মঙ্গলবার, ২ অক্টোবর, ২০১২

ঘটনার তিন দিন পর এলাকার মুরব্বীদের কাছে জানতে পারি কামারুজ্জামানসহ অন্যান্য রাজাকাররা গ্রামে হত্যাযজ্ঞ চালায়।




১/১০/২০১২
জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মুহম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে দশম সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে আজ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়।

জবানবন্দী :
আমার নাম জালাল উদ্দিন। বয়স ৬২ বছর। গ্রাম সোহাগপুর, উপজেলা নলিতাবাড়ি, জেলা শেরপুর।
১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই সকাল অনুমান সাতটা বা সাড়ে সাতটার দিকে পাকিস্তান  সেনা বাহিনীর সদস্যরা আলবদর, রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সোহাগপুর গ্রামে ঢোকে। আমি তখন দৌড়িয়ে আড়ালে লুকিয়ে থাকি। তারপর প্রচন্ড গুলির শব্দ  শুনতে পাই। কিছুন পর গুলির শব্দ বন্ধ হলে বাহির হয়ে দেখি দুই জায়াগায় মোট ১৫টি লাশ পড়ে আছে। সেখানে আমার বাবা সফির উদ্দিন, আমার  জেঠা  কিতাব আলী, আমার মামাতো ভাই মোহম্মদ আলী, মমিন মিয়া, কটুম উদ্দিন, রেজাত আলী, ইমান আলীর লাশও ছিল। পরে গর্ত করে তাদের গনকবর দেই।

ঘটনার তিন দিন পর এলাকার লোকজনদের নিকট থেকে জানতে পারি ঘটনার দিন ২৪৫জন লোককে হত্যা করা হয়েছিল। গ্রামের মুরব্বিরা জানায়, বকা বুড়া, নসা, কাদির ডাক্তার এরা রাজাকার ছিল। এদের প্রধান ছিলেন কামারুজ্জামান। তারা পাক সেনাদের নিয়ে এসে গ্রামে এই হত্যাযঞ্জ চালায়। কামারুজ্জামান শেরপুর জেলা ভিত্তিক একজন রাজাকারের নেতা ছিলেন। উনার কথায় রাজাকাররা উঠাবসা করতো।

১৯৭১ সালে সোহাগপুর গ্রামে আরো হত্যাকান্ড ঘটে। ওই গ্রামের কেদার নাথের বাড়ী আল-বদর, রাজাকাররা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং ওই বাড়ীর সর্বমোট ৫জনকে হত্যা করে তারা। শেরপুর জেলায় নলিতাবাড়ীতে আল-বদর, রাজাকার ও পাক সেনাদের একটি ক্যাম্প ছিল। শেরপুর ডাকবাংলোয় একটি ক্যাম্প ছিল। এই কামারুজ্জামান সাহেবকে একাত্তরের পর অনেক দেখেছি। তিনি অনেক মিটিং সমাবেশ করেছেন।         


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন