হতে সক্ষম হবে বলে আশা করছি। কিন্তু তারপরও আপনারা যদি মনে করেণ এ পরিবর্তন যথেষ্ট নয় তাহলে আমি প্রস্তাব করব যথাযথ আইনী সংশোধনী আনুন যাতে প্রত্যেকটি প্রস্তাবিত বিধি এবং প্রকৃয়া আইসিটির কার্যপ্রণালীতে প্রয়োগ করা যায়।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চুক্তি, আইন এবং আদালতের সাথে বাংলাদেশের চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে র্যাপ বলেছেন, একটি স্বচ্ছ বিচার এবং অভিযুক্তদের অধিকার রক্ষায় ও অপরাধের সঠিক ব্যাখ্যা প্রদানের বিষয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তিনি আশা করছেন বাংলাদেশ তার নিজের দেয়া সেসব প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে। তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার যাতে স্বাধীন, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ হয় সেটিই তাদের প্রত্যাশা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন