বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৩

মুনতাসির মামুনকে জেরা ৩ : ধানমন্ডিতে নিহত, ধর্ষিত কারো নাম বলতে পারেননি // শান্তি কমিটির সব সদস্য বেসামরিক ছিলেন


মেহেদী হাসান, ৪/৭/২০১২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর  মুনতাসির মামুন জেরায় বলেছেন তিনি  ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ মিরপুর থেকে প্রথমে সোবাহানবাগ আসেন । পরে সেখান থেকে ধানমন্ডিতে  তার চাচার  বাসায় বসবাস করেন।  তিনি অক্টোবর মাস পর্যন্ত ধানমন্ডিতে ছিলেন। জেরায় তাকে আজ প্রশ্ন করা হয়  ১৯৭১ সালে ধানমন্ডিতে নিহত হয়েছেন এমন একজন ব্যক্তি, ধর্ষিত হয়েছেন  এমন একজন  মহিলা এবং  অগ্নিসংযোগ হয়েছে এমন একটি বাড়ির নাম বলেন।  তিনি বলতে পারেননি।

মুনতাসির মামুনকে প্রশ্ন করা হয় আপনি  পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ডান্ডি (পরিচয়পত্র) সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি অস্বীকার করেন।
মুনতাসির মামুন জানান তিনি অক্টোবরের পর  চট্টগ্রামে তার বাবার বাসায় চলে যান এবং সেখানে বাবার সাথে সরকারি কোয়ার্টারে থাকেন। তার বাবা তখন  বন্দর প্রশাসনে চাকরি  করতেন।

শান্তি কমিটির সব সদস্য বেসামরিক ব্যক্তি ছিলেন

প্রফেসর মুনতাসির মামুন জেরায় এক প্রশ্নের জবাবে স্বীকার করেছেন  শান্তি কমিটির সব সদস্য বেসামরিক ব্যক্তি ছিল। অধ্যাপক গোলাম আযমের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম  এ প্রতিবেদককে বলেন, বেসামরিক ব্যক্তির ওপর কমান্ড রেসপনসিবিলিটি ( উর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) আসেনা। কমান্ড রেসপনসিবিলিটি শুধুমাত্র সশস্ত্র বাহিনী এবং সহযোগী বাহিনীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে চার্জে শান্তি কমিটি, আল বদর, রাজাকার, আল শামস এসব বাহিনীকে সহযোগী (অক্সুলিয়ারি ফোর্স) বাহিনী হিসেবে অভিযোগ করা হয়েছে। আইনজীবী মিজনুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে জেরার সময় বলেছেন, আমরা প্রমান করব এসব বাহিনী সহযোগী বাহিনী ছিলনা।
এদিকে শান্তি কমিটির আহবায়ক  খাজা খয়েরউদ্দিন বিষয়ে  জেরার সময় প্রশ্ন করায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয় খাজা খয়ের উদ্দিন বিষয়ে আমরা কোন অভিযোগ আনিনি। তার বিচার হচ্ছেনা। বিচার হচ্ছে গোলাম আযমের। কাজেই তার সম্পর্কে সাক্ষীকে জেরা করা অপ্রাসঙ্গিক।  প্রশ্ন করলে গোলাম আযম বিষয়ে করতে হবে। এ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে দীর্ঘ বিতর্ক চলে। বিতর্কের এক পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, গোলাম আযম শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেননা এটা স্বীকৃত ইতিহাস।
বিচারপতি নিজামুল হক আইনজীবী মিজানুল ইসলামের কাছে জানতে চান খাজা খয়েরউদ্দিনের বিষয়ে প্রশ্নের প্রাসঙ্গিকতা কি।
জবাবে মিজানুল ইসলাম বলেন, আমি  শান্তি কমিটি বিষয়ে যেসব প্রশ্ন করেছি সাক্ষীকে (মুনতাসির মামুন) তাতে কারো নাম আনতে চাইনি। কিন্তু উনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, শান্তি কমিটির লোকেরা নিজেরাই যা করেছে ( হত্যা, ধর্ষণ অগ্নিসংযোগ) তার আর প্রশংসা করার কি আছে। সেজন্য আমি খাজা খয়েরউদ্দিন বিষয়ে নির্দিষ্ট করে প্রশ্ন করেছি ওনার বিরুদ্ধে হত্য, ধর্ষণ, ধর্মান্তরকরন,  অগ্নিসংযোগের বিষয়ে কোন তথ্য প্রমান ওনার সংগ্রহে আছে কি-না। কারণ খাজা খয়েরউদ্দিন, টিক্কা খান, ইয়াহিয়া খানের অপরাধের দায়ভার আমার আসামীর ওপর বর্তাবে কেন? তাছাড়া ওনার বিরুদ্ধে কমান্ড রেসপনসিবিলিটির অভিযোগ আনা হয়েছে। শান্তি কমিটি যদি সহযোগী বাহিনী না হয় তাহলেতো ওনার বিরুদ্ধে চার্জই আসেনা। পাকিস্তান বাহিনী যদি কোন অপরাধ করে তার প্রধান হিসেবে জেনারেল ইয়াহিয়ার ওপর বর্তাবে  দায়দায়িত্ব । কিন্তু সহযোগী বাহিনী হিসেবে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে এককভাবে, যৌথভাবে সংঘটিত অপরাধের দায় দায়িত্ব আনা হয়েছে। কাজেই শান্তি কমিটি সহযোগী বাহিনী ছিলান এটা আমাদের প্রমান করতে হবে। সেজন্য শান্তি কমিটির আহবায়ক যিনি ছিলেন এবং অন্যান্য সদস্যের অপরাধের দায়ভার যাতে আমার আসামীর ওপর না আসে  সে কারনে ঐসব ব্যক্তির বিষয়ে জেরা করা প্রয়োজন।

এ পর্যায়ে  বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, শান্তি কমিটি বিষয়ে প্রশ্ন করেন আপনি। খয়েরউদ্দিন বিষয়ে প্রশ্নের দরকার নেই। অন্যদের অপরাধের দায় আপনার আসামীর ওপর আসবেনা। আপনারা যদি প্রমান করতে পারেন গোলাম আযম শান্তি  কমিটির প্রধান ছিলেননা তাহলে ওনার ওপর কমান্ড রেসপনসিবিলিটি আসবেনা।
মিজানুল ইসলাম বলেন এ বিষয়টি জুড়িশিয়াল নোটিশে আনলে আমি শান্তি কমিটি বিষয়ে আর একটি প্রশ্নও করবনা।
শেষে দীর্ঘ বিতর্কের পর সিদ্ধান্ত হয় খাজা খয়ের উদ্দিনের নাম  উল্লেখ করে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছিল সেখান থেকে তার নাম বাদ দিয়ে লিখতে হবে  শান্তি কমিটির সদস্য । এভাবে জেরার কয়েকটি প্রশ্ন গতকাল রিভিউ করে পুনরায় লেখা হয়।
এদিকে দীর্ঘ এবং বিস্তারিত জেরা বিষয়ে গতকাল সাক্ষী মুনতাসির মামুন কাঠগড়ায়  দাড়িয়ে বেশ উষ্মা  এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি এখানে চুরি ডাকাতির সাক্ষ্য দিতে আসিনি। আমি একটি ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে এসেছি। এটা নিম্ন আদালত নয় যে এভাবে প্রশ্ন করা হবে। আমার ধারণা ছিল এটা অন্যরকম হবে।  তিনি বলেন, এভাবে   চললে আমাকে মাফ করবেন। এভাবে হলে আমার পক্ষে সাক্ষ্য দেয়া সম্ভব হবেনা। পরবর্তীতে কোর্ট তাকে আশ্বস্ত করলে তিনি শান্ত হন।
জেরায়  প্রফেসর মুনতাসির মামুন আজ  বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন,  কাগজপত্র না দেখে, বই না দেখে বলতে পারবনা বলে।


জেরা

প্রশ্ন : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আপনি অধিকাংশ সময় ধানমন্ডিকে ছিলেন।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : ধানমন্ডি কি থানা ছিল?
উত্তর : বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : ধানমন্ডি শান্তি কমিটির সভাপতি কে ছিল?
উত্তর : বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : আপনি যতদিন ধানমন্ডি ছিলেন ধানমন্ডি পাকিস্তান বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে ছিল।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : পুরো ঢাকাই  তাদের নিয়ন্ত্রনে ছিল।
প্রশ্ন : ঐ এলাকার প্রশাসনও পাকিস্তানের  নিয়ন্ত্রনে ছিল
উত্তর : (নোট করা হয়নি)
প্রশ্ন : পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি সাধারন আচরন ছিল রাস্তায় কোন লোক দেখলে বলত ডান্ডি (আইডি কার্ড)  দেখাও।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : আপনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও ডান্ডিকার্ড সংগ্রহ করেছিলেন।
উত্তর : সঠিক নয়।
প্রশ্ন : আপনি টেকনিশিয়ান হিসেবে ডান্ডিকার্ড সংগ্রহ করেছিলেন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।
উত্তর : সত্য নয়।
প্রশ্ন : মিরপুরে যে চাচার বাসায় থাকতেন সে চাচার বাসায়ই  ধানমন্ডিতে থাকতেন?
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : আপনার চাচা বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গির। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : আপনি যে এলাকায় ছিলেন সে এলাকার রাজকার ক্যাম্প বাসা থেকে কতদূর ছিল?
উত্তর : স্মরন নেই।
প্রশ্ন : ধানমন্ডি এলাকার রাজাকার কমান্ডারের নাম জানা আছে?
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : ঐ এলাকায় আল বদর অফিস কোথায় ছিল?
উত্তর : বলতে পারবনা।
প্রশ্ন :  ঐ এলাকার আল বদর কমান্ডারের নাম বলতে পারবেন?
উত্তর : বলতে পারবনা।
প্রশ্ন :  ধানমন্ডিতে কি তখন শুধু বাঙ্গালিরা ছিল না অবাঙ্গালিরাও ছিল?
উত্তর : বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : শাহরিয়ার কবিরের সাথে তখন যোগাযোগ ছিল?
উত্তর : নিয়মিত ছিলনা। দুয়েকবার যোগাযোগ হয়।
প্রশ্ন : পরিবারের সদস্য ছাড়া নিয়মিত যোগাযোগ হয় এমন একটি নাম বলেন।
উত্তর : নির্দিষ্ট করে বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : ঐ সময় বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গিরের পেশা কি ছিল?
উত্তর : খুব সম্ভবত ফার্মে চাকরি করতেন।
প্রশ্ন : অফিস কোথায় ছিল?
উত্তর : জানা নেই।
 (এ পর্যায়ে মুনতাসির মামুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমি চুরি ডাকাতির কেসে সাক্ষ্য দিতে আসিনি। )
প্রশ্ন : আপনার চাচা কিসে যাতায়াত করতেন। রিক্সা, সাইকেল না গাড়িতে?
উত্তর : বাসা থেকে বের হয়ে তিনি রিক্সা না গাড়িতে যেতেন তা বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : ঐ এলাকার স্থানীয় লোকদের সাথে আপনার যোগাযোগ ছিল?
উত্তর : দুয়েকজনের সাথে ছিল।
প্রশ্ন: দুয়েকজনের নাম বলতে পারবেন?
উত্তর : বেবি মওদূদ। জাস্টিস মওদুদের মেয়ে। আমার চেয়ে সিনিয়র ছিলেন। তার সাথে পরিচয় ছিল।
প্রশ্ন : (বোঝা যায়নি।)
উত্তর : আমি তখন প্রায়শই ঘরেই থাকতাম। সে এলাকার হত্যা. ধর্ষণ লুটপাট হয়েছে কিনা বলতে পারবনা।
প্রশ্ন :   ঐ এলাকার এ বিষয়ে কোন খবরও আপনার গোচরীভূত হয়নি?
উত্তর : এটা সঠিক নয়। সংবাদপত্র, রেডিও মারফত জানতে পারতাম কোথায় কি হচ্ছে। তাছাড়া বাসায় কোন  অতিথি আসলে. লোকজন আসলে খবর পেতাম।
 প্রশ্ন : ঐ সময় ধানমন্ডি এলাকায় নিহত একজনের নাম বলেন।
উত্তর :স্মরন নেই।
প্রশ্ন : ঐ এলাকায় রেপের  শীকার  একজনের নাম বলেন।
উত্তর : স্মরন নেই।
প্রশ্ন : অগ্নিসংযোগ হয়েছে এরকম একটি বাড়ির নাম বলেন।
উত্তর : বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : মিরপুর থেকে ২৯ মার্চ প্রথমে কোথায় আসেন?
উত্তর : সোবাহানবাগ।
প্রশ্ন : ধানমন্ডিতে কতদিন পর্যন্ত ছিলেন?
উত্তর : খুব সম্ভবত অক্টোবর পর্যন্ত।
প্রশ্ন : অক্টোবরের পর কোথায় যান?
উত্তর : চ্টগ্রাম চলে যাই। সেখানে বাবার সাথে সরকারি কোয়ার্টাারে ছিলাম।
প্রশ্ন : ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন।
উত্তর : বাবার সাথে ছিলাম তখন  পর্যন্ত।
প্রশ্ন : আপনার বাবা কি করতেন?
 উত্তর : চট্টগ্রাম বন্দর প্রশাসন বিভাগে  চাকরি করতেন।
প্রশ্ন :  প্রশাসন পুরো পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রন করত। 
উত্তর : তা আমি বলব কিভাবে। সামগ্রিকভাবে সবকিছুই তারা নিয়ন্ত্রন করত।
প্রশ্ন : ধানমন্ডিতে যতদিন ছিলেন তখন বাসা তল্লাসি হয়েছিল?
উত্তর :  একবার করেছিল।
প্রশ্ন : কারা?
উত্তর : সেনাবাহিনী।
প্রশ্ন : সাথে কোন বেসামরিক লোক প্রবেশ করেছিল?
প্রশ্ন : না।
প্রশ্ন : মিরপুরে অবাঙ্গালিা বাঙ্গালীদের বাসায় তল্লাসি হত্যা, নির্যাতন লুটপাট চালিয়েছে বলেছেন। আপনারা যে বাসায় থাকতেন সেখানে তল্লাসি হয়েছিল?
 উত্তর : হ্যা।
প্রশ্ন : লুটপাটকারীদের সনাক্ত করতে পেরেছিলেন?
উত্তর : তারা অবাঙ্গালি ছিল।
প্রশ্ন : আপনারা যে বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তার মালিকের নাম।
উত্তর : মনে নেই।
প্রশ্ন : তারা পূর্ব পরিচিত ছিল?
উত্তর : রাস্তার অপরপাশে ছিল বিধায় মুখচেনা পরিচিত ছিল।
প্রশ্ন : পরবর্তীতে তাদের আর কোন খবর নেননি।
 উত্তর : ঘটনার পর ১০ বছরে ঐ এলাকায় আর যাইনি। তা খোজ নিতে পারিনি।
প্রশ্ন : খোজ খবর নেয়ার চেষ্টা করেননি।
উত্তর : সম্ভব ছিলনা।
প্রশ্ন : সোবাহানবাগের যে বাসায় ছিলেন সেটি সরকারি ছিল?
উত্তর :  হ্যা।
প্রশ্ন : আপনার লেখা শান্তি কমিটি ১৯৭১ বইয়ে পিরোজপুর শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা উল্লেখ করেছেন।
উত্তর : উল্লেখ করে থাকলে তা তথ্যভিত্তিক। এর বাইরে আমার কোন বক্তব্য নেই।
প্রশ্ন : চাপাইনববাগঞ্জের বিষয়ে কে তথ্য দিয়েছিল?
উত্তর : এ বিষয়ে তথ্য উল্লেখ থাকলে তা তথ্যভিত্তিক। এর  বাইরে আমার কোন বক্তব্য নেই।
প্রশ্ন : পিরোজপুর জেলার শান্তি কমিটির তালিকা কে দিয়েছিল?
উত্তর : আমি যদি লিখে থাকি তাহলে তা তথ্যভিত্তিক এবং এর  বাইরে আমার কোন বক্তব্য নেই।
প্রশ্ন : ১৯৭১ গ্রন্থে  শান্তি কমিটির যেসব তালিকা আপনি  উল্লেখ করেছেন তাও কে বা কারা দিয়েছে তা আপনি বলতে পারবেননা?
উত্তর :  যদি থাকে  তাহলে তা তথ্যের ভিত্তিতেই লেখা  হয়েছে এবং এর বাইরে আমার কোন বক্তব্য নেই।
প্রশ্ন : ‘যদি’ শব্দ বলে আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন আপনি শান্তি কমিটির সদস্যদের নাম ঐ বইয়ে উল্লেখ করেননি?
উত্তর : আগেও বলেছি এখনো বলছি এটি একটি গবেষনামূলক বই। সেখানে যা উল্লেখ করা হয়েছে সব তথ্যভিত্তিক। গবেষক হিসেবে একটি বই যখন লেখা হয় তখন এত পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরন একজন মানুষ হিসেবে মনে রাখা সম্ভব নয়।
প্রশ্ন :  শান্তি কমিটির কেন্দ্রীয় নেতাদের কোন সরকারি আবাসন ছিল?
উত্তর : জানা নেই।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটির সার্কুলার, র্সবাদ নির্দেশনা বহন করার জন্য কোন সরকারি ব্যবস্থাপনা ছিল?
উত্তর : যারা শান্তি কমিটিতে ছিল তারা বলতে পারবে। শান্তি কমিটি সম্পর্কে আমার সব বক্তব্য তথ্য ভিত্তিক।
প্রশ্ন : কেন্দ্রীয় কমিটির লোকজন ভাতা পেত?
উত্তর : সরকারের কাছে আবেদন করলে সহযোগিতা পেতেন।
প্রশ্ন : শান্তি কমিটির সদস্যরা যৌথভাবে বা এককভাবে কোন সামরিক ইউনিটকে নির্দেশ দিয়ে অপারেশনে পাঠাতে পারতেন?
উত্তর : শান্তি কমিটির সব পর্যায়েই কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন কর্মকান্ডে লিপ্ত হবার জন্য পরামর্শ দিতে পারত এবং তাতে অংশগ্রহণও করত।
প্রশ্ন : সামরিক বাহিনীকে অপারেশনে বাধ্য করতে পারতনা।
উত্তর : পরামর্শ, প্রনোদনা এবং প্ররোচনা দিতে পারত।
প্রশ্ন : পরামর্শ, প্রনোদনা, প্ররোচনা এবং বাধ্য করা ভিন্ন ভিন্ন শব্দ এবং ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে।
উত্তর :  থাকতে  পারে।
প্রশ্ন : কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির কোন সদস্য কোন একটি সুনির্দিষ্ট এলাকায় অপরাশেন পরিচালনার কোন সামরিক ইউনিটকে নির্দেশনা দিয়েছিল মর্মে আপনার  কাছে কোন তথ্য আছে?
উত্তর : এ মুহুর্তে  স্মরন নেই।
প্রশ্ন :  কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির কেউ হত্যা ধর্ষন লুটপাটের অগ্নিসংযোগের নির্দেশনা দিয়েছিল এ মর্মে কোন তথ্য আছে আপনার সংগ্রহে?
উত্তর : কাগজপত্র না দেখে বলতে পারবনা।
প্রশ্ন : কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির কেউ হত্যা ধর্ষন লুটপাটের অগ্নিসংযোগের পরামর্শ  দিয়েছিল এ মর্মে কোন তথ্য আছে আপনার সংগ্রহে?
উত্তর : যতদূর মনে আছে দিয়েছে। কাগজপত্র না দেখে বিস্তারিত বলতে পারবনা।
প্রশ্ন :  কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির কোন সদস্য কোন এলাকার কোন ব্যক্তি বা সাধারনভাবে সকল ব্যক্তিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহনে বাধ্য করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কিনা সে বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য আপনার সংগ্রহে আছে?
উত্তর : এরকম তথ্য আমারা পেয়েছি বা জেনেছি। তবে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হলে কাগজপত্র দেখে বলতে হবে।
প্রশ্ন : কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি বা  তার কোন  সদস্য কোন এলাকার কোন ব্যক্তি বা সাধারনভাবে সকল ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহন না করলে তাদের বাড়ি থেকে বা এলাকা থেকে দেশান্তরে বাধ্য করার জন্য কোন নির্দেশনা জারি করেছিল  সে বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য আপনার সংগ্রহে আছে?
উত্তর : আগের প্রশ্নে যা বলেছি তাই।

প্রশ্ন : কোন এলাকার কোন ব্যক্তি বা সাধারনভাবে সকল ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহন না করলে তাদের  হত্যা, বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া বা বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার  জন্য কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি বা  তার কোন  সদস্য  কোন নির্দেশনা জারি করেছিল  সে বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য আপনার সংগ্রহে আছে?
উত্তর : এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারবনা তবে বিভিন্ন তথ্যে উল্লেখিত ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ আছে বলে আমসার মনে হয়।
( মিজানুল ইসলাম বলেন কি উল্লেখ আছে ঘটনা না নির্দেশনা? আমিতো সরাসরি প্রশ্ন করেছি। তার উত্তর চাই।
পরে মুনতারিস মামুন বলেন কাগজপত্র না দেখে বলতে পারবনা সুনির্দিষ্টভাবে। )
প্রশ্ন : কোন ধর্ষণ,  অগ্নিসংযোগ, ধর্মান্তরকরন দেশান্তরকরন সংঘটিত হবার পর কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি বা বা তার কোন সদস্য এর প্রশংসা করে কোন বিবৃতি প্রদানব করেছিল কিনা সে মর্মে কোন তথ্য  আছে?
উত্তর : নিজেরা যা করেছে তার আর প্রশংসা করার কি আছে। যতদূর মনে হয় কিছু কিছু নথিপত্রে প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষভাবে এ ধরনের কাজে উৎসাহিত করার  ইঙ্গিত আছে।
প্রশ্ন : কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির কোন সদস্য ১৯৭১ সালে ধর্ষণ করেছে এ ধরনের কোন খবর ঐ সময় বা পরে কোন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল ?
উত্তর : কাগজপত্র না দেখে বলতে পারবনা।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন