যুগোশ্লাভিয়া এবং রুয়ান্ডার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আইনজীবী, যুক্তরাজ্যের বিশিষ্ট আইনজ্ঞ স্টিভেন কিউসি বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ তথা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বিচারের জন্য প্রণীতি আইন নিয়ে একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ রচনা করেছেন। বাংলায় প্রবন্ধটির পূর্ণ শিরোনাম হল ‘বাংলাদেশের সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ (আদালত) (সংশোধন) এ্যাক্ট ২০০৯’ । এ প্রবন্ধে তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের যুদ্ধাপরাধ আইন প্রণয়ন এবং এ আইনকে সুরক্ষার জন্য সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রথমবারের মত বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় ‘অসাম্য’ প্রবর্তন করা হল। তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে সংবিধান সংশোধন করে ৪৭ (৩) ও ৪৭ (ক) ধারা সংযোজনের মাধ্যমে কিছু কিছু লোকের ক্ষেত্রে সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে যে প্রথম সংশোধনী আনা হয় তাতে সকল নাগরিক সমান- সাম্যের এই আকাঙ্খা রহিত করা হয়েছে।
অন্যত্র স্টিভেন বলেন, “বাংলাদেশ তার অভ্যন্তরীণ আইনী কাঠামোর মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আমদানি করেছে এবং একই সময় অভিযুক্তদের যেসব অধিকার রয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের যেসব স্বীকৃত নিয়মনীতি রয়েছে সেগুলো রপ্তানি করে দিয়েছে। এবং আপনি এর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ তুলতে পারবেননা। তারা খুবই অদ্ভুত একটি আদালত স্থাপন করেছে যেখানে অভিযুক্তদের অধিকার হরণ করা হয়েছে।”
স্টিভেন তার প্রবন্ধে বলেন, ১৯৭৩ সালের আইনকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য সংবিধানে নতুন ধারা সংযোজন বাংলাদেশের সংবিধানম প্রচলিত আইন ও বিচার ব্যবস্থার সাথে সাংঘর্ষিক। তিনি ৭২ সালের সংবিধান থেকে উদাহরন দিয়ে বলেন, সংবিধানের তৃতীয় ভাগে ২৭ অনুচ্ছেদে ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’ শিরোনামে মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে পুনরায় উল্লেখ করে বলা হয়েছে “সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারী।”
২৬ অনুচ্ছেদে আরো বলা হয়েছে “এই ভাগের বিধানাবলীর সহিত অসামাঞ্জস্য সকল প্রচলিত আইন যতখানি অসামাঞ্জস্যপূর্ণ , এই সংবিধান প্রবর্তন হইতে সেই সকল আইনের ততখানি বাতিল হাইয়া যাইবে (১) । রাষ্ট্র এই ভাগের কোন বিধানের সহিত অসামাঞ্জস্যপূর্ণ কোন আইন প্রনয়ন করিবেন না এবং অনুরূপ কোন আইন প্রণীত হইলে তাহা এই ভাগের কোন বিধানের সহিত যতখানি অসামাঞ্জস্যপূর্ণ ততখানি বাতিল হাইয়া যাইবে (২)।
তথাপি ১৯৭৩ সালে সংবিধান সংশোধন করে ৪৭ অনুচ্ছেদের ৩ উপধারা সংযোজন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে “ এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবাতা বিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য কোন সশস্ত্র বাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সহায়ক বাহিনীর সদস্য কিংবা যুদ্ধবন্দীকে আটক ফৌজদারীতে সোপর্দ কিংবা দণ্ডদান করিবার বিধান সংবলিত কোন আইন বা আইনের বিধান সংবিধানের কোন বিধানের সহিত অসামঞ্জস্য বা পরিপন্থী, এই কারণে বাতিল বা বেআইনী বলিয়া গণ্য হইবেনা কিংবা কখনো বাতিল বা বেআইনী হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবেনা।”
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার যাতে কেউ উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে না পারে তার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে সংবিধানের এই ধারাটি সংযোজনের মাধ্যমে।
যেমন ৪৭ ক (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে “এই সংবিধানে যাহা বলা হাইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও যে ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় বর্ণিত কোন আইন প্রযোজ্য হয়, এই সংবিধানের অধীন কোন প্রতিকারের জন্য সুপ্রীম কোর্টে আবেদন করিবার কোন অধিকার সেই ব্যক্তির থাকিবেনা।”
এই ধারার ফলে ট্রাইব্যুনালের বিচারে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি তার নির্দোষীতা প্রমানে উচ্চ আদালতের কাছে বিচার চাইতে পারবেননা।
বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক লোকের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে এখানে।
অন্যত্র স্টিভেন বলেন, “বাংলাদেশ তার অভ্যন্তরীণ আইনী কাঠামোর মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আমদানি করেছে এবং একই সময় অভিযুক্তদের যেসব অধিকার রয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের যেসব স্বীকৃত নিয়মনীতি রয়েছে সেগুলো রপ্তানি করে দিয়েছে। এবং আপনি এর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ তুলতে পারবেননা। তারা খুবই অদ্ভুত একটি আদালত স্থাপন করেছে যেখানে অভিযুক্তদের অধিকার হরণ করা হয়েছে।”
স্টিভেন তার প্রবন্ধে বলেন, ১৯৭৩ সালের আইনকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য সংবিধানে নতুন ধারা সংযোজন বাংলাদেশের সংবিধানম প্রচলিত আইন ও বিচার ব্যবস্থার সাথে সাংঘর্ষিক। তিনি ৭২ সালের সংবিধান থেকে উদাহরন দিয়ে বলেন, সংবিধানের তৃতীয় ভাগে ২৭ অনুচ্ছেদে ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’ শিরোনামে মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে পুনরায় উল্লেখ করে বলা হয়েছে “সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারী।”
২৬ অনুচ্ছেদে আরো বলা হয়েছে “এই ভাগের বিধানাবলীর সহিত অসামাঞ্জস্য সকল প্রচলিত আইন যতখানি অসামাঞ্জস্যপূর্ণ , এই সংবিধান প্রবর্তন হইতে সেই সকল আইনের ততখানি বাতিল হাইয়া যাইবে (১) । রাষ্ট্র এই ভাগের কোন বিধানের সহিত অসামাঞ্জস্যপূর্ণ কোন আইন প্রনয়ন করিবেন না এবং অনুরূপ কোন আইন প্রণীত হইলে তাহা এই ভাগের কোন বিধানের সহিত যতখানি অসামাঞ্জস্যপূর্ণ ততখানি বাতিল হাইয়া যাইবে (২)।
তথাপি ১৯৭৩ সালে সংবিধান সংশোধন করে ৪৭ অনুচ্ছেদের ৩ উপধারা সংযোজন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে “ এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে তাহা সত্ত্বেও গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবাতা বিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য কোন সশস্ত্র বাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সহায়ক বাহিনীর সদস্য কিংবা যুদ্ধবন্দীকে আটক ফৌজদারীতে সোপর্দ কিংবা দণ্ডদান করিবার বিধান সংবলিত কোন আইন বা আইনের বিধান সংবিধানের কোন বিধানের সহিত অসামঞ্জস্য বা পরিপন্থী, এই কারণে বাতিল বা বেআইনী বলিয়া গণ্য হইবেনা কিংবা কখনো বাতিল বা বেআইনী হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবেনা।”
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার যাতে কেউ উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে না পারে তার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে সংবিধানের এই ধারাটি সংযোজনের মাধ্যমে।
যেমন ৪৭ ক (২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে “এই সংবিধানে যাহা বলা হাইয়াছে, তাহা সত্ত্বেও যে ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় বর্ণিত কোন আইন প্রযোজ্য হয়, এই সংবিধানের অধীন কোন প্রতিকারের জন্য সুপ্রীম কোর্টে আবেদন করিবার কোন অধিকার সেই ব্যক্তির থাকিবেনা।”
এই ধারার ফলে ট্রাইব্যুনালের বিচারে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি তার নির্দোষীতা প্রমানে উচ্চ আদালতের কাছে বিচার চাইতে পারবেননা।
বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক লোকের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে এখানে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন