রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১২

তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ//গোলাম আযমের পক্ষে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু রোববার থেকে


মেহেদী হাসান
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ হয়েছে আজ । আগামী রোববার ১১ নভেম্বর থেকে আসামী পক্ষের সাক্ষী হাজিরের জন্য ধার্য্য করা হয়েছে।

আজ  বেলা একটার মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমানের জেরা শেষ করার জন্য ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ ছিল আসামী পক্ষের আইনজীবীর প্রতি। তবে একটার মধ্যে জেরা শেষ না হওয়ায় বিকালের সেশন   পর্যন্ত সময় দেয়া হয় এবং আজকের  মধ্যে জেরা শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়।  প্রয়োজনে কোর্টের নির্ধারিত সময় সাড়ে চারটা  পার  হয়ে গেলে  প্রয়োজনে সময় বাড়িয়ে দেয়ার কথাও বলেন কোর্ট। সে অনুযায়ী  গতকাল সোয়া পাঁচটায়  শেষ হয় জেরা।

আজ  তদন্ত কর্মকর্তার জেরার সময়   বেশ কয়েকবার উভয় পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে উত্তেজনা বিতর্ক দেখা দেয়।

তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মনজুর আহমদ আনসারী, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট শিশির মো: মনির প্রমুখ।

জেরা :
জেরা : রাজাকার বাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা আছে?
উত্তর : নাই।
প্রশ্ন : পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী বাহিনীর কোন সদস্যের নিয়োগ, নিয়ন্ত্রন, আদেশ বা শাস্তি দানের কোন ক্ষমতা অধ্যাপক গোলাম আযমের ছিল এ মর্মে কোন ডকুমেন্ট পেয়েছেন?
উত্তর : সরাসরি ওনার লিখিত কোন  ডকুমেন্ট পাইনি। তবে জামায়াতের প্রধান হিসেবে এসব বাহিনীর ওপর  তার নিয়ন্ত্রন ছিল। আল বদর বাহিনীর ওপর তার নিয়ন্ত্রন ছিল সে কাগজ আমি পেয়েছি।
প্রশ্ন : সহযোগী বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রন, আদেশ, নিয়োগ বা সদস্যদের শস্তিপ্রদানের  বিষয়ে অধ্যাপক গোলাম আযমকে  ক্ষমতা দিয়ে  পাকিস্তান আর্মি কোন আদেশ জারি করেছে এ মর্মে কোন ডকুমেন্ট পেয়েছেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালের ২ আগস্টের আগে পর্যন্ত রাজাকার বাহিনী  পাকিস্তান সরকারের নিয়ন্ত্রন ছিল এ মর্মে তথ্য প্রমান আপনি তদন্তকালে পেয়েছেন।
উত্তর : পাইনি।
প্রশ্ন : আপনি তদন্তকালে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর থেকে এ মর্মে সংগৃহীত একটি ডকুমেন্ট দাখিল করেছেন। নেত্রকোনা মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়ের ডকুমেন্ট এটি।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : আপনি  পুলিশের যেসব পাক্ষিক রিপোর্ট, সরকারি গোপন নথিপত্র, পুলিশ অ্যাবস্ট্রাক্ট রিপোর্ট সংগ্রহ করেছেন তার একটিতেও শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস এর কোন সদস্যের নিয়ন্ত্রন, নিয়োগ, শাস্তি প্রদানের বা আদেশ প্রদানের কোন  ক্ষমতা অধ্যাপক গোলাম আযমকে দেয়া হয়েছে এ মর্মে কোন তথ্য নেই।
উত্তর :  এসব কাগজপত্রে যা আছে তার বাইরে আমার কোন বক্তব্য নেই।
প্রশ্ন : আপনি যেসব পত্রিকার  খবরের কপি দাখিল করেছেন তার সত্যতা সম্পর্কে আপনি কোন তদন্ত করেননি।
উত্তর : করিনি।
প্রশ্ন : আপনি যেসব দলিলপত্র দাখিল করেছেন তাতে এমন কোন তথ্য নেই যে, অধ্যাপক গোলাম আযমের বিবৃতি পড়ে বা বক্তব্য শুনে কেউ কোন অপরাধ করেছে।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : আপনার দাখিলকৃত দলিলপত্র থেকে  এ মর্মে অন্তত একটি প্রমান দেখান ।
উত্তর : (এ প্রশ্নের উত্তর দিতে দীর্ঘ সময় পার হয়। উভয়পক্ষের আইনজীবীর মধ্যে বিতর্ক চলে। পরে তিনি নিম্নোক্ত জবাব দেন) এতগুলো ডকুমেন্ট পর্যালোচনা না করে এ মুহূর্তে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে যেসব অপরাধ হয়েছে সেসব অপরাধে অভিযুক্ত কোন ব্যক্তি গোলাম আযমের সাথে পরামর্শ বা যোগাযোগ করে বা তার নির্দেশেনা অনুসারে কোন অপরাধ  করেছে এ  মর্মে কোন দালিলিক প্রমান দাখিল করেছেন?
উত্তর : একটি ক্ষেত্রে সাক্ষ্য প্রমান দাখিল করেছি।
এ উত্তর দেয়ার পর অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, আমি প্রশ্ন করেছি দালিলিক প্রমান আছে কি-না সে বিষয়ে। ট্রাইব্যুনাল বলেন, তিনি যা উত্তর দিয়েছেন তাতে যা অর্থ হয় তা হবে।
প্রশ্ন : দালিলিক প্রমান কথাটা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য আপনি ভিন্ন উত্তর দিলেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ৩১ ঘন্টার যে সিডি, ডিভিডি ভিডিও  আপনি  দাখিল করেছেন তা তদন্ত  ছাড়াই দাখিল করেছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : উক্ত সিডি, ডিভিডিতে  বর্নিত প্রফেসর শহীদুর রহমান, মিসেস শহীদুর রহমান, মোহন মুন্সি, গোলাম মোস্তফার ভাই মোশাররফ হোসেন মানিক, ডা. এস এ হাসান, জাতীয় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক মাহবুবু কামাল, শহীদ মুনির চৌধুরীর ভাই শমশের চৌধুরী, পান্না কায়সার, অধ্যাপক ফরিদা খান, শহীদ গিয়াসউদ্দিন আহমেদের বোন, অধ্যাপক  এনামুল হক, এয়ার ভাইস মার্শাল একে খন্দকার,  শাহরিয়ার কবির,  মিছবাহুর রহমান চৌধুরী, আব্দুল বারি, ডলি চৌধুরী, জাহিদ রেজা নূর, ডা. ফাইজুল হক, জয়নাল আবেদীন, মাহমুদুর রহমান, ড. আনিসুজ্জামান, ড. কামাল হোসেন. ড. আবুল বারাকাত কি জীবিত?
উত্তর : আমার সিডিতে এ নামগুলো নেই।
প্রশ্ন : এসব সিডি ডিভিডিতে এমন কোন তথ্য আছে কি-না  যাতে দেখা যায় আল বদর বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত হয়েছিল?
উত্তর : স্মরন নেই।
প্রশ্ন : আশরাফ হোসেনের নেতৃত্বে আলবদর বাহিনী গঠিত হয় এমন কোন তথ্য আছে  এসব সিডি ডিভিডিতে?
উত্তর : স্মরন নেই।

ঢ়ধৎঃ২ রড় লবৎধ বহফ, ৎবঢ়ড়ৎঃ, ৪/১১/২০১২
সবযবফু


প্রশ্ন : অপরাধীকে ক্ষমা করার প্রেসিডেন্টের  ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে এমন কোন তথ্য আছে  এস সিডি ডিভিডিতে?
উত্তর : স্মরন নেই।
প্রশ্ন : অধ্যাপক মাজহারুল ইসলামকে আহবায়ক করে গঠিত ইতিহাস প্রণয়ন কমিটির রিপোর্ট সংগ্রহ করেছেন?
উত্তর : আমার রেকর্ডে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।
প্রশ্ন : গোলাম আযম এবং টিক্কা খানের সাথে ৪ এপ্রিলের মিটিংয়ে কি আলোচনা হয়েছিল এ বিষয়ে আপনার কাছে কোন তথ্য নেই।
উত্তর : ৫ এপ্রিল দৈনিক আজাদ, ৬ এপ্রিল দৈনিক পূর্বদেশ, আজাদ এবং দৈনিক পাকিস্তানে এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।  প্রকাশিত খবরের তথ্য অনুযায়ী বৈঠকে নাগরিক শান্তি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়।  দুষ্কৃতকারী, রাষ্ট্রদ্রোহী সমাজ বিরোধীদের আশ্রয় না দেয়া এবং সামরিক আইন প্রশাসকের নিকট তথ্য পৌছে দেয়ার কথা আছে। দাখিলকৃত তথ্যে এটা খুজে পেয়েছি।
প্রশ্ন : ওইসব রিপোর্টে শান্তি কমিটি কথাটা কি আছে?
উত্তর : তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিটি পত্রিকার রিপোর্ট পড়তে থাকেন। প্রথমে ৫ এপ্রিলের রিপোর্ট পড়ে বলেন, নাগরিক কমিটি কথা লেখা আছে।  মিজানুল ইসলাম বলেন, আমি জানতে চেয়েছি শান্তি কমিটি কথাটা আছে কি-না। এরপর তিনি আবার অন্য পত্রিকার রিপোর্ট পড়া শুরু করেন। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, ৬ তারিখের আজাদে কি আছে বলেন। রিপোর্ট পড়ে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন শান্তি কথাটি নেই। এরপর বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, পূর্বদেশ এবং  ইত্তেফাকের রিপোর্টে কি আছে? তদন্ত কর্মকর্তা রিপোর্ট পড়ে বলেন  শান্তি কথাটি নেই।
এরপর বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, আগের প্রশ্নের জবাবে যেখানে নাগরিক শান্তি কমিটি কথাটি লেখা হয়েছে সেখান থেকে শান্তি  শব্দটি বাদ দেয়া হবে। তিনি কম্পোজারকে নির্দেশ দেন শান্তি শব্দটি মুছে ফেলার জন্য। মিজানুল ইসলাম তীব্র আপত্তি করে বলেন, আমিতো পরের প্রশ্নটি করেছি তার আগের উত্তরকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য। তিনি আগের উত্তরে সঠিক বলেননি সেটা প্রমানের জন্য। এখন আগের উত্তর থেকে শান্তি শব্দটি বাদ দিলে তো আমার উদ্দেশ্য ব্যর্থ   হবে।
বিচারপতি  নিজামুল হক বলেন, সাক্ষী যতক্ষন পর্যন্ত ডকে থাকেন এবং জবানবন্দীতে স্বাক্ষর না করেন ততক্ষন পর্যন্ত তিনি তার উত্তর সংশোধন করতে পারেন। সে অধিকার  তার আছে। ট্রাইব্যুনালও এটি পারে। তিনি বলেন, আগের উত্তর থেকে শান্তি শব্দটি মুছে দেয়া হবে। কিন্তু ততক্ষনেও কম্পোজার শান্তি শব্দটি না মোছায় তিনি তাকে কিছুটা ধমকের সুরে  মুছে ফেলতে নির্দেশ দেন।
এসময় অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম দাড়িয়ে বলেন, আগের অনেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন  খুঁজে পাচ্ছিনা, স্মরন নেই । সেসব  প্রশ্নের উত্তর  আমরা যদি ডকুমেন্ট   খুঁজে দেখতে  বলি  তাহলে কি সেসব প্রশ্নের উত্তর সংশোধন করে  আছে  মর্মে লেখা  হবে? উনি সেযব প্রশ্নের উত্তর গোপন করছেন সেটাতো আপনারা নিচ্ছেনননা। খুঁজে উত্তর দিতে বলছেননা।  উত্তর চ্যালেঞ্জ করার এভাবে যদি আগের   প্রশ্নের উত্তর সংশোধন করা হয় তাহলে আমারা ক্ষতিগ্রস্ত হব। আসামী ন্যায় বিচার থেকে  বঞ্চিত হবে।
জবাবে বিচারপতি নিজামুল  হক বলেন, আমরা যা করছি তা আইন অনুযায়ী করছি এবং আমাদের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। আমরা সরি আপনার  প্রস্তাব গ্রহণ করা হলনা।   সামনে আগান।
প্রশ্ন : আপনি আপনার সংগৃহীত দলিলের কতটি নিয়ে এসেছেন আর কতটি রেখে এসেছেন?
উত্তর : আমি সংগৃহীত সব দলিলই দাখিল করেছি এবং এখানে সবই নিয়ে এসেছি।
প্রশ্ন : যেসব প্রশ্নের উত্তরে খুঁজে পাচ্ছিনা বলেছেন সে দলিলপত্রগুলো কোথায় আছে?
উত্তর : আমার ডকুমেন্টের মধ্যেই আছে। এর বাইরে কিছু নেই।
প্রশ্ন : অধ্যাপক গোলাম আযম রেডিওতে যে ভাষন দিয়েছিলেন তার অডিও  কপি খুঁজে পেয়েছিলেন?
উত্তর : না।
প্রশ্ন সামরিক সরকার যে প্রেসরিলিজগুলো দিয়েছিল তার অধিকাংশই ছিল জনগনের মুক্তির  আকাঙ্খাকে দাবিয়ে রাখার জন্য প্রতারনামূলক কৌশল।
উত্তর : এটা বিশ্লেষনের ব্যাপার।
প্রশ্ন :  পূর্ব পাকিস্তান সামরিক কর্তৃপক্ষ যেসব প্রেসরিলিজ দিয়েছিল তার কতটি আপনি তদন্ত করেছেন?
উত্তর : সঠিক সংখ্যা বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : কতটি  প্রেসরিলিজ  জব্দ করেছেন?
উত্তর : একটিও, না কারণ পাইনি।
প্রশ্ন :  ৬ এপ্রিল গোলাম আযম টিক্কা খানের সাথে দেখা করেননি।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : মিত্র বাহিনী ৪ ডিসেম্বর ঢাকা আক্রমন করে এটি ঠিকতো?
উত্তর : সঠিক বলতে পারবনা।
 জেরার এ পর্যায়ে  অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের জবানবন্দীর কণ্ট্রাডিকশ নিয়ে  তীব্র বিতর্ক দেখা দেয় উভয় পক্ষের আইনজীবী এবং ট্রাইব্যুনালের মধ্যে। মুনসাসির মামুনের জবানবন্দী গ্রহণ করেন তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম। মিজানুল ইসলাম বলেন, মুনতাসির মামুন কোর্টে এসে কিছু কথা বলেছেন যা তদন্ত কর্মকর্তার  কাছে প্রদত্ত  জবানবন্দীতে নেই আবার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রদত্ত জবানবন্দীতে কিছু কথা আছে যা তিনি কোর্টের জবানবন্দীতে বলেননি। এ বৈষাদৃশ্য তুলে ধরে মিজানুল ইসলাম  প্রশ্ন করলে তদন্ত কর্মকর্তা জবাব দেন  এ বিষয়ে আমার রেকর্ডে নেই।
এ উত্তর লিপিবদ্ধ নিয়ে তীব্র বিতর্ক দেখা  দেয়। মিজানুল ইসলাম এবং তাজুল ইসলাম বলেন, আমার রেকর্ডে নেই এর মানে হল তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষী   ওইসব কথা বলেননি সে কারনে তার রেকর্ডে নেই। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, জবানবন্দী  নিয়েছেন মনোয়ারা বেগম। কাজেই এ বিষয়টি তার রেকর্ডে নেই এটা বলাই তো স্বাভাবিক।
শেষে মিজানুল ইসলাম নিবেদন করেন মনোয়ারা বেগমকে হাজির করার জন্য। তবে ট্রাইব্যুনাল সে আবেদন  গ্রহণ না করে উত্তরটি এমনভাবে লেখেন যাতে দুই পক্ষই সন্তুষ্ট হয়।
প্রশ্ন : যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ  প্রশাসনের ব্যক্তি কর্তৃক অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে সেহেতু আপনি  একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য আপনার ইচ্ছামত সাক্ষ্য সংগ্রহ করে অসত্য প্রতিবেদন দিয়েছেন।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে গোলাম আযমের ভূমিকা ছিল শুধুমাত্র রাজনৈতিক। তিনি মনে করতেন পূর্ব পাকিস্তান জনগনের ওপর যে শোষন নিপীড়ন হয়েছে তার সমাধান অখন্ড পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যেই সম্ভব ছিল।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : তিনি এবং তার দলের দর্শন ছিল ভারত তার অধিপত্য  নীতি বাস্তবায়নের জন্য জগনের আন্দোলনকে ভিন্নভাবে চিত্রায়নের চেষ্ট করছে।
উত্তর সত্য নয়।

রাষ্ট্রপক্ষে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক, সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সদস্য বিচারপতি আনোয়ারুল হক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি মাওলানা আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি   প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রাষ্ট্রপক্ষকে আরো এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল মাওলানা আব্দুস সোবহানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন