২৪/১২/২০১২ বৃহষ্পতিবার
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদন করেছেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। স্কাইপি কেলেঙ্কারি জের ধরে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এর বিরুদ্ধে বিচার কাজে হস্তক্ষেপ এবং প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে এ অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বন্দী নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম এ আবেদন জমা দিয়েছেন।
আবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে স্কাইপি কেলেঙ্কারির যে সংলাপ প্রকাশিত হয়েছে তাতে এটি প্রমানিত যে, ট্রাইব্যুানালের বিচার কার্যক্রম বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সাথে অন্যান্যদের যোগসাজস ছিল।
বিচারপতি নিজামুল হক, ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুমের সাথে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এবং আইনপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামসহ আরো অনেকের সাথে গোপন আতাত ছিল। বিচারপতি নিজামুল হক স্কাইপি সংলাপে বলেছেন তার বাসায় আইনপ্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এসেছিলেন। তাড়াতাড়ি একটা রায় দিতে বলেছেন তিনি। আইনপ্রতিমন্ত্রী কাজ করেন আইনমন্ত্রীর অধীনে। এছাড়া সংলাপে এক জায়গায় উল্লেখ আছে আইনমন্ত্রীর সাথে ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিদের বৈঠকের ব্যবস্থা করবেন ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিন। সরকারের এদুজন মন্ত্রী নানাভাবে বিচার কাজে প্রভাব বিস্তার করেছেন। বিচারের গতি বিধি নির্ধারনে তাদের ভূমিকার কথা সংলাপে উঠে এসেছে। এমনকি ট্রাইব্যুনাল থেকে বিচারক অপসারন এবং নতুন কাকে নিয়োগ দেয়া হবে তার সাথেও এ দুজন মন্ত্রীর কার কি ভূমিকা ছিল সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে স্কাইপি সংলাপে। কোন মামলার রায় কখন হবে, কোনটা আগে কোনটা পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তাদের সাথে আলোচনা করা হবে মর্মেও উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের নানা বিষয়ে বিচারপতি এবং এর সাথে বাইরের যে মহলটি সংশ্লিষ্ট ছিলেন তারা বিভিন্ন বিষয়ে এ দুুজন মন্ত্রীর কাছ থেকে দিক নির্দেশনা নিয়েছেন। দ্রত বিচার শেষ করা বিষয়ে আইনপ্রতিমন্ত্রীর ষ্পষ্ট নির্দেশনা প্রদানের প্রমান রয়েছে। আবেদনে বলা হয় আইনমন্ত্রীর সাথে ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সরাসরি যোগাযোগ থাকার বিষয়টিও প্রমানিত। ড. আহমেদ জিয়া উদ্দিন আবার যোগাযোগ করতেন বিচারপতি নিজামুল হকের সাথে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এসব কর্মকান্ড থেকে এটি প্রতীয়মান যে, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ট্রাইব্যুনালে ন্যায় বিচারের পথে বাঁধা হিসেবে কাজ করেছেন। বিচার প্রকৃয়াকে কলুষিত করনে সহায়ক হিসেবে কাজ করেছেন। এ কারনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ নেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন