মেহেদী হাসান, ১৮/৮/২০১৩
দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান (এমসি) জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী মামলায় চার্জ গঠনের বিরোধীতা করে এবং মীর কাসেম আলীকে চার্জ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আজ আসামী পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (১) তার উপস্থাপিত শুনানীর সারসংক্ষেপ নিম্নরূপ :
১৯৭২ সালে দালাল আইনে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোথাও একটি মামলাও কেউ দায়ের করেনি। দালাল আইন ছাড়াও বাংলাদেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার অধীনেও বাংলাদেশের কোন একটি থানায় একজন ব্যক্তিও কোন একটি অভিযোগ দায়ের করেনি, একটি জিডিও কেউ করেনি।
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জে ৩৩ জন সাক্ষীর নাম দেয়া হয়েছে। এই ৩৩ জন সাক্ষীর একজনও আজ ৪০ বছর পর্যন্ত কোথাও একটি অভিযোগও কোনদিন করেনি।
গত ২০ বছর ধরে মীর কাসেম আলী বাংলাদেশে একজন পরিচিত ব্যক্তি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া গত আট নয় বছর ধরে তিনি মিডিয়ার সাথে থাকার কারনেও একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে অনেক পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশন এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান (এমসি) এবং সম্প্রতি বন্ধ করে দেয়া দিগন্ত টিভির প্রতিষ্ঠাতা থেকে এর সাথে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া আরো বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি জড়িত থাকার কারনে পরিচিত পেয়েছেন। কিন্তু গত এই ২০ বছরেও তো কেই তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও করলনা ১৯৭১ সাল বিষয়ে। ১৯৭১ সালে না হয় তিনি তেমন পরিচিত ছিলেননা এবং কেউ অভিযোগ করলনা কিন্তু গত ২০ বছরে যখন তিনি পরিচিতি পেলেন তখন তো কেউ বলতে পারত যে এই লোকটা ৭১ সালে এই এই অপরাধ করেছে। কিন্তু কেউ করেনি।
৪০ বছর পর কেন আজ মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হল এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ কোন যৌক্তিক কারণ ব্যখ্যা করতে পারেনি যদিও তা যৌক্তিক কারণসহ ব্যাখ্যা করা অপরিহার্য।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং রাজনৈতিক অসদউদ্দেশে ৪০ বছর মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে এ বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মীর কাসেম আলী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন নেতা। জামায়াতকে ধ্বংস করার উদ্দেশে জামায়াতের সকল শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার পরিচালনা করা হচ্ছে এবং এরই অংশ হিসেবে একই কারনে জামায়াতের নেতা হিসেবে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধেও বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে। ১৯৯৫ সালে জামায়াত আওয়ামী লীগের সাথে জোটগত হয়ে রাজনীতি করেছে। তখন আওয়ামী লীগ জামায়াতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সাল সংক্রান্ত কোন অভিযোগ করেনি এবং তখন ক্ষমতায় থাকাকালে বিচারও করেনি। পরবর্তীতে জামায়াত বিএনপির সাথে জোটগত হয়ে আন্দোলন করার ফলে এবং জোটগত নির্বাচনের কারনে ২০০১ সালে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসে। সেই থেকে আওয়ামী লীগ বিএনপি জামায়াত জোট ভাঙ্গার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। কারণ তারা হিসেব করে দেখেছে জামায়াত বিএনপির সাথে জোটে থাকলে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়। সে কারনে জোট ভাঙ্গার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তারা জামায়াতকে ধ্বংস এবং নির্মূলের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে মীর কাসেম আলীসহ জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশে এ বিচার চালানো হচ্ছে।
১৯৭১ সালে টরচার, অপহরন বলে মানবতাবিরোধী কোন অপরাধ ছিলনা। এমনকি জেনেভো কনভেনশনেও ছিলনা। কাজেই টরচার,অপহরন বিষয়ে চার্জ গঠনের কোন সুযোগ নেই। ১৯৮৪ সালে টরচারের সংজ্ঞা নির্ধারন করা হয়েছে। অপহরন বলতে এখন পর্যন্ত মানবতাবিরোধী কোন অপরাধ নেই। তবে এনফোর্সড ডিসএপিয়ারেন্স বলতে একটি অপরাধ আছে অপহরনের কাছাকাছি। আফ্রিকায় গুমের পরিমান বেড়ে যাওয়ার কারনে একে মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতায় আনা হয়।
মীর কাসেম আলী বিরুদ্ধে যতগুলো অভিযোগ আনা হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে তার উপস্থিতি দেখানো হয়েছে। কিন্তু এসব অপরাধের সাথে তার সম্পৃক্ততার ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষ অকাট্য কোন প্রমান আনতে পারেনি।
১৯৭১ সালে লক্ষ লক্ষ মানুষ দেশান্তরিত হয়েছে। কিন্তু মীর কাসেম আলীর কারনে কেউ দেশান্তরিত হয়েছে কি-না তার কোন প্রমান নেই। দেশান্তর অপরাধের সংজ্ঞায় আন্তর্জাতিক যে উপদানা রয়েছে তা রাষ্ট্রপক্ষ আনতে পারেনি মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে।
কমান্ড রেসপনসিবিলিটি বা সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটর বিষয়টি শুধুমাত্র সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বেসামরিক ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। তুতসি এবং হুতো গৃহযুদ্ধের বিচারের ক্ষেত্রে আকা ইউসুর বিরুদ্ধে প্রথমবার কোন বেসামরিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কমান্ড রেসপনসিবিলিটির অভিযোগ আনা হয়েছে। কারণ আকা ইউসু ছিলেন একটি গোত্রের প্রধান। সেখানে তার অনুগত বাহিনী ছিল, চেইন অব কমান্ড ছিল। তাদের ওপর তার নিয়ন্ত্রন ছিল। তিনি হুকুমদাতা ছিলেন। কিন্তু মীর কাসেম আলীর সাথে আকা ইউসুর কোন মিল নেই। কারণ মীর কাসেম আলী কোন প্রশাসনিক পদ হোল্ড করতেননা।
বেসরমারিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কমান্ড রেসপনসিবিলিটির অভিযোগ আনা যায় দুই ভাবে। প্রথমত তার অনুগত বাহিনী যদি অপরাধ করে এবং তিনি যদি তা ঠেকাতে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয়ত তার জ্ঞানের বাইরে যদি তার অনুগতরা অপরাধ করে এবং পরবর্তীতে এ বিষয়ে তিনি তা জানার পরও যদি কাউকে শাস্তি না দেন তাহলে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা যেতে পারে। মীর কাসেম আলী ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্য ছিল এটা কোন ধরনের কমান্ড রেসপনসিবিলিটির মধ্যে পড়েনা।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিষয় জুড়িশিয়াল নোটিশে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে । ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন এ বিষয়ে বলেন, কমন ফ্যাক্টস বা সবাই জানে এবং ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্ঠিত এমন বিষয় যেমন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ জুড়িশিয়াল নোটিশে নেয়া যেতে পারে। এজন্য কোন রেফারেন্স দরকার নেই। কিন্তু চট্টগ্রামের ডালিম হোটেল সম্পর্কে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা জুড়িশিয়াল নোটিশে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। এটি রাষ্ট্রপক্ষকে সাক্ষ্য প্রমান দিয়ে প্রমান করতে হবে।
প্রত্যেক চার্জের সাথে ৩ (২) (এ), ৩ (২) (জি) এবং ৩ (২) (এইচ) লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। আইনগতভাবে এটা করা যায়না। একটি ঘটনায় দুটি অভিযোগ আনা যায়না।
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, নির্যাতন, অপহরন লুন্ঠন এবং অগ্নিসংযোগের মত ১৪টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। গত ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষ প্রথমে চার্জ গঠন শুনানী শুরু করে।
চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান (এমসি) জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী মামলায় চার্জ গঠনের বিরোধীতা করে এবং মীর কাসেম আলীকে চার্জ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আজ আসামী পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (১) তার উপস্থাপিত শুনানীর সারসংক্ষেপ নিম্নরূপ :
১৯৭২ সালে দালাল আইনে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোথাও একটি মামলাও কেউ দায়ের করেনি। দালাল আইন ছাড়াও বাংলাদেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার অধীনেও বাংলাদেশের কোন একটি থানায় একজন ব্যক্তিও কোন একটি অভিযোগ দায়ের করেনি, একটি জিডিও কেউ করেনি।
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জে ৩৩ জন সাক্ষীর নাম দেয়া হয়েছে। এই ৩৩ জন সাক্ষীর একজনও আজ ৪০ বছর পর্যন্ত কোথাও একটি অভিযোগও কোনদিন করেনি।
গত ২০ বছর ধরে মীর কাসেম আলী বাংলাদেশে একজন পরিচিত ব্যক্তি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়া গত আট নয় বছর ধরে তিনি মিডিয়ার সাথে থাকার কারনেও একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে অনেক পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশন এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান (এমসি) এবং সম্প্রতি বন্ধ করে দেয়া দিগন্ত টিভির প্রতিষ্ঠাতা থেকে এর সাথে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া আরো বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি জড়িত থাকার কারনে পরিচিত পেয়েছেন। কিন্তু গত এই ২০ বছরেও তো কেই তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও করলনা ১৯৭১ সাল বিষয়ে। ১৯৭১ সালে না হয় তিনি তেমন পরিচিত ছিলেননা এবং কেউ অভিযোগ করলনা কিন্তু গত ২০ বছরে যখন তিনি পরিচিতি পেলেন তখন তো কেউ বলতে পারত যে এই লোকটা ৭১ সালে এই এই অপরাধ করেছে। কিন্তু কেউ করেনি।
৪০ বছর পর কেন আজ মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হল এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ কোন যৌক্তিক কারণ ব্যখ্যা করতে পারেনি যদিও তা যৌক্তিক কারণসহ ব্যাখ্যা করা অপরিহার্য।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং রাজনৈতিক অসদউদ্দেশে ৪০ বছর মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে এ বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মীর কাসেম আলী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন নেতা। জামায়াতকে ধ্বংস করার উদ্দেশে জামায়াতের সকল শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে বিচার পরিচালনা করা হচ্ছে এবং এরই অংশ হিসেবে একই কারনে জামায়াতের নেতা হিসেবে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধেও বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে। ১৯৯৫ সালে জামায়াত আওয়ামী লীগের সাথে জোটগত হয়ে রাজনীতি করেছে। তখন আওয়ামী লীগ জামায়াতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সাল সংক্রান্ত কোন অভিযোগ করেনি এবং তখন ক্ষমতায় থাকাকালে বিচারও করেনি। পরবর্তীতে জামায়াত বিএনপির সাথে জোটগত হয়ে আন্দোলন করার ফলে এবং জোটগত নির্বাচনের কারনে ২০০১ সালে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসে। সেই থেকে আওয়ামী লীগ বিএনপি জামায়াত জোট ভাঙ্গার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। কারণ তারা হিসেব করে দেখেছে জামায়াত বিএনপির সাথে জোটে থাকলে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয়। সে কারনে জোট ভাঙ্গার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তারা জামায়াতকে ধ্বংস এবং নির্মূলের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে মীর কাসেম আলীসহ জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশে এ বিচার চালানো হচ্ছে।
১৯৭১ সালে টরচার, অপহরন বলে মানবতাবিরোধী কোন অপরাধ ছিলনা। এমনকি জেনেভো কনভেনশনেও ছিলনা। কাজেই টরচার,অপহরন বিষয়ে চার্জ গঠনের কোন সুযোগ নেই। ১৯৮৪ সালে টরচারের সংজ্ঞা নির্ধারন করা হয়েছে। অপহরন বলতে এখন পর্যন্ত মানবতাবিরোধী কোন অপরাধ নেই। তবে এনফোর্সড ডিসএপিয়ারেন্স বলতে একটি অপরাধ আছে অপহরনের কাছাকাছি। আফ্রিকায় গুমের পরিমান বেড়ে যাওয়ার কারনে একে মানবতাবিরোধী অপরাধের আওতায় আনা হয়।
মীর কাসেম আলী বিরুদ্ধে যতগুলো অভিযোগ আনা হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে তার উপস্থিতি দেখানো হয়েছে। কিন্তু এসব অপরাধের সাথে তার সম্পৃক্ততার ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষ অকাট্য কোন প্রমান আনতে পারেনি।
১৯৭১ সালে লক্ষ লক্ষ মানুষ দেশান্তরিত হয়েছে। কিন্তু মীর কাসেম আলীর কারনে কেউ দেশান্তরিত হয়েছে কি-না তার কোন প্রমান নেই। দেশান্তর অপরাধের সংজ্ঞায় আন্তর্জাতিক যে উপদানা রয়েছে তা রাষ্ট্রপক্ষ আনতে পারেনি মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে।
কমান্ড রেসপনসিবিলিটি বা সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটর বিষয়টি শুধুমাত্র সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বেসামরিক ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। তুতসি এবং হুতো গৃহযুদ্ধের বিচারের ক্ষেত্রে আকা ইউসুর বিরুদ্ধে প্রথমবার কোন বেসামরিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কমান্ড রেসপনসিবিলিটির অভিযোগ আনা হয়েছে। কারণ আকা ইউসু ছিলেন একটি গোত্রের প্রধান। সেখানে তার অনুগত বাহিনী ছিল, চেইন অব কমান্ড ছিল। তাদের ওপর তার নিয়ন্ত্রন ছিল। তিনি হুকুমদাতা ছিলেন। কিন্তু মীর কাসেম আলীর সাথে আকা ইউসুর কোন মিল নেই। কারণ মীর কাসেম আলী কোন প্রশাসনিক পদ হোল্ড করতেননা।
বেসরমারিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কমান্ড রেসপনসিবিলিটির অভিযোগ আনা যায় দুই ভাবে। প্রথমত তার অনুগত বাহিনী যদি অপরাধ করে এবং তিনি যদি তা ঠেকাতে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয়ত তার জ্ঞানের বাইরে যদি তার অনুগতরা অপরাধ করে এবং পরবর্তীতে এ বিষয়ে তিনি তা জানার পরও যদি কাউকে শাস্তি না দেন তাহলে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা যেতে পারে। মীর কাসেম আলী ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্য ছিল এটা কোন ধরনের কমান্ড রেসপনসিবিলিটির মধ্যে পড়েনা।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিষয় জুড়িশিয়াল নোটিশে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে । ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন এ বিষয়ে বলেন, কমন ফ্যাক্টস বা সবাই জানে এবং ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্ঠিত এমন বিষয় যেমন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ জুড়িশিয়াল নোটিশে নেয়া যেতে পারে। এজন্য কোন রেফারেন্স দরকার নেই। কিন্তু চট্টগ্রামের ডালিম হোটেল সম্পর্কে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা জুড়িশিয়াল নোটিশে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। এটি রাষ্ট্রপক্ষকে সাক্ষ্য প্রমান দিয়ে প্রমান করতে হবে।
প্রত্যেক চার্জের সাথে ৩ (২) (এ), ৩ (২) (জি) এবং ৩ (২) (এইচ) লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। আইনগতভাবে এটা করা যায়না। একটি ঘটনায় দুটি অভিযোগ আনা যায়না।
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, নির্যাতন, অপহরন লুন্ঠন এবং অগ্নিসংযোগের মত ১৪টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। গত ২৫ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষ প্রথমে চার্জ গঠন শুনানী শুরু করে।
চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন