২৯/১/২০১৩
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার রায় যেকোন দিন ঘোষনা করা হতে পারে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আজ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলায় সমস্ত বিচার প্রকৃয়া শেষ হলে সবাই অপেক্ষা করেন রায়ের তারিখ বিষয়ে ঘোষনা শোনার জন্য। তবে ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষনার তারিখ নির্দিষ্ট করে না দিয়ে বলেছেন সিএভি (কুরিয়া এ্যাডভিজরি ভল্ট)। অর্থাৎ রায় ঘোষনা পর্যন্ত মুলতবি । রায় প্রস্তুত হলে যেকোন দিন ঘোষনা করা হবে।
এর আগে গত বছর ৬ ডিসেম্বর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার সমস্ত কার্যক্রম শেষ হলে রায়ের তারিখ বিষয়ে সিএভি ঘোষনা করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। তখন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান ছিলেন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পরে ১১ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করেন। ট্রাইব্যুনালে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরকে। স্কাইপ কেলেঙ্কারির কারনে মাওলানা সাঈদীসহ অন্য তিনজনের বিচার কার্যক্রম নতুন করে শুরুর আবেদন করা হয়। তিনটি আবেদনই খারিজ করে দেয়া হয়। তবে ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান বদল হবার কারনে শুধুমাত্র মাওলানা সাঈদীর মামলায় যুক্তিতর্ক পুনরায় সংক্ষিপ্ত আকারে শুনানীর জন্য ধার্য্য করেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল উভয় পক্ষের পুনরায় যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে প্রায় দুই মাসের মাথায় আবার নতুন করে রায় ঘোষনার তারিখ বিষয়ে আদেশ দেয়া হল।
চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি আনোয়রুল হক সমন্বয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল-১ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ বিষয়ে আদেশ দিলেন।
গতকাল বিচারের শেষ মুহুর্তে রায়ের তারিখ বিষয়ে আদেশের আগে ট্রাইব্যুনালে মাওলানা সাঈদীর কথাবলা নিয়ে বেশ উত্তেজনা দেখা দেয় উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে। মাওলানা সাঈদী দাড়িয়ে কথা বলার সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বাঁধা দিয়ে বলেন, তার এভাবে কথা বলার অধিকার নেই। তখনই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
বিচার প্রশ্নবিদ্ধ : আসামী পক্ষ
মামলার কার্যক্রম শেষে আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ট্রাইব্যুনালের সামনে অপক্ষেমান সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, এ বিচার প্রশ্নবিদ্ধ । বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এর স্কাইপ ষড়যন্ত্র এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যে প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছেন তাতে এ বিচার সম্পূর্ণ প্রশ্নবিদ্ধ । বিচারপতি নিজামুল হকের রেখে যাওয়া বিচার কাজের ওপর ভিত্তি করেই এ মামলার বিচার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। পুরো বিচার নতুন করে করা হয়নি। শুধুমাত্র যুক্তি পুনরায় উপস্থাপন করা হয়েছে। বিচারপতি নিজামুল হকের রেখে যাওয়া বিচারের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে দেশবাসীর মনে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রমানে রাষ্ট্রপক্ষ সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতার ইতিহাসে এটি এক নম্বরে স্থান পাবে।
অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী যুক্তি উপস্থাপন শেষে বলেছেন, আসামীর বিরুদ্ধে আনীত আমরা প্রমান করতে পেরেছি এবং আসামী সর্বোচ্চ শাস্তি পাবার উপযুক্ত।
ট্রাইব্যুনালের প্রথম মামলা :
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে ২০১০ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলাটিই ছিল প্রথম মামলা। প্রথম মামলা হিসেবে এ মামলার কার্যক্রমই সর্বপ্রথম শেষ হয়েছিল এবং রায়ের তারিখ বিষয়েও আদেশ দেয়া হয়েছিল প্রথমে। গত বছর ডিসেম্বর মাসেই এ মামলার রায় ঘোষনা হতে পারে বলে বিভিন্ন মহল থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সে সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার মধ্য দিয়ে। ফলে প্রায় দুই মাস পরে আবার নতুন করে রায়ের তারিখ বিষয়ে আদেশ দিতে হল। অন্যদিকে মামলার রায় ঘোষনার দিক দিয়ে এগিয়ে গেছে দ্বিতীয় ট্রাইবুনাল। গত বছর মার্চ মাসে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। পলাতক থাকা অবস্থায় মাওলানা আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শেষে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনাল-২এ। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীল সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম শেষে গত ১৭ জানুয়ারি রায়ের তারিখ বিষয়ে সিএভি ঘোষনা করা হয়। গতকাল মাওলানা সাঈদীর মামলায় রায়ের তারিখ বিষয়ে সিএভি ঘোষনার মধ্য দিয়ে এখন দুটি ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলার রায় অপেক্ষমান রইল।
২০১১ সালের ৭ ডিসেম্বর মাওলানা সাঈদীর মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। প্রায় এক বছর চলে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং জেরা। জেরা শেষে গত বছর ৫ নভেম্বর শুরু হয় যুক্তি উপস্থাপন। ৬ ডিসেম্বর যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ বিষয়ে আদেশ দেয়া হয়। এরপর গত ১৩ জানুয়ারি আবার পুনরায় যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয় এবং গতকাল তা শেষ হয়।
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার রায় যেকোন দিন ঘোষনা করা হতে পারে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আজ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলায় সমস্ত বিচার প্রকৃয়া শেষ হলে সবাই অপেক্ষা করেন রায়ের তারিখ বিষয়ে ঘোষনা শোনার জন্য। তবে ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষনার তারিখ নির্দিষ্ট করে না দিয়ে বলেছেন সিএভি (কুরিয়া এ্যাডভিজরি ভল্ট)। অর্থাৎ রায় ঘোষনা পর্যন্ত মুলতবি । রায় প্রস্তুত হলে যেকোন দিন ঘোষনা করা হবে।
এর আগে গত বছর ৬ ডিসেম্বর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার সমস্ত কার্যক্রম শেষ হলে রায়ের তারিখ বিষয়ে সিএভি ঘোষনা করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। তখন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান ছিলেন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পরে ১১ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করেন। ট্রাইব্যুনালে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরকে। স্কাইপ কেলেঙ্কারির কারনে মাওলানা সাঈদীসহ অন্য তিনজনের বিচার কার্যক্রম নতুন করে শুরুর আবেদন করা হয়। তিনটি আবেদনই খারিজ করে দেয়া হয়। তবে ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান বদল হবার কারনে শুধুমাত্র মাওলানা সাঈদীর মামলায় যুক্তিতর্ক পুনরায় সংক্ষিপ্ত আকারে শুনানীর জন্য ধার্য্য করেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল উভয় পক্ষের পুনরায় যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে প্রায় দুই মাসের মাথায় আবার নতুন করে রায় ঘোষনার তারিখ বিষয়ে আদেশ দেয়া হল।
চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি আনোয়রুল হক সমন্বয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল-১ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ বিষয়ে আদেশ দিলেন।
গতকাল বিচারের শেষ মুহুর্তে রায়ের তারিখ বিষয়ে আদেশের আগে ট্রাইব্যুনালে মাওলানা সাঈদীর কথাবলা নিয়ে বেশ উত্তেজনা দেখা দেয় উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে। মাওলানা সাঈদী দাড়িয়ে কথা বলার সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বাঁধা দিয়ে বলেন, তার এভাবে কথা বলার অধিকার নেই। তখনই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
বিচার প্রশ্নবিদ্ধ : আসামী পক্ষ
মামলার কার্যক্রম শেষে আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ট্রাইব্যুনালের সামনে অপক্ষেমান সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, এ বিচার প্রশ্নবিদ্ধ । বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এর স্কাইপ ষড়যন্ত্র এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যে প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছেন তাতে এ বিচার সম্পূর্ণ প্রশ্নবিদ্ধ । বিচারপতি নিজামুল হকের রেখে যাওয়া বিচার কাজের ওপর ভিত্তি করেই এ মামলার বিচার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। পুরো বিচার নতুন করে করা হয়নি। শুধুমাত্র যুক্তি পুনরায় উপস্থাপন করা হয়েছে। বিচারপতি নিজামুল হকের রেখে যাওয়া বিচারের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে দেশবাসীর মনে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রমানে রাষ্ট্রপক্ষ সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থতার ইতিহাসে এটি এক নম্বরে স্থান পাবে।
অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী যুক্তি উপস্থাপন শেষে বলেছেন, আসামীর বিরুদ্ধে আনীত আমরা প্রমান করতে পেরেছি এবং আসামী সর্বোচ্চ শাস্তি পাবার উপযুক্ত।
ট্রাইব্যুনালের প্রথম মামলা :
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে ২০১০ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলাটিই ছিল প্রথম মামলা। প্রথম মামলা হিসেবে এ মামলার কার্যক্রমই সর্বপ্রথম শেষ হয়েছিল এবং রায়ের তারিখ বিষয়েও আদেশ দেয়া হয়েছিল প্রথমে। গত বছর ডিসেম্বর মাসেই এ মামলার রায় ঘোষনা হতে পারে বলে বিভিন্ন মহল থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সে সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার মধ্য দিয়ে। ফলে প্রায় দুই মাস পরে আবার নতুন করে রায়ের তারিখ বিষয়ে আদেশ দিতে হল। অন্যদিকে মামলার রায় ঘোষনার দিক দিয়ে এগিয়ে গেছে দ্বিতীয় ট্রাইবুনাল। গত বছর মার্চ মাসে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। পলাতক থাকা অবস্থায় মাওলানা আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শেষে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে ট্রাইব্যুনাল-২এ। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীল সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম শেষে গত ১৭ জানুয়ারি রায়ের তারিখ বিষয়ে সিএভি ঘোষনা করা হয়। গতকাল মাওলানা সাঈদীর মামলায় রায়ের তারিখ বিষয়ে সিএভি ঘোষনার মধ্য দিয়ে এখন দুটি ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলার রায় অপেক্ষমান রইল।
২০১১ সালের ৭ ডিসেম্বর মাওলানা সাঈদীর মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। প্রায় এক বছর চলে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং জেরা। জেরা শেষে গত বছর ৫ নভেম্বর শুরু হয় যুক্তি উপস্থাপন। ৬ ডিসেম্বর যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ বিষয়ে আদেশ দেয়া হয়। এরপর গত ১৩ জানুয়ারি আবার পুনরায় যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয় এবং গতকাল তা শেষ হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন