পুরনো টিন কাঠ প্রদর্শন করা হল ট্রাইব্যুনালে
মেহেদী হাসান, ৯/৪/২০১২. সোমবার
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানের স্বপক্ষে তদন্ত কর্মকর্তা আজ ট্রাইব্যুনালে কিছু পুরনো টিন এবং কাঠ হাজির করে তা প্রদর্শন করলেন। ২০১০ সালের আগস্ট মাসে তিনি এসব আলামত পিরোজপুর জেলার পারেরহাট বাজারের নিকটবর্তী চিথলিয়া গ্রামের মানিক পসারী এবং আলমগীর পসারীর বাড়ি থেকে জব্দ করেছেন বলে ট্রাইব্যুনালে জানান।
ইতোপুর্বে মানিক পসারীসহ আরো বেশ কয়েকজন সাক্ষী আদালতে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদানের সময় বলেছেন মাওলানা সাঈদী এবং অন্যান্য রাজাকাররা মিলে মানিক পসারীদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং লুটপাট করে।
তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান মানিক পসারীর এবং তার ভাই আলমগীর পসারীর বাড়ি থেকে দুটি করে মোট চারটি টিন এবং কিছু কাঠ, খুটি জব্দ করেছেন আলামত হিসেবে। ৪০ বছর আগের পোড়া টিন হওয়ায় এসব টিন বর্তমানে ঝাজরা হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
জব্দকৃত টিনের বান্ডিল খুলে আদালতে প্রদর্শনের সময় দেখা যায় ছয়টি টিন। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম তখন বলেন চারটি টিন ছয়টি হল কি করে।
তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, অনেক পুরনো টিন হওয়ায় পথে আনার সময় ভেঙ্গে ছয় টুকরা হয়েছে। আমি চারটি টিনই জব্দ করেছিলাম।
মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম তখন কিছুটা রসিরকতার সুরে বলেন ৪০ বছরে ভাঙ্গলনা আর এক বছরেই ভেঙ্গে গেল?
ভাঙ্গা টিন নিয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে বিচারপতি আনোয়ারুল হক মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে কিছুটা রসিকতার সুরে বলেন, ছয় টুকরার বিষয় উত্থাপন করে আপনি তো তাদের প্রমানে সহায়তা করলেন যে, এগুলো আসলে ৪০ বছরের পুরনো।
তখন মিজানুল ইসলাম বলেন, এগুলো যে ৪০ বছরের পুরনো নয় তার প্রমান ওনাদের (তদন্ত কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) কাছেই আছে। আমাদের কাছেও তথ্য আছে।
ট্রাইব্যুনাল তখন বলেন এসব বিষয় আপনারা আরগুমেন্টের সময় বলার সুযোগ পাবেন।
এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে ভোরের কাগজ এবং সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত দুটি রিপোর্ট প্রদর্শন করেন। পাশপাশি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে চার্জশিটে বর্ণিত কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্তের বাড়িঘরের ছবিও প্রদর্শন করেন।
আমরা কি বসে বসে ঘুমাব?
আজ সকালে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের অসমাপ্ত সাক্ষ্য শুরু হওয়ার কথা ছিল। তিনি যথা সময়ে এসে হাজিরও হন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী হাজির হননি সকালে। সকাল সাড়ে দশটায় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী ট্রাইব্যুনালের সামনে দাড়িয়ে বলেন, ‘কন্ডাক্টিং প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী আসেন নাই। কিছু ডকুমেন্ট নিয়ে তিনি পথে আছেন। তাই মাওলানা সাঈদীর মামলা পাসওভার করা হোক। (অর্থাৎ মাওলানা সাঈদীর মামলার কার্যক্রম আপাতত মুলতবি রেখে পরের মামলার কার্যক্রম শুরু হোক।)
রাষ্ট্রপক্ষের এ ধরনের আবেদনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক। তিনি বলেন, ‘ভেরি আনফরচুনেট। ইটস নট এ ফেয়ার সাবমিশন।’
এসময় চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুকে লক্ষ করে তিনি বলেন, ‘মি. চিফ প্রসিকিউটর, আপনি কী বলেন?’
এ সময় গোলাম আরিফ টিপু বলেন, ‘অনিবার্য কারণবশত তিনি সময়মত আসতে পারেননি।’
তখন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বলেন, ‘কাগজপত্র আগে থেকে রেডি করে রাখতে পারেননা আপনারা?
মেহেদী হাসান, ৯/৪/২০১২. সোমবার
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানের স্বপক্ষে তদন্ত কর্মকর্তা আজ ট্রাইব্যুনালে কিছু পুরনো টিন এবং কাঠ হাজির করে তা প্রদর্শন করলেন। ২০১০ সালের আগস্ট মাসে তিনি এসব আলামত পিরোজপুর জেলার পারেরহাট বাজারের নিকটবর্তী চিথলিয়া গ্রামের মানিক পসারী এবং আলমগীর পসারীর বাড়ি থেকে জব্দ করেছেন বলে ট্রাইব্যুনালে জানান।
ইতোপুর্বে মানিক পসারীসহ আরো বেশ কয়েকজন সাক্ষী আদালতে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রদানের সময় বলেছেন মাওলানা সাঈদী এবং অন্যান্য রাজাকাররা মিলে মানিক পসারীদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং লুটপাট করে।
তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান মানিক পসারীর এবং তার ভাই আলমগীর পসারীর বাড়ি থেকে দুটি করে মোট চারটি টিন এবং কিছু কাঠ, খুটি জব্দ করেছেন আলামত হিসেবে। ৪০ বছর আগের পোড়া টিন হওয়ায় এসব টিন বর্তমানে ঝাজরা হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
জব্দকৃত টিনের বান্ডিল খুলে আদালতে প্রদর্শনের সময় দেখা যায় ছয়টি টিন। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম তখন বলেন চারটি টিন ছয়টি হল কি করে।
তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, অনেক পুরনো টিন হওয়ায় পথে আনার সময় ভেঙ্গে ছয় টুকরা হয়েছে। আমি চারটি টিনই জব্দ করেছিলাম।
মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম তখন কিছুটা রসিরকতার সুরে বলেন ৪০ বছরে ভাঙ্গলনা আর এক বছরেই ভেঙ্গে গেল?
ভাঙ্গা টিন নিয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে বিচারপতি আনোয়ারুল হক মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী মিজানুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে কিছুটা রসিকতার সুরে বলেন, ছয় টুকরার বিষয় উত্থাপন করে আপনি তো তাদের প্রমানে সহায়তা করলেন যে, এগুলো আসলে ৪০ বছরের পুরনো।
তখন মিজানুল ইসলাম বলেন, এগুলো যে ৪০ বছরের পুরনো নয় তার প্রমান ওনাদের (তদন্ত কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) কাছেই আছে। আমাদের কাছেও তথ্য আছে।
ট্রাইব্যুনাল তখন বলেন এসব বিষয় আপনারা আরগুমেন্টের সময় বলার সুযোগ পাবেন।
এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে ভোরের কাগজ এবং সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত দুটি রিপোর্ট প্রদর্শন করেন। পাশপাশি মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে চার্জশিটে বর্ণিত কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্তের বাড়িঘরের ছবিও প্রদর্শন করেন।
আমরা কি বসে বসে ঘুমাব?
আজ সকালে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের অসমাপ্ত সাক্ষ্য শুরু হওয়ার কথা ছিল। তিনি যথা সময়ে এসে হাজিরও হন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী হাজির হননি সকালে। সকাল সাড়ে দশটায় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী ট্রাইব্যুনালের সামনে দাড়িয়ে বলেন, ‘কন্ডাক্টিং প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী আসেন নাই। কিছু ডকুমেন্ট নিয়ে তিনি পথে আছেন। তাই মাওলানা সাঈদীর মামলা পাসওভার করা হোক। (অর্থাৎ মাওলানা সাঈদীর মামলার কার্যক্রম আপাতত মুলতবি রেখে পরের মামলার কার্যক্রম শুরু হোক।)
রাষ্ট্রপক্ষের এ ধরনের আবেদনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক। তিনি বলেন, ‘ভেরি আনফরচুনেট। ইটস নট এ ফেয়ার সাবমিশন।’
এসময় চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুকে লক্ষ করে তিনি বলেন, ‘মি. চিফ প্রসিকিউটর, আপনি কী বলেন?’
এ সময় গোলাম আরিফ টিপু বলেন, ‘অনিবার্য কারণবশত তিনি সময়মত আসতে পারেননি।’
তখন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বলেন, ‘কাগজপত্র আগে থেকে রেডি করে রাখতে পারেননা আপনারা?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন