২২.১১/২০১২ বৃহষ্পতিবার
ভানুসাহাকে ধর্ষনের অভিযোগ বিষয়ে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন অ্যডভোকেট মিজানুল ইসলাম ।
মিজানুল ইসলাম বলেন, আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ হল তিনি ভানুসাহাকে তারই বাড়িতে আটকে রেখে বা বাড়িতে থাকতে বাধ্য করে নিয়মিত ধর্ষণ করেছেন। সাথে অন্যরাও থাকতে পারে।
এ অভিযোগের স্বপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের সবচেয়ে উত্তম সাক্ষী হতে পারতেন ভুক্তভোগী ভানুসাহা নিজে। এরপর সবচেয়ে ভাল সাক্ষী হতে পারতেন ভানুসাহার পরিবারের সদস্যরা। এরপর তার প্রতিবেশীরা। এরপর সাক্ষী হতে পারতেন ঘটনাক্রমে এ ঘটনা যদি কেউ দেখে থাকত সেরকম কোন ব্যক্তি। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগের স্বপক্ষে ভানুসাহা, তার পরিবারের কোন সদস্য, তাদের কোন প্রতিবেশী বা এ ঘটনা দেখেছে এরকম কাউকেই সাক্ষী হিসেবে হাজির করেনি।
মিজানুল ইসলাম বলেন, ভানুসাহার তিনভাই, তিন বোন এবং ভাবীরা এদেশেই আছেন। ভানুসাহার বড় ভাইর বয়স ৫০ বছর। তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন শুধুমাত্র ভানুসাহা ভারতে আছেন। ভানুসাহার বড় ভাইর কাছে ভানুসাহার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছেন কিন্তু তিনি ভানু সাহার বিষয়ে কোন খবর দিতে পারেনন্ ি। ভানুসাহা ভারতে কোথায় আছে তা তারা জানাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মিজানুল ইসলাম বলেন বাংলাদেশে বসবাসরত ভানুসাহার ভাই এবং বোনদের সাথে ভারতে থাকা ভানুসাহার কোন যোগযোগ নেই এবং পরিবারের লোকজন জানবেনা সে ভারতের কোথায় আছে এটা কি বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে? তাহলে বলতে হয় তদন্ত কর্মকর্তা সঠিকভাবে ঘটনার তদন্ত করেননি। ভানুসাহা কোথায় আছে তা তিনি জানার এবং খোঁজারই কোন চেষ্টা করেননি।
মিজানুল ইসলাম যুক্তি দিয়ে বলেন ভানুসাহাকে পাননি বা খোঁজার চেষ্টা করেননি কিন্তু ভানুসাহার ভাইবোন যারা এদেশে আছে তাদেরও কাউকে সাক্ষী করা হলনা। তাদের কোন প্রতিবেশীকেও সাক্ষী করা হলনা। এ ঘটনার সময় ঘটনাক্রমে উপস্থিত ছিল এমন কাউকেও সাক্ষী হিসেবে আনা হলনা। রাষ্ট্রপক্ষ ভানুসাহা বিষয়ে যাদেরকে সাক্ষী করেছেন তাদের মধ্যে শুধুমাত্র চুতর্থ সাক্ষী সুলতান আহমদ হাওলাদার ভানুসাহা বিষয়ে সরাসরি আল্লামা সাঈদীকে জড়িয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন । সুলতান আহমদ বলেছেন, বিপদ সাহার মেয়ে ভানুসাহাকে দেলোয়ার হোসেন শিকদার বর্তমান সাঈদী এবং মোসলেম মাওলানা নিয়মিত ধর্ষন করত। কিন্তু এই সাক্ষী তা নিজে দেখেননি। কার কাছে শুনেছেন তাও বলেননি। তার বাড়িও পাড়েরহাট নয়। সে ভানুসাহার কোন আত্মীয়ও না।
মিজানুল ইসলাম বলেন, ভানুসাহার আপন ভাই, বোন, ভাবীদের চাইতে কি সুলতান আহমেদ তাদের কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে গেল?
তাছাড়া এই সাক্ষীর বিরুদ্ধে বরিশালে দুটি ট্রালার চুরি মামলা এবং হাইকোর্টে একটি কলা চুরির মামলা অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। কলা চুরির মামলায় তার সাজা হয়েছে । এ ধরনের একজন সাক্ষীর কথার বিশ্বাসযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু তা মাননীয় ট্রাইব্যুনাল বিবেচনা করবেন।
মিজানুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিতীয় সাক্ষী রুহুল আমিন নবিন বলেছেন, পাকিস্তান আর্মি কয়েকমাস ভানুসাহাকে আটকে রেখে উপর্যপুরি তাকে ধর্ষণ করেছে। অথচ ভানুসাহা বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের যে অভিযোগ তাতে পাকিস্তান আর্মির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা হয়নি । আপনাদের হয়ত মনে আছে সাক্ষী রুহুল আমিন নবিন তার জবানবন্দী শেষ করার পর, আসামী সনাক্ত করার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাকে বারবার জিজ্ঞাসা করেন আরো কিছু বলার আছে কিনা। তারপর তিনি আদালতের অনুমতি নিয়ে একটি কথা যোগ করেন এবং তখন তিনি পাকিস্তান আর্মিকে জড়িয়ে উপরোক্ত কথাটি বলেন। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর কথা অনুযায়ী পাকিস্তান আর্মি যদি তাকে কয়েকমাস আটকে রেখে উপর্যপুরী ধর্ষণ করে তাহলে তার বাড়িতে গিয়ে বা বাড়িতে আটকে রেখে আল্লামা সাঈদী কর্তৃক ধর্ষনের অভিযোগ টেকেনা।
মিজানুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আরেক সাক্ষী মাহতাব উদ্দিন জেরার সময় বললেন ভানু সাহাকে নিয়ে তারই বাড়িতে বাস করতেন শান্তি কমিটির নেতা মোসলেম মাওলানা। যদি মোসলেম মাওলানার সাথে স্বামী স্ত্রী-পরিচয়ে বাস করে থাকে তাহলে সেটা স্বাভাবিক দৃষ্টিতে ধর্ষনের মধ্যেও পড়েনা।
মিজানুল ইসলাম বলেন, তাহলে আমরা সবশেষে বলতে পারি ভানুসাহাকে আল্লামা সাঈদী কর্তৃক ধর্ষনের অভিযোগের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের শুধুমাত্র একজন সাক্ষী সাঈদী সাহেবকে জাড়িয়ে কথা বলেছেন এবং তিনি ভানুসাহার পরিবারের কোন সদস্য, প্রতিবেশী নন এমনকি পাড়েরহাটেরও লোকন তিনি। তাছাড়া সাক্ষী যে চরিত্রের লোক তাতে তার কথার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
মিজানুল ইসলাম যুক্তি উপস্থান শেষে ট্রাইব্যুনালকে বলেন আমি এটি প্রমানে সক্ষম হয়েছি যে ভানুসাহা বিষয়ে আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা একান্তই মনগড়া।
মিজানুল ইসলামের যুক্তি উপস্থাপনের সময় ট্রাইব্যুনাল মাঝে মধ্যে দুয়েকটি প্রশ্ন করেন। তার মধ্যে একটি হল ভানুসাহার প্রতি সত্যিই পাশবিক অত্যাচারের কারনে শুধুমাত্র সে ভারতে চলে গেছে এবং অন্যরা দেশে আছে । এরকম যদি রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যুক্তি তোলা হল তাহলে তার জবাব কি।
মিজানুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতে যাওয়া এবং ভারত থেকে এদেশে আসা ১৯৪৭ সাল থেকে একটি চলমান প্রকৃয়া। ১৯৭১ সালে চার লাখ নারী নির্যাতিত হয়েছেন বলে বলা হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। এই চার লাখ নারী কি সবাই ভারতে চলে গেছেন? বা ভারতে যারা গেছেন তারা কি সবাই পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন একথা বলা যাবে? ১৯৭১ সালের যেসব নির্যাতিত নারী ভারতে যাননি বাংলাদেশে আছেন তারা কি নির্যাতিত হননি একথাও কি বলা যাবে? সতুরাং ভানুসাহা ভারতে চলে গেছে এ কারণ দেখিয়ে বলা যায়না তিনি ১৯৭১ সালে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ।
যুক্তি উপস্থাপনে মিজানুল ইসলামকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
ভানুসাহাকে ধর্ষনের অভিযোগ বিষয়ে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন অ্যডভোকেট মিজানুল ইসলাম ।
মিজানুল ইসলাম বলেন, আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ হল তিনি ভানুসাহাকে তারই বাড়িতে আটকে রেখে বা বাড়িতে থাকতে বাধ্য করে নিয়মিত ধর্ষণ করেছেন। সাথে অন্যরাও থাকতে পারে।
এ অভিযোগের স্বপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের সবচেয়ে উত্তম সাক্ষী হতে পারতেন ভুক্তভোগী ভানুসাহা নিজে। এরপর সবচেয়ে ভাল সাক্ষী হতে পারতেন ভানুসাহার পরিবারের সদস্যরা। এরপর তার প্রতিবেশীরা। এরপর সাক্ষী হতে পারতেন ঘটনাক্রমে এ ঘটনা যদি কেউ দেখে থাকত সেরকম কোন ব্যক্তি। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগের স্বপক্ষে ভানুসাহা, তার পরিবারের কোন সদস্য, তাদের কোন প্রতিবেশী বা এ ঘটনা দেখেছে এরকম কাউকেই সাক্ষী হিসেবে হাজির করেনি।
মিজানুল ইসলাম বলেন, ভানুসাহার তিনভাই, তিন বোন এবং ভাবীরা এদেশেই আছেন। ভানুসাহার বড় ভাইর বয়স ৫০ বছর। তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন শুধুমাত্র ভানুসাহা ভারতে আছেন। ভানুসাহার বড় ভাইর কাছে ভানুসাহার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছেন কিন্তু তিনি ভানু সাহার বিষয়ে কোন খবর দিতে পারেনন্ ি। ভানুসাহা ভারতে কোথায় আছে তা তারা জানাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মিজানুল ইসলাম বলেন বাংলাদেশে বসবাসরত ভানুসাহার ভাই এবং বোনদের সাথে ভারতে থাকা ভানুসাহার কোন যোগযোগ নেই এবং পরিবারের লোকজন জানবেনা সে ভারতের কোথায় আছে এটা কি বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে? তাহলে বলতে হয় তদন্ত কর্মকর্তা সঠিকভাবে ঘটনার তদন্ত করেননি। ভানুসাহা কোথায় আছে তা তিনি জানার এবং খোঁজারই কোন চেষ্টা করেননি।
মিজানুল ইসলাম যুক্তি দিয়ে বলেন ভানুসাহাকে পাননি বা খোঁজার চেষ্টা করেননি কিন্তু ভানুসাহার ভাইবোন যারা এদেশে আছে তাদেরও কাউকে সাক্ষী করা হলনা। তাদের কোন প্রতিবেশীকেও সাক্ষী করা হলনা। এ ঘটনার সময় ঘটনাক্রমে উপস্থিত ছিল এমন কাউকেও সাক্ষী হিসেবে আনা হলনা। রাষ্ট্রপক্ষ ভানুসাহা বিষয়ে যাদেরকে সাক্ষী করেছেন তাদের মধ্যে শুধুমাত্র চুতর্থ সাক্ষী সুলতান আহমদ হাওলাদার ভানুসাহা বিষয়ে সরাসরি আল্লামা সাঈদীকে জড়িয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন । সুলতান আহমদ বলেছেন, বিপদ সাহার মেয়ে ভানুসাহাকে দেলোয়ার হোসেন শিকদার বর্তমান সাঈদী এবং মোসলেম মাওলানা নিয়মিত ধর্ষন করত। কিন্তু এই সাক্ষী তা নিজে দেখেননি। কার কাছে শুনেছেন তাও বলেননি। তার বাড়িও পাড়েরহাট নয়। সে ভানুসাহার কোন আত্মীয়ও না।
মিজানুল ইসলাম বলেন, ভানুসাহার আপন ভাই, বোন, ভাবীদের চাইতে কি সুলতান আহমেদ তাদের কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে গেল?
তাছাড়া এই সাক্ষীর বিরুদ্ধে বরিশালে দুটি ট্রালার চুরি মামলা এবং হাইকোর্টে একটি কলা চুরির মামলা অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে। কলা চুরির মামলায় তার সাজা হয়েছে । এ ধরনের একজন সাক্ষীর কথার বিশ্বাসযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু তা মাননীয় ট্রাইব্যুনাল বিবেচনা করবেন।
মিজানুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিতীয় সাক্ষী রুহুল আমিন নবিন বলেছেন, পাকিস্তান আর্মি কয়েকমাস ভানুসাহাকে আটকে রেখে উপর্যপুরি তাকে ধর্ষণ করেছে। অথচ ভানুসাহা বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের যে অভিযোগ তাতে পাকিস্তান আর্মির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা হয়নি । আপনাদের হয়ত মনে আছে সাক্ষী রুহুল আমিন নবিন তার জবানবন্দী শেষ করার পর, আসামী সনাক্ত করার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাকে বারবার জিজ্ঞাসা করেন আরো কিছু বলার আছে কিনা। তারপর তিনি আদালতের অনুমতি নিয়ে একটি কথা যোগ করেন এবং তখন তিনি পাকিস্তান আর্মিকে জড়িয়ে উপরোক্ত কথাটি বলেন। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীর কথা অনুযায়ী পাকিস্তান আর্মি যদি তাকে কয়েকমাস আটকে রেখে উপর্যপুরী ধর্ষণ করে তাহলে তার বাড়িতে গিয়ে বা বাড়িতে আটকে রেখে আল্লামা সাঈদী কর্তৃক ধর্ষনের অভিযোগ টেকেনা।
মিজানুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আরেক সাক্ষী মাহতাব উদ্দিন জেরার সময় বললেন ভানু সাহাকে নিয়ে তারই বাড়িতে বাস করতেন শান্তি কমিটির নেতা মোসলেম মাওলানা। যদি মোসলেম মাওলানার সাথে স্বামী স্ত্রী-পরিচয়ে বাস করে থাকে তাহলে সেটা স্বাভাবিক দৃষ্টিতে ধর্ষনের মধ্যেও পড়েনা।
মিজানুল ইসলাম বলেন, তাহলে আমরা সবশেষে বলতে পারি ভানুসাহাকে আল্লামা সাঈদী কর্তৃক ধর্ষনের অভিযোগের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের শুধুমাত্র একজন সাক্ষী সাঈদী সাহেবকে জাড়িয়ে কথা বলেছেন এবং তিনি ভানুসাহার পরিবারের কোন সদস্য, প্রতিবেশী নন এমনকি পাড়েরহাটেরও লোকন তিনি। তাছাড়া সাক্ষী যে চরিত্রের লোক তাতে তার কথার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
মিজানুল ইসলাম যুক্তি উপস্থান শেষে ট্রাইব্যুনালকে বলেন আমি এটি প্রমানে সক্ষম হয়েছি যে ভানুসাহা বিষয়ে আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা একান্তই মনগড়া।
মিজানুল ইসলামের যুক্তি উপস্থাপনের সময় ট্রাইব্যুনাল মাঝে মধ্যে দুয়েকটি প্রশ্ন করেন। তার মধ্যে একটি হল ভানুসাহার প্রতি সত্যিই পাশবিক অত্যাচারের কারনে শুধুমাত্র সে ভারতে চলে গেছে এবং অন্যরা দেশে আছে । এরকম যদি রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যুক্তি তোলা হল তাহলে তার জবাব কি।
মিজানুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতে যাওয়া এবং ভারত থেকে এদেশে আসা ১৯৪৭ সাল থেকে একটি চলমান প্রকৃয়া। ১৯৭১ সালে চার লাখ নারী নির্যাতিত হয়েছেন বলে বলা হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। এই চার লাখ নারী কি সবাই ভারতে চলে গেছেন? বা ভারতে যারা গেছেন তারা কি সবাই পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন একথা বলা যাবে? ১৯৭১ সালের যেসব নির্যাতিত নারী ভারতে যাননি বাংলাদেশে আছেন তারা কি নির্যাতিত হননি একথাও কি বলা যাবে? সতুরাং ভানুসাহা ভারতে চলে গেছে এ কারণ দেখিয়ে বলা যায়না তিনি ১৯৭১ সালে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ।
যুক্তি উপস্থাপনে মিজানুল ইসলামকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন