সোমবার, ৮ অক্টোবর, ২০১২

মীর কাসেম আলীকে আরো একদিন সেফহোমে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি



দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান (এমসি)  জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে আরো একদিন সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -১। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ এ অনুমতি প্রদান করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা কর্তৃক ধানমন্ডিস্থ সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ৪৮ ঘন্টা আগে  মীর কাসেম আলীর আইনজীবীকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টম্বর মীর কাসেম আলীকে   প্রথমবার  সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।  জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার পক্ষে কোন আইনজীবী সেখানে উপস্থিত ছিলেননা। যদিও একজন আইনজীবীর উপস্থিতিতে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার  বিষয়ে টাইব্যুনালের আদেশ  ছিল।
আইনজীবীকে না জানিয়ে এবং আইনজীবীর উপস্থিতি ছাড়া মীর কাসেম আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তদন্ত  সংস্থার বিরুদ্ধে মীর কাসেম আলীর আইনজীবী আদালত অবমাননার  অভিযোগ দায়ের করেন তখন।

আজ মীর কাসেম আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদনের ওপর শুনানী  পেশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুলতান মাহমুদ সিমন। তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে তাকে আরো দুই দিন  জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।
এ সময় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আমরা আদেশ দেব, সেটা আপনারা মানবেননা,  অন্যভাবে মানার চেষ্টা করবেন সেটা কেন? যেখানে আদেশে স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের নিয়ম বিষয়ে সেখানে সেটা আপনারা  মানবেননা কেন?
সুলতান মাহমুদ বলার চেষ্টা করেন আগেরবার  একটা ভুল হয়েছে।

এরপর ট্রাইব্যুনাল আরেকদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান করেন। তবে  জিজ্ঞাসাবাদের তারিখ নির্ধারন করে দেয়া হয়নি।




এর  আগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৮ জুলাই ট্রাইব্যুনাল (১) মীর কাসেম  আলীকে প্রথমবার  একদিনের জন্য সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান করে আদেশ দেন। সে অনুযায়ী তাকে ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সেফহোমে নিয়ে।

গত ১৭ জুন মীর কাসেম আলীকে ট্রাইব্যুনালের আদেশে  গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানবতা বিরোধী  অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মীর কাসেম আলীর পক্ষে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার এমরান এ সিদ্দিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন