সোমবার, ৮ অক্টোবর, ২০১২

গোলম আযমের পক্ষে সাক্ষীর তালিকা খারিজের আবেদন



অধ্যাপক গোলাম  আযমের পক্ষে  দুই হাজার ৯৩৯ জন সাক্ষীর তালিকা জমা দেয়া হয়েছে আসামী পক্ষ থেকে। এ   তালিকা খারিজের আবেদন  করা হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুম আবেদনের শুনানীতে বলেন, রাজনৈতিক  অসদউদ্দেশে, বিচারকে বিলম্বিত এবং বাঁধাগ্রস্ত করতে এ দীর্ঘ তালিকা জমা দেয়া হয়েছে।  দীর্ঘ তালিকা অনুযায়ী সাক্ষী হাজির করলে সাড়ে তিন বছর সময় লাগবে শুধু তাদের সাক্ষীর জন্য।

জবাবে গোলাম আযমের পক্ষে আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন,  ১৯৭১ সালে নয় মাসব্যাপী সারা দেশে যত অপরাধ হয়েছে তার সবকিছুৃর সাথে জড়ানো হয়েছে অধ্যাপক গোলাম আযমকে। ৩০ লাখ মানুষ হত্যা, দুই লাখ বা তার বেশি ধর্ষণ,  লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ যত অপরাধ আছে তার সবকিছুর তাকে দায়ী করা  হচ্ছে আমার আসামীকে ।  কাজেই সাক্ষীর সংখ্যা বেশি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তাছাড়া  দীর্ঘ  তালিকা জমা দেয়া মানে তাদের সবাইকে হাজির করা  হবে সেটা বোঝায় না। আমরা  এখান থেকে যাদের উপযুক্ত মনে করব তাদের হাজির করব।
তাজুল ইসলামস বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের  তাড়াহুড়ার ধরন দেখে মনে হচ্ছে ডিসেম্বরের আগে বিচার শেষ করার পেছনে যে নীলনকশা,   চক্রান্ত চলছে  সেটা বাস্তবায়নের জন্য এই তাড়াহুড়া। ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আসামীকে ফাঁসি  দিতে হবে। সাক্ষীর তালিকা খারিজের যে আবেদন করা হয়েছে  তার পেছনের উদ্দেশ্য হচ্ছে  সময় নির্ধারন করা এবং নির্ধারিত সমেয়র মধ্যে আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করার আয়োজন করা ।   এ আবেদন গ্রহণ করা মানে হল আসামীকে হাত পা বেঁধে জবাই করার শামিল। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে আমরা বিচার বিলম্বিত করার জন্য দীর্ঘ তালিকা দিয়েছি। কিন্তু বিচার সংক্ষিপ্ত করার জন্য সাক্ষীর তালিকা খারিজ করার নজির কোথায় আছে তা  তারা দেখাক আমাদের।

এছাড়া আজ  আরো কয়েকটি আবেদনের ওপর শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে একটি রয়েছে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে একজন সাক্ষীর জবানবনন্দী তার অনুপস্থিতিতে গ্রহণ করার আবেদন কারণ সে অসুস্থতার কারনে বিদেশে  রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের অন্য আরেকটি মাওলানা নিজামীর বিরুদ্ধে নতুন সাতজন সাক্ষী  জবানবন্দীসহ গ্রহনের আবেদন।  মাওলানা  নিজামীর পক্ষে আইনজীবী মিজানুল ইসলাম এ আবেদনের বিরোধীতা করে বলেন, তদন্ত শেষ হবার পর নতুন করে সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহনের কোন বিধান নেই। কাজেই এ আবেদন গ্রহণ করারও কোন সুযোগ নেই আইনে।
 এসব আবেদন শুনানীনে চলে সকাল সাড়ে দশটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত। এরপর আড়াইটায় অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে  তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দী গ্রহণ শুরু হয়।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন