বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৩

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী মামলায় আসামী পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু/// পিতার কারনে পুত্রের বিচার হচ্ছে

১/৮/২০১৩
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী মামলায় আসামী পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আজ আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসানুল হক হেনা যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন।

তিনি বলেন, পিতার উত্তরাধিকার হিসেবে আজ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে এই কোর্টের সামনে দাড় করানো হয়েছে। তার অপরাধ  তিনি ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে। ১৯৭১ সালে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলেননা। তিনি আলবদর, আল শামস, রাজাকার, শান্তি কমিটি কোন কিছুর সাথে জড়িত ছিলেননা এবং এসব সংগঠনের কোন একটিরও তিনি সদস্য ছিলেননা কখনো।

অ্যাডভোকেট আহসানুল হক হেনা বলেন, ১৯৭৯ সাল থেকে আজ অবধি সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে জনগন ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছে। জনগন তার বিচার ১৯৭৯ সাল থেকে করে আসছে। আজ যার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সাল বিষয়ে মানবতাবিরোধী এসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেই তাকেই স্বাধীনতা যুদ্ধের কয়েক বছরের মাথায় ১৯৭৯ সাল থেকেই জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা শুরু করল। তার বিরুদ্ধে নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যাকান্ডের অভিযোগ। কিন্তু নূতন বাবুর ছেলে প্রফুল্ল চন্দ্র জেরায় স্বীকার করেছেন তাদের বাড়ির কেন্দ্র থেকেও কোনদিন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী হারেননি।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যুক্তি উপস্থাপনের সময় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে কমান্ড রেসপনসিবিলিটি এবং গ্রুপ সদস্য হিসেবে অপরাধের সমান দায়ভার চাপানো হয়েছে। এর জবাবে আহসানুল হক হেনা বেলন, ধরা যাক একজন এসপি কোন আসামীকে ধরার জন্য একজন এসআই এবং দুজন হাবিলদার পাঠালেন রাতের বেলায়। পথে তাদের একজন পুলিশ রাস্তায় একজন সুন্দরী মহিলাকে পেয়ে  ধর্ষণ করল । এখন এ ধর্ষনের দায়ভার কি এসপির ওপচার চাপানো ঠিক হবে? এসপি সাহেব তো কাউকে ধর্ষনের নির্দেশ দেননি এবং এবং পথে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারেও তাও জানতেননা। কাজেই এভাবে কারো ওপর কমান্ড রেসপনিসিবিলিটি বা গ্রুপ মেম্বার হিসেবে সমান  দায় চাপানো যায়না। একটি গ্রুপ কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের দায় সবার ওপর সমানভাবে চাপাতে চলে সবাই অপরাধটি সংঘটনের ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করেছে তা প্রমান করতে  হয়। যেমন কয়েকজন মিলে কোন একটি হত্যাকান্ড পরিচালনা করলে সেখানে সবাইকে সমান অপরাধী সাব্যস্ত করতে হলে প্রমান করতে হবে কেউ নিহত ব্যক্তিকে ধরেছিল, কেউ লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে, কেউ লাথি মেরেছে, কেউ গলাটিপে ধরেছে বা সবাই মিলে চার দিক থেকে গুলি ছুড়েছে এসব। কিন্তু গ্রুপের কয়েকজন যদি হত্যাকান্ডে অংশ নেয় এবং একজন যদি পাশে দাড়িয়ে থাকে তাহলে পাশে দাড়িয়ে থাকা ব্যক্তির ওপর অপরাধের সমান দায়ভার চাপানো যায়না।


সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী আহসানুল হক হেনা অসুস্থ থাকায় দুপুর সাড়ে বারটা পর্যন্ত যুুক্তি উপস্থাপন চলে। আগামী রোববার পর্যন্ত শুনানী মুলতবি করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন