১৫/১/২০১২
আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ট্রাইব্যুনালে বলেছেন, স্কাইপ কথোপকথন অবৈধ উপায়ে সংগৃহীত কোন ডকুমেন্ট নয়। বরং এটা সর্বজন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠিত এবং সত্য ডকুমেন্ট। এটা বিভিন্ন ওয়েব সাইটে পাওয়া যাচ্ছে। এটা যে হ্যাক করা হয়েছে সে মর্মে কোন প্রমান কেউ হাজির করেনি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে রিপোর্ট হয়েছে। আজ পর্যন্ত বিচারপতি নিজামুল হক, ড. আহমেদ জিয়া উদ্দিন কেউ এটা অস্বীকার করেননি। বরং তারা এটি স্বীকার করেছেন। স্কাইপ কথোপকথনে যাদের নাম এসেছে তারাও কেউ এটি অস্বীকার করেননি। কাজেই স্কাইপ কথোপকথন প্রতিষ্ঠিত সত্য ডকুমেন্ট।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্কাইপ কথোপকথন হ্যাক করা হয়েছে কি-না, এটা অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা হয়েছে কি-না এবং এটা অপরাধের মধ্যে পড়ে কি-না সেটা বলা এ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারের মধ্যে পড়েনা। ২০০৬ সালে যে তথ্য প্রযুক্তি আইন হয়েছে সে আইনের অধীনে পরিচালিত কোন কোর্ট সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারে। তার আগে এটাকে ট্রাইব্যুনাল এটাকে অবৈধ এবং হ্যাক করা হয়েছে এটা বলতে পারেননা। কারণ এটা কে, কোন দেশ থেকে কিভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে তা কেউ জানেনা।
ট্রাইব্যুনালের পদত্যাগী চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপ কেলেঙ্কারির জের ধরে জামায়তে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম, বর্তমান আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার নতুন করে শুরুর আবেদন করা হয়েছিল আসামী পক্ষ থেকে। সে আবেদন খারিজ করে গত ৩ জানুয়ারি আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। খারিজ আদেশ পুনরায় বিবেচনার জন্য আবার আবেদন করা হয়েছিল আসামী পক্ষ থেকে। আজ ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক এ রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানী পেশ করার সময় উপরোক্ত কথা বলেন ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ শুনানীতে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুনরায় বিচারের তিনটি আবেদন খারিজ করে দিয়ে গত তিন জানুয়ারি যে আদেশ আপনারা দিয়েছেন সেখানে স্কাইপ কথোপকথন বিষয়ে বলা হয়েছে এটি হ্যাকড করা ডকুমেন্ট । এটা অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এটা একটা অপরাধ। তাই এটা আমলে নেয়া যাবেনা।
এখন আমাদের পরিষ্কার এবং স্পষ্ট প্রশ্ন হল কে এটা হ্যাক করেছে। কোন দেশ থেকে কিভাবে হ্যাক করা হয়েছে? এই তিন প্রশ্নের উত্তর কে দেবে? আপনারা বেদেন? এটা হ্যাক হয়েছে কি-না, এটা অবৈধ ডকুমেন্ট কি-না বা হ্যাকিং হয়ে থাকলে সেটা কোন ধরনের অপরাধের মধ্যে পড়বে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা কি এই ট্রাইব্যুনালের আছে? আমাদের মত হল আপনাদের সে এখতিয়ার নেই।
কারণ সাইবার ক্রাইম, হ্যাংকিং এসব বিষয়ে ২০০৬ সালে একটি আইন হয়েছে।। স্কাইপ কথোপকথন হ্যাকিং হয়েছি কি-না এবং সেটা কোন অপরাধ কি-না তা ২০০৬ সালের আইনের অধীনে পরিচালিত কোন কোর্ট কর্তৃক সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। তার আগে আপনারা বলতে পারেননা যে, স্কাইপ কথোপকথন হ্যাকড ডকুমেন্ট, এটা অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এটা একটা অপরাধ। আপনারা স্কাইপ কথোপকথনকে অপরাধ হিসেবে অখ্যায়িত করেছেন। কিন্তু এটা যে হ্যাকড হয়েছে, অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা হয়েছে সে বিষয়ে কোন তথ্য প্রমান কি আপনাদের সামনে আছে? নাই।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিচারপতি নিজামুল হক এবং ড. আহমেদ জিয়া উদ্দিনের মধ্যে দ্ইু প্রন্ত থেকে স্কাইপের মাধ্যমে কথোপকথন হয়েছে। তাদের একজন বাংলাদেশে এবং আরেকজন বেলজিয়ামে ছিলেন। তাদের কথাবার্তা যদি হ্যাকড হয় তাহলে হয় বাংলাদেশ থেকে অথবা বেলজিয়াম থেকে হয়েছে। অথবা প্রথম আলো পত্রিকা লিখেছে একটি পাওয়ারফুল দেশ থেকে পাওয়া যেতে পারে। তাদের কাছে নাকি সবই পাওয়া যায়। অথবা কেউ এটা ডিভাইসের মাধ্যমে রেকর্ড করেছে। এর বাইরে এটা কারোর পাওয়ার কথা নয়।
ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এর উইকিলিকস বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংসদ বলেছে এটা তাদের দেশে কোন অপরাধ নয়। কিন্তু ইংল্যান্ডে এটা অপরাধ। কাজেই হ্যাকিং অপরাধ কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে আগে জানতে হবে সেটা কোন দেশ থেকে হ্যাক করা হয়েছে এবং সেদেশের আইনে এ বিষয়ে কি বলা আছে। বাংলাদেশ থেকে হ্যাকিং করা হয়েছে তার কোন প্রমান আছে? বাংলাদেশ থেকে হ্যাকিং হয়েছে কি-না সেটা নিশ্চিত হবার আগে কি করে বলা যাবে যে, এটা অপরাধ? কোন দেশ থেকে হ্যাক করা হয়েছে তা আমরা কেউ জানিনা। এটা বের না করা পর্যন্ত এটাকে আপনারা অবৈধ বলতে পারেননা। ২০০৬ সালের আইন কর্তৃক সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে প্রমানের আগে আপনারা এটাকে অবৈধ বলতে পারেননা।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখানে জেয়াদ আল মালুমকে অপসারন আবেদনের শুনানীতে আইনজীবীরা বলেছেন হতে পারে জিয়াউদ্দিন সাহেব নিজেই এটা সরবরাহ করেছেন। বা অন্য কোন পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হতে পারে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
এসসয় ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান বিচারাতি নিজামুল হক গত ৬ ডিসেম্বর লন্ডনের ইকোনমিস্টের বিরুদ্ধে রুল জারির সময় তিনি নিজে বলেছেন তার ইমেইল এবং স্কাইপ একাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৬ তারিখের ওই আদেশে বিচারপতি নিজামুল হক এটাও স্বীকার করেছেন যে, তিনি জিয়াউদ্দিনের সাথে স্কাইপ কথোপকথন করেছেন। জিয়াউদ্দিন সাহেব ১৯ জানুয়ারি বিডি নিউজের লিখিত প্রবন্ধে স্বীকার করেছেন তিনি কথা বলেছেন। আজ পর্যন্ত তাদের দুজনের কেউ বা এখানে যাদের নাম এসেছে তাদের কেউ আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত স্কাইপ কথোপকথন বিষয়ে অস্বীকার করেননি। স্কাইপ কথোপকথনে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুমের নাম এসেছে অনেক বিষয়ে। তিনি এখন পর্যন্ত অস্বীকার করেননি যে তার সম্পর্কে স্কাইপ সংলাপে যা বলা হয়েছে তা মিথ্যা। স্কাইপ কথোপকথনে উল্লেখ আছে তিনি বিচারপতির রুমে গিয়েছেন সাক্ষী বিষয়ে আলোচনার জন্য। তিনি সাক্ষীকে প্রশিক্ষন দিয়েছেন। তার নামে যে এসব কথা মিথ্য লেখা হয়েছে বা তিনি যে এসব করেননি তাতো তিনি বলছেননা। ড. আহমেদ জিয়া উদ্দিন তার প্রবন্ধে বলেছেন আমার দেশ পত্রিকায় যা প্রকাশিত হয়েছে তাতে কিছু কাটাছাট এবং পরিবর্তনের আলামত পাওয়া গেছে। কিন্তু কোথায় তার কথা বিকৃত করা হয়েছে, ভুল লেখা হয়েছে তা তিনি বলেননি। তিনি এতকথা লিখলেন আর ভুল কোথায় লেখা হয়েছে তা উল্লেখ করতে পারলেননা?
কাজেই এসব থেকে এটা প্রমানিত যে, স্কাইপ কথোপকথন অবৈধ নয় এটা সর্বজন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠিত একটি সত্য ডকুমেন্ট। এটা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জিয়াউদ্দিন সাহেব তার প্রবন্ধে গর্বের সাথে বলছেন তারা এটি করে কোন অন্যায় এবং আইন ভঙ্গ করেননি। তারা ট্রাইব্যুনালকে সহায়তার চেষ্টা করে গেছেন এবং ভবিষ্যতেও করে যাবেন।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুনরায় বিচার আবেদন খারিজ করে দেয়া আদেশে আপনারা ইকোনমিস্ট ম্যগাজিনকে প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা অনৈতিক কাজ করেছে বলে উল্লেখ করেছেন। অথচ ইকনোমিস্ট আমার দেশ পত্রিকার চেয়ে অনেক বেশি এবং শক্ত কথা লিকেছে। তার কম শব্দে অনেক বেশি এবং গুরুত্বপূর্ণ কথা লিখেছে। আমার দেশ শুধু স্কাইপ কথোপকথন ছেপেছে; ইমেইল নিয়ে কোন রিপোট করেনি। কিন্তু ইকোনমিস্ট স্কাইপ বিষয়ে একটি সারসংক্ষেপ রিপোর্ট করেছে এবং ইমেইল নিয়েও রিপোর্ট করেছে।
এসসয় ট্রাইব্যুাল বলেন, ইকোনমিস্ট স্কাইপ কনভারসেশন ছাপেনি।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হুবহু ছাপেনি। তবে ইকনোমিস্ট তাদের রিপোর্টে স্কাইপ থেকে সংলাপ উদ্ধৃত করছে তাদের প্রতিবেদনে। যেমন ‘সরকার গেছে পাগল হইয়া, তারা একটা রায় চায়। সরকার রায়ের জন্য পাগল হইয়া গেছে, বাস। একথাগুলো ইকোনরমিস্টও লিখেছে। আপনারা যদি শুধু ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনও আমলে নেন তাহলেও এ বিচার পুনরায় শুরুর শতভাগ দাবি রাখে।
তিনি বলেন আমার দেশ এবং সংগ্রামে স্কাইপ প্রকাশ করেছে সেকারনে তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন কিন্তু ইকোনমিস্ট কি কারনে ছেপেছে? উপমহাদেশের কোন দেশের কোন ঘটনা নিয়ে ইকোনমিস্ট এতবড় বিস্তারিত রিপোর্ট এর আগে কখনো করেছে কি-না আমার জানা নেই। পূর্ন তিন পৃষ্ঠা রিপোর্ট করেছে তারা। ১৯৭১ সালে তারা কত বড় রিপোর্ট করেছিল তা আমার মনে নেই। সাক্ষীদের প্রশিক্ষন দেয়ার কথা, কোন তারিখে কোন আদেশের ড্রাফট বেলজিয়াম থেকে এসেছে সেসব তারিখসহ ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ পর্যায়ে বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির বলেন, একজন আইনজীবী সাক্ষীর সাথে কথা বলতে পারেন। সাক্ষীকে টেস্ট করা তার দায়িত্ব। পুরো বিষয়টা সাক্ষীর মেমোরিতে আনা তার দায়িত্ব। এটা অবৈধ নয়। এটা টেম্পারিং নয়।
জবাবে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অবশ্যই পারেন কিন্তু সুলতানা কামাল কি বিচারপতি নিজামুল হকের সাক্ষী না প্রসিকিউশনের সাক্ষী? জেনারেল শফিউল্লাহ, মুনতাসির মামুন এরা কি নিজামুল হকের সাক্ষী না প্রসিকিউশনের সাক্ষী? রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী যদি বিচারপতির চেম্বারে বসে সাক্ষী নিয়ে আলোচনা করেন, কোন সাক্ষীকে দিয়ে কি বলাতে, কোন সাক্ষীকে বাদ দিতে হবে তা নির্ধারন করেন এবং এরপরও যদি এটা টেম্পারিং না হয় তাহলে টেম্পারিং কি? সাক্ষী যদি বিচারপতি নিজামুল হকের হয় এবং এরপরও যদি এ বিচার ব্যবস্থা অপবিত্র না হয় তাহলে আমাদের আর বলার কিছু নেই। আপনাদের সুবিবেবচনার ওপর ছেড়ে দিলাম।
হ্যাক করা ডকুমেন্ট ব্যবহার করা বৈধ কি-না সে বিষয়ে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক যুগোস্লাভিয়ার যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের দুটি উদাহরন তুলে ধরেন শুনানীর সময় । তিনি বলেন, যুগোস্লভিয়া যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসামীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে টেলিফোন কথোপকথনের রেকর্ড সরবরাহ করা হয়েছিল। এ টেলিফোন কথোপকথন গোপনে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছিল। আসামী পক্ষ থেকে তখন অভিযোগ করা হয়েছিল এটা অবৈধভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে। এটা অপরাধ। এটা ব্যবহার করা যাবেনা। কোর্ট তখন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রে ঘটা এজাতীয় ঘটনা পর্যালোচনা করে সেই হ্যাক করা ডকুমেন্ট আমলে নেন এবং জানান, ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত হলে এবং রেকর্ডকৃত কথাবর্তা সত্য হলে সেটা ব্যবহার করা যাবে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আপনরা দেখবেন আপনাদের সামনে যা হাজির করা হয়েছে তা প্রাসঙ্গিক কিনা এবং সত্য কিনা।
কিভাবে ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে সেটা অপরাধ কি-না এবং তা দেখার ব্যবস্থা এই ট্রাইব্যুনালের আইনে নেই। ট্রাইব্যুনালের আইনের ১৯ (১) ধারায় বলা আছে পত্রিকা, ম্যাগাজিনের প্রকাশিত খবর; চলচ্চিত্র, প্রামান্য চিত্র এসব ডকুমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করা যাবে। কিন্তু কিভাবে এসব সংগ্রহ করা হয়েছে তা বিবেচনার ব্যবস্থা আইনে নেই। অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অনেক পত্রপত্রিকার রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে এবং সেগুলো আপনারা গ্রহণ করেছেন। সাঈদীর সাহেবের বিরুদ্ধে মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য তাদের অনুপস্থিতিতে গ্রহণ করা হয়েছে সাক্ষ্য হিসেবে। কাজেই এত ডকুমেন্ট আপনারা গ্রহণ করলেন। কিন্তু এসব স্কাইপ কথোপকথন ডকুমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করতে আপত্তি কোথায়? বিচার নতুন করে শুরু করতে আপত্তি কোথায়? অবশ্য যারা তাড়াতাড়ি করতে চায় তাদের অসুবিধা আছে। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন এই ট্রাইব্যুনালকে রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের।
শুনানী পেশ করার সময় ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাককে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন। অন্যান্যেল মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক শুনানী পেশ করার পর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জবাব প্রদান শুরু হয়েছে। আজ সকালেও তাদের জবাব দেয়ার কথা রয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি আনোয়রুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন