২৪/৬/১২, রোববার
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জামিন আবেদন নাকচ করা হয়েছে । জামিন আবেদন নাকচ করা বিষয়ক আদেশে ট্রাইব্যুনাল -১ বলেন, মাওলানা সাঈদী বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যদিকে তাকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে। সে বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। প্যারোলে মুক্তির আবেদন থাকা অবস্থায় কিভাবে তাকে জামিন দেয়া যায় সেটি একটি প্রশ্ন আমাদের কাছে।
আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, জামিন আবেদনের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল মাওলানা সাঈদীর বড় ছেলে রাফীক বিন সাঈদী মারা যাওয়ায় তার পুরোপুরি সুস্থতা অর্জনের জন্য পারিবারিক সান্নিধ্যে থাকা দরকার। পারিবারিক সেবা শুশ্রুষা দরকার। কিন্তু মাওলানা সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদীও সাংবাদিক সম্মেলনে করে তার পিতাকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন। এথেকে এটি প্রতীয়মান যে, তার এ মুহুর্তে চিকিৎসা করানো বেশি জরুরি। আর চিকিৎসার জন্য যদি তাকে লন্ডন পাঠানো হয় তাহলে সেখানে তার পক্ষে পারিবারিক সান্নিধ্য পাওয়া সম্ভব নয়।
তাছাড়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে, বারডেমে তাকে গুরুত্বসহকারে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে বলেও ট্রাইব্যুনাল আদেশে উল্লেখ করেন।
এরপর জামিন আবেদন নাকচের পক্ষে ট্রাইব্যুনাল দুটি যুক্তি উপস্থাপন করেন। ট্রাইব্যুনাল বলেন, এর আগে মায়ের জানাজার সময় মাওলানা সাঈদীকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। সেবার তিনি প্যারোলে মুক্তির শর্ত মেনে চলেছেন। কিন্তু এবার বড় ছেলের জানাজায় প্যারোলে মুক্তির শর্ত তিনি ভঙ্গ করেছেন।
জানাজার সময় তিনি ১০ মিনিট বক্তব্য দিয়েছেন। বক্তব্যের মধ্যে উসকানিমূলক (প্রোভোকেটিভ) কথা ছিল। পুলিশ তাকে থামানোর চেষ্টা করলেও তিনি থামেননি। তাছাড়া অনেক উচ্ছৃঙ্খল (আনরুলি) লোকজন তাকে কারাগারে নিয়ে যাবার সময় গাড়ির পেছন পেছন অনুসরন করেছে।
আরেকটি বিষয় উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনাল বলেন, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে এক সাক্ষীর ছেলে একটি গ্রুপ কর্তৃক হামলার শীকার হয়েছে। অভিযোগ এসেছে সাঈদ’র সমর্থকরা এটি করেছে।
আদেশ শেষে হবার সাথে সাথে তাজুল ইসলাম দাড়িয়ে বলেন, প্যারোলে মুক্তির শর্ত তিনি ভঙ্গ করেছেন কিনা এ মর্মে রাষ্ট্রপক্ষের কোন আইনজীবীদের পক্ষ থেকেও কিছু বলা হয়নি এবং জেল কর্তৃপক্ষও কিছু বলেননি। কাজেই এ বিষয়টি আপনারা কিভাবে আদেশে আনলেন?
তখন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আমরা টিভিতে দেখেছি তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি কি বক্তব্য দেননি?
তাজুল ইসলাম বলেন, বক্তব্য দিয়েছেন কিন্তু তিনি শর্ত ভঙ্গ করেছেন, মানুষকে উসকানি দিয়েছেন এ অভিযোগতো কেউ করেনি।
এরপর তাজুল ইসলাম বলেন, পিরোজপুরে এক সাক্ষীর ছেলে গাজা খাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার শীকার হয়েছেন। পত্রিকায় এ বিষয়ে রিপোর্ট হয়েছে। সেটিও কি মাওলানা সাঈদীর প্রভাবে হয়েছে এবং জামিন না দেয়ার পক্ষে যুক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হবে? এ বিষয়ে তো রাষ্ট্রপক্ষ থেকেও কিছু বলা হয়নি। পত্রিকার রিপোর্ট থেকে এ বিষয়টি এখানে জামিন না দেয়ার পক্ষে কিভাবে আপনারা যুক্তি হিসেবে আনতে পারেন?
তাজুল ইসলাম বলেন, এ দুটি বিষয় আদেশ থেকে বাদ দেয়া হোক আদেশ থেকে। ট্রাইব্যুনাল বলেন ঠিক আছে বাদ দেয়া হবে।
জামিন আবেদন বাতিল বিষয়ে তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের বলেন, এ নিয়ে সপ্তমবারের মত মাওলানা সাঈদীর জামিন আবেদন বাতিল করা হল। আপনারা জানেন কোন মানবিক প্রেক্ষাপট তুলে আমরা জামিনের আবেদন করেছিলাম। আমরা মনে করি তার জামিন আবেদন বাতিল করা সঠিক হয়নি, মানবিক হয়নি।
জামিন আবেদন বাতিলের পর মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের জেরা শুরু হয়। তাকে জেরা করেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। তাকে সহয়াতা করেন অ্যডভোকেট মনজুর আহমেদ আনছারী, আবু বকর সিদ্দিক, হাসানুল বান্না সোহাগ। এসময় অন্যান্য আইনজীবীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক, শাহজাহান কবির, শিশির মোহাম্মদ মনির ।
মাওলানা সাঈদী ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ডায়াবেটিসের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় তাকে গত শনিবার রাতে আবার বারডেমে নিয়ে আসা হয়েছে।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জামিন আবেদন নাকচ করা হয়েছে । জামিন আবেদন নাকচ করা বিষয়ক আদেশে ট্রাইব্যুনাল -১ বলেন, মাওলানা সাঈদী বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যদিকে তাকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে। সে বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। প্যারোলে মুক্তির আবেদন থাকা অবস্থায় কিভাবে তাকে জামিন দেয়া যায় সেটি একটি প্রশ্ন আমাদের কাছে।
আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, জামিন আবেদনের পক্ষে সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল মাওলানা সাঈদীর বড় ছেলে রাফীক বিন সাঈদী মারা যাওয়ায় তার পুরোপুরি সুস্থতা অর্জনের জন্য পারিবারিক সান্নিধ্যে থাকা দরকার। পারিবারিক সেবা শুশ্রুষা দরকার। কিন্তু মাওলানা সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদীও সাংবাদিক সম্মেলনে করে তার পিতাকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন। এথেকে এটি প্রতীয়মান যে, তার এ মুহুর্তে চিকিৎসা করানো বেশি জরুরি। আর চিকিৎসার জন্য যদি তাকে লন্ডন পাঠানো হয় তাহলে সেখানে তার পক্ষে পারিবারিক সান্নিধ্য পাওয়া সম্ভব নয়।
তাছাড়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে, বারডেমে তাকে গুরুত্বসহকারে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে বলেও ট্রাইব্যুনাল আদেশে উল্লেখ করেন।
এরপর জামিন আবেদন নাকচের পক্ষে ট্রাইব্যুনাল দুটি যুক্তি উপস্থাপন করেন। ট্রাইব্যুনাল বলেন, এর আগে মায়ের জানাজার সময় মাওলানা সাঈদীকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। সেবার তিনি প্যারোলে মুক্তির শর্ত মেনে চলেছেন। কিন্তু এবার বড় ছেলের জানাজায় প্যারোলে মুক্তির শর্ত তিনি ভঙ্গ করেছেন।
জানাজার সময় তিনি ১০ মিনিট বক্তব্য দিয়েছেন। বক্তব্যের মধ্যে উসকানিমূলক (প্রোভোকেটিভ) কথা ছিল। পুলিশ তাকে থামানোর চেষ্টা করলেও তিনি থামেননি। তাছাড়া অনেক উচ্ছৃঙ্খল (আনরুলি) লোকজন তাকে কারাগারে নিয়ে যাবার সময় গাড়ির পেছন পেছন অনুসরন করেছে।
আরেকটি বিষয় উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনাল বলেন, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে এক সাক্ষীর ছেলে একটি গ্রুপ কর্তৃক হামলার শীকার হয়েছে। অভিযোগ এসেছে সাঈদ’র সমর্থকরা এটি করেছে।
আদেশ শেষে হবার সাথে সাথে তাজুল ইসলাম দাড়িয়ে বলেন, প্যারোলে মুক্তির শর্ত তিনি ভঙ্গ করেছেন কিনা এ মর্মে রাষ্ট্রপক্ষের কোন আইনজীবীদের পক্ষ থেকেও কিছু বলা হয়নি এবং জেল কর্তৃপক্ষও কিছু বলেননি। কাজেই এ বিষয়টি আপনারা কিভাবে আদেশে আনলেন?
তখন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আমরা টিভিতে দেখেছি তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি কি বক্তব্য দেননি?
তাজুল ইসলাম বলেন, বক্তব্য দিয়েছেন কিন্তু তিনি শর্ত ভঙ্গ করেছেন, মানুষকে উসকানি দিয়েছেন এ অভিযোগতো কেউ করেনি।
এরপর তাজুল ইসলাম বলেন, পিরোজপুরে এক সাক্ষীর ছেলে গাজা খাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলার শীকার হয়েছেন। পত্রিকায় এ বিষয়ে রিপোর্ট হয়েছে। সেটিও কি মাওলানা সাঈদীর প্রভাবে হয়েছে এবং জামিন না দেয়ার পক্ষে যুক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হবে? এ বিষয়ে তো রাষ্ট্রপক্ষ থেকেও কিছু বলা হয়নি। পত্রিকার রিপোর্ট থেকে এ বিষয়টি এখানে জামিন না দেয়ার পক্ষে কিভাবে আপনারা যুক্তি হিসেবে আনতে পারেন?
তাজুল ইসলাম বলেন, এ দুটি বিষয় আদেশ থেকে বাদ দেয়া হোক আদেশ থেকে। ট্রাইব্যুনাল বলেন ঠিক আছে বাদ দেয়া হবে।
জামিন আবেদন বাতিল বিষয়ে তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের বলেন, এ নিয়ে সপ্তমবারের মত মাওলানা সাঈদীর জামিন আবেদন বাতিল করা হল। আপনারা জানেন কোন মানবিক প্রেক্ষাপট তুলে আমরা জামিনের আবেদন করেছিলাম। আমরা মনে করি তার জামিন আবেদন বাতিল করা সঠিক হয়নি, মানবিক হয়নি।
জামিন আবেদন বাতিলের পর মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের জেরা শুরু হয়। তাকে জেরা করেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। তাকে সহয়াতা করেন অ্যডভোকেট মনজুর আহমেদ আনছারী, আবু বকর সিদ্দিক, হাসানুল বান্না সোহাগ। এসময় অন্যান্য আইনজীবীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক, শাহজাহান কবির, শিশির মোহাম্মদ মনির ।
মাওলানা সাঈদী ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ডায়াবেটিসের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় তাকে গত শনিবার রাতে আবার বারডেমে নিয়ে আসা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন