১৯-১২-২০১২
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির রফিকুল ইসলাম খান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভেঙ্গে দেয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমকে হাইকোর্ট থেকে অপসারন এবং বিচার প্রক্রিয়ার জালিয়াতির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তুমুলক শাস্তির জন্য বিচার বিভাগীর তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগে অতিসম্প্রতি যে কলঙ্কজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। ট্রাইব্যুনাল-১ এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাইরের ব্যক্তির সাথে যেভাবে কথপোকথন করেছেন, কোন মামলার রায় কখন হবে, কোন সাক্ষী কোন মামলায় কিভাবে সাক্ষী দিবে, কোন মামলার রায় আগে হবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মত বিনিময় এবং বাইরের লোকের দ্বারা তৈরীকৃত চার্জের আলোকে ‘চার্জ গঠন’ ও রায়ের স্ট্রাকচার লিখিয়ে আনার মাধ্যমে শুধু ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেননি, বাংলাদেশের গোটা বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করেছেন।
বিশ্বখ্যাত ইকোনোমিস্ট পত্রিকা ও বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত আমার দেশ পত্রিকায় বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বেলজিয়াম প্রবাসী ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনের সাথে ট্রাইব্যুনালের বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও জালিয়াতির যে চিত্র জাতির সামনে ফুটে উঠেছে তা জাতির জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই কেলেঙ্কারির সাথে সম্পৃক্ত যেসব বিচারক বা ব্যক্তির নাম প্রকাশিত হয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে এ জঘন্য অপকর্মের বিচার না করলে দেশের বিচার বিভাগ কিছুতেই কলঙ্ক মুক্ত হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বার বার বলে আসছি আওয়ামি লীগ সরকার তার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিচারের নামে এই প্রহসনের আয়োজন করেছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবিগণ, মানবাধিকার সংস্থা ও আইনজীবিদের বিভিন্ন সংগঠন এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই বিচারের মান, নিরপেক্ষতা ও আইন নিয়ে তীব্র আপত্তি উত্থাপন করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা সরকারের নিকট পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার সেসব বিবেচনায় না নিয়ে গায়ের জোরে বিচার কার্য চালিয়ে যেতে থাকে। সরকারের মন্ত্রী এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ জোরেসোরে ডিসেম্বরের মধ্যে বিচারের রায় ঘোষণা ও কার্যকরের কথা উচ্চারণ করেন। ফলে যেন তেন প্রকারে বিচারের রায় ঘোষণার জন্য ট্রাইব্যুনাল-১ এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম সরকারের নির্দেশনাক্রমে এই মামলার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতির সংলাপ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের কথা বিশ্ববাসী জানতে পারে। কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিয়ে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যানের পদ থেকে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম পদত্যাগ করেন। দেশবাসী মনে করে তার পদত্যাগই যথেষ্ট নয়। তিনি যে জালিয়াতি করেছেন এজন্য তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের অপকর্মের জন্য শুধুমাত্র ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রমই নয় বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা আজ দুনিয়ার নিকট প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এই সংলাপে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি কর্তৃক ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানকে প্রলোভন দেয়ার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। মাননীয় বিচারপতিগণ যে শপথ গ্রহণ করে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেন তার পূর্ণ লংঘন সংঘটিত হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন বিচারপতি সম্পর্কে অত্যন্ত আপত্তিকর ও বিতর্কিত বক্তব্য এসেছে। বিচারপতিদের মানসম্মান, ব্যক্তিগত জীবন ও মর্যাদা নিয়েও যেসব কথাবার্তা প্রকাশিত হয়েছে তার যদি প্রতিকার না হয় তাহলে বিচার বিভাগের উপর থেকে জনগণের আস্থা উঠে যাবে।’
বিবৃতিতে বলা হয় ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি সরকারের মন্ত্রী-এমপিগণ মাননীয় বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের এই জালিয়াতির ঘটনাকে ব্যক্তিগত বিষয় বলে তা হ্যাকিং করার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিচ্ছেন এবং প্রকৃত ঘটনা আড়ালের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু যিনি বিচার কার্যক্রম নিয়ে এত বড় জালিয়াতি করে গোটা বিচার ব্যবস্থাকে দুনিয়ার মানুষের নিকট প্রশ্নবিদ্ধ ও কলঙ্কিত করেছেন তার ব্যপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কোন বক্তব্য সরকারের নিকট থেকে না পেয়ে গোট জাতি বিস্মিত হয়েছে। কোন সভ্য দেশে এটা হতে পারে না।
এমতাবস্থায় বিচার বিভাগের মর্যাদা, সম্মান সমুন্নত রাখার স্বার্থে আমরা প্রহসনের বিচারের নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল অবিলম্বে ভেঙ্গে দেয়ার জন্য এবং মাননীয় বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমকে হাইকোর্ট থেকে অপসারণ করে, ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে এই জালিয়াতি ও চক্রান্তের হোতাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে দেশের সর্বস্তরের জনতাকে জালিয়াতি, চক্রান্ত, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির রফিকুল ইসলাম খান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভেঙ্গে দেয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমকে হাইকোর্ট থেকে অপসারন এবং বিচার প্রক্রিয়ার জালিয়াতির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তুমুলক শাস্তির জন্য বিচার বিভাগীর তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগে অতিসম্প্রতি যে কলঙ্কজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক। ট্রাইব্যুনাল-১ এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাইরের ব্যক্তির সাথে যেভাবে কথপোকথন করেছেন, কোন মামলার রায় কখন হবে, কোন সাক্ষী কোন মামলায় কিভাবে সাক্ষী দিবে, কোন মামলার রায় আগে হবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মত বিনিময় এবং বাইরের লোকের দ্বারা তৈরীকৃত চার্জের আলোকে ‘চার্জ গঠন’ ও রায়ের স্ট্রাকচার লিখিয়ে আনার মাধ্যমে শুধু ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেননি, বাংলাদেশের গোটা বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করেছেন।
বিশ্বখ্যাত ইকোনোমিস্ট পত্রিকা ও বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত আমার দেশ পত্রিকায় বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বেলজিয়াম প্রবাসী ড. আহমদ জিয়াউদ্দিনের সাথে ট্রাইব্যুনালের বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও জালিয়াতির যে চিত্র জাতির সামনে ফুটে উঠেছে তা জাতির জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই কেলেঙ্কারির সাথে সম্পৃক্ত যেসব বিচারক বা ব্যক্তির নাম প্রকাশিত হয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে এ জঘন্য অপকর্মের বিচার না করলে দেশের বিচার বিভাগ কিছুতেই কলঙ্ক মুক্ত হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বার বার বলে আসছি আওয়ামি লীগ সরকার তার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিচারের নামে এই প্রহসনের আয়োজন করেছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবিগণ, মানবাধিকার সংস্থা ও আইনজীবিদের বিভিন্ন সংগঠন এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই বিচারের মান, নিরপেক্ষতা ও আইন নিয়ে তীব্র আপত্তি উত্থাপন করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা সরকারের নিকট পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার সেসব বিবেচনায় না নিয়ে গায়ের জোরে বিচার কার্য চালিয়ে যেতে থাকে। সরকারের মন্ত্রী এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ জোরেসোরে ডিসেম্বরের মধ্যে বিচারের রায় ঘোষণা ও কার্যকরের কথা উচ্চারণ করেন। ফলে যেন তেন প্রকারে বিচারের রায় ঘোষণার জন্য ট্রাইব্যুনাল-১ এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম সরকারের নির্দেশনাক্রমে এই মামলার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতির সংলাপ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের কথা বিশ্ববাসী জানতে পারে। কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিয়ে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যানের পদ থেকে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম পদত্যাগ করেন। দেশবাসী মনে করে তার পদত্যাগই যথেষ্ট নয়। তিনি যে জালিয়াতি করেছেন এজন্য তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের অপকর্মের জন্য শুধুমাত্র ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রমই নয় বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা আজ দুনিয়ার নিকট প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এই সংলাপে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি কর্তৃক ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানকে প্রলোভন দেয়ার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। মাননীয় বিচারপতিগণ যে শপথ গ্রহণ করে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেন তার পূর্ণ লংঘন সংঘটিত হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন বিচারপতি সম্পর্কে অত্যন্ত আপত্তিকর ও বিতর্কিত বক্তব্য এসেছে। বিচারপতিদের মানসম্মান, ব্যক্তিগত জীবন ও মর্যাদা নিয়েও যেসব কথাবার্তা প্রকাশিত হয়েছে তার যদি প্রতিকার না হয় তাহলে বিচার বিভাগের উপর থেকে জনগণের আস্থা উঠে যাবে।’
বিবৃতিতে বলা হয় ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি সরকারের মন্ত্রী-এমপিগণ মাননীয় বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের এই জালিয়াতির ঘটনাকে ব্যক্তিগত বিষয় বলে তা হ্যাকিং করার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদেরকে আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিচ্ছেন এবং প্রকৃত ঘটনা আড়ালের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু যিনি বিচার কার্যক্রম নিয়ে এত বড় জালিয়াতি করে গোটা বিচার ব্যবস্থাকে দুনিয়ার মানুষের নিকট প্রশ্নবিদ্ধ ও কলঙ্কিত করেছেন তার ব্যপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কোন বক্তব্য সরকারের নিকট থেকে না পেয়ে গোট জাতি বিস্মিত হয়েছে। কোন সভ্য দেশে এটা হতে পারে না।
এমতাবস্থায় বিচার বিভাগের মর্যাদা, সম্মান সমুন্নত রাখার স্বার্থে আমরা প্রহসনের বিচারের নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল অবিলম্বে ভেঙ্গে দেয়ার জন্য এবং মাননীয় বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমকে হাইকোর্ট থেকে অপসারণ করে, ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে এই জালিয়াতি ও চক্রান্তের হোতাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে দেশের সর্বস্তরের জনতাকে জালিয়াতি, চক্রান্ত, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন