মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৩

৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৭ সাক্ষীর জেরার সুযোগ আসামী পক্ষের

১৭/১২/২০১৩
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাত সাক্ষীকে  জেরা করার অনুমতি পেয়েছে আসামী পক্ষ। এজন্য আসামী পক্ষকে ৪০ হাজার টাকা খরচ ধার্য্য করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

হরতাল অবরোধের কারনে আসামী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের জবানবন্দী গ্রহণ করা হলেও আসামী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী না থাকায় তাদের জেরা করা হয়নি। বিভিন্ন সময় জুনিয়র আইনজীবী গাজী এমএইচ  তামিম দুয়েকটি প্রশ্নের মাধ্যমে জেরা করে মুলতবি আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনালও বিভিন্ন সময় মুলতবি করে আসামী পক্ষকে সময় দিয়েছেন এবং জেরার জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেছেন। কিন্তু টানা হরতাল অবরোধ চলতে থাকায় জেরার জন্য নির্ধারিত তারিখে আসামী পক্ষের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী উপস্থিত হননি। ফলে এভাবে রাষ্ট্রপক্ষের সাতজন সাক্ষীর জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় বন্ধ ঘোষনা করা হয়।
এছাড়া মাওলানা ইউসুফের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমানের ওপরও  ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
এ পরিস্থিতিতে আসামী পক্ষ বন্ধ ঘোষনা করা সাক্ষীদের জেরার সুযোগ এবং মিজানুর রহমানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা আদেশ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করে। মিজানুর রহমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আবেদন খারিজ করে দেয় ট্রাইব্যুনাল।
অপরদিকে সাক্ষীদের জেরা করার সুযোগ চেয়ে দায়ের করা আবেদন গ্রহণ করা হয়। তবে তাদের জেরার জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। রাষ্ট্রপক্ষের ১২,১৩,১৪ এবং ১৫ নং সাক্ষীকে ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর এবং ১৬,১৭ ও ১৮ নং সাক্ষীকে ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর জেরার জন্য ধার্য্য করে দেয়া হয়।
এদিকে সৈয়দ মিজানুর রহমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় মাওলানা ইউসুফের পক্ষে মিজানুল ইসলামকে নতুন আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আজ মিজানুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন ট্রাইব্যুনাল -২ এ।
সৈয়দ মিজানুর রহমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে আসামী পক্ষের রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানী করেন অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, সৈয়দ মিজানুর রহমানকে যদি ভবিষ্যতে এ মামলায় বা অপর কেউ ট্রাইব্যুনালের মামলা পরিচালনায় নিয়োগ দিতে চায় সে সুযোগ যেন দেয়া হয়। মিজানুর রহমানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
তখন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, তাকে আর এ ট্রাইব্যুনালে দেখতে চাইনা। এই কোর্ট ওনার প্রতি গোসসা।
সাইফুর রহমান তখন বলেন, আমরা আপনাদের গোসসা ভাঙ্গাতে এসেছি।
এরপর ট্রাইব্যুনাল তার বিষয়ক আবেদন খারিজ করে দেয়।
এদিকে  জাতীয় পার্টির সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মো: কায়সারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের চার্জ গঠন শুনানী শেষ হয়েছে আজ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রানাদাস গুপ্ত শুনানী পেশ করেন । ১৯৭১ সালে হত্যা, গনহত্যাসহ মানবতাবিরোধী ১৮টি অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর আসামী পক্ষের শুনানীর জন্য ধার্য্য করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন