মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

আইনজীবীর দাবি মিছবাহুর রহমান ডিগ্রী পাশ করেননি, সাক্ষী বলেন সত্য নয়


মেহেদী হাসান
মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান  মিছবাহুর রহমান চৌধুরীকে today  তৃতীয় দফা জেরা করা হয়। পূর্বের  জেরায় মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেছিলেন তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে ডিগ্রী পাশ করেছেন। today  জেরায় মাওলানা নিজামীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে সাজেশন দিয়ে বলেন, “আমি বলছি আপনি   কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে ডিগ্রী পরীক্ষা দেননি এবং পাশও করেননি।”  জবাবে মিছবাহুর রহমান  চৌধুরী বলেন “সত্য নয়”।

অ্যাডভোকেট মিজাননুল ইসলাম  তার দাবির পক্ষে ১৯৮৪ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে যারা ডিগ্রী পাশ করেছেন তাদের সকলের ট্যাবুলেশন শিট ট্রাইব্যুনালে জমা দিয়েছেন। মিজানুল ইসলাম বলেন, সেই ট্যাবুলেশন শিটে মিছবাহুর রহমানের নাম নেই।

মিছবাহুর রহমানকে জেরায় প্রশ্ন করা হয়  ডিগ্রীতে আপনার কি কি সাবজেক্ট ছিল। জবাবে তিনি বলেন, ইংরেজী, বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস এবং সমাজবিজ্ঞান বিষয়সহ আরও কয়েকটি বিষয় ছিল।
তখন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে সাজেশন দিয়ে বলেন, আমি বলছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৮৪ সালে বিএতে মাত্র তিনটি বিষয় পড়ানো হত। ভাষা ছিল বাধ্যতামূলক কোর্স। এছাড়া ঐচ্ছিক হিসেবে অন্য দুটি বিষয়   নিতে পারত শিক্ষার্থীরা। তিনটির বেশি সাবজেক্ট ছিলনা।

today  জেরায় মিজানুল ইসলামকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট  মনজুর আহমদ আনসারী, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন ।  এসময় অন্যান্যের মধ্যে মাওলানা নিজামীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন  অ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দিন আহমেদ মিঠু,  এস এম শাহজাহান কবীর, তারিকুল ইসলাম, আমিনুল হক প্রমুখ। 

জেরা:
প্রশ্ন : ইসলামী ছাত্রসংঘের তাহলে দুটি গঠনতন্ত্র ছিল?
উত্তর : এটা আমি বলতে পারিনা ।
প্রশ্ন : আপনি ইসলামী ছাত্রসংঘের গঠনতন্ত্র দেখেছিলেন?
উত্তর : হ্যা।

প্রশ্ন : গঠনতন্ত্র কি বাংলা, ইংরেজি না উর্দুতে লেখা ছিল?
উত্তর : বাংলায়।
প্রশ্ন : প্রশ্ন : নাম কি লেখা ছিল?
উত্তর : গঠনতন্ত্রে সংগঠনের নাম হিসাবে পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘ লেখা ছিল।
প্রশ্ন : অন্য কোন নাম লেখা ছিলনা?
উত্তর :  তা আমার খেয়াল নেই।
প্রশ্ন : মৌলভীবাজার ইসলামী ছাত্র সংঘের কয়টি ইউনিট ছিল আপনার সময়?
উত্তর : স্মরণ নাই।
প্রশ্ন : মৌলভীবাজার ইসলামী ছাত্রসংঘের কোন সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন?
 উত্তর : ১৯৬৮ ও ১৯৬৯ এর সম্মেলনে যোগ দেই।
প্রশ্ন : ওই সম্মেলনে সভাপতি ও সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছিল?
উত্তর : হয়েছিল।
প্রশ্ন : সেসময়  কলেজের যারা ছাত্রসংঘের ছিল তারা সকলেই আল বদর হয়েছিল?
উত্তর : অনেকেই।
প্রশ্ন :  ১৯৭১ সালে ডিসেম্বরের পর থেকে আপনি  লন্ডন যাওয়ার আগ পর্যন্ত মৌলভীবাজার সদর থানায় আল-বদর, রাজাকার গং দের বিরুদ্ধে দালাল আইনে কোন মামলা হয়েছিল?
উত্তর :  তখনো মামলার কার্যক্রম শুরু হয় নাই।
প্রশ্ন : কেউ তখন গ্রেফতার হয়েছিল?
উত্তর : আমি শুনেছিলাম ইসলামী ছাত্র সংঘের ৩/৪ জন নেতাকে ধরে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ২ জনের নাম আমার মনে আছে, একজন শামসুল হক তরফদার এবং অপরজন মোহাম্মদ আলী।
প্রশ্ন : তাদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আনা হয়েছিল?
উত্তর : তা  আমি জানি না।
প্রশ্ন : এদের কাউকে জেলে পাঠানো হয়েছিল?
উত্তর : মোহাম্মাদ আলীর সঙ্গে পরে আমার লন্ডনে দেখা হলে তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন যে, প্রায় ২ বছর পরে তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন, অপর জনের সঙ্গে আমার দেখা হয় নাই।
প্রশ্ন : মোহাম্মাদ আলী সাহেব বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পেয়েছিলেন নাকি বিচারে মুক্তি পেয়েছিলেন ?
উত্তর : তা আমার জানা নাই।
প্রশ্ন : দেশে আসার পরে আপনি  মৌলভীবাজারের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের ভূমিকা নিয়ে কাজ করেছেন?
উত্তর : আংশিক কাজ করেছি।
প্রশ্ন :  যুক্তরাজ্যে থাকার সময় ওয়েলসে আপনার বাধ্যতামূলক পড়ার বিষয় কি ছিল?
উত্তর : ইংরেজী লিটারেচার এবং ম্যাথমেটিক্স।
প্রশ্ন : ‘ও’ লেভেল কয়টি কোর্সে পরীক্ষা দিয়েছেন?
উত্তর :  সাধারণ বিষয় হিসেবে ৫ টি পরীক্ষা দিয়েছি।  পরবর্তীতে ওয়েলস ভাষায় একটি কোর্স করেছি।
প্রশ্ন : আপনি যে স্কুলে পড়েছেন ওয়েলস ভাষায় সেটির নাম কি ছিল?
উত্তর : সেই স্কুলের ওয়েলস ভাষায় কোন নামই ছিলনা।
(এসময় ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক  আইনজীবীকে লক্ষ্য করে বলেন, আপনি কি প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন উনি ওই স্কুলে পড়েননি? জবাবে আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, অবশ্যই আমি তা প্রমান করতে চাচ্ছি।)
প্রশ্ন :  সেই স্কুলের শ্লোগান কি ছিল ?
উত্তর : তা আমার মনে নেই।
প্রশ্ন :  আমি বলছি ওই সময় ওয়েলসে ‘ও’ লেভেল ৪টি বিষয় যথা ইংরেজী, অংক, ওয়েলস এবং পি.এস.ই (পারসোনাল এন্ড সোস্যাল এডুকেশন) বাধ্যতামূলক ছিল।
উত্তর :  সত্য নহে।
প্রশ্ন : এছাড়া আরও ৪ টি বিষয় চয়েজের ওপর নিতে হতো
উত্তর : ইহা সত্য নহে।
প্রশ্ন : আপনি বলেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েল অধীনে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে ডিগ্রী পাশ করেছেন। ডিগ্রীতে আপনার বিষয় কি কি ছিল?
উত্তর :  ইংরেজী, বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস এবং সমাজবিজ্ঞান বিষয়সহ আরও কয়েকটি বিষয় ছিল।
প্রশ্ন : আমি বলছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৮৪ সালে বিএতে মাত্র তিনটি বিষয় পড়ানো হত। ভাষা ছিল বাধ্যতামূলক কোর্স। এছাড়া পছন্দমত অন্য দুটি বিষয়   নিতে পারত শিক্ষার্থীরা। তিনটির বেশি সাবজেক্ট ছিলনা। আপনি কষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে ডিগ্রী পরীক্ষা দেননি এবং পাশও করেননি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ডা. গোলাম মোয়াজ্জেম সাহেব (অধ্যাপক গোলাম আযমের ভাই)  স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেননা।
উত্তর : তা আমি জানি না।
প্রশ্ন : তিনি কোন সময় সৌদি বাদশার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন?
উত্তর : তাকে আমি ১৯৭৪ সালে সৌদি রাজপ্রাসাদে দেখেছি।  পরে শুনেছি তিনি সৌদি বাদশাহ এর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন।
প্রশ্ন : আমি বলছি  তিনি সৌদি আরবে চিকিৎসক হিসেবে যান নাই, কাজেই সৌদি বাদশাহ এর ব্যক্তিগত চিকিৎসক হওয়ার প্রশ্নই উঠেনা।
উত্তর : ইহা  সত্য নহে। আমি শুনেছি তিনি সৌদি বাদশাহর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন।
প্রশ্ন :  আপনি  যখন মক্কায় যান তখন মক্কার গভর্ণর প্রিন্স আহম্মদ বিন আব্দুল আজিজ ছিলেন না, বরং প্রিন্স ফাওয়াজ বিন আব্দুল আজিজ ছিলেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন :  সৌদি বাদশাহ ফয়সলের যে আমন্ত্রণে ১৯৭৫ সালের মার্চ মাসে আপনি  সৌদি আরবে যান সে আমন্ত্রণপত্রটি আপনি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দিয়েছেন?
উত্তর : না। কারণ তিনি তা আমার নিকট চান নাই।
প্রশ্ন : সেবার বাদশার সাথে আপনার দেখা হয়েছিল?
উত্তর :  সৌদি বাদশাহর সঙ্গে আমার দেখা হয়নি, কারণ দেখা করার দিন আমরা গেটে এসে জানতে পারি যে, সৌদি বাদশাহ ঐদিন ইন্তেকাল করেছেন।
প্রশ্ন :  সেই প্রাসাদের নাম মনে আছে?
উত্তর : না ।  তবে  রিয়াদে অবস্থিত।
প্রশ্ন : রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের মধ্যে কোনটি আগে গঠন হয়?
উত্তর :  গবেষনা করে জেনেছি রাজাকার এবং আলশামস আলবদর বাহিনীর আগে গঠিত হয়েছিল।
প্রশ্ন : রাজাকার বাহিনী কোন সময়  হয়?
উত্তর  : গোলাম আযম সাহেব টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাত করার পরে রাজাকার বাহিনী গঠন করেন।
প্রশ্ন : পূর্ব পাকিস্তানের গর্ভর্নরের অধ্যাপদেশ অনুযায়ী আগস্ট মাসে রাজাকার বাহিনী গঠিত  হয়েছিল।
উত্তর :  গবেষনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়েছিল ।
প্রশ্ন : ঢাকা, সিলেট, মৌলভীবাজার রাজাকার বাহিনীর প্রধানের নাম বলতে পারবেন?
উত্তর :  না।
প্রশ্ন : মৌলভীবাজার শান্তি কমিটির প্রধান কে  ছিলেন
উত্তর : এ্যাডভোকেট মিছির উল্লাহ। । তিনি বর্তমানে জীবিত আছেন।
প্রশ্ন : তিনি কোন দল করতেন?
উত্তর : মুসলিম লীগ ।
প্রশ্ন : আল শামস বাহিনী কিভাবে গঠিত হয়েছিল?
উত্তর :  আলশামস বাহিনী একটি ইসলামী রাজনৈতিক দলের ছাত্রদের নিয়ে গঠন করা হয়েছিল। প্রশ্ন : ঐ দলটির নাম কি ?
উত্তর:  এখন আমার মনে আসছে না।  আলশামস বাহিনী গঠনের ব্যাপারে ইসলামী রাজনৈতিক দল বলতে আমি জামায়াতে ইসলামী বা মুসলিম লীগকে বোঝাচ্ছি না।
প্রশ্ন : আলশামস বাহিনীর পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানকে  কে ছিলেন ?
উত্তর : তা আমার মনে নাই।
প্রশ্ন : আলশামস বাহিনীর ঢাকা, সিলেট ও মৌলভীবাজার প্রধান কে ছিলেন ?
উত্তর : তা আমার মনে নেই।
প্রশ্ন : প্রশ্ন :  জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদূদী সাহেবের সঙ্গে  আপনার দেখা হয়েছিল?
উত্তর : আমার ব্যক্তিগত কোন সাক্ষাত হয় নাই। আমি একবার তাকে ঢাকায় দূর থেকে দেখেছিলাম।
প্রশ্ন : ওই সময় জামায়াতের সেক্রেটারি কে ছিলেন?
উত্তর : আমার মনে নেই।
প্রশ্ন :  মাওলানা আব্দুর রহিম সাহেব দেশ স্বাধীনের পূর্ব পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ছিলেন।
উত্তর :  ইহা সত্য নহে। বদর বাহিনী গঠনের পূর্ব পর্যন্ত তিনি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ছিলেন।
প্রশ্ন : দেশ স্বাধীনের সময় অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে তিনি দেশে ছিলেন?
উত্তর : তা আমি বলতে পারবো না।
প্রশ্ন : দেশ স্বাধীনের পর কবে তার সাথে দেখা হয়?
উত্তর : দেশ স্বাধীনের অনেক পরে ১৯৭৬ সালের শেষের দিকে তার সঙ্গে আমার দেখা হয় যখন তিনি ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগ দল গঠন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
প্রশ্ন : ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি  কে ছিলেন?

উত্তর :  খতীব আযম মাওলানা সিদ্দিক আহমেদ।
প্রশ্ন : আপনি ঐ সময় দেশের পত্র পত্রিকা পড়তেন?
উত্তর :  হ্যা।
প্রশ্ন : পরবর্তীতে খতীব আযম মাওলানা সিদ্দিক আহমেদের সঙ্গে মাওলানা আ: রহিমের মত পার্থক্য দেখা দেয়। ফলে ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগ দ্বিধা বিভক্ত হয়। এক দলের নেতৃত্বে মাওলানা সিদ্দিক আহমেদ এবং অন্য দলের নেতৃত্ব দেন মাওলানা আঃ রহিম।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : মাওলানা আঃ রহিমের নেতৃত্বাধীন গ্রুপটিকে জামায়াত পন্থি বলা হতো না।
উত্তর : হতনা।
প্রশ্ন : মাওলানা আঃ রহিম সাহেবের আই.ডি.এল থেকে ৬ জন ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : এরা সবাই ১৯৭১ সালের আগ পর্যন্ত জামায়াত করতেন
উত্তর : এরা ৬ জনই বদর বাহিনী গঠনের আগ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী করতেন।
প্রশ্ন : মাস্টার শফিউল্লাহ সাহেব এই ৬  জন এমপির একজন ছিলেন।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : তিনি অতি সম্প্রতি ইন্তেকাল করেছেন।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন :  জামায়াতের পুনগঠনের পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জামায়াতের  কর্মপরিষদের এবং শূরার সদস্য ছিলেন।
উত্তর :  আমি শুনেছি অনেক পরে তিনি জামায়াতে যোগ দেন।
প্রশ্ন : জামায়াতে ইসলামী বর্তমানে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় নিবন্ধনের বিপক্ষে অনেকেই আপত্তি উত্থাপন করেছিলেন, তার মধ্যে আপনিও  একজন।
প্রশ্ন : আমাদের আপত্তি গ্রাহ্য করেই নিবন্ধন করা হয় জামায়াতের।
প্রশ্ন :  আপনি যে দলটির প্রধান সেটি আগে একটি জোট ছিল।
উত্তর : আগে একটি জোট ছিল। বর্তমানে সেটি একটি রাজনৈতিক দল।
প্রশ্ন : ইসলামী ঐক্যজোট নামে বর্তমানে যে দলটি আছে উহা বিরোধী জোটের সঙ্গে আছে এবং বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট নামে আপনার নেতৃত্বে যে দলটি আছে তা বর্তমানে ক্ষমতাসীন মহাজোটের সঙ্গে আছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন কোন সালে আপনার দলটি  গঠন হয়?
উত্তর : ২০০৫ সালে ।
প্রশ্ন : আপনার দলের নিবন্ধন আছে?
উত্তর : বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট নির্বাচন কমিশনে এখনো নিবন্ধন পায় নাই, তবে ইহা এখনও প্রক্রিয়াধীন আছে।
প্রশ্ন : নিবন্ধনের জন্য কবে আবেদন করেন?
উত্তর : যখন নির্বাচন কমিশন আবেদনের আহবান জানায় তখন।
প্রশ্ন : গত সংসদ নির্বাচনের আগে না পরে?

উত্তর : আগে।
প্রশ্ন :  সংসদ নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশন নিবন্ধনের জন্য সকল আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন কোন আবেদন অনিষ্পন্ন রাখেন নাই।
 উত্তর :  ইহা সত্য নয়।
প্রশ্ন : আপনার দল কয়ভার ভাঙ্গনের মুখোমুখি হয়?
উত্তর : একবারও না।
প্রশ্ন : আপনার  দলের প্রতিষ্ঠাকালীন সম্পাদক  কে ছিলেন
উত্তর : মাওলানা আমিনুল ইসলাম।
প্রশ্ন :  উক্ত মাওলানা আমিনুল ইসলাম পাবনা কোর্টের একটি চেক ডিজঅনারের মামলায় দন্ডিত হয়েছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ওই  চেকটা আপনার উপস্থিতিতে গরুর ব্যাপারীকে দেয়া হয়েছিল
উত্তর :  সত্য নয়।
প্রশ্ন : মো: আনিসুর রহমান, পিতা মৃত আঃ মাবুদ মোল্লা, আয়েশা ফার্মেসী, ব্লক- এ, সেকশন- ১১, মেইন রোড বাসস্ট্যান্ড, মিরপুর, পল্লবী, ঢাকা- ১২১৬ কে  চেনেন?
উত্তর : চিনি।
প্রশ্ন :  উনি আপনাার বিরুদ্ধে একটি চেক ডিজঅনারের মামলা করেছেন যা বর্তমানে বিচারাধীন আছে।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন :     আপনি লন্ডনে পাঠানোর কথা বলে উক্ত আনিসুর রহমানের নিকট থেকে সাত লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন?
উত্তর :     এটা বানোয়াট। আমার এক সহকর্মী তার নাম জিয়াউদ্দিন । সে আনিসুর রহমানের নিকট থেকে সুদে পাঁচ লক্ষ টাকা ধার আনে। পরে আনিসুর রহমান দশ লাখ টাকা দাবী করায় একটি শালিসের মাধ্যমে পরে সাত লক্ষ টাকা ঠিক হয়। আমি জিম্মাদার হিসেবে তাকে সাত লক্ষ টাকার চেক প্রদান করি। চেকটি যথাসময়ে ক্যাশ না হওয়ায় তিনি কেস করেন। কোর্টে আমি চেকটি স্বীকার করে আমার বক্তব্য বলে জামিন নিয়েছি এবং ত্রিশ হাজার টাকা বাদে বাকী সব টাকা কোর্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে। বর্তমানে ত্রিশ হাজার টাকা বাকী আছে।
প্রশ্ন : আপনি  যে জিয়াউদ্দিনের নাম উল্লেখ করেছেন আপনার  লিগ্যাল নোটিশের জবাবে সেই জিয়া উদ্দিনের সংক্রান্তে কোন বর্ণনা নাই।
উত্তর : সত্য নয়।
আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পুনরায় তার জেরার জন্য নির্ধারন করা হয়েছে।
এদিকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে গতকাল দশম সাক্ষীর জেরা শেষ হয়েছে। বুধবার মাওলানা সাঈদীর পক্ষে দ্বিতীয় সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রদানের কথা রয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন