সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩

কাদের মোল্লার ফাঁসি স্থগিত

মেহেদী হাসান, ১০/১২/২০১৩
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ড বাস্তবায়নের কার্যক্রম আগামীকাল সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।  বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আজ রাত সোয়া দশটায় এ আদেশ দেন।

আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি স্থগিত করা এবং রিভিউ আবেদন নিয়ে রাতে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এর বাসায় যান আসামী পক্ষের আইনজীবীরা। সেখানে শুনানী শেষে আগামীকাল সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়।  মৃত্যুদন্ড কার্যকর স্থগিত হওয়ার পর এ বিষয়ক আবেদনের ওপর আগামীকাল সুপ্রীম কোর্টে  শুনানী হবে বলে জানিয়েছেন  সরকার  এবং আসামী পক্ষের  আইনজীবীরা।

আজ রাতে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এর বাসভবন থেকে বের হয়ে আব্দুল কাদের মোল্লার পক্ষে সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী  খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক এবং তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের  মৃত্যুদন্ড   কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার আদেশের বিষয়ে অবহিত করেন।
এসময়  অপক্ষেমান সাংবাদিকদের খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক  আদেশের কপি প্রদর্শন করেন।  ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক  সাংবাদিকদের বলেন,  আজ  (মঙ্গলবার) রাতে ফাঁসি কার্যকরের যে প্রস্তুতি চলছিল তা বুধবার সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার বিচারপতি। আমরা এখনই এ আদেশ নিয়ে সুপ্রীম কোর্টে যাব এবং  কিছু  আনুষ্ঠানিকতা  শেষে দ্রুত জেলগেটে পৌছানোর ব্যবস্থা করব। 

ঘড়ির কাটায় তখন দ্রুত পার হচ্ছে। শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে আইনজীবীরা সুপ্রীম কোর্টের একজন কর্মকর্তাকে  সাথে নিয়ে  প্রথমে যান সুপ্রীম কোর্টে। সেখান থেকে কোর্টের কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে তারা দ্রুততার সাথে ছুটে যান কেন্দ্রীয় কারাগারে। সিনিয়র জেল সুপার অন্যান্য কারা কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে আইজি প্রিজনস এর সাথে দেখা করতে চলে যান। রাত পৌনে ১২টায় সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী সাংবাদিকদের জানান তারা চেম্বার জজের আদেশ  পরীক্ষা করে দেখেছেন। সব কিছু ঠিক হওয়ায় রাতে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা যাচ্ছেনা।

এদিকে অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল এবং ট্রাইব্যুনালে সরকার পক্ষের আইনজীবীদের সমন্বয়কারী এম কে রহমান এর কাছে  গতকাল মধ্যরাতে সাংবাদিকরা  যান তার মতামত জানতে।  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু স্থগিত হয়েছে তাই বুধবার সাড়ে দশটার মধ্যে রায় আর কার্যকর হচ্ছেনা।

মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার ঘোষনা  এবং পরের দৃশ্যপট :
সরকারের নির্দেশে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয়  কারাগারে আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ড কার্যকরের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে জেল কর্তৃপক্ষ। স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এবং সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলীর পক্ষ থেকেও গতকাল রাতে ঘোষনা দেয়া হয় রাতেই ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে।  দেশে এবং বিদেশে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফাঁসি কার্যকরের পূর্বে আব্দুল কাদের মোল্লার পরিবারের সদস্যদের রাতে ডেকে পাঠানো হয় আব্দুল কাদের মোল্লার সাথে শেষ সাক্ষাতের জন্য।  ফাঁসি কার্যকরের জন্য যখন আর মাত্র ঘন্টা দেড়েক মাত্র বাকি ঠিক এমন সময়  স্থগিতাদেশের ঘোষনা আসে।

বিকেলে আব্দুল কাদের মোল্লার মগবাজারস্থ বাসভবনে তার স্ত্রী সানোয়ার জাহানের কাছে চিঠি পাঠানো হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে। চিঠিতে আব্দুল কাদের মোল্লার স্ত্রী এবং নিকটাত্মীয়দের রাত ৮টার মধ্যে আব্দুল কাদের মোল্লার সাথে জরুরি ভিত্তিতে দেখা করার জন্য অনুরোধ করা হয়।  সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে পরিবারের পক্ষ থেকে এ চিঠির খবর আব্দুল কাদের মোল্লার আইনজীবীরা জানানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। এরই মধ্যে বিভিন্ন টিভির খবরে প্রচারিত হতে থাকে রাতেই রায় কার্যকরের  খবর। কাদের মোল্লার পরিবারকে চিঠি দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে সাক্ষাতের খবর পাওয়ার পরপরই আসামী পক্ষের সকল আইনজীবী ছুটে যান সুপ্রীম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এর কাকরাইল বাসভবনে।  রাতের মধ্যে রায় কার্যকর স্থগিত করা এবং রিভিউ আবেদন শুনানী নিয়ে  সন্ধ্যার পর তারা রওয়ানা দেন চেম্বার জজের বাসায়।  আবেদন নিয়ে যাবার পর বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তাদেরকে নির্দেশ দেন আবেদনের কপি  নিয়ে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে  আলমের বাসায় যাবার জন্য। কিন্তু মাহবুবে আলমকে বাসায় না পেয়ে তারা তাৎক্ষনিকভাবে আবার  ফিরে আসেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এর বাসভবনে। এরপর  রাত সোয়া দশটার দিকে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন  আদেশ দেন  মৃত্যুদন্ড  কার্যক্রম স্থগিত করার বিষয়ে। 

মঙ্গলবার রাত ১০ টা ৫০ মিনিটে এডভোকেট এডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান ও  তাজুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন। এর কিছুক্ষণ পর ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন কারাগারে প্রবেশ করেন। এ সময় আইনজীবী টিমের আরো ৪ সদস্য বাইরে অপেক্ষারত ছিলেন।

জেল থেকে বের হয়ে ব্যারিস্টার রাজ্জাক  বলেন, যেহেতু আদালত বন্ধ রয়েছে, আদেশের সার্টিফাইড কপি পাওয়া যাবেনা। সেজন্য আদালতের এ্যসিসট্যান্ট ইসলাম উদ্দিনকে দিয়ে আদেশের একটি কপি কারা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছি। ইসলাম উদ্দিন আদেশের কপি আইজি প্রিজনস এর  কাছে নিয়ে গিয়েছেন। এতে আর বুঝতে বাকি রইলনা আদেশের বিরুদ্ধে আর কিছু করা যাবেনা। পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অপেক্ষা করুন। আগামীকাল সুপ্রীমকোর্ট কি আদেশ দেন তার জন্য। আমরা সকালে যাব সুপ্রীম কোর্টে শুনানীর জন্য। এ বিষয়ে এখনি কিছু বলা যাচ্ছেনা। আমরা নিয়ম অনুযায়ী রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছি। এখন আদেশের বাইরে কারা কর্তৃপক্ষের কিছু করার নেই।

বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এর বাসায়  সিনিয়র আইনজীবীদের সাথে আসামী পক্ষে আরো যাবা ছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন এর এসিসট্যান্ট সেক্রেটারি সাইফুর রহমান, অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান করিব, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিক, ইমরান সিদ্দিক, শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসিম, অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ আলী চৌধুরী, অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম, আসাদ উদ্দিন, গাজি এমএইচ তামিম, আমির হোসেন মানিক প্রমুখ ।

স্থগিতাদেশ এর আগের দৃশ্যপট:
গতকাল সোমবার রাতেই খবর ছড়িয়ে পড়ে আব্দুল কাদের মোল্লাকে ওই রাতেই ফাঁসি দেয়া হতে পারে। সোমবার রাতে ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করা, মঞ্চে লাইট লাগানো, ফাঁসির মহড়া প্রভৃতি ঘটনার আলোকে খবর বের হয় রাতেই ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে।

অবশেষে আজ কর্তৃপক্ষ  মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষনা দেয়। দেশের এবং বিদেশের সকল সংবাদ মাধ্যমের বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক ভিড় করেন কেন্দ্রীয় কারাগার এর সামনে। রাতে  ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানান  রাত ৮টায় সিনিয়র জেল সুপার সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাত ১২টা ১ মিনিটে আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। তিনি জানান, আব্দুল কাদের মোল্লার সাথে দেখা করার জন্য তার স্ত্রী সানোয়ার জাহান, ছেলে জামিল হাসান, মেয়ে আমাত উল্লাহ পারভিনসহ মোট ২৩ জন নিকটাত্মীয় জেল অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছেন সন্ধ্যা ৭টা ৫২ মিনিটে। তারা এখন আব্দুল কাদের মোল্লার সাথে কথা বলছেন।

সিনিয়র জেল সুপার আরো জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে জেলখানার আশপাশ এলাকায় যারা বসবাস করেন তাদের নিজ নিজ বাসায় প্রবশে করতে অনুরোধ করা হয়েছে এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এ দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশে বিপুলসংখ্যক র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন নিয়োজিত রয়েছেন। নাজিম উদ্দিন রোড, বেগম বাজার, চকবাজার প্রভৃতি এলাকায় প্রধান প্রধান সড়ক ব্লক করে দেয়া হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানিয়েছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লাল কাপড়ে মোড়া খামের ওপর লাল কালিতে লেখা চিঠি ঢাকা জেলার ডিসি, লালবাগ জোনের ডিসি, পুলিশ সুপার, চকবাজার থানার ওসি, সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট অফিসে কারাগারের মেসেঞ্জার মারফত পাঠানো হয়েছে।

ফাঁসি কার্যকরের জন্য ছয়জন জল্লাদ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরা হলোÑ শাহজাহান ভূঁইয়া, মনোয়ার হোসেন, ফয়েজ আহমেদ, হাফিজ উদ্দিন, রাজু ও জনি। মূল জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে তারা গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো ফাঁসির মঞ্চে আব্দুল কাদের মোল্লার ওজনের সমান বালুর বস্তা ও কলাগাছ ঝুলিয়ে মহড়া চালিয়েছে। ফাঁসির ম্যানিলা রশি পিচ্ছিল করতে দেয়া হয়েছে তেল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে ফাঁসির মঞ্চ ধোয়ামোছার কাজ।

আজ বিকেলে আব্দুল কাদের মোল্লার পরিবারের কাছে চিঠি পাঠানো হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে। চিঠিতে আব্দুল কাদের মোল্লার স্ত্রী এবং নিকটাত্মীয়দের রাত ৮টার মধ্যে আব্দুল কাদের মোল্লার সাথে দেখা করার জন্য অনুরোধ করা হয়। চিঠি পেয়ে তারা রাতে  তারা দেখা করেন আব্দুল কাদের মোল্লার সাথে।

জোর করে হত্যা করা হচ্ছে আমার আব্বুকে : রাতে সাক্ষাতের পর ছেলে হাসান জামিল
রাত ৮টা ৫০ মিনিটে আব্দুল কাদের মোল্লার সাথে দেখা করে জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসেন আব্দুল কাদের মোল্লার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন। এ সময় সাংবাদিকেরা তাদের ঘিরে ধরেন। আব্দুল কাদের মোল্লার বড় জেলে হাসান জামিল জানান, শুধু ইসলামি আন্দোলন করার কারণে আমার আব্বুকে হত্যা করা হচ্ছে। তিনি যদি ইসলামি আন্দোলন না করে অন্য কোনো দল করতেন তাহলে তিনি অনেক ভালো থাকতেন। হাসান জামিল বলেন, ‘আজ (গতকাল) সকালে আমার পিতার সাথে আমাদের আইনজীবীরা সাক্ষাৎ করেছেন। তখন জেল কর্তৃপক্ষ আমার আব্বু ও আইনজীবীদের বলেছিলেন, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী মার্সি পিটিশনের জন্য সাত দিন সময় পাবেন। কিন্তু সেই সময়টুকুও না দিয়েই আজ রাতেই আমাদের ডেকে আনা হলো সাক্ষাতের জন্য। জোর করে আমার আব্বুকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হত্যার জন্য। এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যা। আমাদের আইনজীবী এবং আমার আব্বুকে এখনো রায়ের কপি দেয়া হয়নি। রায় না পড়ে কিভাবে আমার পিতা মার্সি পিটিশন করবেন?’ হাসান জামিল বলেন, আমার আব্বুর মামলার ক্ষেত্রে যেমন অনিয়ম হয়েছে, তেমনি জেল কর্তৃপক্ষও অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। অনৈতিকভাবে তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হচ্ছে। (গতকাল) সকালে আইনজীবীদের ডাকা হয়েছিল তার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য। এরপর কিভাবে বিকেলেই পরিবারের সদস্যদের তারা ডেকে পাঠায় সাক্ষাতের জন্য?

আব্দুল কাদের মোল্লার আত্মীয় স্বজন দেখা করার আগে সকালে তার সাথে দেখা করেন দুই আইনজীবী।

১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড  প্রদান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ যাবজ্জীবন সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদন্ড দেয় কাদের মোল্লাকে। গত ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয। এরপর রিভিউ আবেদন  এবং জেলকোডের প্রয়োগ নিয়ে দেশে এবং বিদেশে বিতর্ক অব্যাহত থাকা  অবস্থায়  এবং দেশে বিরাজমান চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মাঝে সরকার তাড়িঘড়ি করে মঙ্গলবার  রাতেই আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ড কার্যকরের  সিদ্ধান্ত নেয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন