মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩

একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে আরো ২ সাক্ষীর জেরা সম্পন্ন

২৪/১২/২০১৩
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে  আমির মাওলানা একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে ১৩ তম সাক্ষী সুধাংশু মন্ডল এবং ১৪ তম সাক্ষী বাবুল কুমার মিস্ত্রীর জেরা শেষ হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম সাক্ষীদের জেরা করেন। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট গাজি এমএইচ তামিম।

জেরা :
প্রশ্ন : পাকিস্তান সেনাবাহিনী রামপাল এবং বাগেরহাট আসার আগে স্বাধীনতাবিরোধীদের ওই এলাকায় কোন তৎপরতা ছিলনা।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে ১৩ অক্টোবরের পূর্বে কোথায় ছিলেন?
উত্তর : স্মরন করতে পারছিনা। তবে ওই সময় আমরা যত্রতত্র ঘোরাফেরা করছিলাম এবং আমাদের কমান্ডার আফজাল সাহেবের সঙ্গেই ছিলাম।
প্রশ্ন : কালেখার দিঘি থেকে ঘনশ্যামপর স্কুল কোন দিকে কতমাইল?
উত্তর : উতরে ১০ মাইল হবে।
প্রশ্ন : কন্যাডুবি গ্রাম রামপাল থানার গৌশম্ভা ইউনিয়নে অবস্থিত।
উত্তর : সত্য।
প্রশ্ন : ঘনশ্যামপুর থেকে পশ্চিম দিকে ভোলা নদী অতিক্রম করে কন্যাডুবি যেতে হয়।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে কন্যাডুবি খেয়াঘাট ছিল?
উত্তর : ছিল।
প্রশ্ন : ঘনশ্যামপুর স্কুল থেকে কন্যাডুবি খেয়াঘাট কোন দিকে কতদূরে?
উত্তর :   দক্ষিনে ৬/৭ মাইল দূরে।
প্রশ্ন : শাহাদাত কাজী ওরফে বাশার কাজী ১৯৭১ সালে মেম্বার ছিল এবং সে মুসলিম লীগ করত।
উত্তর : সত্য।
প্রশ্ন : সিদ্দিক মাস্টারও মুসলিম লীগ করতেন।
উত্তর : সত্য ।
প্রশ্ন : তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং শান্তি কমিটিরও চেয়ারম্যান ছিলেন।
উত্তর : সত্য।
প্রশ্ন : বাশার কাজী  বর্তমানে জীবিত আছেন?
উত্তর : জীবিত।
ট্রাইব্যুনালের প্রশ্ন : আপনি জবানবন্দীতে শাহাদাত কাজী ওরফে বাশার কাজীকে একই ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন এটা কি ঠিক?
উত্তর : শাহাদাত কাজী এবং বাশার কাজী একই ব্যক্তি নন। শাহাদাত কাজী বর্তমানে মৃত।

চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এর নেতৃত্বে  তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন