মেহেদী হাসান, ১৩/৮/২০১৩
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী যেসব অপরাধের অভিযোগে বিচার চলছে তার মধ্যে অন্যতম আলোচিত একটি অভিযোগ হল গহিরা কুন্ডেশ্বরী কমপ্লেক্স’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যাকান্ড। এ হত্যাকান্ড বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ২ জুন সাক্ষী বলেছেন, তারা দেখেছেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্দেশে পাকিস্তান আর্মি নূতন চন্দ্র সিংহকে গুলি করে প্রথমে। এরপর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজেও তার পিস্তল দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।
কিন্তু নূতন চন্দ্র সিংহ’র ছেলে সত্যরঞ্জন সিংহ ১৯৭২ সালে তার পিতার হত্যা বিষয়ে একটি মামলা করেছিলেন এবং সেখানে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলি করার কোন অভিযোগ নেই। সে মামলার এফআইর এ বলা হয়েছে পাকিস্তান আর্মি তিনটি গুলি করে তার পিতাকে হত্যা করে। এফআইআর এ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং তার পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে তার পিতা নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলায় যুক্তি উপস্থাপনের সময় এ তথ্য তুলে ধরেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। তিনি একটি দরখাস্ত আকারে ১৯৭২ সালের ২৯ জানুয়ারি দায়ের করা মামলার এফআইআর এর সার্টিফাইড কপি আদালতে পেশ করেন।
ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম দরখাস্তের শুনানীতে অংশ নিয়ে বলেন, ১৯৭২ সালে দায়ের করা মামলার এফআইআর এ নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যাকান্ড বিষয়ে কোন চাুস সাক্ষী বিষয়ে কোন কিছু উল্লেখ নেই। কিন্তু এই ট্রাইব্যুনালে এ হত্যাকান্ড বিষয়ে চাুস সাক্ষী হাজির করা হয়েছে এবং এরা আসলে সাজানো সাক্ষী। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের মামলায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলি করার কোন অভিযোগ না থাকলেও এ মামলায় আসামীর বিরুদ্ধে গুলি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যার অভিযোগ বিষয়ে দুটি মামলার ম্যানার সম্পূর্ণ ভিন্ন।
শুনানীর সময় ট্রাইব্যুনাল ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের কাছে জানতে চান আপনি যে ডকুমেন্ট জমা দিয়েছেন তার ওপর আপনি নির্ভর করেন কি-না। ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম বলেন, আমি এর ওপর নির্ভর করিনা। আপনাদের পর্যালোচনার জন্য শুধু এ ডকুমেন্ট জমা দিয়েছি।
ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের পরে আসামী পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন অপর আইনজীবী আহসানুল হক হেনা। তিনি বলেন, নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যা বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ যেসব সাক্ষী হাজির করেছে তার মধ্যে দুজন সাক্ষী এ ঘটনা নিজ চোখে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন। এদের একজন হলেন কুন্ডেশ্বরী বালিকা মহাবিদ্যালয়ের সেসময়কার অধ্যক্ষ গোপাল দাস এবং আরেকজন হলেন নূতন চন্দ্র সিংহ’র ভাইপো গৌরাঙ্গ সিংহ। গোপাল দাস নিজেকে চাুস সাক্ষী হিসেবে দাবি করে বলেছেন, কুন্ডেশ্বরীতে আর্মি আসার পর তিনি এবং ব্রজহরি বাবু ভয়ে ভীত হয়ে দোতলায় উঠে যান। ব্রজহরি বাবু দোতলায় ছোট্ট একটি কামরায় থাকতেন। সেখানে তারা আত্মপোগন করেন এবং ঘটনা অবলোকন করতে থাকেন।
আহসানুল হক হেনা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নূতন চন্দ্র সিংহ’র ছেলে প্রফুল্ল বাবু জেরায় বলেছেন তাদের বাড়িতে দোতলায় মোট নয়টি রুম ছিল। দুটি রুম তার, দুটি রুম অপর ভাই সত্যরঞ্জন বাবুর, দুটি রুম গৌরঙ্গ এবং ভূপতির ছিল। অপর তিনটি রুমের একটি রিডিং রুম, একটি গেস্টরুম এবং আরেকটি পূঁজার ঘর হিসেবে ব্যবহার করা হত।
আহসানুল হক প্রশ্ন রেখে বলেন, গোপাল দাস যে বললেন ব্রজহরি দোতলায় একটি রুমে থাকতেন সেই রুমটি তাহলে কোথায়? এই ব্রজহরি কে? কি তার পরিচয়?
আহসানুল হক হেনা বলেন, এখানেই চমকের শেষ নয়। আরো চমক আছে। সেটা হল নূতন চন্দ্র সিংহ’র ভাইপো গৌরাঙ্গ সিংহ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার সময় বলেছেন, তিনি তার জবানবন্দীতে এ ঘটনা বিষয়ে যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তাদের মধ্যে তিনি এং প্রফুল্ল বাবু ছাড়া আর কেউ জীবিত নেই। গৌরাঙ্গ সিংহ যাদের নাম বলেছিলেন তাদের মধ্যে অধ্যক্ষ গোপল দাসেরও নাম বলেছিলেন এবং তার দাবি অনুযায়ী গোপাল দাস বর্তমানে মৃত। কিন্তু আমরা দেখলাম গোপাল দাস নামে একজন চাুস সাক্ষী হাজির করা হল। গোপাল দাস এখানে আসল কি করে?
আহসানুল হক হেনা বলেন, আসলে এ বিষয়ে সব সাক্ষীই ভুয়া। তারা শেখানো মতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছে। তারা কেউই ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলনা। ঘটনা দেখেওনি।
আহসানুল হক হেনা বলেন, ২০০০ সালে স্মৃতিদীপ নামে একটি স্মরনিকা বের হয় যার সম্পাদক ছিলেন প্রফুল্ল চন্দ্র । সেখানে তিনি তার পিতা হত্যা বিষয়ে স্মৃতিচারন করেছেন কিন্তু তাতে তিনি কোথাও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী নাম উল্লেখ করেননি।
আহসানুল হক হেনা বলেন, কুন্ডেশ্বরীর ঘটনা আমরা অস্বীকার করিনা। কিন্তু এ ঘটনার সাথে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কোন অবস্থাতেই জড়িত নন। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা স্বীকার করেছেন ককটেল বানানোর জন্য কুন্ডেশ্বরী থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বোতল সরবরাহ করা হত কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয় থেকে। তাছাড়া কুন্ডেশ্বরীতে মুক্তি ফৌজ আশ্রয় নিয়েছে মর্মেও খবর ছিল পাকিস্তানী আর্মির কাছে। সেখানে ¯¦র্ণসহ অনেক সম্পদ থাকার খবর ছিল। এসব কারনে পাকিস্তান আর্মি সেখানে যেতে পারে এবং তারা নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা করেছে। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ঘটনা স্থলে ছিলনা। তিনি বলেন, প্রফুল্ল বাবু স্বাীকার করেছেন তাদের বাড়ি থেকে ¯¦র্ণ এবং টাকা লুট হয়েছিল।
ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে তথ্য তুলে ধরে বলেন, ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল কুন্ডেশ্বরীতে যখন হত্যাকান্ড ঘটে তখন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাকিস্তানে ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ করাচির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং ১৯৭৪ সালের ২০ এপ্রিল দেশে ফেরেন। এর মাঝে তিনি কখনো বাংলাদেশে আসেননি। কাজেই ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল কুন্ডেশ্বরীতে নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যাকান্ডের সময় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর উপস্থিত থাকার প্রশ্নই আসেনা। তাকে ঔদিন ঘটনাস্থলে যারা দেখেছেন বলে দাবি করেছেন তারা নির্জলা ডাহা মিথ্যাচার করেছেন।
আগামীকাল বুধবার সকালে প্রথম একঘন্টার মধ্যে আসামী পক্ষকে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ জবাব প্রদান শেষে শেষ হবে এ মামলার কার্যক্রম।
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী যেসব অপরাধের অভিযোগে বিচার চলছে তার মধ্যে অন্যতম আলোচিত একটি অভিযোগ হল গহিরা কুন্ডেশ্বরী কমপ্লেক্স’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যাকান্ড। এ হত্যাকান্ড বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের ২ জুন সাক্ষী বলেছেন, তারা দেখেছেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্দেশে পাকিস্তান আর্মি নূতন চন্দ্র সিংহকে গুলি করে প্রথমে। এরপর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজেও তার পিস্তল দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।
কিন্তু নূতন চন্দ্র সিংহ’র ছেলে সত্যরঞ্জন সিংহ ১৯৭২ সালে তার পিতার হত্যা বিষয়ে একটি মামলা করেছিলেন এবং সেখানে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলি করার কোন অভিযোগ নেই। সে মামলার এফআইর এ বলা হয়েছে পাকিস্তান আর্মি তিনটি গুলি করে তার পিতাকে হত্যা করে। এফআইআর এ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং তার পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে তার পিতা নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলায় যুক্তি উপস্থাপনের সময় এ তথ্য তুলে ধরেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। তিনি একটি দরখাস্ত আকারে ১৯৭২ সালের ২৯ জানুয়ারি দায়ের করা মামলার এফআইআর এর সার্টিফাইড কপি আদালতে পেশ করেন।
ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম দরখাস্তের শুনানীতে অংশ নিয়ে বলেন, ১৯৭২ সালে দায়ের করা মামলার এফআইআর এ নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যাকান্ড বিষয়ে কোন চাুস সাক্ষী বিষয়ে কোন কিছু উল্লেখ নেই। কিন্তু এই ট্রাইব্যুনালে এ হত্যাকান্ড বিষয়ে চাুস সাক্ষী হাজির করা হয়েছে এবং এরা আসলে সাজানো সাক্ষী। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের মামলায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলি করার কোন অভিযোগ না থাকলেও এ মামলায় আসামীর বিরুদ্ধে গুলি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যার অভিযোগ বিষয়ে দুটি মামলার ম্যানার সম্পূর্ণ ভিন্ন।
শুনানীর সময় ট্রাইব্যুনাল ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের কাছে জানতে চান আপনি যে ডকুমেন্ট জমা দিয়েছেন তার ওপর আপনি নির্ভর করেন কি-না। ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম বলেন, আমি এর ওপর নির্ভর করিনা। আপনাদের পর্যালোচনার জন্য শুধু এ ডকুমেন্ট জমা দিয়েছি।
ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের পরে আসামী পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন অপর আইনজীবী আহসানুল হক হেনা। তিনি বলেন, নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যা বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ যেসব সাক্ষী হাজির করেছে তার মধ্যে দুজন সাক্ষী এ ঘটনা নিজ চোখে দেখেছেন বলে দাবি করেছেন। এদের একজন হলেন কুন্ডেশ্বরী বালিকা মহাবিদ্যালয়ের সেসময়কার অধ্যক্ষ গোপাল দাস এবং আরেকজন হলেন নূতন চন্দ্র সিংহ’র ভাইপো গৌরাঙ্গ সিংহ। গোপাল দাস নিজেকে চাুস সাক্ষী হিসেবে দাবি করে বলেছেন, কুন্ডেশ্বরীতে আর্মি আসার পর তিনি এবং ব্রজহরি বাবু ভয়ে ভীত হয়ে দোতলায় উঠে যান। ব্রজহরি বাবু দোতলায় ছোট্ট একটি কামরায় থাকতেন। সেখানে তারা আত্মপোগন করেন এবং ঘটনা অবলোকন করতে থাকেন।
আহসানুল হক হেনা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, নূতন চন্দ্র সিংহ’র ছেলে প্রফুল্ল বাবু জেরায় বলেছেন তাদের বাড়িতে দোতলায় মোট নয়টি রুম ছিল। দুটি রুম তার, দুটি রুম অপর ভাই সত্যরঞ্জন বাবুর, দুটি রুম গৌরঙ্গ এবং ভূপতির ছিল। অপর তিনটি রুমের একটি রিডিং রুম, একটি গেস্টরুম এবং আরেকটি পূঁজার ঘর হিসেবে ব্যবহার করা হত।
আহসানুল হক প্রশ্ন রেখে বলেন, গোপাল দাস যে বললেন ব্রজহরি দোতলায় একটি রুমে থাকতেন সেই রুমটি তাহলে কোথায়? এই ব্রজহরি কে? কি তার পরিচয়?
আহসানুল হক হেনা বলেন, এখানেই চমকের শেষ নয়। আরো চমক আছে। সেটা হল নূতন চন্দ্র সিংহ’র ভাইপো গৌরাঙ্গ সিংহ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার সময় বলেছেন, তিনি তার জবানবন্দীতে এ ঘটনা বিষয়ে যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তাদের মধ্যে তিনি এং প্রফুল্ল বাবু ছাড়া আর কেউ জীবিত নেই। গৌরাঙ্গ সিংহ যাদের নাম বলেছিলেন তাদের মধ্যে অধ্যক্ষ গোপল দাসেরও নাম বলেছিলেন এবং তার দাবি অনুযায়ী গোপাল দাস বর্তমানে মৃত। কিন্তু আমরা দেখলাম গোপাল দাস নামে একজন চাুস সাক্ষী হাজির করা হল। গোপাল দাস এখানে আসল কি করে?
আহসানুল হক হেনা বলেন, আসলে এ বিষয়ে সব সাক্ষীই ভুয়া। তারা শেখানো মতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছে। তারা কেউই ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলনা। ঘটনা দেখেওনি।
আহসানুল হক হেনা বলেন, ২০০০ সালে স্মৃতিদীপ নামে একটি স্মরনিকা বের হয় যার সম্পাদক ছিলেন প্রফুল্ল চন্দ্র । সেখানে তিনি তার পিতা হত্যা বিষয়ে স্মৃতিচারন করেছেন কিন্তু তাতে তিনি কোথাও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী নাম উল্লেখ করেননি।
আহসানুল হক হেনা বলেন, কুন্ডেশ্বরীর ঘটনা আমরা অস্বীকার করিনা। কিন্তু এ ঘটনার সাথে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কোন অবস্থাতেই জড়িত নন। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা স্বীকার করেছেন ককটেল বানানোর জন্য কুন্ডেশ্বরী থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বোতল সরবরাহ করা হত কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয় থেকে। তাছাড়া কুন্ডেশ্বরীতে মুক্তি ফৌজ আশ্রয় নিয়েছে মর্মেও খবর ছিল পাকিস্তানী আর্মির কাছে। সেখানে ¯¦র্ণসহ অনেক সম্পদ থাকার খবর ছিল। এসব কারনে পাকিস্তান আর্মি সেখানে যেতে পারে এবং তারা নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা করেছে। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ঘটনা স্থলে ছিলনা। তিনি বলেন, প্রফুল্ল বাবু স্বাীকার করেছেন তাদের বাড়ি থেকে ¯¦র্ণ এবং টাকা লুট হয়েছিল।
ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে তথ্য তুলে ধরে বলেন, ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল কুন্ডেশ্বরীতে যখন হত্যাকান্ড ঘটে তখন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাকিস্তানে ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ করাচির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং ১৯৭৪ সালের ২০ এপ্রিল দেশে ফেরেন। এর মাঝে তিনি কখনো বাংলাদেশে আসেননি। কাজেই ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল কুন্ডেশ্বরীতে নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যাকান্ডের সময় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর উপস্থিত থাকার প্রশ্নই আসেনা। তাকে ঔদিন ঘটনাস্থলে যারা দেখেছেন বলে দাবি করেছেন তারা নির্জলা ডাহা মিথ্যাচার করেছেন।
আগামীকাল বুধবার সকালে প্রথম একঘন্টার মধ্যে আসামী পক্ষকে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ জবাব প্রদান শেষে শেষ হবে এ মামলার কার্যক্রম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন