শহীদ ফয়জুর রহমানের বড় জামাতা এবং হুমায়ূন আহমেদের ভগ্নিপতি অ্যাডভোকেট আলী হায়দার খানের পিরোজপুর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি লেখা কবি হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র’ প্রামান্য গ্রন্থে সন্নিবেশিত হয়েছে। সে লেখায় শহীদ ফয়জুর রহমানকে হত্যার কথাও উল্লেখ আছে। কিন্তু ওই লেখার কোথাও তিনি শহীদ ফয়জুর রহমানকে হত্যার সাথে জড়িয়ে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেননি। তার লেখায় কোথাও মাওলানা সাঈদীর নামও নেই।
আলী হায়দার খানের বাড়ি পিরোজপুর এবং শহীদ ফয়জুর রহমানের পরিবারের সাথে নানাভাবে তিনি জড়িত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি শহীদ ফয়জুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা ফয়েজসহ অন্যান্যদের পিরোজপুরের এক গহীন গ্রামে নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর শহীদ ফয়জুর রহমানের বড় মেয়ে সুফিয়া হায়দারের সাথে তার বিয়ে হয়। আয়েশা ফয়েজ তার ‘জীবন যে রকম’ বইয়ে আলী হায়দার খানের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন। আয়েশা ফয়েজের বইয়েও স্বামী ফয়জুর রহমানকে হত্যা বিষয়ে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই এবং তিনি তার বইয়ে মাওলানা সাঈদীর নাম উল্লেখ করেননি পিরোজপুর বিষয়ক কোন ঘটনায়। আয়েশা ফয়েজ তার বইয়ে স্বামী হত্যার জন্য সরাসরি পাকিস্তানী দুজন সেনা অফিসারকে দায়ী করেছেন। এরা হলেন ব্রিগেডিয়ার আতিক রশিদ এবং ক্যাপ্টেন এজাজ।
‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র’ প্রামান্য গ্রন্থের অষ্টম খন্ডে ২৪৫ পৃষ্ঠায় আলী হায়দার খানের লেখাটি উল্লেখ করা হয়েছে। ১৬/৮/১৯৭৩ তারিখ স্বাক্ষরিত লেখাটি এখানে হুবহু তুলে ধরা হল।
“কর্নেল আতিকের নেতৃত্বে পাক সেনারা হুলাল হাট (পিরোজপুর) আসে। ঢুকেই ঘরবাড়ি জ্বালাতে থাকে। মুসলিম লীগাররা তাদেরকে স্বাগত জানায়। পাক সেনারা বলে হিন্দু বাড়ি কোথায়? এরপর থেকে
হিন্দু ঘরবাড়ি জ্বালাতে থাকে। লুটপাট, হত্যা অনবরত করতে থাকে। পিরোজপুর মহকুমা প্রশাসক মহিববুল্লাহ শাহ (সিন্ধি, পাকিস্তানের বিশিষ্ট ন্যাপ নেতা বাকের শাহর ভাইপো) আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমর্থক ছিলেন। তিনি বলেছিলেন দোস্ত তোমরাতো স্বাধীনতা পেয়ে যাচ্ছো। আমরা পেলাম না।
৫ ই মে ষড়যন্ত্র করে ওসি (পিরোজপুর থানার ওসি তোফাজ্জল হোসেন) এসডিও আব্দুর রাজ্জাক (২), এসডিপিও ফয়জুর রহমান আহমেদ (৩), মেজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানকে ডেকে আনিয়ে মিটিং করে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে। বাড়িঘর লুট করে।
এরপর অত্যাচার শুরু করে। পিরোজপুরের চৌদ্দআনা ঘুরদুয়ার ধ্বংস করেছে, লুটপাট করেছে।
পাক সেনারা হুকুম দেয় প্রতি ইউনিয়ন থেকে ২০ জন করে যুবক দিতে হবে। এই মোতাবেক গ্রাম থেকে ধরে ধরে শত শত লোককে হত্যা করেছে। চার হাজারের বেশি লোক পাক সেনারা হত্যা করেছে। ভাগীরথী নামে স্পাই সন্দেহে ধরে গাড়ির পেছনে বেঁধে সারা শহর ঘুরিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় বিশিষ্ট ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র গনপতি হালদারকে (মেট্রিকে প্রথম, আইএসসিতে প্রথম) নির্মমভাবে হত্যা করেছে। দৈনিক হত্যা করেছে।
ঘাটের পাড়ে দাড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। গাছের সাথে বেঁধে বেয়োনেট চার্জ করে হত্যা করেছে। চিৎ করে শুইয়ে বাশের গোড়া দিয়ে পিটিয়ে হাড় সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেলে বেয়োনেট দিয়ে হত্যা করেছে। পিটিয়ে অনেককে হত্যা করেছে। বেঁধে পায়ে আগুন চেপে ধরেছে, সুচ ফুটিয়েছে।
এসডিওর বাংলোতে যেখানে পাক ক্যাম্প ছিল সেখানে সেখানে অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করেছে। ফুলু রানী বিশ্বাসের (কলেজ ছাত্রী ) ওপর অমানুষিক দৈহিক নির্যাতনের ফলে তার মুত্যৃ ঘটে। সমস্ত থানাতেই পাক সেনারা ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে। ”
আলী হায়দার প্রসঙ্গে আয়েশা ফয়েজ তার ‘জীবন যে রকম’ বইয়ে লিখেছেন “....মে মাসের প্রথম দিকে পিরোজপুরের আলী হায়দার খান একটা কাগজ নিয়ে হাজির হল। তাকে কাজলের (হুমায়ূন আহমেদ) আব্বা এক লাইন লিখেছে, আয়েশা এই ছেলেটা যা বলবে তাই করবে। ..আলী হায়দার খান আমাদের সবাইকে নিয়ে বাবলা নামক এক গহিন গ্রামে মুবারক খান নামে এক গ্রাম্য মাদব্বরের বাসায় পৌছে দিল। বিপদের সময় এগিয়ে আসা এই তরুন অ্যাডভোকেট আমাদের জীবনের সাথে নানাভাবে জড়িত। যুদ্ধের পর তার সাথে আমার বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছি।”
অ্যাডভোকেট আলী হায়দার খান বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করেন। হাইকোর্টে প্রাকটিস করেন তিনি। তাকে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী মানা হয়েছিল সরকার পক্ষ থেকে। কিন্তু তাকে কোর্টে আনা হয়নি । মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে ৪৬ জন সাক্ষী আদৌ হাজির করা সম্ভব নয় বলে সরকার পক্ষ থেকে যে সাক্ষীর তালিকা জমা দেয়া হয়েছিল তাতে অ্যাডভোকেট আলী হায়দার খানের নাম রয়েছে। আল হায়দার খানের স্ত্রী হুমায়ূন আহমেদের বোন সুফিয়া হায়দার, হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই ড. জাফর ইকবালকেও মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছিল। কিন্তু তাদেরও কাউকে আনা হয়নি সাক্ষ্য দেয়ার জন্য। তাদের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৪৬ জনের তালিকায়। গত সাত আগস্ট জেরায় তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন স্বীকার করেছেন আলী হায়দার খান, জাফর ইকবাল, সুফিয়া হায়দারসহ ঢাকায় বসবাসরত অনুপস্থিত কোন সাক্ষীর কাছেই তিনি সমন নিয়ে যাননি তাদের হাজির করার জন্য। ঢাকায় আরো যেসব অনুপস্থিত সাক্ষী রয়েছে তাদের কারো কাছেই না গিয়ে তাদের আদৌ হাজির করা সম্ভব নয় বলে দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকায় রয়েছেন কিন্তু আদৌ হাজির করা সম্ভব নয় বলে আরো যেসব সাক্ষী ৪৬ জনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন জাদু শিল্পী জুয়েল আইচ, শাহরিয়ার কবির, সবসেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়াউদ্দিন প্রমুখ।
গত ২৪ জুলাই দৈনিক জনতা পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টে শহীদ ফয়জুর রহমানের ছেলে ড. জাফর ইকবালের উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা হয়েছে -আমি আমার পিতার হত্যার বিচার চাই। সাঈদী আমার পিতার হত্যাকারী সেটা আমি জানিইনা। তাহলে কেন আমি সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে যাব?
মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট আলী হায়দার খান, সুফিয়া হায়দার এবং ড. জাফর ইকবাল তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে জবানবন্দী দিয়েছেন তাতে কোথাও মাওলানা সাঈদীর নাম উল্লেখ করেননি শহীদ ফয়জুর রহমান হত্যার ব্যাপারে।
আলী হায়দার খানের বাড়ি পিরোজপুর এবং শহীদ ফয়জুর রহমানের পরিবারের সাথে নানাভাবে তিনি জড়িত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি শহীদ ফয়জুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা ফয়েজসহ অন্যান্যদের পিরোজপুরের এক গহীন গ্রামে নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর শহীদ ফয়জুর রহমানের বড় মেয়ে সুফিয়া হায়দারের সাথে তার বিয়ে হয়। আয়েশা ফয়েজ তার ‘জীবন যে রকম’ বইয়ে আলী হায়দার খানের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন। আয়েশা ফয়েজের বইয়েও স্বামী ফয়জুর রহমানকে হত্যা বিষয়ে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই এবং তিনি তার বইয়ে মাওলানা সাঈদীর নাম উল্লেখ করেননি পিরোজপুর বিষয়ক কোন ঘটনায়। আয়েশা ফয়েজ তার বইয়ে স্বামী হত্যার জন্য সরাসরি পাকিস্তানী দুজন সেনা অফিসারকে দায়ী করেছেন। এরা হলেন ব্রিগেডিয়ার আতিক রশিদ এবং ক্যাপ্টেন এজাজ।
‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র’ প্রামান্য গ্রন্থের অষ্টম খন্ডে ২৪৫ পৃষ্ঠায় আলী হায়দার খানের লেখাটি উল্লেখ করা হয়েছে। ১৬/৮/১৯৭৩ তারিখ স্বাক্ষরিত লেখাটি এখানে হুবহু তুলে ধরা হল।
“কর্নেল আতিকের নেতৃত্বে পাক সেনারা হুলাল হাট (পিরোজপুর) আসে। ঢুকেই ঘরবাড়ি জ্বালাতে থাকে। মুসলিম লীগাররা তাদেরকে স্বাগত জানায়। পাক সেনারা বলে হিন্দু বাড়ি কোথায়? এরপর থেকে
হিন্দু ঘরবাড়ি জ্বালাতে থাকে। লুটপাট, হত্যা অনবরত করতে থাকে। পিরোজপুর মহকুমা প্রশাসক মহিববুল্লাহ শাহ (সিন্ধি, পাকিস্তানের বিশিষ্ট ন্যাপ নেতা বাকের শাহর ভাইপো) আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমর্থক ছিলেন। তিনি বলেছিলেন দোস্ত তোমরাতো স্বাধীনতা পেয়ে যাচ্ছো। আমরা পেলাম না।
৫ ই মে ষড়যন্ত্র করে ওসি (পিরোজপুর থানার ওসি তোফাজ্জল হোসেন) এসডিও আব্দুর রাজ্জাক (২), এসডিপিও ফয়জুর রহমান আহমেদ (৩), মেজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানকে ডেকে আনিয়ে মিটিং করে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে। বাড়িঘর লুট করে।
এরপর অত্যাচার শুরু করে। পিরোজপুরের চৌদ্দআনা ঘুরদুয়ার ধ্বংস করেছে, লুটপাট করেছে।
পাক সেনারা হুকুম দেয় প্রতি ইউনিয়ন থেকে ২০ জন করে যুবক দিতে হবে। এই মোতাবেক গ্রাম থেকে ধরে ধরে শত শত লোককে হত্যা করেছে। চার হাজারের বেশি লোক পাক সেনারা হত্যা করেছে। ভাগীরথী নামে স্পাই সন্দেহে ধরে গাড়ির পেছনে বেঁধে সারা শহর ঘুরিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় বিশিষ্ট ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র গনপতি হালদারকে (মেট্রিকে প্রথম, আইএসসিতে প্রথম) নির্মমভাবে হত্যা করেছে। দৈনিক হত্যা করেছে।
ঘাটের পাড়ে দাড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। গাছের সাথে বেঁধে বেয়োনেট চার্জ করে হত্যা করেছে। চিৎ করে শুইয়ে বাশের গোড়া দিয়ে পিটিয়ে হাড় সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেলে বেয়োনেট দিয়ে হত্যা করেছে। পিটিয়ে অনেককে হত্যা করেছে। বেঁধে পায়ে আগুন চেপে ধরেছে, সুচ ফুটিয়েছে।
এসডিওর বাংলোতে যেখানে পাক ক্যাম্প ছিল সেখানে সেখানে অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করেছে। ফুলু রানী বিশ্বাসের (কলেজ ছাত্রী ) ওপর অমানুষিক দৈহিক নির্যাতনের ফলে তার মুত্যৃ ঘটে। সমস্ত থানাতেই পাক সেনারা ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে। ”
আলী হায়দার প্রসঙ্গে আয়েশা ফয়েজ তার ‘জীবন যে রকম’ বইয়ে লিখেছেন “....মে মাসের প্রথম দিকে পিরোজপুরের আলী হায়দার খান একটা কাগজ নিয়ে হাজির হল। তাকে কাজলের (হুমায়ূন আহমেদ) আব্বা এক লাইন লিখেছে, আয়েশা এই ছেলেটা যা বলবে তাই করবে। ..আলী হায়দার খান আমাদের সবাইকে নিয়ে বাবলা নামক এক গহিন গ্রামে মুবারক খান নামে এক গ্রাম্য মাদব্বরের বাসায় পৌছে দিল। বিপদের সময় এগিয়ে আসা এই তরুন অ্যাডভোকেট আমাদের জীবনের সাথে নানাভাবে জড়িত। যুদ্ধের পর তার সাথে আমার বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছি।”
অ্যাডভোকেট আলী হায়দার খান বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করেন। হাইকোর্টে প্রাকটিস করেন তিনি। তাকে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী মানা হয়েছিল সরকার পক্ষ থেকে। কিন্তু তাকে কোর্টে আনা হয়নি । মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে ৪৬ জন সাক্ষী আদৌ হাজির করা সম্ভব নয় বলে সরকার পক্ষ থেকে যে সাক্ষীর তালিকা জমা দেয়া হয়েছিল তাতে অ্যাডভোকেট আলী হায়দার খানের নাম রয়েছে। আল হায়দার খানের স্ত্রী হুমায়ূন আহমেদের বোন সুফিয়া হায়দার, হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই ড. জাফর ইকবালকেও মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছিল। কিন্তু তাদেরও কাউকে আনা হয়নি সাক্ষ্য দেয়ার জন্য। তাদের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৪৬ জনের তালিকায়। গত সাত আগস্ট জেরায় তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন স্বীকার করেছেন আলী হায়দার খান, জাফর ইকবাল, সুফিয়া হায়দারসহ ঢাকায় বসবাসরত অনুপস্থিত কোন সাক্ষীর কাছেই তিনি সমন নিয়ে যাননি তাদের হাজির করার জন্য। ঢাকায় আরো যেসব অনুপস্থিত সাক্ষী রয়েছে তাদের কারো কাছেই না গিয়ে তাদের আদৌ হাজির করা সম্ভব নয় বলে দরখাস্তে উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকায় রয়েছেন কিন্তু আদৌ হাজির করা সম্ভব নয় বলে আরো যেসব সাক্ষী ৪৬ জনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন জাদু শিল্পী জুয়েল আইচ, শাহরিয়ার কবির, সবসেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়াউদ্দিন প্রমুখ।
গত ২৪ জুলাই দৈনিক জনতা পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টে শহীদ ফয়জুর রহমানের ছেলে ড. জাফর ইকবালের উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা হয়েছে -আমি আমার পিতার হত্যার বিচার চাই। সাঈদী আমার পিতার হত্যাকারী সেটা আমি জানিইনা। তাহলে কেন আমি সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে যাব?
মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট আলী হায়দার খান, সুফিয়া হায়দার এবং ড. জাফর ইকবাল তদন্ত কর্মকর্তার কাছে যে জবানবন্দী দিয়েছেন তাতে কোথাও মাওলানা সাঈদীর নাম উল্লেখ করেননি শহীদ ফয়জুর রহমান হত্যার ব্যাপারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন