২৭/১১/২০১২ মঙ্গলবার
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় আজ শেফালী ঘরামীকে ধর্ষনের অভিযোগসহ মোট তিনটি অভিযোগ খন্ডন করে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম।
শেফালী ঘরামীকে ধর্ষনের বিষয়ে তার স্বামী মধুসূদন ঘরামী গত ১ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। জবানবন্দী এবং জেরায় তিনি জানান ধর্ষনের ফলে তার স্ত্রীর একটি বাচ্চা হয়েছিল এবং লোকজনের গঞ্জনা সহ্য করতে না পারার কারনে তার স্ত্রী সন্তানসহ ভারতে চলে যায়। এরপর তাদের সাথে আর কোনদিন তার দেখা হয়নি। তারা ভারতে কোথায় আছে তাও জানেননা তিনি।
আজ যুক্তি উপস্থাপনের সময় মিজানুল ইসলাম বলেন, গত ৪০ বছর ধরে তিনি তার স্ত্রী এবং সন্তানের কোন খোঁজ খবর নেননি। তারা কোথায় কি অবস্থায় আছে, কি খায় তার কোন খবর তিনি নিলেননা । আর সেই লোক ৪০ বছর পরে এসেছেন তার স্ত্রীকে ধর্ষনের বিচার চাইতে। এটা কতটা মানানসই তা ট্রাইব্যুনাল বিবেচনা করবেন।
মিজানুল ইসলাম বলেন, শেফালী ঘরামীকে ধর্ষনের অভিযোগ বিষয়ে সাক্ষীর জবানবন্দী, জেরা এবং তদন্ত কর্মকর্তার জেরায় যেটি বের হয়ে এসেছে তা হল যুদ্ধ শুরুর অল্প কিছুদিন আগে মধুসূদন ঘরামী বিয়ে করেন। যুদ্ধ শেষের দিকে তার স্ত্রী ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। অগ্রহায়ন মাসে তার সন্তান হয়। যুদ্ধের শেষের দিকে ধর্ষনের ঘটনা ঘটলে অগ্রহায়ন মাসে সন্তান হওয়া কি করে সম্ভব হতে পারে? অবশ্য অলৌকিক ঘটনা হলে সেটা ভিন্ন কথা।
মিজানুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা এবং সাক্ষী যে অনেক অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বলেছেন এটা তার প্রমান। তিনি বলেন, মধুসূদনকে দিয়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ বিষয়ে আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ানো হয়েছে।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে আব্দুল হালিমের বাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগ বিষয়ে মিজানুল ইসলাম বলেন, সাক্ষী আব্দুল হালিম বাবুল ট্রাইব্যুনালে এসে বলেছেন তিনি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ২৭/৭/২০১০ তারিখে জবানবন্দী দিয়েছেন। আর তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন তিনি ১৮/৮/২০১০ তারিখে সর্ব প্রথম পিরোজপুর গেছেন। তাহলে তদন্ত কর্মকর্তা কি করে ২৭/৭/২০১০ তারিখ সাক্ষীর জবানবন্দী নিলেন এবং সাক্ষীও বা কি করে ওই তারিখ জবানবন্দী দিলেন। তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেছেন সাক্ষী আব্দুল হালিম বাবুলের সাথে তার প্রথম সাক্ষাৎ হয় ২০/৯/২০১০ তারিখে।
মিজানুল ইসলাম বলেন এরপরও কি এই তদন্ত কর্মকর্তা এবং এই সাক্ষীকে বিশ্বাস করা যায়?
মিজানুল ইসলাম বলেন, গত ৫ অক্টোবর সাক্ষী আব্দুল হালিম বাবুলের মামা আব্দুর রাজ্জাক আঁকন ট্রাইব্যুনালে এসে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আব্দুর রাজ্জাক সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, তার ভাগনে আব্দুল হালিম বাবুল এই ট্রাইব্যুনালে এসে সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে আমার ভাগনে আব্দুল হালিমের বাড়িতে কোন পাক সেনা, রাজাকার যাই নাই। লুটপাট হই নাই। আগুন দেই নাই। এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি।
মিজানুল ইসলাম বলেন, আব্দুল হালিমের মা জীবিত। তার বাড়িতে আগুন লাগল । কিন্তু তার মাকে রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী করলনা। সাধারনভাবে নিয়ম হল এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে বাড়ির প্রবীণ লোকের কাছে খোজ খবর নেয়া। কিন্ত তদন্ত কর্মকর্তা তার মায়েরই কোন খোঁজ খবরই নিলেননা এ বিষয়ে তার কাছ থেকে জানার জন্য।
এরপর মিজানুল ইসলাম মাহবুবুল আলম হাওলাদারের বাড়ি লুট এবং তার বড় ভাই আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ওপর নির্যাতন বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ফরমাল চার্জে বলা আছে তখনকার মূল্যের হিসাবে মাহবুবুল আলমের বাড়ি থেকে তিন লাখ টাকা মূল্যের ¯¦র্ণ লুট করা হয়েছে। পাকিস্তানে তখন একভরি স্বর্নের দাম ছিল ১৩৫ টাকা। বাংলাদেশে যদি তিনশ টাকা ভরিও হিসাব করা হয় তাহলে তিন লাখ টাকায় এক হাজার ভরি ¯¦র্ণ পাওয়ার কথা। মাহবুবের বাড়িতে তখন এক হাজার ভরি ¯¦র্ণ থাকা সম্ভব ছিল কি-না আপনারা বিবেচনা করবেন।
আল্লামা সাঈদী শুরু থেকে দাবি করে আসছেন তার বিরুদ্ধে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মিথ্যাচার চলছে। এটি তার একটি প্রমান। একহাজার ভরি ¯¦র্ণ লুটের অভিযোগ আনা হল যার বিরুদ্ধে তারই বিরুদ্ধে আবার অভিযোগ করা হল তিনি বগলে করে লুট করা টিন নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি পাড়েরহাট বাজারে চট বিছিয়ে তেল লবন মরিচ বিক্রি করতেন। লঞ্চে দাতের মাজন বিক্রি করতেন ফেরি করে। এরকম একটি লোকের কথায় আবার পাড়েরহটা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দানেশ আলী মোল্লা ওঠবস করত পারে কি করে? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে?
তাছাড়া মাহবুবুল আলম প্রথম যখন পিরোজপুরে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা করেন সেখানে তিনি বড় ভাই আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি। এখানে এসে বলেছেন এ বিষয়ে। মাহবুবুল আলমের বড় ভাই ভাইকে নির্যতানের বিষয়ে তার পরিবারের কাউকেই সাক্ষীও করা হয়নি। এমনকি আব্দুল মজিদ হাওলাদারের স্ত্রী, অপর জীবিত বড় ভাই আব্দুল বাতেনের কাছে এ বিষয়ে কোন খোঁজ খবরও নেননি।
যুক্তি উপস্থাপনে মিজানুল ইসলামকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমেদ আনসারী, ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন, আবু বকর সিদ্দিক, হাসানুল বান্না সোহাগ প্রমুখ আইনজীবী।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় আজ শেফালী ঘরামীকে ধর্ষনের অভিযোগসহ মোট তিনটি অভিযোগ খন্ডন করে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম।
শেফালী ঘরামীকে ধর্ষনের বিষয়ে তার স্বামী মধুসূদন ঘরামী গত ১ ফেব্রুয়ারি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। জবানবন্দী এবং জেরায় তিনি জানান ধর্ষনের ফলে তার স্ত্রীর একটি বাচ্চা হয়েছিল এবং লোকজনের গঞ্জনা সহ্য করতে না পারার কারনে তার স্ত্রী সন্তানসহ ভারতে চলে যায়। এরপর তাদের সাথে আর কোনদিন তার দেখা হয়নি। তারা ভারতে কোথায় আছে তাও জানেননা তিনি।
আজ যুক্তি উপস্থাপনের সময় মিজানুল ইসলাম বলেন, গত ৪০ বছর ধরে তিনি তার স্ত্রী এবং সন্তানের কোন খোঁজ খবর নেননি। তারা কোথায় কি অবস্থায় আছে, কি খায় তার কোন খবর তিনি নিলেননা । আর সেই লোক ৪০ বছর পরে এসেছেন তার স্ত্রীকে ধর্ষনের বিচার চাইতে। এটা কতটা মানানসই তা ট্রাইব্যুনাল বিবেচনা করবেন।
মিজানুল ইসলাম বলেন, শেফালী ঘরামীকে ধর্ষনের অভিযোগ বিষয়ে সাক্ষীর জবানবন্দী, জেরা এবং তদন্ত কর্মকর্তার জেরায় যেটি বের হয়ে এসেছে তা হল যুদ্ধ শুরুর অল্প কিছুদিন আগে মধুসূদন ঘরামী বিয়ে করেন। যুদ্ধ শেষের দিকে তার স্ত্রী ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। অগ্রহায়ন মাসে তার সন্তান হয়। যুদ্ধের শেষের দিকে ধর্ষনের ঘটনা ঘটলে অগ্রহায়ন মাসে সন্তান হওয়া কি করে সম্ভব হতে পারে? অবশ্য অলৌকিক ঘটনা হলে সেটা ভিন্ন কথা।
মিজানুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা এবং সাক্ষী যে অনেক অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বলেছেন এটা তার প্রমান। তিনি বলেন, মধুসূদনকে দিয়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ বিষয়ে আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ানো হয়েছে।
মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে আব্দুল হালিমের বাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগ বিষয়ে মিজানুল ইসলাম বলেন, সাক্ষী আব্দুল হালিম বাবুল ট্রাইব্যুনালে এসে বলেছেন তিনি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ২৭/৭/২০১০ তারিখে জবানবন্দী দিয়েছেন। আর তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন তিনি ১৮/৮/২০১০ তারিখে সর্ব প্রথম পিরোজপুর গেছেন। তাহলে তদন্ত কর্মকর্তা কি করে ২৭/৭/২০১০ তারিখ সাক্ষীর জবানবন্দী নিলেন এবং সাক্ষীও বা কি করে ওই তারিখ জবানবন্দী দিলেন। তদন্ত কর্মকর্তা আরো বলেছেন সাক্ষী আব্দুল হালিম বাবুলের সাথে তার প্রথম সাক্ষাৎ হয় ২০/৯/২০১০ তারিখে।
মিজানুল ইসলাম বলেন এরপরও কি এই তদন্ত কর্মকর্তা এবং এই সাক্ষীকে বিশ্বাস করা যায়?
মিজানুল ইসলাম বলেন, গত ৫ অক্টোবর সাক্ষী আব্দুল হালিম বাবুলের মামা আব্দুর রাজ্জাক আঁকন ট্রাইব্যুনালে এসে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আব্দুর রাজ্জাক সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, তার ভাগনে আব্দুল হালিম বাবুল এই ট্রাইব্যুনালে এসে সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে আমার ভাগনে আব্দুল হালিমের বাড়িতে কোন পাক সেনা, রাজাকার যাই নাই। লুটপাট হই নাই। আগুন দেই নাই। এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি।
মিজানুল ইসলাম বলেন, আব্দুল হালিমের মা জীবিত। তার বাড়িতে আগুন লাগল । কিন্তু তার মাকে রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী করলনা। সাধারনভাবে নিয়ম হল এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে বাড়ির প্রবীণ লোকের কাছে খোজ খবর নেয়া। কিন্ত তদন্ত কর্মকর্তা তার মায়েরই কোন খোঁজ খবরই নিলেননা এ বিষয়ে তার কাছ থেকে জানার জন্য।
এরপর মিজানুল ইসলাম মাহবুবুল আলম হাওলাদারের বাড়ি লুট এবং তার বড় ভাই আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ওপর নির্যাতন বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ফরমাল চার্জে বলা আছে তখনকার মূল্যের হিসাবে মাহবুবুল আলমের বাড়ি থেকে তিন লাখ টাকা মূল্যের ¯¦র্ণ লুট করা হয়েছে। পাকিস্তানে তখন একভরি স্বর্নের দাম ছিল ১৩৫ টাকা। বাংলাদেশে যদি তিনশ টাকা ভরিও হিসাব করা হয় তাহলে তিন লাখ টাকায় এক হাজার ভরি ¯¦র্ণ পাওয়ার কথা। মাহবুবের বাড়িতে তখন এক হাজার ভরি ¯¦র্ণ থাকা সম্ভব ছিল কি-না আপনারা বিবেচনা করবেন।
আল্লামা সাঈদী শুরু থেকে দাবি করে আসছেন তার বিরুদ্ধে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মিথ্যাচার চলছে। এটি তার একটি প্রমান। একহাজার ভরি ¯¦র্ণ লুটের অভিযোগ আনা হল যার বিরুদ্ধে তারই বিরুদ্ধে আবার অভিযোগ করা হল তিনি বগলে করে লুট করা টিন নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি পাড়েরহাট বাজারে চট বিছিয়ে তেল লবন মরিচ বিক্রি করতেন। লঞ্চে দাতের মাজন বিক্রি করতেন ফেরি করে। এরকম একটি লোকের কথায় আবার পাড়েরহটা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দানেশ আলী মোল্লা ওঠবস করত পারে কি করে? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে?
তাছাড়া মাহবুবুল আলম প্রথম যখন পিরোজপুরে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা করেন সেখানে তিনি বড় ভাই আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি। এখানে এসে বলেছেন এ বিষয়ে। মাহবুবুল আলমের বড় ভাই ভাইকে নির্যতানের বিষয়ে তার পরিবারের কাউকেই সাক্ষীও করা হয়নি। এমনকি আব্দুল মজিদ হাওলাদারের স্ত্রী, অপর জীবিত বড় ভাই আব্দুল বাতেনের কাছে এ বিষয়ে কোন খোঁজ খবরও নেননি।
যুক্তি উপস্থাপনে মিজানুল ইসলামকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মনজুর আহমেদ আনসারী, ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন, আবু বকর সিদ্দিক, হাসানুল বান্না সোহাগ প্রমুখ আইনজীবী।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন