রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১২

গোলাম আযমের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দী শুরু



মেহেদী হাসান, ৭/১০/২০১২
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা   অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিউর রহমানের জবানবন্দী শুরু হয়েছে  আজ।

চলতি বছর ১ জুলাই  অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা এবং জব্দ  তালিকা মিলিয়ে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মোট ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হল (তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে) । এর মধ্যে নিয়মিত সাক্ষী হলেন  আটজন। এরা হলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ) চেয়ারম্যান সুলতানা  কামাল,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর মুনতাসির মামুন,  মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম, গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল , মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকার নাখালপাড়ার শেখ ফরিদ আলম, ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার  সোনা মিয়া  এবং অপর একজন মহিলার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে।

নিয়মিত এই আটজন সাক্ষীর মধ্যে তিন জন সাক্ষী তাদের  সাক্ষ্যে অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেননি এমনকি তার নামও উচ্চারন করেননি। এরা হলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, শেখ ফরিদ আলম এবং সোনা মিয়া।
এছাড়া সুলতানা কামাল, প্রফেসর মুনতাসির মামুন  প্রমুখ সাক্ষীগন অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মূলত নেতৃত্বের দায় হিসেবে অভিযোগ করেছেন।

নিয়মিত সাক্ষী ছাড়া অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে  সাতজন জব্দ তালিকার সাক্ষী হাজির করা হয়। ১৯৭১ সালে সংগ্রাম, আজাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায়  প্রকাশিত অধ্যাপক গোলাম আযমের বক্তব্য বিবৃতি সংবলিত  অনেক খবর সংগ্রহ করা হয়েছে বাংলা একাডেমীসহ বিভিন্ন  সংস্থা থেকে। সে মর্মে ওইসব সংস্থার  সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা  ট্রাইব্যুনালে এসে  সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন যে, তাদের উপস্থিতিতে এসব পেপারকাটিং সংগ্রহ এবং জব্দ করা হয়েছে। এরা হলেন জব্দ তালিকার সাক্ষী।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং  সদস্য বিচারপতি আানোয়ারুল হক  বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। 
তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহনের সময় চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু,  প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন প্রমসুখ উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, মনজুর আহমদ আনসারী, ব্যারিস্টার এমরান এ সিদ্দিক প্রমুখ  উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন