৩০/১২/২০১২
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম, বর্তমান আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং নায়েবে আমির মাওলান দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার পুনুরায় শুরুর আবেদনের বিরোধীতা করে রাষ্ট্রপক্ষ বক্তব্য উপস্থান শুরু করেছে। রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা বা এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গতকাল রাষ্ট্রপক্ষে শুনানীতে যুক্তি পেশ করেছেন। আজ শুনানীর সময় স্কাইপ কেলেঙ্কারি নিয়ে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে দুই দফায় উত্তেজনা দেখা দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১এ।
বিচার প্রকৃয়া নিয়ে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ সংলাপ এবং ইমেইল আদান প্রদান বিষয়ে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন,
বিচারপতি নিজামুল হক কোন ভুল করেননি। কোন অপরাধ করেননি। তিনি কারো কাছ থেকে সাহায্য নিলে আইনের অধীনেই নিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালের আইনে সে সুযোগ আছে।
মাহবুবে আলম বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে, বিচারকে বাধাগ্রস্ত, প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিলম্বিত করার জন্য আসামী পক্ষ এসব করেছে । ১৯৭১ সালের অপরাধ ঢাকার জন্য তারা এ কাজ করেছে।
স্কাইপ সংলাপ বিষয়ে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আগে থেকেই এগুলো তাদের কাছে ছিল। স্কাইপ সংলাপ নিয়ে তারা প্রথমে ঘাপটি মেরে বসে ছিল। রায়ের ঠিক আগ মুর্হুতে তারা এটি হাজির করেছে বিচারকে বাঁধা গ্রস্ত করার জন্য। তিনি বলেন, স্কাইপ সংলাপ আগস্ট থেকে রেকর্ড করা হয়েছে। কিন্তু যখন এটি রেকর্ড করা হয়েছে তখন তারা এটি হাজির করেনি। সব জমা রাখল। জমা করতে থাকল। এটি চলতে দিতে থাকল তারা। যখন এটি রেকর্ড শুরু করেছে তখনই বলতে পারত আপনি এটা করেছেন আপনাকে আমরা শুনবনা । কিন্তু তা করেনি। রায় দেয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে, যখন একটা বিচার শেষ হয়েছে ঠিক তখন তারা এটি নিয়ে এসেছে।
যুক্তি উপস্থাপনের শুরুতে মাহবুবে আলম বলেন, আমরা আগেই স্কাইপ কথোপকথন এবং ইমেইল বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন করেছি। আমরা আবেদন করেছি আসামী পক্ষ পুনরায় বিচার বিষয়ে যে আবেদন করেছে তা বাতিল করার দাবি জানিয়ে। তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০৬ অনুযায়ী কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাকিং করা অপরাধ বেআইনী বিধায় তাদের দরখাস্ত খারিজ করা উচিত। কারণ তাদের দরখাস্তের সাথে যেসব ম্যাটেরিয়াল জমা দিয়েছে তার সব কিছু হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য স্বীকৃত মানদন্ডের মধ্যে পড়েনা। ২০০৬ সালের আইনে হ্যাকিংয়ের শাস্তি ১০ বছর জেল। ব্রিটেনে ১৬৮ বছরের পুরনো নিউজ অব দি ওয়ার্ল্ড হ্যাকিংয়ের কারনে বন্ধ হয়ে গেছে।
স্কাইপ সংলাপকে তথাকথিত আখ্যায়িত করে মাহবুবে আলম বলেন, কথোপকথনের কারনে বিচার প্রকৃয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেনা। একজন বিচারপতি চলে যাওয়ায় সম্পূর্ণ বিচার প্রকৃয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারেনা।
ড. আহেমদ জিয়া উদ্দিনের কাছ থেকে যদি কিছু এসেছে বলে ধরেও নেই তাহলে সেটি এসেছে বিচার প্রকৃয়ার পর্যায়ে। বিচারের পর্যায়ে নয়।
স্কাইপ সংলাপ এবং ইমেইলকে আমলে নেয়ার বিরোধীতা করে তিনি বলেন, বিষয় হল অধ্যাপক গোলাম আযম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১৯৭১ সালে অপরাধ করেছে কি-না।
এ পর্যায়ে ফরমাল চার্জ থেকে ১৯৭১ সালে অধ্যাপক গোলাম আযমের বিভিন্ন বক্তব্য বিবৃতি পাঠ করে শোনান মাহবুবে আলম। এরপর তিনি বলেন, এই যে এতসব কথা, এসব দিয়েইতো বিচার হবে। এসব ইমেইল দিয়ে তো বিচার হবেনা। চার্জ গঠন এর দরকার ছিলনা। রুলস বানানোরও দরকার ছিলনা। বিচারের জন্য আইনই যথেষ্ট। অভিযোগ আসবে, বিচার শুরু হবে, ব্যাস সিম্পল বিচার। দিনের পর দিন এসব ক্রস ইক্সামিনেশন (জেরা) করে, অমুক করে, সমুক করে সময় ক্ষেপন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যদি ধরেও নেই স্কাইপের মাধ্যমে কথা হয়েছে তাহলে কি অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা হয়ে যাবে? ১৯৭১ সালে তিনি যা করেছেন তা কি মুছে যাবে? ফরমাল চার্জে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যা আছে তা রাষ্ট্রদ্রোহ ছাড়া আর কিছু নয়। চরম যুদ্ধাপরাধের শামিল এগুলো।
গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন স্কাইপ, ইমেইল এসব গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ কিভাবে মিথ্যা প্রমান করবে?
বিচারের বিরুদ্ধে আসামী পক্ষ বিপুল টাকা ব্যয়ে বিদেশে লবিং করছে অভিযোগ করে মাহবুবে আলম বলেন, স্কাইপ নিয়ে ইকোনমিস্ট তাদের রিপোর্টে পাবলিক ইন্টারেস্টের কথা উল্লেখ করেছে। মাগুরছড়া, টেংরাটিলায় যখন গ্যাস বিস্ফোরন ঘটে তখন ইকোনমিস্টের পাবলিক ইন্টারেস্ট কোথায় ছিল? ইসরাইল যখন ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চালায় তখন ইকোনমিস্ট কি করে?
স্কাইপ সংলাপ এবং ইমেইল বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন তিনি বলেন, যে ইমেইল আসামী পক্ষ দরখাস্তের সাথে দাখিল করেছে তার সাথে ফরমাল চার্জের মিল নেই।
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম, বর্তমান আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং নায়েবে আমির মাওলান দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার পুনুরায় শুরুর আবেদনের বিরোধীতা করে রাষ্ট্রপক্ষ বক্তব্য উপস্থান শুরু করেছে। রাষ্ট্রের শীর্ষ আইন কর্মকর্তা বা এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গতকাল রাষ্ট্রপক্ষে শুনানীতে যুক্তি পেশ করেছেন। আজ শুনানীর সময় স্কাইপ কেলেঙ্কারি নিয়ে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে দুই দফায় উত্তেজনা দেখা দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১এ।
বিচার প্রকৃয়া নিয়ে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ সংলাপ এবং ইমেইল আদান প্রদান বিষয়ে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন,
বিচারপতি নিজামুল হক কোন ভুল করেননি। কোন অপরাধ করেননি। তিনি কারো কাছ থেকে সাহায্য নিলে আইনের অধীনেই নিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালের আইনে সে সুযোগ আছে।
মাহবুবে আলম বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে, বিচারকে বাধাগ্রস্ত, প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিলম্বিত করার জন্য আসামী পক্ষ এসব করেছে । ১৯৭১ সালের অপরাধ ঢাকার জন্য তারা এ কাজ করেছে।
স্কাইপ সংলাপ বিষয়ে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আগে থেকেই এগুলো তাদের কাছে ছিল। স্কাইপ সংলাপ নিয়ে তারা প্রথমে ঘাপটি মেরে বসে ছিল। রায়ের ঠিক আগ মুর্হুতে তারা এটি হাজির করেছে বিচারকে বাঁধা গ্রস্ত করার জন্য। তিনি বলেন, স্কাইপ সংলাপ আগস্ট থেকে রেকর্ড করা হয়েছে। কিন্তু যখন এটি রেকর্ড করা হয়েছে তখন তারা এটি হাজির করেনি। সব জমা রাখল। জমা করতে থাকল। এটি চলতে দিতে থাকল তারা। যখন এটি রেকর্ড শুরু করেছে তখনই বলতে পারত আপনি এটা করেছেন আপনাকে আমরা শুনবনা । কিন্তু তা করেনি। রায় দেয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে, যখন একটা বিচার শেষ হয়েছে ঠিক তখন তারা এটি নিয়ে এসেছে।
যুক্তি উপস্থাপনের শুরুতে মাহবুবে আলম বলেন, আমরা আগেই স্কাইপ কথোপকথন এবং ইমেইল বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন করেছি। আমরা আবেদন করেছি আসামী পক্ষ পুনরায় বিচার বিষয়ে যে আবেদন করেছে তা বাতিল করার দাবি জানিয়ে। তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০৬ অনুযায়ী কম্পিউটার সিস্টেম হ্যাকিং করা অপরাধ বেআইনী বিধায় তাদের দরখাস্ত খারিজ করা উচিত। কারণ তাদের দরখাস্তের সাথে যেসব ম্যাটেরিয়াল জমা দিয়েছে তার সব কিছু হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য স্বীকৃত মানদন্ডের মধ্যে পড়েনা। ২০০৬ সালের আইনে হ্যাকিংয়ের শাস্তি ১০ বছর জেল। ব্রিটেনে ১৬৮ বছরের পুরনো নিউজ অব দি ওয়ার্ল্ড হ্যাকিংয়ের কারনে বন্ধ হয়ে গেছে।
স্কাইপ সংলাপকে তথাকথিত আখ্যায়িত করে মাহবুবে আলম বলেন, কথোপকথনের কারনে বিচার প্রকৃয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেনা। একজন বিচারপতি চলে যাওয়ায় সম্পূর্ণ বিচার প্রকৃয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারেনা।
ড. আহেমদ জিয়া উদ্দিনের কাছ থেকে যদি কিছু এসেছে বলে ধরেও নেই তাহলে সেটি এসেছে বিচার প্রকৃয়ার পর্যায়ে। বিচারের পর্যায়ে নয়।
স্কাইপ সংলাপ এবং ইমেইলকে আমলে নেয়ার বিরোধীতা করে তিনি বলেন, বিষয় হল অধ্যাপক গোলাম আযম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ১৯৭১ সালে অপরাধ করেছে কি-না।
এ পর্যায়ে ফরমাল চার্জ থেকে ১৯৭১ সালে অধ্যাপক গোলাম আযমের বিভিন্ন বক্তব্য বিবৃতি পাঠ করে শোনান মাহবুবে আলম। এরপর তিনি বলেন, এই যে এতসব কথা, এসব দিয়েইতো বিচার হবে। এসব ইমেইল দিয়ে তো বিচার হবেনা। চার্জ গঠন এর দরকার ছিলনা। রুলস বানানোরও দরকার ছিলনা। বিচারের জন্য আইনই যথেষ্ট। অভিযোগ আসবে, বিচার শুরু হবে, ব্যাস সিম্পল বিচার। দিনের পর দিন এসব ক্রস ইক্সামিনেশন (জেরা) করে, অমুক করে, সমুক করে সময় ক্ষেপন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যদি ধরেও নেই স্কাইপের মাধ্যমে কথা হয়েছে তাহলে কি অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা হয়ে যাবে? ১৯৭১ সালে তিনি যা করেছেন তা কি মুছে যাবে? ফরমাল চার্জে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যা আছে তা রাষ্ট্রদ্রোহ ছাড়া আর কিছু নয়। চরম যুদ্ধাপরাধের শামিল এগুলো।
গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন স্কাইপ, ইমেইল এসব গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ কিভাবে মিথ্যা প্রমান করবে?
বিচারের বিরুদ্ধে আসামী পক্ষ বিপুল টাকা ব্যয়ে বিদেশে লবিং করছে অভিযোগ করে মাহবুবে আলম বলেন, স্কাইপ নিয়ে ইকোনমিস্ট তাদের রিপোর্টে পাবলিক ইন্টারেস্টের কথা উল্লেখ করেছে। মাগুরছড়া, টেংরাটিলায় যখন গ্যাস বিস্ফোরন ঘটে তখন ইকোনমিস্টের পাবলিক ইন্টারেস্ট কোথায় ছিল? ইসরাইল যখন ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চালায় তখন ইকোনমিস্ট কি করে?
স্কাইপ সংলাপ এবং ইমেইল বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন তিনি বলেন, যে ইমেইল আসামী পক্ষ দরখাস্তের সাথে দাখিল করেছে তার সাথে ফরমাল চার্জের মিল নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন