বুধবার, ১০ অক্টোবর, ২০১২

ডিফেন্স টিমের অফিসে ডিবি পুলিশের হানা দেয়ার বিষয়টি ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন///আগামীকাল লিখিত আকারে জানানো হবে

 ১০/১০/২০১২
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডিফেন্স টিমের অন্যতম সদস্য তাজুল ইসলামের চেম্বারে গতকাল মঙ্গলবার  ডিবি পুলিশের অস্ত্রসহ হানা দেয়ার বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে আজ।  আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী  ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক সকালে   ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিষয়টি উপস্থাপন করেন। ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন এটা আদালত অবমাননার শামিল কারণ আমরা কোর্টের অফিসার। তিনি আইনজীবীদের সুরক্ষার বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ট্রাইব্যুনাল আসামী পক্ষকে পরামর্শ দিয়ে বলেন,  আপনারা প্রথমে জিডি করেন। সেটা রিফিউজ করলে আমরা লিগ্যাল অ্যাকশন নেব।

তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ট্রাইব্যুনালের (২)  পরামর্শক্রমে তারা বিষয়টির ব্যাপারে জিডি করেছেন এবং আগামীকাল বৃহষ্পতিবার ট্রাইব্যুনালকে লিখিত আকারে পেশ করবেন।


ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক সকালে  ট্রাইব্যুনাল-২ এ অভিযোগ করে বলেন,  ডিবি পুলিশের সশস্র সদস্যরা অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের অফিসে হানা দিয়ে আইনজীবী ও কায়েন্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ডিফেন্স আইনজীবীর  চেম্বারে ডিবি পুলিশের হানা দেয়ার বিষয়ে প্রথম আলো, দৈনিক নয়া দিগন্ত ও দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে তিনি বলেন, এটা অবশ্যই আদালত  অবমাননার শামিল।  আমরা কোর্ট অফিসার। আর ওই অফিসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সকল মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ডিবি পুলিশ এভাবে ডিফেন্স কাউন্সেলের অফিসে হানা দিয়ে আইনজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে না। বিষয়টি আদালতের নজরে নেয়া উচিত।

এসময় ট্রাইব্যুনাল জানতে চান কেন তারা এই কাজ করল সে বিষয়ে কোন ব্যাখ্যা দিয়েছে কি?
এর জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, না কোন ব্যাখ্যা দেয়নি।
এরপর ট্রাইব্যুনাল জানতে চান তারা কি ইউনিফর্ম পরা ছিল?
জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, না সাদা পোশাকে ছিল। তবে একজন পরিচয় দেন তিনি ডিবি অফিসার মাহফুজ।
ট্রাইব্যুনাল আরো জানতে চান চেম্বারের কোন জিনিষ তছনছ করেছে কি না?
জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, না কোন জিনিষ তছনছ করেনি।
এরপর ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনারা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন?
জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, না জানায়নি। তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন, স্থানীয় থানায় জানানো প্রয়োজন ছিল। কারণ তারা যদি বলে যে আমরা যাইনি।
এরপর ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, এর আগে একবার আমার চেম্বারে ডিবি পুলিশ গিয়ে বলেছিল এখানে বোমা তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা থানায় জিডি করতে চাইলে তা নেয়া হয়নি।
শেষে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনারা প্রথমে জিডি করেন। সেটা রিফিউজ করলে আমরা লিগ্যাল অ্যাকশন নিব।

ট্রাইব্যুনাল আরো বলেন, ট্রাইব্যুনালে যা জানানোর তা লিখিত আকারে জানান।
তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন আগামীকাল তারা ট্রাইব্যুনালে বিষয়টি লিখিত আকারে পেশ করবেন।
ডিফেন্স টিমের অফিসে  ডিবি পুলিশের হানা দেয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও আজ পেশ করা হয়। ট্রাইব্যুনাল -১ মন্তব্য করেন এটা আইনশৃঙ্খলার বিষয়। এখানে ট্রাইব্যুনালের করার কি আছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -২ চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, সদস্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারক মো: শাহীনুর ইসলাম  বিষয়টির শুনানী গ্রহণ করেন।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন