২২/১/১১
Mehedy Hasan
যুদ্ধাপরাধী বিচারের লক্ষ্যে প্রণীত ১৯৭৩ সালের আইন এবং যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ রাষ্ট্রদূত স্টিফেন জে র্যাপের সম্প্রতি ঢাকা সফর বিষয়ে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার সফিক আহমেদের কাছে চিঠি লিখেছেন আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞ স্টিভেন কে কিউসি। যুগোশ্লাভিয়া এবং রুয়ান্ডার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আইনজীবী, যুক্তরাজ্যের বিশিষ্ট আইনজ্ঞ স্টিভেন কে কিউসি এবং লন্ডনের অপর দুই আইনজীবী গত বৃহষ্পতিবার এ পত্র পাঠান।
চিঠিতে স্টিভেন কে কিউসি বলেন, ইতোমধ্যে তিনি এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন থেকে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচারের আইনের বিষয়ে যে সব সমালোচনা উত্থাপন করেছেন তা প্রতিধ্বনিত হয়েছে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া স্টিফেন জে র্যাপের বক্তব্যে । তারা সহ স্টিফেন জে র্যাপ আইনের যেসব দুর্বলতা উত্থাপন করেছেন সেসব সংশোধন করে বিচার প্রকৃয়া চালানোর আহবান জানান তারা।
বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রকৃয়া সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য গত ১০ থেকে ১৩ জানুয়ারি ঢাকা সফর করেণ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধপারাধ বিষয়ক বিশেষ রাষ্ট্রদূত স্টিফেন জে র্যাপ। এর কয়েকমাস আগে ঢাকা সফর করেণ যুক্তরাজ্যের আইনবিদ স্টিভেন কে কিউসি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জে র্যাপ ঢাকা সফরকালে যুদ্ধাপরাধ আইন এবং বিচার নিয়ে যেসব মন্তব্য করেছেন তা তুলে ধরে স্টিভেন কে কেউসি এবং লন্ডনের অপর দুই আইনজীবী আইনমন্ত্রীর কাছে যৌথ চিঠি পাঠান গত বৃহষ্পতিবার।
চিঠিতে বলা হয়, “গত ১৩ জানুয়ারি স্টিফেন জে র্যাপ ঢাকায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের উচিত আন্তর্জাতিক আইনের মানদন্ডে বিচার কাজ চালানো। বাংলাদেশে বিদ্যমান অপরাধ আইনে যেসব বিধান রয়েছে সেগুলোও যেন যুদ্ধাপরাধী বিচারের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। বিশেষ করে স্বাক্ষ্য আইন যেন মেনে চলা হয়। নাগরিক এবং রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা বিষয়ক যে আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর) রয়েছে তা মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশ আইসিসিপিআর’র একটি সদস্য। র্যাপ বলেছেন, ১৯৭১ সালে সংঘটিত এই অপরাধের বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন তখনই পাওয়া যাবে যখন বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধ অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের বিচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক এবং বাংলাদেশে বিদ্যমান আইন মেনে চলবে। কোন দল বা সংস্থা অতীতে কি করেছে তার ভিত্তিতে নয় বরং কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অতীতে সুনির্দিষ্ট কোন অপরাধ সংঘটনের প্রমান পেলে তার বিচার করতে হবে। ”
স্টিভেন ও অপর দুই আইনজীবী চিঠিতে বলেন, “আমরা আগেই বলেছি ১৯৭৩ সালের অপরাধ আদালত আইনে কিছু সংশোধনী আনা উচিত। স্টিফেন জে র্যাপও বলেছেন আইনের কিছু বিধি বিধান সংশোধন করতে হবে যা শুনে আমাদের ভাল লাগছে। বিশেষ করে র্যাপ জোর দিয়েছেন আইসিসিপিআর’র ১৪ নং ধারায় অভিযুক্তদের অধিকার রক্ষা বিষয়ে ন্যূনতম যেসব নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে তা যেন বাংলাদেশের আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
র্যাপ আরো জোর দিয়ে বলেছেন আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো এবং জুড়িশিয়াল রিভিউর ব্যবস্থা থাকা উচিত যা সকল আন্তর্জাতিক বিচারে স্বীকৃত।
র্যাপ ১৯৭৩ সালের আইনের পর্যালোচলনা করে বলেছেন যে, হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এর সাথে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালের আইনের সমন্বয় করতে পারে। এটি করতে পারলে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তা বিচারে সহজ হবে।
যুদ্ধপরাধ বিচারে অভিযুক্তদের অধিকার রক্ষায় র্যাপ আন্তর্জাতিক আইন থেকে কিছু বিধি বিধান বাংলাদেশের ১৯৭৩ সালের আইনে সংযোজনের ওপর জোর দিয়েছেন। র্যাপ বলেছেন, যুদ্ধাপরাধ বিচারের লক্ষ্যে গঠিত আদালত এটি করতে পারে। এজন্য সংসদে যাওয়ার দরকার নাই।”
যুদ্ধাপরাধ আইনের বিধি সংশোধনের জন্য র্যাপ যেসব প্রস্তাব দিয়েছে তা পালনের জন্য আইনমন্ত্রী, যুদ্ধাপরাধ আদালতের বিচারক এবং আইনজীবীদের প্রতি আহবান জানান স্টিভেন কে কিউসি।
১৯৭৩ সালের আইনে যেকোন ধরণের সংশোধনী আনার ক্ষেত্রে কমপক্ষে নিচের বিষয়গুলো যেন মেনে চলা হয় তার অনুরোধ জানিয়েছেন স্টিভেন তার চিঠিতে।
আইসিসিপিআর’র ৯ এব ১৪ নং ধারা সংযোজন, স্বাক্ষ্য আইন সংযোজন, হাইকোর্টে আপীলের সুযোগ, হাইকোর্টে জুড়িশিয়াল রিভিউর সুযোগ, আইসিসিতে অপরাধের যেসব সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে তা মেনে চলে অপরাধ নির্নয়ের ক্ষেত্রে এবং আইসসিসির রুলস াব প্রসিডিউর সংযোজন ।
বিচারকে স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ করতে হলে অন্তত এই বিষয়গুলো সংযোজন করা জরুরি বলে চিঠিতে উল্লেখ করেণ স্টিভেন কে কেউসি। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী লন্ডনের অপর দুই আইনজীবী হলেন টবি ক্যাডম্যান এবং জন ক্যামেগ। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে লন্ডনের ৯, রেডফোর্ড রোতে অবস্থিত এন্থনি বেরি কিউসির চেম্বারের প্যাডে।
Mehedy Hasan
যুদ্ধাপরাধী বিচারের লক্ষ্যে প্রণীত ১৯৭৩ সালের আইন এবং যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ রাষ্ট্রদূত স্টিফেন জে র্যাপের সম্প্রতি ঢাকা সফর বিষয়ে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার সফিক আহমেদের কাছে চিঠি লিখেছেন আন্তর্জাতিক আইনজ্ঞ স্টিভেন কে কিউসি। যুগোশ্লাভিয়া এবং রুয়ান্ডার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আইনজীবী, যুক্তরাজ্যের বিশিষ্ট আইনজ্ঞ স্টিভেন কে কিউসি এবং লন্ডনের অপর দুই আইনজীবী গত বৃহষ্পতিবার এ পত্র পাঠান।
চিঠিতে স্টিভেন কে কিউসি বলেন, ইতোমধ্যে তিনি এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন থেকে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচারের আইনের বিষয়ে যে সব সমালোচনা উত্থাপন করেছেন তা প্রতিধ্বনিত হয়েছে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া স্টিফেন জে র্যাপের বক্তব্যে । তারা সহ স্টিফেন জে র্যাপ আইনের যেসব দুর্বলতা উত্থাপন করেছেন সেসব সংশোধন করে বিচার প্রকৃয়া চালানোর আহবান জানান তারা।
বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রকৃয়া সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য গত ১০ থেকে ১৩ জানুয়ারি ঢাকা সফর করেণ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধপারাধ বিষয়ক বিশেষ রাষ্ট্রদূত স্টিফেন জে র্যাপ। এর কয়েকমাস আগে ঢাকা সফর করেণ যুক্তরাজ্যের আইনবিদ স্টিভেন কে কিউসি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জে র্যাপ ঢাকা সফরকালে যুদ্ধাপরাধ আইন এবং বিচার নিয়ে যেসব মন্তব্য করেছেন তা তুলে ধরে স্টিভেন কে কেউসি এবং লন্ডনের অপর দুই আইনজীবী আইনমন্ত্রীর কাছে যৌথ চিঠি পাঠান গত বৃহষ্পতিবার।
চিঠিতে বলা হয়, “গত ১৩ জানুয়ারি স্টিফেন জে র্যাপ ঢাকায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের উচিত আন্তর্জাতিক আইনের মানদন্ডে বিচার কাজ চালানো। বাংলাদেশে বিদ্যমান অপরাধ আইনে যেসব বিধান রয়েছে সেগুলোও যেন যুদ্ধাপরাধী বিচারের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। বিশেষ করে স্বাক্ষ্য আইন যেন মেনে চলা হয়। নাগরিক এবং রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা বিষয়ক যে আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর) রয়েছে তা মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশ আইসিসিপিআর’র একটি সদস্য। র্যাপ বলেছেন, ১৯৭১ সালে সংঘটিত এই অপরাধের বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন তখনই পাওয়া যাবে যখন বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধ অভিযোগে গ্রেফতারকৃতদের বিচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক এবং বাংলাদেশে বিদ্যমান আইন মেনে চলবে। কোন দল বা সংস্থা অতীতে কি করেছে তার ভিত্তিতে নয় বরং কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অতীতে সুনির্দিষ্ট কোন অপরাধ সংঘটনের প্রমান পেলে তার বিচার করতে হবে। ”
স্টিভেন ও অপর দুই আইনজীবী চিঠিতে বলেন, “আমরা আগেই বলেছি ১৯৭৩ সালের অপরাধ আদালত আইনে কিছু সংশোধনী আনা উচিত। স্টিফেন জে র্যাপও বলেছেন আইনের কিছু বিধি বিধান সংশোধন করতে হবে যা শুনে আমাদের ভাল লাগছে। বিশেষ করে র্যাপ জোর দিয়েছেন আইসিসিপিআর’র ১৪ নং ধারায় অভিযুক্তদের অধিকার রক্ষা বিষয়ে ন্যূনতম যেসব নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে তা যেন বাংলাদেশের আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
র্যাপ আরো জোর দিয়ে বলেছেন আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো এবং জুড়িশিয়াল রিভিউর ব্যবস্থা থাকা উচিত যা সকল আন্তর্জাতিক বিচারে স্বীকৃত।
র্যাপ ১৯৭৩ সালের আইনের পর্যালোচলনা করে বলেছেন যে, হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এর সাথে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালের আইনের সমন্বয় করতে পারে। এটি করতে পারলে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তা বিচারে সহজ হবে।
যুদ্ধপরাধ বিচারে অভিযুক্তদের অধিকার রক্ষায় র্যাপ আন্তর্জাতিক আইন থেকে কিছু বিধি বিধান বাংলাদেশের ১৯৭৩ সালের আইনে সংযোজনের ওপর জোর দিয়েছেন। র্যাপ বলেছেন, যুদ্ধাপরাধ বিচারের লক্ষ্যে গঠিত আদালত এটি করতে পারে। এজন্য সংসদে যাওয়ার দরকার নাই।”
যুদ্ধাপরাধ আইনের বিধি সংশোধনের জন্য র্যাপ যেসব প্রস্তাব দিয়েছে তা পালনের জন্য আইনমন্ত্রী, যুদ্ধাপরাধ আদালতের বিচারক এবং আইনজীবীদের প্রতি আহবান জানান স্টিভেন কে কিউসি।
১৯৭৩ সালের আইনে যেকোন ধরণের সংশোধনী আনার ক্ষেত্রে কমপক্ষে নিচের বিষয়গুলো যেন মেনে চলা হয় তার অনুরোধ জানিয়েছেন স্টিভেন তার চিঠিতে।
আইসিসিপিআর’র ৯ এব ১৪ নং ধারা সংযোজন, স্বাক্ষ্য আইন সংযোজন, হাইকোর্টে আপীলের সুযোগ, হাইকোর্টে জুড়িশিয়াল রিভিউর সুযোগ, আইসিসিতে অপরাধের যেসব সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে তা মেনে চলে অপরাধ নির্নয়ের ক্ষেত্রে এবং আইসসিসির রুলস াব প্রসিডিউর সংযোজন ।
বিচারকে স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ করতে হলে অন্তত এই বিষয়গুলো সংযোজন করা জরুরি বলে চিঠিতে উল্লেখ করেণ স্টিভেন কে কেউসি। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী লন্ডনের অপর দুই আইনজীবী হলেন টবি ক্যাডম্যান এবং জন ক্যামেগ। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে লন্ডনের ৯, রেডফোর্ড রোতে অবস্থিত এন্থনি বেরি কিউসির চেম্বারের প্যাডে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন