বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৩

জেয়াদ আল মালুমকে অপসারন আবেদনের ওপর দীর্ঘ শুনানী

১৪/১/২০১২
স্কইপ কেলেঙ্কারির সাথে জাড়িত থাকার অভিযোগে  রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুমকে অপসারনের দাবি জানিয়ে  জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম এবং বিএনপি নেতা  সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষ থেকে দুটি আবেদন করা হয়েছে।  দুটি আবেদনের ওপরই আজ  শুনানী শুরু  হয়েছে এবং দীর্ঘ সময় ধরে শুনানী চলে।  দুপুর দুইটার পর শুনানী শুরু হয়ে প্রায় সাড়ে চারটা পর্যন্ত চলার পর  আজ মঙ্গলবার  পর্যন্ত মুলতবি করা হয় শুনানী।


শুনানীর সময় প্রায়ই  বিচারপতি নিজামুল হক এবং ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের মধ্যকার স্কাইপ কথোপকথন থেকে উদ্ধৃতি প্রদান করেন আইনজীবীরা এবং নিয়ে মাঝে মাঝে চাপা  হাসির ঘটনা ঘটে। জেয়াদ আল মালুমের পক্ষে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানী করার সময় শেষ বিকালে কিছুটা উত্তেজনাও দেখা দেয় গতকাল।

জেয়াদ আল মালুমকে অপসারন চেয়ে দাখিল করা দুটি আবেদন একই ধরনের। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট আহসানুল হক হেনা এবং ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম। শুনানীতে তারা জেয়াদ আল মালুমকে অপসারনের দাবি জানিয়ে বলেন,  সে   এই বিচার নিয়ে  বিচারপতি নিজামুল হক, বেলজিয়ামের আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সাথে যেসব গোপন আতাত এবং যোগসাজস করেছে তার মাধ্যমে সে নিজেকে ন্যায় বিচারের পরিপন্থী হিসেবে  প্রতিষ্ঠিত করেছে।  এরপরও সে এ মামলা পরিচালনায় অংশ নিলে আসামীদ্বয়  ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন।

অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম আবেদনের পক্ষে শুনানীতে অংশ নিয়ে বলেন,  প্রসিকিউশন থেকে  আমাদের আবেদন খারিজের দাবি জানিয়ে একটি লিখিত জবাব দেয়া হয়েছে। দরখাস্তে তারা বলেছেন আমার দেশ এবং সংগ্রাম অসদউদ্দেশে স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশ করেছে। কিন্তু আমার দেশ মিথ্যা কথা প্রকাশ করেছে একথা তারা দরখাস্তে বলতে পারেননি। আর জেয়াদ আল মালুম এই স্কাইপ কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত নন তাও অস্বীকার করেননি তিনি।  স্কাইপ কথোপকথনকেও অস্বীকার করেননি। তার বিষয়ে স্কাইপ কথোপকথনে যা যা উল্লেখ আছে তাও অস্বীকার করা হয়নি। কাজেই এটা যে সত্য তা প্রমানিত।
মিজানুল ইসলাম বলেন, দরখাস্তে বলা হয়েছে তারা সততা, নিষ্ঠা এবং কর্তব্য পরায়নতার সাথে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন। মিজানুল ইসলাম ক্ষোভের সাথে বলেন, সততা, নিষ্ঠা আর কর্তব্য পরায়নতার নমুনা কি এই যে, আসামীকে ফাঁসানোর জন্য  গোপনে বিচারপতির চেম্বারে গিয়ে সলা পরামর্শ করা এবং বিচারের নামে প্রকাশ্য ট্রাইব্যুনালে অভিনয় করা, নাটক করার ষড়যন্ত্র করা? সততার নমুৃনা কি এই যে, বিচারপতির রুমে গিয়ে বলা যে, আমি কোর্টে দাড়িয়ে যাব আর আপনি আমাকে ধমক দিয়ে বসিয়ে দেবেন; যাতে লোকে  বুঝতে পারে তাদের মধ্যে কোন খাতির নেই? গোপনে বাইরের তৃতীয় ব্যক্তির কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে তাদের নির্দেশমত কাজ করার নামই কি সততা আর নিষ্ঠা?  আসামীকে ফাঁসানোর জন্য কোন সাক্ষীকে দিয়ে কি বলাতে হবে, কোন সাক্ষী বাদ দিতে হবে, কাকে দিয়ে গ্যাপ পূরন করা হবে সে বিষয়ে সাক্ষীকে প্রশিক্ষন দেয়?  এসবই সততা, নিষ্ঠা আর কর্তব্য পরায়নতার নমুনা?

মিজানুল ইসলাম বলেন, তাদের লিখিত জবাবে অভিযোগ করা হয়েছে আমরা নাকি এসব দরখাস্ত দিয়ে ট্রাইব্যুনালের প্রতি অবজ্ঞা করছি, অবমাননা করছি, বিচারকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছি। জেয়াদ আল মালুম   বিচারপতি এবং বাইরের লোকের সাথে বিচার নিয়ে যেসব নাটক করলেন সেসব ট্রাইব্যুনালের প্রতি অবমাননা নয়।  আর অবমাননা হল তাকে অপসারন চাওয়া ? বেশ অদ্ভুত দাবি বটে।

মিজানুল ইসলাম বলেন,  জেয়াদ আল মালুম  কথায় কথায় ৩০ লাখ শহীদের কথা বলেন। ৩০ লাখ কি এজন্য শহীদ হয়েছিলেন যে, নীতিনৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে বিচারের নামে  আসামীকে ফাঁসানোর জন্য নাটক করবেন তারা?

তিনি বলেন, জেয়াদ  আল মালুম যা করেছেন, তা বার কাউন্সিল কর্তৃক একজন আইনজীবীর  জন্য যেসব  পেশাগত আচরন নির্ধারিত রয়েছে তার চূড়ান্ত লঙ্ঘন। তাই তাকে এ মামলা  পরিচালনা থেকে অব্যাহতি দেয়া উচিত। আইনে বরখাস্তের কথা বলা নেই। আইনে পদত্যাগের কথাও বলা নেই। কিন্তু তাই বলে কি একজন আইনজীবী পদত্যাগ করার অধিকার রাখেননা? অবশই রাখেন।  তাছাড়া এই ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক একজন আইনজীবীর ওপর ট্রাইব্যুনালে প্রবেশের ওপর এবং শুনানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আদেশ দিয়েছেন। কাজেই জেয়াদ আল মালুমকে এই ট্রাইব্যুনালে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ  দেয়া হোক। তাহলেই সে আর মামলা পরিচালনা করতে পারবেনা।

শুনানীতে জেয়াদ আল মালুমের পক্ষে অংশ নেন এটর্নি জেনারেল  মাহবুবে আলম। তিনি বলেন,  বিচারকে বিলম্বিত করার জন্য এবং ট্রাইব্যুনালকে অকার্যকর করার জন্য এসব দরখাস্ত করা হচ্ছে একের পর এক। স্কাইপ দিয়ে বিচার হবেনা। বিচার হবে ফরমাল চার্জে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে কি কি অভিযোগ আছে তার ওপর ভিত্তি করে। সেখানে জেয়াদ আল মালুম কিছু করেননি। কাজেই এ আবেদন খারিজ করে দেয়া উচিত।
তিনি বলেন বিচারকে কেউ বাধাগ্রস্ত করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। কিন্তু এই স্কাইপ কথোপকথনে এমন কিছু নেই জেয়াদ আল মালুমের বিরুদ্ধে।
এসময়  এটর্নি জেনারেল ফরমাল চার্জ থেকে অধ্যাপক গোলাম আযম  কর্তৃক ১৯৭১ সালের কিছু বক্তব্য উদ্ধৃতি করেন তিনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কোন কোন নেতার সাথে  বৈঠক করেছেন সেসব বর্ননা দেন। তখন মিজানুল ইসলাম বারবার আপত্তি দিয়ে বলতে থাকেন এসব কি এই আবেদনের বিষয়? এটর্নি জেনারেল অভিযোগ করলেন আমরা সময় ক্ষেপন করছি। কিন্তু তিনি এখন যা যা বলছেন তা কি?   তিনি যা  যা বলছেন তার সাথে আমাদের এই আবেদনের  কি কোন সম্পর্ক আছে?
মিজানুল ইসলাম বলেন, ৫ অক্টোবরের  স্কাইপ সংলাপে বিচারপতি নিজামুল হক এবং জিয়া উদ্দিন  বললেন  তারা রাষ্ট্রপক্ষকে একটি দরখাস্ত নিয়ে আসতে বলবেন  সাক্ষীর সংখ্যা  সীমিত করার বিষয়ে। ৭ তারিখ দরখাস্ত দেয়া হল। ৯ তারিখ অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে সাক্ষীর সংখ্যা ১২ জন নির্ধারন করে দিয়ে আদেশ দেয়া হল। এরকম  গোপন আতাতের পরও কি বলা যাবে জেয়াদ আল মালুম ন্যায় বিচারকে বাঁধাগ্রস্ত করার পেছনে লিপ্ত ছিলনা?

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে শুনানীতে অংশ নিয়ে আহসানুল হক হেনা এবং ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম দুজনেই বলেন, স্কাইপ কথোপকথন যে হ্যাক করা হয়েছে তার কোন প্রমান  রাষ্ট্রপক্ষের কাছে নেই। কাউকে এ বিষয়ে চিহ্নিত করা হয়নি। স্কাইপ কথোপকথন  হ্যাক নয় বরং বিচারপতি নিজামুল হক বা ড. আহমেদ জিয়া উদ্দিন এ দুজনের কেউ একজন  ফাঁস করে দিয়ে থাকতে পারে। জিয়াউদ্দিন আহমেদ কোন পক্ষ থেকে টাকা খেয়ে নিজেই অন্যকে দিয়েছেন  হয়ত। রাষ্ট্রপক্ষও এটি সরবরাহ করতে পারে।
তারা বলেন খড়ের কুটায় যেমন সুই হারিয়ে যায় তেমনি হ্যাকিং হারিয়ে গেছে।

আহসানুল হক হেনা বলেন, জেয়াদ আল মালুম এ বিচার নিয়ে যে গর্হিত কাজ করেছেন তাতে তিনি থাকলে আমরা ন্যায় বিচার পাবনা। তিনি বিচারপতির সাথে চেম্বারে গিয়ে গোপনে আতাত করে ঠিক করেছেন এখানে দাড়িয়ে যাওয়া আর বসিয়ে দেয়ার নাটক করবেন । মানুষকে দেখাবেন ন্যায় বিচার হচ্ছে আর ভেতরে করবেন অন্যকাজ। আসামীকে ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করার জন্য  জেয়াদ  আল মালুম যেসব গর্হিত কাজ করেছেন তার অনেক প্রমান স্কাইপ সংলাপে আছে। তিনি বলেন, তাদের পক্ষের  সংগঠন  ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির পক্ষ থেকেই  সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে তারা অসদাচরন করেছেন।
আহসানুল হক হেনা শুনানী পেশ করার সময় স্কাইপ সংলাপ থেকে উদ্ধৃতি  পড়ে শোনান।   এটর্নি জেনারেল দাড়িয়ে প্রতিবাদ করলে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়।

ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে আবারো শোকজ: সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা সে মর্মে কারণ দর্শানো নোটিশ  জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল-১। তিন সপ্তাহের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
স্কাইপ কেলেঙ্কারি বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল-১ এর বর্তমান তিনজন বিচারপতির কেউ আগে থেকে অবহিত ছিলেন কিনা সে বিষয়ে তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা দাবি করে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে আবেদন করেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম। এ বিষয়ক আদেশে আজ  ট্রাইব্যুনাল বলেন, ট্রাইব্যুনাল এবং ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিদের বিষয়ে বিরূপ ধারণা সৃষ্টির জন্য অসদ উদ্দেশ্য নিয়ে  এ আবেদন করা হয়েছে।

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে সব বিচার কার্যক্রম স্থগিত আবেদন খারিজ : সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। সে আবেদন  গতকাল শুনানী শেষে খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১। আবেদনের ওপর শুনানীতে আহসানুল হক হেনা বলেন স্কাইপ কথোপকথন ট্রাইবুনাল-১ আমলে নিয়েছেন। তারা ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি রুল জারি করেছেন স্কাইপ সংলাপ বিষয়ে। ১৭ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে শুনানী হবে।  কাজেই স্কাইপ নিয়ে ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ মামলা চলতে পারেনা। কারণ দুটি ট্রাইবু্যুনালই একই আইনের অধীনে চলছে। স্কাইপ নিয়ে দুটি ট্রাইব্যুনাল দুই রকম আদেশ দিয়েছেন। কাজেই বিষয়টি সুরাহা হওয়ার দরকার।  আগে জিয়াউদ্দিন আহমেদ জবাব দিক।
শুনানী শেষে আবেদনটি খারিজ করে দেন ট্রাইব্যুনাল।

স্কাইপ ডকুমেন্ট ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন : অধ্যাপক গোলাম আযমের মামলায় স্কাইপ ডকুমেন্ট প্রদর্শনের অনুমিত চেয়ে আবেদন  করা হয়েছে। এ বিষয়ক  আবেদনের ওপর শুনানীতে মিজানুল ইসলাম বলেন, পুনরায় বিচার শুরুর আবেদন খারিজ করা আদেশে বলা হয়েছিল স্কাইপ কথোপকথন অবৈধ উপায়ে অর্জন করা হয়েছে এবং এটা একটা অপরাধ। হ্যাকড ডকুমেন্ট আমলে নেয়া যাবেনা। তাছাড়া এটা টেম্বার করাও সম্ভব বলে উল্লেখ করা হয়েছে আদেশে।  কিন্তু এটা যে হ্যাক করা হয়েছে তার কোন প্রমান আজ পর্যন্ত কেউ হাজির করতে পারেনি।  আমার দেশ পত্রিকায় যা প্রকাশিত হয়েছে তা  যে টেম্পার করা হয়েছে তাও আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি।  যে দুজন কথা বলেছেন সেই বিচারপতি নিজামুল হক এবং ড. আহমেদ জিয়া উদ্দিন  তাদের কেউ এটা অস্বীকার করেননি। বরং জিয়াউদ্দিন সাহেব গর্বভরে স্বীকারে করেছেন যে, তিনি এটা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন।  যে ২২ জনের নাম আছে স্কাইপ সংলাপে তাদের কেউ অস্বীকার করেননি। আপনাদের আদেশেও কোথাও বলা হয়নি এটা জেনুইন নয়। সংশ্লিষ্ট কেউ এখন পর্যন্ত বলেননি যে, এটা জেনুইন নয়। কাজেই এই স্কাইপ সংলাপ আমাদেরকে ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হোক।
 রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুম আপত্তি জানিয়ে বলেন এটা ব্যবহারের আইনগত কোন বৈধতা নেই। কারণ এটা অবৈধবাবে  সংগ্রহ করা হয়েছে।
শুনানী শেষে কোন আদেশ দেননি ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে দায়ের করা ছয়টি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন