বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৩

শায়িত অবস্থায় ট্রাইব্যুনালে আনা হল সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে

মেহেদী হাসান
বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে আজ  ইজি চেয়ারে শায়িত  অবস্থায় ট্রাইব্যুনারের বিচার কক্ষে হাজির করা হয়। তার শারিরীক অবস্থা জবানবন্দী দেয়ার  পর্যায়ে না থাকায় বিচার কার্যক্রম মুলতবি  করা হয়।

গত সোমবার জবানবন্দী প্রদানের সময় কাঠগড়ায় হঠাৎ অসুস্থ  হয়ে পড়েন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। আজ  তাকে সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালে আনার পর তিনি হাজতখানার ইজি চেয়ারে শুয়ে থাকেন।
সকালে মামলার কার্য তালিকায় প্রথমে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলা ছিল। কিন্তু কোর্ট শুরুর নির্ধারিত সময় সাড়ে দশটার মধ্যে তাকে জেল কর্তৃপক্ষ ট্রাইব্যুনারে  হাজির  করতে না পারায় মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মামলার কার্যক্রম শুরু করা হয়। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলা নিয়ে যাওয়া হয়  দুপুরের বিরতির পর।  দুপুরের বিরতির পর দুইটায় কোর্ট  বসলে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীরা তার অসুস্থতার কথা জানান এবং বিচার কার্যক্রম মুলতবি রাখার অনুরোধ করেন।  ট্রাইব্যুনাল তাকে  কোর্টরুমে নিয়ে আসতে বলেন। নির্দেশ মোতাবেক  কয়েকজন পুলিশ ইজি চেয়ারে শায়িত থাকা অবস্থায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দোতলার কোর্টরুমে নিয়ে আসেন নিচ তলা থেকে। কোর্টরুমে আনার পরও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী শুয়ে থাকেন। এসময় তিনি লুঙ্গি পরিহিত ছিলেন এবং তাকে বিপর্যস্ত  ও বিমর্শ দেখাচ্ছিল। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির জানতে চান তিনি জবানবন্দী প্রদানের মত অবস্থায় আছেন কি-না। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কোন কথা বলছিলেননা। এরপর ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুলতান মাহমুদ সিমনকে বলেন তার কাছে গিয়ে তার শারিরীক অবস্থার খোঁজ নিতে। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী তখন বলেন, তার প্রেসার ওঠানাম করছে। মাথা ঘুরছে। সবকিছু ঠিকমত দেখতে পাচ্ছেননা। মাথা ঘুরছে। গতকাল নামাজের সময় পড়ে গিয়েছিলেন। কয়েকবার ¯েপ্র নিয়েছেন। ট্রাইব্যুনালকে সুলতান মাহমুদ তার অবস্থা  জানানোর পর বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির তাকে আবার নিচে হাজতখানায়  নিয়ে যাবার নির্দেশ দেন। এরপর তার সাথে আসা  অ্যাটেনডেন্সকে কোর্টে তলব করেন। জেলখানার ম্যোডিক্যাল অ্যাটেনডেন্স আসার পর বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির তার কাছে জানতে চান আসামীকে নিয়ে সকালে আপনারা কয়টায় রওয়ানা দিয়েছেন। তিনি জবাব দেন নয়টা ২২ মিনিটে। এরপর  কোর্ট জানতে চান তখন তার শারিরীক অবস্থা কেমন ছিল, সাক্ষ্য দেয়ার মত অবস্থা ছিল কি-না।  তিনি জবাব দেন- ভাল ছিল। সাক্ষ্য দেয়ার মত অবস্থায় ছিল। গাড়িতে তোলার পর তিনি পথে ঘুমিয়ে ছিলেন।
এরপর কোর্ট তার কাছে জানতে চান তিনি কখন অসুস্থ হলেন।
অ্যাটেনডেন্স জবাব দেন-ট্রাইব্যুনালে আসার পর তিনি অসুস্থ হন। বুকে ব্যথার কথা বলেন।
এরপর তাকে প্রশ্ন করেন এখন তার অবস্থা কেমন?
তিনি জবাব দেন তার প্রেসার ১০০ বাই ৭০।
তার এখন কি করা উচিত প্রশ্ন করা হলে অ্যাটেনডেন্স বলেন, হৃদরোগের ডাক্তার দেখানো উচিত।
এরপর কোর্ট তার চিকিৎসার যথাযথ নির্দেশ  বিষয়ে অর্ডার দেয়ার কথা বলে বিচার আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেন।
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম এরপর দাড়িয়ে বলেন, জেলখানা থেকে তার সাথে একজন মেডিক্যাল এসিসট্যান্ট পাঠানোর বিষয়টি প্রমান করে তাকে যখন নিয়ে আসা হয় তখন তার শারিরীক অবস্থা  ভাল ছিলনা। তাকে আদালতে পাঠানোর সময় শারিরীক অবস্থা  ভাল থাকলে তার সাথে মেডিক্যাল এসিট্যান্ট পাঠানো হতনা।
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে গাজিপুরের কাসিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছে।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন